নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জড়তার কাব্য শুনি, ক্লীব লিঙ্গ বলিয়া কিছু নাই

অ রণ্য

পুলকে পুলক আর সাদা দুধ, সাদা ঘর, মেঘের দোসরযে তুমি ঘুমিয়ে আছো, যেন ঘর ছেড়ে উড়ে গেছোআরব সাগর আর যাদু-কাঠি-ঘ্রাণগাগল, পাগল আমি রাত-দিন বসে টানিযাদুর ঝালর

অ রণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুপোলি ডালার বাক্স - tales of our social anthropology !!!

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫


।। জ্যামিতি বক্স ।।
ছোট্ট এই লাল বাক্সটি এক জীবনে ভোলা অসম্ভব ! আহা, চির অমলিন শৈশব স্মৃতি !!!


।। জাম বাক ।।
জ্বালা, পোড়া, কাটা, ব্যথা - সব অসুখের এক মহা-ঔষধ।


।। বলাকা ব্লেড ।।


।। কম্প্যাক্ট ক্যাসেট ।।


।। ক্যাসেট প্লেয়ার ।।


।। ক্যাসেট প্লেয়ার ।। (আমার জীবনের প্রথম ক্যাসেট প্লেয়ার)
টেপ রেকর্ডার চালানোর সবেচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা হলো, আমাকে পই পই করে বারণ করা হয়েছিল, ৫টি বাটনের যেটা খুশি চাপি না কেন, শেষ দিকের বড় বাটনের মাথার উপর ছোট্ট লালচে মতন যে বাটনটি আছে, সেটা যেন না চাপি, কোনোভাবেই। ভুলটা মূলত এখানেই ঘটেছিল, কেন না তাদের বোঝা উচিত ছিল, আমি সেই বান্দা, যাকে যেটা বারণ করা হবে সেটাই করা হবে সর্বাগ্রে। ফলত যা ঘটার তাই ঘটেছিল। সুযোগ বুঝে দিলাম চেপে, এবং একবার চেপে আশানুরূপ ফলাফল না পেয়ে আরও কয়েকবার! তারপর কী ঘটেছিল তা নাইবা বললাম আর।

তবে আন্তরিক ধন্যবাদ জন্মাদাতাকে যে, তিনি আমার শৈশবেই ন্যাশনালের একটি ক্যাসেট প্লেয়ার বাড়িতে হাজির করেছিলেন, যখন সত্যিকার অর্থেই যন্ত্রটি ছিল মূল্যবান এবং সমস্ত গ্রামে অভিনব।


।। রেডিও ।।


।। ম্যাচ বক্স ।।
আপাত দৃষ্টিতে এগুলো নিতান্তই ম্যাচ বক্স হলেও, আমার মতো যে কাউকেই জিজ্ঞেস করে দেখুন, তার কাছে এগুলো অর্থের চেয়েও মহামূল্যবান এক মুদ্রা, কেন না এদের একেকটির মূল্য ছিল একেক রকম, এমন কী কোনোটির মূল্য ৫০ হাজার কিংবা ১ লাখ অব্দি ছিল। অথচ, সেই সময়ে যেমন, এখনও তেমন, আমি বরাবরের দরিদ্র, ফলে খেলার সঙ্গীরা দ্রুত মিলিয়নিয়ার, বিলিয়নিয়ার হলে গেলেও আমি অসহায়ের মতো নিজের দরিদ্রতা নিয়ে ওদের কথা মানতে বাধ্য হতাম, আর একটি একটি করে গোপনে জমানো শুরু করলাম আনকমন সব ম্যাচ বক্স, যারা মূল্য প্রচলিত বাজারে ছিল অনেক বেশি। কিন্তু হায়, হলে কী হবে, ভাগ্য চিরকালই আমার বিড়ম্বিত, ফলে যখন আমি সত্যিকার অর্থেই ধনবান হলাম, ততদিনে যেমন এই বিশেষ মুদ্রা বাজারে অচল হলো, তেমনি আমার শৈশবও কোথা দিয়ে পালিয়ে গেল টুক করে। আহা, আমার মহামূল্যবান শৈশব মুদ্রা ও সরল বিনিময় !!!


।। কেরোসিন লাইটার ।।
এই বস্তুটির প্রতি আমার লোভ আজও সীমাহীন


।। সিগারেট ।।
আমাদের যৌবনের সিগারেটগুলো। আহা, একেকটির প্রতি একেক রকমের লোভ।


।। এভারেডি চর্ট লাইট ।।
তিন ব্যাটারীরর এই টর্চ লাইটটি ছিল যৌবনের বিশ্বস্ত সঙ্গী।


।। হক ও চান্দা ব্যাটারী ।।
আমাদের ফেলে আসা সময়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য শক্তির উৎস ।


।। হ্যারিকেন ।।
প্রায় বিকেলে মাকে সাহায্য করার জন্য বিশেষ সাবধানতায় যখন আমি হ্যারিকেনের কাচ মুখের ভাপ দিয়ে ঝকঝকে পরিস্কার করে মাকে দেখাতাম, মা খুশি হতেন। যদিও হাত বাঁচিয়ে কীভাবে হ্যারিকেনের কাচ পরিস্কার করতে হয়, তা রপ্ত হতে সময় লেগেছিল, আর সন্ধ্যাবেলায় হ্যারিকেনের আলোয় বই খুলে বসলেই আমার দারুন ঘুম পেত, অথচ মা জননী নাছোড় বান্দা, রান্না ঘর থেকে চিল্লিয়ে ডাকতেন, 'কী রে পড়া বন্ধ কেন', ব্যাস, আবার উচ্চস্বরে মাকে শুনিয়ে শুনিয়ে পড়া শুরু। আহা, সেই সব দিনগুলো, যখন রাত গাঢ় হয়ে আসার সাথে সাথেই পাশের বাড়ির বারান্দা হতে ভেসে আসা সায়েদ দাদার মন মাতানো বাশির সুর!


।। হ্যাজাক ।।
গ্রামের বিয়ে, খতনা, মজলিস, সালিস অথবা বা যে কোনো পরব থেকে শুরু করে যাত্রা পালা, পুঁথি গান সব আয়োজনেই লোকজন ছুটে আসত দাদার হজ্জ্ব করতে গিয়ে সৌদি থেকে নিয়ে আসা হ্যাজাক বাতির জন্য। যদিও এই বস্তুটির উপর আমাকে কখনোই পরীক্ষা চালানোর সুযোগ দেয়া হয়নি, তবুও সুযোগ-সুবিধা মতো বাতাস ছেড়ে দিয়ে পুনরায় বাতাস ভরার জন্য পাম্প করার লোভনীয় কাজটি করতে বাদ রাখিনি। তবে পুরো শৈশব জুড়ে আমার কাছে বিস্ময়কর বস্তু ছিল কাচের মধ্যে উজ্জ্বল আলো সমেত জ্বলতে থাকা নেট/জালি। বিস্ময়বোধে একভাবে সেই উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বড় লোভ হতো মুঠো করে ধরার।


।। তিব্বত স্নো ।।


।। তীব্বত ট্যালকম পাউডার ।।
কার কার কথা উল্লেখ করব, কেন না মা-বোন হতে শুরু করে দাদী-নানী পর্যন্ত সবার কাছেই প্রিয় ও অনন্য এই প্রসাধনীর ছোঁয়া আমার শৈশব গালও পেয়েছিল। আহা, সত্যিই যেন শুভ্র, কোমল বরফ-শীতল স্পর্শ - ভোলা কি যায় সহজে !!!


।। জবাকুসুম তেল ।।


।। জেট ওয়াশিং পাউডার ।।


।। মাথল ।।


।। উরুন গায়েন ।।


।। হুকা ।।


।। বায়োস্কোপ ।।
সিকি পয়সা দিয়ে শুরু এবং আট আনা থেকে এক টাকায় উন্নীত হবার পথেই আমার জীবনের সবচেয়ে ঘটনাবহুল ও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিনোদনটি হারিয়ে গেল!!! আজও আমি সময়ে-অসময়ে নিজের অজান্তেই এমনই কোনো চির-অলৌকিক ফোকরে দু'হাত দু'পাশে দিয়ে মুখ আগলে চোখ লাগিয়ে গভীর মনোযোগে বসে থাকি।


।। ক্যামেরা ফিল্ম ।।


।। ক্যামেরা ।।


।। যাঁতি ।।


।। যাঁতা ।।


।। সেমাই কল ।।
খুব সাধারণ মানের এই অসাধারণ যন্ত্রটির সাথে আমার পরিচয় ঘটে একদম বাল্যকালে। ঈদ মানে যখন ছিল মহা-উৎসব ও সুদীর্ঘ রমজান মাসের শুরু, আর প্রতিদিন অধির হয়ে একটি একটি রোজা গোনা এবং মাসের শেষের দিনগুলোতে সকাল হবার পরপরই গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির বৌ-ঝিদের মাখানো আটার গামলা অথবা ধামা ভর্তি আটা নিয়ে বাড়ির উঠোনে জমা হবার পালা। ঈদ যেন তখন থেকেই শুরু, কেন না আয়োজনের ব্যতি-ব্যস্ততা চারিদিকেই ছড়িয়ে পড়ত দ্রুত। লাচ্চা সেমাই-এর প্রচলন তখনও আসেনি গ্রামে। বাজারে প্রচলিত লম্বাটে খিলের মতো যে প্যাকেট সেমাই তাও দেখেছি অনেক পরে। ভরসা ছিল এই কল। বছর ঘুরে পরব, তাই বৌ-ঝিরা সেমাই বানানোর তোড়-জোর শুরু করে দিত আগেভাগেই। দল ধরে এসে লাইন দিয়ে তারা অপেক্ষা করত, আর সারাদিন এক এক করে সেমাই বানিয়ে পাটিতে রেখে দিত রোদে শুকানোর জন্য। আহা, সেই সব দিন। পিতামহকে আমার ধন্যবাদ দিতেই হয়, কেন না তার সংগ্রহে এমন সব জিনিস ছিল যে, যার জন্য কেবল গ্রামের মানুষ নয়, বরং দূরদূরান্ত থেকেও লোকজন আসত। যেমন গ্রামে প্রথমবারের মতো সাইকেল বা টেলিভিশন এলে মানুষরা দল বেঁধে এসেছিল দেখতে, আর সহজ-সরল মানুষের সেই বিস্ময় ও মুগ্ধ আয়োজন আমার মনে গেঁথে গেছে চিরদিনের জন্য।


।। ঢেঁকি ।।


।। ফোনিক্স বাইসাইকেল ।।
আমার জীবনের সবচেয়ে কাঙ্খিত যানবাহন।


।। চক-স্লেট ।।


।। ফাউন্টেন কলম ।।


।। পেলিকান কালি ।।


।। লুডু ।।


।। পটপটি গাড়ি ।।


।। মায়া - জন্ম নিরোধক পিল ।।
এ দেশে সরকার জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু করেনি, এই মিথ্যে অপবাদটি অন্তত আমি মানতে নারাজ, কেন না সরকার তো আর জোর করে যৌনমিলনের সময় আপনাকে কন্ডোম পরিয়ে দিয়ে আসতে পারে না, কিংবা রাতে শোবার আগে পিল গেলাতে। ফলে, আমার কাছে আজীবন দুটো বাক্য অসহ্যকর ঠেকেছে, এবং মনে হয়েছে এই জাতীর গর্ভ সঞ্চারণ ও প্রসব ক্ষমতা আইন করে রোধ করা উচিত, কেন না তারা সম্পূর্ণ নির্লজ্জ ও বেহায়ার মতো বলে-

১. আল্লাহর মাল, আল্লাহ দিয়েছে যখন, আল্লাহই খাওয়াবে।
২. আসলে বাচ্চাটা নিতে চাইনি, দুর্ঘটনা বশতঃ এসে গেছে।

তখন মনে পড়ে, গ্রামে-গঞ্জে ঘুরো বেড়ানো পরিবার-পরিক্ল্পনার সেই নারী-পুরুষগুলোর মুখ, যারা বিনে পয়সায় একদিকে এইসব বিলাতো যেমন, তেমনি নগদ অর্থ, নতুন শাড়ি-লুঙ্গির প্রলোভনে শেষ অব্দি বহু-গর্ভিনী মায়েদের পেট কাটাত। আহা, তারপরও আল্লার রহমতের জোয়ার থামানো গেল না এই দেশে, কেন না মহান আল্লাহপাক তো ঘোষণা দিয়েছেন, “তুমি দশ তলা ভবনে উইঠা চোখ বন্ধ কইরা আমার নাম লইয়া লম্ফ দাও, আমার মাল, আমিই বাঁচামু’’!

কাহারে বলি আর কাহারে বোঝাই, জনসংখ্যা ততক্ষণ অব্দি মরণ বোঝা, যতক্ষণ না প্রকৃত অর্থেই তা কার্যকরী শক্তি, আর একে তেমন শক্তিতে রূপান্তরিত করার মতো প্রজ্ঞা আমাদের নাই, কেন না আমরা তো বিনে পয়সায় পাওয়া জিনিসটি পর্যন্ত যথাযথভাবে কাজে লাগাতে ব্যর্থ এবং নিজেদের প্রজ্ঞাহীনতার দায় নির্লজ্জের মতো চাপিয়ে দিই অন্যের উপর, যার হাত থেকে স্বয়ং খোদাতালারও নিস্তার নেই।

আর কত??? অন্তত, এবার একটু হুশ করুন!!!



।। রাজা বেলুন – নিরোধক নহে ।।
বাঙ্গালী জাতীর নির্বুদ্ধিতা আর চরম উদাসীনতার জলজ্যান্ত উদাহরণ এই ছোট্ট প্যাকেটটি। সরকারী সহযোগিতায় বিনে পয়সায় দেয়া এই প্যাকেট (যা পরবর্তীতে মাত্র ২৫ পয়সায় পাওয়া যেত) এ দেশের প্রাপ্ত বয়স্করা যত না চিনেছে, তার অধিক চিনেছে শিশুরা। আমার মতো খুব কম শিশুই (কী ছেলে, কী মেয়ে) আছে এই দেশে, যাদের এই প্যাকেটটির সাথে দারুণ কোনো স্মৃতি নেই। হয়ত, প্রয়োজনীয় যে বস্তুটি বয়স্করা তাদের চরমতম বিনোদনে যোগ করতে অনীহা প্রকাশ করেছে, ফলতঃ, এই টুকুন একটা দেশে গন্ডা গন্ডা বাচ্চা-কাচ্চা অকাতর জন্ম দেবার পরও আল্লাহর উপর দায় চাপিয়ে নির্বিকার থেকেছে, সেই জিনিসটিকেই আমরা শিশুরা আমাদের শৈশব বিনোদনের উপকরণে যোগ করে দেখিয়ে দিয়েছি যে, যদি আপনারা এই বস্তুটি আপনাদের চরম বিনোদনে ঠিকঠাক যোগ করতেন তবে আজ আমরা ভিন্ন এক বাংলাদেশ পেতাম !!!


মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: নিঃসন্দেহে দারুন কালেকশন! এর সবকিছুর সাথেই আমাদের শৈশবের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ছবিগুলো দেখতে দেখতে হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই সব দিন গুলোতে। ধন্যবাদ

১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

অ রণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ তপন____আমি একটু সেকেলে টাইপের মানুষ, তাই ফিরে ফিরে যাই নিজের অতীতে, শেকড়ে !!

ভাল থাকুন, স্মৃতিকাতরতায় থাকুন____!!!

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

রাজিব বলেছেন: ফাউন্টেন পেন আর কালির দোয়াত দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মনে হয় ফাউন্টেন পেন দিয়ে লিখেছি।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

অ রণ্য বলেছেন: আমার কাছে বড় কাঙ্খিত ছিল এই বস্তু___আহা, দোয়াত-কলম মানেই যেন এক আভিজ্যত্যের ব্যাপার। কত অপেক্ষার পর এসেছিল হাতে____!!!!!!!!!!

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

মৈত্রী বলেছেন:
রাজা কন্ডম :)

১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

অ রণ্য বলেছেন: ব্রাদার___একটু ঠিকঠাক পড়ুন, কেন না ওটা এখানে বেলুন, নিরোধক নহে_________!!!!!!!!

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

এল পেসিমিসতা বলেছেন: শৈশবে ফিরে যাচ্ছিলাম বারংবার । অনেক ধন্যবাদ ।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১

অ রণ্য বলেছেন: শৈশব স্মৃতি বিজড়িত বস্তুগুলোর ইফেক্ট এমনই হয়।
ধন্যবাদ আপনাকেও______!!!!

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

হেডস্যার বলেছেন:
আহ !! চোখের সামনে বার বার দিনগুলো ভেসে উঠছিলো।
লয়েকটা জিনিস তো বটেই, ছবি ও দুস্প্রাপ্য।

অত্যন্ত চমৎকার পোষ্ট ।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

অ রণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ______আপনাকে।

ঠিক বলেছেন, কিছু কিছু ছবি খুঁজে পেতে আমার রীতিমতো ঘাম ছুটে গেছে !!!

আবার অনেকগুলো ঠিকঠাক স্মরণ করতে পারছিলাম না, যেমন 'উরুন গায়েন' নামটি স্মরণ করতে একটি গোটা দিন গেছে।

যাই হোক___আমার ভাল লাগে মাঝে মাঝেই শৈশবের দিনগুলোয় ফিরে যেতে।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

আগুনে পাখি বলেছেন: ন্যাশনাল রেডিও :D

১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

অ রণ্য বলেছেন: আমি যে রেডিওটা খুঁজছিলাম সেটা পাইনি। অনেকদিন খোঁজার পর না পেয়ে, শেষ অব্দি এটা শেয়ার করেছি। আমাদের সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল ইন্ডিয়ান একটি রেডিও। নাম, ব্র্যান্ড কিছুই আজ আর মনে নেই।

কেউ যদি পারেন, তবে শেয়ার করুন প্লিজ।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

আগুনে পাখি বলেছেন: প্রিয় পোস্টের তালিকায় রাখতেই হবে একে :D

১২ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

অ রণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ আগুন পাখি____________!!!!!!!!!!

৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

তূর্য হাসান বলেছেন: এক টুকরো স্মৃতির চক্কর। দারুন।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৬

অ রণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ______
আমি নিজেও মাঝে মাঝে হারিয়ে যাই !!!!

৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: নষ্টালজিক , তবে অনেক কিছুই এখনও পাওয়া যায়

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৭

অ রণ্য বলেছেন: তা যায় বৈকী_____তবে বেশিরভাগ-ই এখন যাদুঘরে!!!

১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

চড়ুই বলেছেন: জ্যামিতি বক্স সেই ছোটবেলাই চলে গেলাম। ছবি গুলা সাধারন হলেও অসাধারন।

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩১

অ রণ্য বলেছেন: এই ছোট্ট লাল বাক্সটির প্রভাব এত বেশি এই জীবনে যে, যতবার শৈশবে ফিরে যাব আমরা, ততবার এই লাল বাক্সটি ফিরে ফিরে আসবে তার সর্বগ্রাসী প্রভাব নিয়ে।

আহা, কী সুন্দর ছিল সেই অনুভব, যখন আমরা এমন একটি বাক্সের অধিকারী ছিলাম, যেনবা রূপকথার কোনো যাদুর বাক্সের সত্যিকার মালিক।

১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ভাই সবই দিলেন, তিব্বত পমেটের ছবিটাতো দিলেননা....

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

অ রণ্য বলেছেন: ভাই, পমেটম দিতাম, কিন্তু, যে ছবিগুলো পেয়েছি তা এখনকার, ফলে সেই অতীত অনুভবটা পাচ্ছিলাম না। তাই দেয়া হয়নি, নতুবা ছিল সংগ্রহে।

১২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৪

লিংকন১১৫ বলেছেন: ঐতিহাসিক সব কালেকশন
আমি আমার বড় বোনের থেকে পেয়েছিলাম জ্যামিতি বক্স
জাম বাক একদম ছোট কালে দেখে ছিলাম , আরেকটা ছিল টাইগার বাম
মাথা বেথার মহা ওষুধ
ক্যাসেট প্লেয়ার , হ্যারিকেন , রাজা , বলাকা ,টর্চ লাইট , তিব্বত
সবি আমার কাছে আছে এখন
খালি নাই কেরোসিন লাইটার এটা দেখিনি কখনো
আহা সেই চখ ছিলেট ডাস্টার , লুডু
বায়োস্কোপ টা সামনে থেকে দেখেছি কিন্তু চোখ রাখা হইনি
জাতা ও টেঁকি দেখে ছি মাগার সেমাই কল দেখিনি
ফাউন্টেন কলম আব্বা আমাকে গিফট করে ছিল

ভাই পোস্ট ++++++
আপ্নেরে অনেক অনেক ধইন্না
পোস্ট টা প্রিয়তে নিলাম

১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

অ রণ্য বলেছেন: আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্য পড়ে আমি নিজেও খানিকটা আরও নস্টালজিক হলাম।

আপনাকেও ধন্যবাদ ভায়া ______!!!!

১৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫০

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার পোষ্ট । সংগ্রহে রাখলাম।

১৩ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

অ রণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে !

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০১

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: একমুহূর্তে পুরো শৈশবটা ঘুরে এলাম । ছবির কালেকশনটা অসাধারন । সুপার্ব । প্রিয়তে নিলাম ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

অ রণ্য বলেছেন: তা যা বলেছেন____এই সব স্মৃতিময় বস্তুগুলো আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ওতোপ্রোতেভাবে__এগুলোর প্রভাব এই জীবনে কখনও মিয়ম্রাণ হবার নয়।

১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সোজা প্রিয়তে উইথ কইসসা পিলাচ :)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

অ রণ্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভায়া মন্তব্য ও কইসা প্লাস দেবার জন্য।

১৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

খাটাস বলেছেন: আহ দেখার মত একটা পোস্ট। একটু করে পোস্ট সামনে গেল, আর একটু করে পেছনে নিয়ে গেল। শেষে আইসা কিন্তু আটকাইয়া গেছি। কারন ওগুলো বড়দের জিনিস। :#> :!> B-))
চমৎকার পোস্টের জন্য অজস্র কৃতজ্ঞতা ভাই। পোস্টে +++++++

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

অ রণ্য বলেছেন: ভাই খাটাস________নিচের দিকের দুটো জিনিস আপনার কাছে বড়দের মনে হলেও, একটি আমার কাছে নিতান্তই বেলুন বৈ কিছু নয়। গ্রামাঞ্চলে শৈশবে এটাই ছিল বস্তুত বেলুন, আর আমি ছবির নিচে সে জন্যই ছোট্ট একটি লেখা যুক্ত করেছি।

আর মায়ার সবুজ পাতার সাথে আমাদের কার না শৈশব স্মৃতি জড়িত আছে? যখন ওগুলো দেখেছি, কিংবা নিয়ে খেলেছি, তখন কিন্তু একবারও আমাদের এমন অনুভূতি বা অনুভব হয়নি যে, সেগুলো বড়দের।

আমার কাছে আজও সেগুলো তেমনই স্মৃতি, তাই এই পোস্টের স্মৃতিচারণ সর্বপ্রকার দুষ্টতা থেকে মুক্ত।

আপনাকে ধন্যবাদ মতামত জানানোর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.