নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া নয়, আলো ...

আরমান আরজু

সত্য ও অসীমের পথে

আরমান আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাফসীর-এর নামে কোরআন বিকৃতি - ১

২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০১

[কোরআনের বিভিন্ন তাফসীরগুলো পড়ে আমার মনে হয়েছে একটি আরেকটির নকল। কেউ কেউ নিজের তাফসীরে আরেক তাফসীরকারকের উদাহরণ টেনেছেন। যার যতটুকু জ্ঞান তিনি ততটুকুই বলবেন বা লিখবেন। আল্লাহর বাণীকে মানুষদের মাঝে তুলে ধরতে তাঁরা চেষ্টা তো করেছেন। যেহেতু কোরআন এসেছেন অলৌকিক এবং অসীম এক জ্ঞান ভান্ডার থেকে সুতরাং একে আয়ত্ত করতে হলেও অলৌকিক এবং অসীমের জ্ঞান অর্জন করতে হবে।]

ধারাবাহিকটির প্রথম পর্বে আমরা আজ পবিত্র কোরআন শরীফের প্রথম সূরা সূরা ফাতিহা’র তৃতীয় আয়াত নিয়ে আলোচনা করব। আয়াতটির আরবী হল-
”মালিকি ইয়াওমিদ দ্বীন”।
অধিকাংশ কোরআনের বঙ্গানুবাদে আয়াতটির অর্থ লেখা হয়েছে,
”যিনি বিচার-দিনের মালিক”।
এবার আয়াতটিতে আসা যাক। আমরা আগে আয়াতটির প্রতিটি শব্দের অর্থগুলো জানতে চেষ্টা করব।
’মালিকি’ অর্থ মালিক বা রাজা, ইয়াওম অর্থ দিন বা কাল এবং দ্বীন অর্থ বিধান বা মতবাদ। সুতরাং আয়াতটির অর্থ দাঁড়াল,
”বিধানের কালের মালিক”।
আরবী দ্বীন অর্থ বিচার কীভাবে হল আমি অনেক গবেষণা করেও বের করতে পারিনি। আয়াতটির আগের দু’টি আয়াত লক্ষ্য করুন। প্রথমে মহান আল্লাহর প্রশংসা পরে তাঁর ’রহমান’ এবং ’রহীম’ গুণের উল্লেখ। যিনি রহমান আবার একই সাথে রহীম তিনিই নাকি আবার বিচার করবেন! ধারাবাহিকতা তো মিলছে না। আচ্ছা, আমাদের সৃষ্টি কিংবা পৃথিবীতে আমাদের আগমন কি আমাদের নিজের ইচ্ছায় হয়েছে নাকি আল্লাহর ইচ্ছায়? আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি? আমাদের ’ইচ্ছা’ বলে কি কিছু ছিল? আমরা তো অত্যন্ত অসহায়। অসহায়দের সহায় তো একমাত্র আল্লাহ (কারণ পরের আয়াতেই আছে আমরা তাঁর সাহায্য চাই)। সেখানে আবার বিচারের কথা আসবে কেন? আসতে পারে বিধানের কথা। ’বিধানের কাল’ গভীর রহস্যবোধক একটি বিষয়। ব্যাখ্যা করতে গেলে বেদ, ত্রিপিটক, ইঞ্জিল সব এক হয়ে যায়। ’বিধানের কাল’ থেকে মহান আল্লাহ মুক্ত কারণ তিনি কালজয়ী। কাল আবার তিন প্রকার- অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। ’বিধানের কাল’ বলতে তবে কোন কালকে বুঝানো হয়েছে? বিধান দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। এ জগৎটি অর্থাৎ এ পৃথিবী বিধানের অধীন। এখানে যে-ই আগমন করবে তাকে বিধানের ভেতরই থাকতে হবে। পৃথিবীতে আমার অবস্থান তো ’বর্তমান’। ’অতীত’ কিংবা ’ভবিষ্যৎ’ কোথায়? আমাকে থামতে হচ্ছে। জানলেও আর এগোনো যাবে না। শরীয়ত আছে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার যেটা মনে হয় কোরানের বাংলা অবুবাদের সময় আক্ষরিক এর সাথে ভাবনুবাদ হয়েছে এর ফলে অবেক জায়গাতেই ভাব ও আবেগ এর সাথে আক্ষরিক অনুবাদের মিলন ঘটেছে। এই জন্য আমি বাংল অনুবাদটা তেমন গুরুত্ব দেই না বিশেষ করে বর্তমানের অনুবাদকৃত তো একদমই না।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৫

বোবাকান্না বলেছেন: একেক হুজুর একেক বয়ান দেন, কেউ পড়ে। কেউ মনগড়া। সবই ধর্ম ব্যবসার খেলা

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরান যে আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে সেই আরবি ভাষা বর্তমানে আরবেও চালু নেই।সেখানে নোকতাও ছিল না,জের জবরও ছিল না।খলিফা ওসমান আবার সংকলন করতে যেয়ে উল্টা পাল্টা করে নিজের জীবনটাই হারান।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আরবীর অর্থ জানি না তাই কত কিছু ভুলচুক আমাদের গলদকরণ করতে হচ্ছে।
এই আয়াতের বিধান আর বিচারের পার্থর্কটা জানা ছিলো না।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: এটা বড় কোনো সমস্যা না। এত চিন্তার কিছু নাই। কোরআন রক্ষা করবেন আল্লাহ।
বাজারে জিনিস পত্রের দাম বাড়লে চিন্তার বিষয়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০১

আরমান আরজু বলেছেন: আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর না নিলেও চলবে।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৫৭

লাতিনো বলেছেন: বিধানের দিনের মালিক - এর মানে হচ্ছে বিধি বিধানের প্রয়োগ যেদিন হবে, সেদিন আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কারো কোন ক্ষমতা থাকবেনা সিদ্ধান্ত দেবার। সেই হিসেবে 'বিচার দিনের মালিক' খুব একটা ভুল অনুবাদ নয়।

একটা উদাহরণ দেই। বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী আমাদের একটা দন্ডবিধি আছে। সেই দন্ডবিধি অনুযায়ী কেউ কন অপরাধ করলে প্রথমে তাকে পাকড়াও করা হয় এবং আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে যুক্তিতর্ক শেষে অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে বিচারক চূড়ান্ত রায় দিলে বলা যায় যে দন্ডবিধি বা সংবিধানের ধারা তার উপর প্রয়োগ করা হল। তাই বলা যায়, বিধানের দিন বলতে আসলে বিচারের দিনই বুঝায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.