নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জড়তার কাব্য শুনি, ক্লীব লিঙ্গ বলিয়া কিছু নাই

অ রণ্য

পুলকে পুলক আর সাদা দুধ, সাদা ঘর, মেঘের দোসরযে তুমি ঘুমিয়ে আছো, যেন ঘর ছেড়ে উড়ে গেছোআরব সাগর আর যাদু-কাঠি-ঘ্রাণগাগল, পাগল আমি রাত-দিন বসে টানিযাদুর ঝালর

অ রণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদিম ঘুম ও লোভনীয় ঈশ্বর

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

এই ঘর শূন্য রয়েছে বলে

পৃথক পৃথক মানুষের অবয়ব স্পষ্ট হয়ে উঠে

আরেকটি বছর নিরবে এমন

পৃথিবী নামক গ্রহ পেছনে ছেড়ে এলে



নিজেরই প্রবল স্রোত সবদিক থেকে

রোজ রোজ টেনে নেয় অন্ধ-কোঠরে

অতঃপর প্রয়াস শূন্য হলে

ঘুমন্ত চোখ ঘুম ফাঁকি দিয়ে

অপলক তাকিয়ে থাকে জেগে থাকা ফলের বিষন্ন ত্বকে

যেন দিশেহারা একটি নিরীহ শাবক

অজুহাতহীন নতুন ভুবনে

ভাবছে, এ কেমন ফুল বিষ ছড়ায় নগরে, বন্দরে

অতঃপর, প্রচন্ড এক সর্বগ্রাসী শ্বাসে

সব পাতা শুকিয়ে ঝরে যায় নিরক্ষ রেখার দিকে



আমি তো আদিম প্রাণী ভেবে

নিজেকে হত্যা করি ভোঁতা ধাতব অস্ত্র দিয়ে

নিস্তেজ শরীর রক্তে ভেসে ভেসে

তাকিয়ে থাকে তীর্থযাত্রীর দিকে

একটিও কী পাথর নেই অবিশ্বাসী এই গ্রহে

ছুঁড়ে দিয়ে পূণ্য-অভিলাষে

অতঃপর কুড়িয়ে নেবে আরেক, নিজেকে শান্তি ফিরিয়ে দিতে



মানুষ তো ক্ষয়ে যাবে মানুষেরই রূপে

এমন সত্য আচানক বদলে গেলে

নিরীহ শাবক ফিরে যায় ছায়ার আড়ালে

হিংস্র মায়া আর ক্ষুধার আক্রোশে



যে তুমি আদিম অসহায় ভিন্ন পৃথিবীর বুকে

ঝকঝকে মুখ দেখো মুদ্রার উভয় পিঠে

তোমাকেও ছুঁড়ে দেয়া হবে শূন্য-কোঠরে

ধাানলোভী ইঁদুরের পাপে

বিষাক্ত খাদ্য আর মৃত্যু প্রতিশোধে



আরেকটি দীর্ঘ বছর ক্ষুধার অনুকূলে

ভেসে যাওয়া আদিম শরীর ওপারের দ্বীপে

হঠাৎ ছিটকে আসা আলোর চমকে

বাতিঘর, বাতিঘর চিৎকারে

পুনরায় হারিয়ে ফেলবে দিক জলের আবেশে

হয়ত এমনই আঁধার বছরে

প্রপিতামহেরা ফিরে আসে সঠিক কীতাব নিয়ে

হিসেবের পাতা থেকে থেকে দু’একটি বর্ণ হারিয়ে গেলে

আফসোসে ভরে উঠে বাতাস

অবস্থান শূন্য হয় বিশাল তরণীতে



আমি তো প্রশ্ন সম্ভারে

ডুবে গেছি আমূল সমস্ত পরিধান নিয়ে

স্বপ্ন থেকে নেমে আসা জীর্ণ বিশাল শকুন

কী যেন খুঁজে ফেরে মজ্জার গভীরে



চারিদিকে অসহায় শিশু মাতৃ-উদরে

ঘুমাবে না আর মিথ্যে অজুহাতে

ছড়িয়ে দিচ্ছে যন্ত্র-হাহাকার

উঠপাখি আর বাস্তুসাপ ভালবেসে

কে তুমি ভীত মৃত নাবিকের চোখে চোখ রেখে

আমাকে বললে, ‘বাঁচাও’

শেষ তীর লক্ষ্য ভেদ করে



যতবার করুণার বশে

নিজেকে বাড়িয়ে দিয়েছি হাত নিজেরই ভুলে

একেকটি ঘর-ফেরা পথিক চমকে উঠেছে থেমে

অতঃপর হারিয়ে যাওয়া নদীর পাড়ে এসে

ভেসে যাওয়া অসংখ্য লাশের শরীর দেখে

ভেবেছে পূণ্য-যাত্রীরা সব

এ পৃথিবী নয়, মানুষ বাস করে ভিন্ন পৃথিবীতে



এ শুভ বার্তা আজ ছড়িয়ে পড়ুক কবরে কবরে

ঈশ্বর নয় আমরা করেছি ক্ষমা নিজেরই নিরব আমিকে

চারিদিকে গড়ে উঠা আদিম বন্দরে

পূণ্য-যাত্রীরা কালো পোশাকে ঢেকে

যে সংগীত গাইতে গাইতে উঠে যাচ্ছে প্রকান্ড তরণীতে

আরেকটি বছর এভাবে নিরব পার হলে

আমিও যোগ দেব স্বাস্থ্যবান পিঁপড়া সারিতে

ক্ষুধা ও মাংসসমৃদ্ধ পৃথিবী নামক গ্রহে





অরণ্য

ঢাকা, বাংলাদেশ



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
অসাধারণ লিখেছেন কবি।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

অ রণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.