নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অরূপ স্বরূপ

আমি মুক্ত, অবরুদ্ধ ,আমি কঠোর আবার কিছুই না ..

অরূপ স্বরূপ

হারিয়ে যাই মাঝে সাঝে অচিনরে চেনার খোঁজে...

অরূপ স্বরূপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে আসা দক্ষিণবঙ্গ , পর্ব ২ (সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটা )

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০১

নিরেট শীতের বাতাস শ শ করে বইছিলো বাইরে । বাসের জানালার পাশে বসে ছিলাম । জানালা বন্ধ , ফাঁক দিয়ে সেই বাতাস এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে কানের লতি। আমি আরেকটু ঝুঁকে পড়লাম । বাতাসের সাথে চললো লুকোচুরি মিতালী ! এই আদুরে স্পর্শে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম মনেই পড়ে না । আমাদের বাস ছুটে চলছে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে। গতদিনের মংলা,করমজল আর বাগেরহাট ঘুরোঘুরির পর এই ঘুমটা বুঝি দরকারও ছিলো । তবে জার্নি তে যা হয় আর কি, ঘুমটা বেশিক্ষণ স্থায়ি হলো না ।রাত ২ টায় বাস থেমে গেলো । বাসের সারি সারি লাইন দেখে বুঝতে পারলাম সামনে ফেরী ঘাট । এতটা ভাবতে পারি নাই ,তবে আমাদের সেই ফেরী ঘাটে ঠাই দাড়িয়ে, বসে এবং হাটাহাটি করে সময় কাটাতে হলো পরদিন সকাল ১১ টা পর্যন্ত। যে হরতালের হাত থেকে বাঁচার জন্য এতো আঁটসাঁট ভ্রমণ পরিকল্পনা তা মাঠে মারা যাবার উপক্রম X(( প্রথমে কুয়াশার কারনে রাতে ফেরী বন্ধ হয়ে যাওয়া তারপর সকালে হরতালের দোহাই দিয়ে ফেরী বন্ধ রাখা । যাই হোক, ১২ টার দিকে ফেরী কর্তৃপক্ষের দয়া হলো আমাদের উপর!! এর পর আরও ৩ টা ফেরী !! ধর্য্যের ভালো রকম এক পরীক্ষা হয়ে গেলো আমাদের । বেলা ৩ টায় অবশেষে কুয়াকাটার মাটি স্পর্শ করলাম। সে এক অন্যরকম আনন্দ ,বলা ভালো স্বস্তি । একের পর এক বাঁধা আসছিলো আর শেষ দিকে এসে মেজাজ কিছুটা বিগড়ে যাচ্ছিলো ।

এরপর কিছুটা সময়ই লাগলো হোটেল এ রুম ভাড়া করতে। একটা যুতসই ২ বেড এর রুম ঠিক করা হলো ৫ দোস্তর জন্যB-) । তারপর চটজলদি খাওয়া দাওয়া সেরে নেয়া । সমুদ্রকন্যা কে দেখবার আশায় বিগত ১৬ ঘণ্টার বাস জার্নি ধুয়ে মুছে সাফ। শেষ বিকেলের রোদের মৃদু ছোঁওয়া আর শীতের আদর দিয়ে আমাদের বরণ করে নিলো সমুদ্রকন্যা । সবাই আলাদা হয়ে নিজের মতো ঘুরাঘুরি শুরু করলাম । নামের মতই এর রূপ । শান্ত,নিবিড় ,সমুদ্রের ভয়ংকর ঢেঊ এর কথা শুনেছি কিন্তু এখানে মৃদু মৃদু ঢেঊ এর আলিঙ্গন । সমুদ্রকন্যা নামটা যথার্থই হয়েছে বলা চলে ।

পড়ন্তবেলায় সূর্যের সে কে অপরূপ রূপ, রঙ এর বৈচিত্রে চেহারা পালটায় মিনিটে মিনিটে ! এই ধূসর নীলের আবির, তো এই নীলের গায়ে ক্ষতের মতো বেড়ে উঠছে হলুদাভ রক্ত । হালকা বাতাস এসে হলদে আভায় ঢেলে দিচ্ছে একটু লালের পিক ! তারপর ধীরে ধীরে হলুদ আর লাল এর মিতালী । হারিয়ে গেলো নীল:(( আঁধার নেমে এসে গেলো আর অভিসারে গেলো হলুদ আর লাল। কিন্তু নীল কি আর ফিরে আসবে না ?? আরে মিয়া, কি যে বলেন ! সকাল হলেই তো নীল :P নীলরা কখনো হারায় না :) ''যে অন্ধকারে ডুবে যাও, সে অন্ধকারেই আমার জন্ম "

আঁধার নেমে আসছে ধীরে ধীরে । একটু ঠাণ্ডাও বাড়ল বইকি। সূর্যাস্তের ক্ষণটাকে চাক্ষুষ করার জন্য সমুদ্রতীরে হঠাৎ করেই শোরগোল বেড়ে গেলো । সময়টাকে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত অনেকে। এই চলে যাওয়া সবার জন্যই এক উপলক্ষ বইকি । আমাদের সঞ্জুর ক্যামেরাতেও অনেকগুলো টিপ পরল । অন্ধকার হওয়ার পরও অনেকটা ক্ষণ ঘুরলাম । কিন্তু আর পারা গেলো না । শীতটা ভালোই বাগড়া দিলো । এবার ঠিক করলাম কুয়াকাটা টাউনটা

ঘুরা দরকার । কাছেই বার্মিজ মার্কেট আর রাখাইনপাড়া । দিনের আলো হলে হয়ত আরও ভালো হতো । কিন্তু এই ঘুটঘুট অন্ধকারেও রাখাইনদের এলাকা চষলাম! এদের বাড়িঘরগুলো মৌলিক এবং স্বকীয়তায় উজ্জ্বল । এক রাখাইন দোকান এ আলাপ হচ্ছিল রাখাইন ভদ্রলোক মান চু আইন এর সাথে। দোকানকর্তী ভদ্রমহিলা কালা চোখাইনও আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন । এই ভদ্রমহিলা ''কালা চোখাইন'' এর কথা বলতেই হচ্ছে । আমার দোস্ত আরিফ তো পুরাই মজে গিয়েছিলো কালা চোখাইন এর চোখে ;) কিছুক্ষণ আলাপচারীটা চললো । মুলত,রাখাইন দের সম্পর্কেই জানতে চাইলাম । তাদের মাতৃ প্রধান পরিবার, আচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে অল্পবিস্তর জানা হলো।অবশেষে কালা চোখাইন এর রহস্যময় হাসির টাটকা স্মৃতি নিয়ে আমরা ফিরে আসলাম হোটেলে:P সূর্যাস্ত দেখা ছাড়া খুব একটা ঘুরাঘুরি হলো না আমাদের। যদিও আমরা নাছোড়বান্দা । আগামীকালটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতেই হবে । তাই রাতেই দুটো মোটরবাইক ভাড়া করে রাখলাম । ভোর পাঁচটায় আমরা বেড়িয়ে পড়বো । উদ্দেশ্য চর গঙ্গামতি, কাঁকড়ার চর হয়ে সূর্যোদয় দেখা এবং মিশ্রী পাড়ার বৌদ্ধমন্দির পরিদর্শন । আবার ৯ :৩০ টায় আমাদের নিয়ে কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বন ও শুটকিপল্লীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে ট্রলার যা আমরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম । এই অবস্থায় কি ঘুম আসে ??? আসলে না ঘুমিয়ে উপায়ও ছিলো না । আমরাও ছিলাম ক্লান্ত । রাতে খাবার সেরে সে এক আরামের ঘুম । একি !!! এতো তারাতারি ৫ টা বেজে গেলো:-* যে যেভাবে পেরেছি ফ্রেশ হয়ে নিচ্ছি । বাইক ছুটে চলছে চর গঙ্গামতির দিকে । ওখানেই মূলত সূর্যোদয়টা ভালো করে দেখা যায় । কুয়াশার কারনে সূর্যোদয়টা দেখতে পারব কিনা সন্দেহ ছিল । কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন ,সমুদ্র চিরে বের হয়ে আসা সূর্যের আভায় আলিঙ্গন করলাম আমরা । দেড় ঘণ্টার মতো অবস্থান করার পর বেড়িয়ে পড়লাম কাঁকড়ার চর আর মিশ্রী পাড়া দেখতে । উল্লেখযোগ্য ব্যাপার ,চর গঙ্গামতি থেকে কাঁকড়ার চর যাওয়ার জন্য একটা ছোট নদী পার হতে হলো । ছোট ,যাকে বলে একদমই ছোট নৌকায় ৬ টা মানুষ,১ জন মাঝি তারপর আবার ২ টা মোটরবাইক !!! একটু এদিক ওদিক হলেই শেষ :-* যাই হোক,ভালোই ভালোই পার হওয়া গেলো । আবার বাইক এ চেপে বসা । অসম্ভব রকম সুন্দর সমুদ্রতীরবর্তি চরগুলো । কাঁকড়ার চর এ আসলাম আর কাঁকড়া দেখবো না, তা কি করে হয়? আমাদের বাইক এর চালক মোহাম্মাদ আনসার নিজেই কোদাল নিয়ে লেগে গেলো । চর এর বালু খুড়ে খুড়ে বের হয়ে আসলো এক জলজ্যান্ত কাঁকড়া ।

এবার মিশ্রী পাড়ার উদ্দেশ্যে ছুটে চলা । ওদিকে সময়ের দিকেও নজর রাখতে হচ্ছিলো ।কারন ৯ টার ভিতর কুয়াকাটা টাউন এ পৌছুতেই হবে । মিশ্রীপাড়ার বৌদ্ধমন্দির এ উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তিটি রাখা আছে । যদিও বুদ্ধমূর্তিটি যে টিনের তৈরি স্থাপনায় রাখা তা মোটেও দৃষ্টিসুখকর ছিলো না । বরং বেশ অরক্ষিত লাগছিলো ।

ওখান থেকে মিশ্রীপাড়ার এক বাড়িয়ে ঢুঁ মারলাম । ওদের তাঁতের তৈরি পোশাক ও তাঁতযন্ত্র সরাসরি চাক্ষুষ করা হলো । আর সময় নেই । এবার তাড়াতাড়ি ফিরতেই হচ্ছে । নাস্তা করার একদমই সময় ছিলো না । আমরা কুয়াকাটায় ফিরে হালকা বহনযোগ্য নাস্তা নিয়ে নিলাম । সাড়ে ৯ টার ট্রলারটা ধরা গেলো না। ১০ টায় পরবর্তী ট্রলার এ উঠে ফাতরার বনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হলো । একটি ট্রলার এ প্রায় ৩০ জন এর মতো যাত্রী । ফাতরার বন ও শুটকিপল্লী সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ ট্যুর এর আওতাধীন আমাদের ট্রলারটি ছুটে চলছে সাগর পাড়ি দিয়ে। একপাশে সাগরঘেঁষা চর ও চরের উপর বেড়ে উঠা দু চারটি ঘর কিংবা জন বিশেক এর জনবসতি , আর অন্যপাশে শেষ না হওয়া পানির রাজ্যে হাবুডুবু খাওয়া সূর্যনিঃসৃত মনিমাণিক্য !

একদিকে জীবন আর অন্যদিনে স্বর্গ ! কতো কাছে তবু কতো দূর । স্বর্গের সৌন্দর্যের মোহে আবিষ্ট হয়ে যখনি মূর্ছা যাবার জোগাড় তখনি কাছে টেনে নেয় জীবন । ঘণ্টা দেড়েক এর এই মায়ালীলা শেষে আমরা পৌঁছে গেলাম ফাতরার বনে ।

এখানেও করমজলের মতো আবহ পেলাম । অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি চলল বনের ভিতর । সমুদ্রতীরবর্তি হওয়ায় গহীন বনের স্বাদ এখানেও পেলাম না । বোঝায় যাচ্ছে যে সংরক্ষিত এই বন । তারপরও ছোট ছোট সাকো, বিচিত্র উদ্ভিদ, শ্বাসমূল , সিডর এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ ভাসমান চর ও উদ্ভিদ ইত্যাদি চোখে পরার মতো । আমাদের ট্রলার থেকে ডাক পরল। এবার ফাতরার বন ছাড়তে হবে । এই ফাঁকে কাঁকড়া ভাঁজা (যা আগেই অর্ডার দিয়ে রাখা হয়েছিল) সাবাড় করলাম আমরা কয়জন ।

ফাতরার বন ছেড়ে এসে আমরা ছুটে চলছি শুটকিপল্লীর উদ্দেশ্যে।

সমুদ্র এলাকায় এসে জেলেদের জীবন ও জীবিকা সম্পর্কে না জানা অনেকটা মক্কা এসে হজ না করার মতো । বেশিক্ষণ লাগেনি, আমরা বেশ তাড়াতাড়িই পৌঁছে গেলাম শুটকিপল্লী । এখানকার এক শুটকি ব্যবসায়ী ও কর্মী মোহাম্মাদ রাসেল এর সাথে কথা হচ্ছিলো । অদ্ভুত রকম এক নাড়ানি দিয়ে বিছিয়ে রাখা শুটকি নাড়ছিলেন রাসেল । পরে বোঝা গেলো নাড়ানিটা আসলে এক ধরনের সামুদ্রিক মাছের দাঁত দিয়ে তৈরি ! সঞ্জু আর জনি তো ওই নাড়ানি দিয়ে পোজ মেরে ছবি তুললো কয়েকটা B-)

ওদিকে এক পাশে দেখছিলাম নৌকা তৈরি করে রাখা আছে। নৌকাটায় রঙ দেয়া হচ্ছিলো । তৈরি নৌকা কেমন হয় তা জীবনে প্রথম দেখলাম । এবার ফেরার পালা । আবারো ট্রলার এ চেপে বসা ,আবারো সমুদ্রের সৌন্দর্যের মায়ায় হারিয়ে যাওয়া । ফেরার পথে যোগ হলো ফাতরার বন আর শুটকিপল্লীর স্মৃতি । সূর্যের প্রখরতা বাড়ল কিছুটা । জেলেদের আনাগোনাও তাই । ক্যামেরার ফ্ল্যাশ এ স্মৃতি আটকে রাখার চেষ্টা অব্যাহত । এতশত কর্মযজ্ঞের মাঝেও কোথায় যেনো মন আটকে আছে । কিছু লাইন আনমনেই বেড়িয়ে আসে ভিতর থেকে,

''এইখানে সমুদ্রের বালুকাবেলায় নিয়ত মনভাসি

আর ওখানে কুয়াশার চাদরে স্থবির মস্তিষ্কের যন্ত্রণা

ভাগাভাগি করে নিজেকে ''

আমাদের বাস ছাড়বে ৫ টায় । ৩ টার ভিতরেই পৌঁছে গেলাম কুয়াকাটায় । কি করবো, কি করবো ভেবে ঠিক হলো সবাই মিলে সূর্যস্নান করবো । ঝাপিয়ে পড়লাম সমুদ্রে আর মহা উৎসবে চললো যৌবনের দাপাদাপি । জীবনানন্দের ভাষায় , '' সব পাখি ঘরে ফেরে'' । আমাদেরও এবার ফেরার পালা । স্মৃতি বিস্মৃতির অতলে অনেক কিছুই হারিয়ে যায় । আমাদের এই দক্ষিণবঙ্গ ভ্রমণের অনেক কিছুই হয়ত হারিয়ে যাবে । তারপরেও এই লেখনীর মাধ্যমে কিছু বিষয় ধরে রাখার চেষ্টা করলাম । কোনো দিন যখন পাতা উলটাবো তখন হয়ত আবারো হেসে উঠবে ''কালা চোখাইন'' এর চোখ , সূর্যনিঃসৃত মনিমাণিক্য , বিস্তীর্ণ চর, সরল সহজ জীবন, অজানা কারো মুখ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

হি জি বি জি বলেছেন: কাঁকড়ার স্বাদ ক্যামোন?
লোভ লাগছে দেখে :P

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১

অরূপ স্বরূপ বলেছেন: হেব্বি টেস্টি,মনে মনে চেখে দেখো :P

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মেটাল বলেছেন: ভাই আপনি কুয়াকাটা কবে গেলেন??? আমি ১-৪ তারিখ কুয়াকাটায় ছিলাম । আপনি আমি তো পুরা একই জায়গায় ঘুরসি । ছবিও অনেকটা এক রকম । আপনারা কাঁকরা কি কটকায় খাইসেন??? আমি ওইখান থেকেই নিজেরা ট্রলার ভাড়া ফাতরার বন গেসিলাম ।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৮

অরূপ স্বরূপ বলেছেন: না ভাই, কাটকায় যাওয়া হয় নাই আমাদের । আমরা কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বন যাই । ওখানেই কাঁকড়া খাওয়া হইসিলো। আর আমাদের যাত্রা টা ছিলো আরও আগে, ১৯-২১ ডিসেম্বর, ২০১২ ।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

ভিটামিন সি বলেছেন: ওয়াক থু। কাকড়া খায়!!!! পেটের ভিতর গিয়ে যখন কামড় বসাবে না, তখন বোঝবা বাছাধন কাকড়া কি জিনিস।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

অরূপ স্বরূপ বলেছেন: ধুর মিয়া(ভিটামিন সি), কাঁকড়ার নাম শুনেই এই অবস্থা ! আমি তো সাপ খাইতে পারি নাই বইল্লা কষ্টে আসি :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.