নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়া নয়, আলো ...

আরমান আরজু

সত্য ও অসীমের পথে

আরমান আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাফসীর-এর নামে কোরআন বিকৃতি – ২

২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫২

[কোরআনের বিভিন্ন তাফসীরগুলো পড়ে আমার মনে হয়েছে একটি আরেকটির নকল। কেউ কেউ নিজের তাফসীরে আরেক তাফসীরকারকের উদাহরণ টেনেছেন। যার যতটুকু জ্ঞান তিনি ততটুকুই বলবেন বা লিখবেন। আল্লাহর বাণীকে মানুষদের মাঝে তুলে ধরতে তাঁরা চেষ্টা তো করেছেন। যেহেতু কোরআন এসেছেন অলৌকিক এবং অসীম এক জ্ঞান ভান্ডার থেকে সুতরাং একে আয়ত্ত করতে হলেও অলৌকিক এবং অসীমের জ্ঞান অর্জন করতে হবে।]

ধারাবাহিকটির ২য় পর্বে আমরা আজ পবিত্র কোরআন শরীফের ৯৭নং সূরা সূরা ক্বদর এর প্রথম আয়াত নিয়ে আলোচনা করব। আয়াতটির আরবী হল-
”ইন্না আনযালনাহু ফি লাইলাতিল ক্বাদরে”।
অধিকাংশ কোরআনের বঙ্গানুবাদে আয়াতটির অর্থ লেখা হয়েছে,
”আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে”
”নিশ্চয় আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে”

অধিকাংশ কোরআন ব্যাখ্যাকারক তাঁদের ব্যাখ্যায় ’একে’ বা ’ইহাকে’ বুঝাতে বলেছেন কোরআন। অর্থাৎ শবে কদরে বা মহিমান্বিত রজনীতে আল্লাহ কোরআন নাযিল করেছেন। পুরো কোরআন বর্তমান কালে লেখা হলেও ওনারা ব্যবহার করেছেন অতীত কাল নির্দেশক শব্দ যেমন ’করেছি’।

এবার আয়াতটিতে আসা যাক। আমরা আগে আয়াতটির প্রতিটি শব্দের অর্থগুলো জানতে চেষ্টা করব।
ইন্না অর্থ নিশ্চয়, আনযালনাহু অর্থ আমরা একে অবতীর্ণ করি, ফি অর্থ মধ্যে, লাইলাতিল অর্থ রাত্রিতে এবং ক্বাদরে অর্থ মর্যাদাবান কিংবা মহিমান্বিত। সুতরাং আয়াতটির অর্থ দাঁড়াল,
”নিশ্চয় আমরা একে অবতীর্ণ করি মর্যাদাবান রাত্রির মধ্যে”।

আনযালনা অর্থ আমরা অবতীর্ণ করি। ব্যাখ্যাকারকরা ভয়ে ’আমরা’ কে ’আমি’ করে ফেলেছেন। আল্লাহ একজন সুতরাং ’আমরা’ কীভাবে হয়, এই হল উনাদের যুক্তি। কিন্তু রহস্যময় বিষয় হল পুরো কোরআনে মহান আল্লাহ নিজেকে ’আমি’ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন খুবই কম, প্রায় স্থানেই আছে ’আমরা’। মহান আল্লাহর বিশাল শক্তিময়তা কিংবা ক্ষমতার পরিচয় আমি কীভাবে দিই? অত্যন্ত ছোট্ট একটি গ্রহের অত্যন্ত ছোট্ট একটি মানুষ আমি। এত মহাক্ষমতাবান হয়েও কেন আল্লাহ কোরআনে নিজেকে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে প্রায়ই ’আমরা’ ব্যবহার করলেন। এ বিষয়ে জানতে হলে কোন কামেল গুরুর নিকট আগে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে। এরপর সাধনা এরপর জ্ঞানার্জন।
আয়াতটিতে বলা হয়েছে আমরা একে বা ইহাকে অবতীর্ণ করি। ইহাকে বলতে কী বুঝানো হয়েছে তা পুরো সূরাটিতে নেই। অথচ তাফসীরকারকরা রায় দিয়ে দিলেন আল্লাহ কোরআন অবতীর্ণ করেছেন! সূরাটির পরের আয়াতগুলো পাঠ করলে কোরআন অবতীর্ণ করেন বিষয়টি বুঝায় না। তবে কিছু একটা তো অবশ্যই অবতীর্ণ হয়। চতুর্থ আয়াতটিতে তারই ইঙ্গিত আছে।
এ সূরাটিকে কেন্দ্র করে শবে-ক্বদর নামক একটি বিষয় আমাদের মুসলিম সমাজে খুব ভালভাবে গেড়ে বসেছে যা রোযার মাসে পালন করা হয়। অথচ সূরাটির কোথাও এ ব্যাপারে কোন ইঙ্গিত নেই।
সাধক যখন যাবতীয় পাপাচার এবং কোলাহল মুক্ত হয়ে মহান আল্লাহর রহস্য অর্জনে ব্রত হয় তখনই এক পর্যায়ে মহান আল্লাহর পক্ষ হতে ক্বদর রাতে সাধকের উপর মহান আল্লাহর গূঢ় রহস্যসমূহ অবতীর্ণ হয়। আর ঐ ক্বদরের রাতটি যেকোন সময় হতে পারে। ডাকার মত ডাকতে পারলে মহান আল্লাহ যেকোন সময় তাঁর প্রেমিকের ডাকে সাড়া দেন। যখন যেসময় সাড়া দেন সে সময়টিই ক্বদরের রাত। রাত হচ্ছে কোলাহল মুক্ত একটি সময়। রাত বিশ্রামের কিংবা ঘুমের। রাতে সবকিছু নিস্তব্ধ হয়ে যায়। সাধনার জন্য এ রকম সময়ই দরকার। আর তাই ক্বদরের দিন না হয়ে ক্বদরের রাত হয়েছে। শরীয়তকে শ্রদ্ধা করি নইলে আরো কিছু বলা যেত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এইটা জানা ছিলো।
অনুবাদকেরা আমরা অনুবাদ করতে ভয় পায়।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

অধীতি বলেছেন: এটার আরবী ব্যাকরণ ভিত্তিক একটা গ্রহনযোগ্য মতামত আছে। আপনাকে একসময় জানাবো।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মহান আল্লাহই যখন সত্যকে রুপকে বলেছেন, আপনি কেন উত্তেজিত? ;)
সত্য সবাই বুঝবেনা এটাও কোরআনে বলা আছে। সুতরাং বুঝেনা বলে পেরেশান হবার কিছু নেই :)
যার যার নসিব তাকে টেনে নেবে তার কর্মানুপাতে - সূখ বা যন্ত্রনায়!
আপনি শুধু আহবায়ক হতে পারেন যদি গুরুর আদেশ থাকে.........

ভাল লাগলো। সদরুদ্দিন চিশতী রহ: এর তাফসিরগুলো অমৃত সম...
জাগ্রত হৃদয়ের তৃষ্না মেটায়

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: এখানে আমরা হবে কেন? একটু বুঝিয়ে বলবেন

৫| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.