নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জড়তার কাব্য শুনি, ক্লীব লিঙ্গ বলিয়া কিছু নাই

অ রণ্য

পুলকে পুলক আর সাদা দুধ, সাদা ঘর, মেঘের দোসরযে তুমি ঘুমিয়ে আছো, যেন ঘর ছেড়ে উড়ে গেছোআরব সাগর আর যাদু-কাঠি-ঘ্রাণগাগল, পাগল আমি রাত-দিন বসে টানিযাদুর ঝালর

অ রণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালীর দেশপ্রেম বনাম বর্বরের সভ্যতা

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

আমি আমার দেশকে ততটাই ভালবাসি, যতটা ভালবাসি নিজের মাকে, এবং এই দেশপ্রেম কখনোই আমাকে মাতৃভূমির বিপরীতে ভাবতে সক্ষম করে তোলেনি। কিন্তু, মাঝে মাঝে যখন রাস্তার মাঝে জ্যামে অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে পড়া কোনো এ্যামুলেন্সের একটানা চিৎকার শুনি, তখন মনে হয়, এ্যাম্বুলেন্স নয় সমগ্র বাঙালী জাতি যেন ওভাবে দাঁড়িয়ে অসহায়ভাবে চিৎকার করছে, যা সবার কানে পৌছাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু, তারা এতটাই বধির ও বিবেক বর্জিত যে, ন্যূনতম সচেতনতা দেখাতেও সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ! এই জাতির ক্রমবর্ধমান অধঃপতন এতটাই নিচে নেমেছে যে, এ্যাম্বুলেন্সের মতো একটি যানবহনকে সবাই মিলে এগিয়ে যেতে দেবার মতো উদারতাটুকুও হারিয়েছে, সর্বোতভাবে!



এমন পরিস্থিতিতে আমার বারবারই একটা দারুণ স্মৃতি মনে পড়ে। শেখ জায়েদ রোড (E11), দুবাই (বুরজ খলিফা-পৃথিবীর উচ্চতম টাওয়ার এ রাস্তার পাশেই অবস্থিত), পৃথিবীর ব্যস্ততম ও দ্রুততম রাস্তাগুলোর অন্যতম। দু'পাশের ১০টি লেনে কমছে কম দৈনিক কয়েক লক্ষ গাড়ি যাতায়াত করে। একদিন দুপুরের দিকে বার-দুবাই ফিরছি, শেখ জায়েদ রোডে হঠাৎ জ্যাম পড়েছে, প্রায় দুই-তিন কিলোমিটার লম্বা জ্যাম। বসে থেকে দূরে তাকিয়ে কেবল গাড়ি আর গাড়ি দেখতে পাচ্ছি। হঠাৎ যেন ম্যাজিক ঘটল! গাড়িতে গান বাজছিল বিধায় বুঝতে পারিনি, কেবল বিস্মিত হয়ে লক্ষ্য করলাম, যতদূর চোখ যায় অত জ্যামেও সামনের সমস্ত গাড়ি যে যেদিকে পারছে ম্যাজিকের মতো দু'দিকে সরে যাচ্ছে, এবং মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে আমাদের গাড়িটাও সরে গেল একপাশে, এবং সাথে সাথেই দেখলাম, একটি এ্যাম্বুলেন্স প্রায় ৮০-১০০ কি.মি. গতিতে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে এত দীর্ঘ জ্যামের মাঝ বরাবর তৈরী হওয়া ফাকা স্পেস ধরে ছুটে বেরিয়ে গেল সোজা। আমি কিছুক্ষণ বাকরূদ্ধ হয়ে বসেছিলাম, এবং তারপর আপনি-আপনিই মন থেকে বললাম, ‘স্যালুট আরব জাতি তোমাকে’, যাদের বর্বর অভিহিত করা হয়ে থাকে আজও, এবং যারা সত্যিকার অর্থেই বর্বর এখনও, তারপরও দীর্ঘ ৩ বছর এই জাতিকে কাছ থেকে দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি বারবার, যার উৎকৃষ্টতম উদাহরণ ‘সালিক ট্যাগ’ ইন্সটলেশন (অটোমেটেড টোল সিস্টেম), যা কিনা তারা মাত্র এক থেকে দুই মাসের মধ্যে অধিকাংশ গাড়িতে ইন্সটল করতে সক্ষম হয়েছিল।



অথচ আমরা সভ্য, শিল্পীত, স্বাধীন, রুচিবান, শিক্ষিত ও মুক্তচিন্তার হয়েও মানবতা তো অনেক দূরের কথা, একটি মুমূর্ষ রোগিবাহী এ্যাম্বুলেন্সকে সামনে এগিয়ে যাবার জন্য সামান্যতম জায়গা করে দিতে সক্ষম হলাম না আজ পর্যন্ত।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: :( :( :( :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.