নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই ভালো সেই ভালো আমারে না হয় না জানো...

গুলশান কিবরীয়া

ফেসবুকে চারুলতা আরজু নামে পরিচিত।

গুলশান কিবরীয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান ও ধর্ম

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩১

সৃষ্টির আদিকালে অর্থাৎ বিজ্ঞানের জ্ঞান থাকার আগে যখন মানুষ আকাশে চাঁদ তারা দেখতো তখন ভাবুক অথবা কবি মন এর সৌন্দর্য বর্ণনা ও নানা উপমায় কবিতা লিখত( কবিমন সর্বকালেই সৃষ্টির সৌন্দর্য অথবা অসৌন্দর্য নিয়ে রূপ উপমায় শব্দ নিয়ে খেলতেই বেশী ভালোবাসে, যেমন – নজরুল লিখেছে “খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে” এখানে কবিত্ব যেমন রয়েছে, তেমনি দর্শন চিন্তাও রয়েছে)।

দার্শনিক নানা প্রশ্নে মস্তিষ্কে ঝর উঠিয়ে দেয় এই মহা বিশ্ব ও সৃষ্টির আদিঅন্ত জানার জন্য । এই দার্শনিক চিন্তাবিদের মধ্যে এক অংশ এই প্রশ্নগুলোর আধ্যাত্মিক সমাধান খোঁজে , আরেক অংশ যুক্তি এবং প্রমাণ খোঁজে । যুক্তি এবং প্রমাণ থেকেই আসে বিজ্ঞান। আর আধ্যাত্মিক মুক্তি অথবা সমাধান থেকে আসে ধর্ম তথা জীবন বিধান, নৈতিক মূল্যবোধের চিন্তা ইত্যাদি। বিজ্ঞান হচ্ছে প্রমাণিত সত্য আর ধর্ম হচ্ছে আধ্যাত্মিক মুক্তি এবং বিশ্বাস, এখানে সত্য কিংবা অসত্য প্রমাণ করার কিছু নেই। কাজেই ধর্ম কখনোই বিজ্ঞানের সংজ্ঞায় পড়ে না।

মানব জীবনে আধ্যাত্মিক মুক্তি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মূল্যবোধের শিক্ষা খুব প্রয়োজন। তা না হলে মানুষ এ পৃথিবী বহু আগেই ধ্বংস করে ফেলত।মানুষ নামের পশুদের সত্যিকার অর্থে মানুষ করার জন্য ধর্মের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাথে সাথে বৈজ্ঞানিক ভাবে সঠিক প্রমাণাদি সহকারে এই বিশ্বভ্রমান্ডকে জানাটাও খুব জরুরী। তবে ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে যখনই রাজনীতি প্রবেশ করে তখনই এর সঠিক গুণাগুণ পণ্ড হয়ে যায়। যেমনটি হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলার স্কুল শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে নিয়ে। ঐ স্কুলের শিক্ষার্থীদের আচরণে সত্যিই অবাক হয়েছি। মাঝে মাঝে freedom of expression এবং আধুনিক টেকনোলজির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার বেশ ক্ষতিকারক।

আরেকটি ব্যপার হচ্ছে শিশুকিশোরদের শিক্ষককে অনেক বেশী দক্ষ হতে হয়। যে কোন educational material নিয়ে শিক্ষক যখন কাজ করবেন তখন সেটা অনেক বেশী অরগানাইজ এবং সুচিন্তিত হতে হবে। বিজ্ঞানের ক্লাসে ধর্ম নিয়ে যখনই কথা উঠছে, তখন চিন্তা ভাবনা না করে উত্তর দেয়া উচিত হয়নি । বিজ্ঞান ধর্ম থেকে এসেছে নাকি কোথা থেকে এসেছে – এরকম ফিলোসফিকাল প্রশ্নের উত্তর চট করে বাচ্চাদের সাথে না করাই ভালো। কারণ শিশু -কিশোরদের মন কাদা মাটির মত থাকে। তাদেরকে এখন গঠন করার সময়, সঠিক শেইপ দেয়ার সময়।এতোটুকু ভুল হলে তাদের লার্নিং প্রসেস ভুল পথে যেতে পারে । যাই হোক, ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালোর দিকে যাচ্ছে না। তারাই তো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তারাই তো দেশের কল কাঠি নাড়াচাড়া করবে এক সময়। তারা এতোটা বেয়াদব হলে কেমন করে হবে!

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্ম কি মানুষের সৃষ্টি, নাকি অপার্থিব কোন লোক থেকে এসেছে?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: তা তো বলতে পারবো না।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:


ক্রমাগত উন্নত জ্ঞানের প্রয়োগে মানব সভ্যতা উন্নত হচ্ছে, জ্ঞান কি মানুষের নিজ প্রছেষ্টা, নাকি অপার্থিব কোন শক্তি থেকে আসছে?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অপার্থিব কিনা তা তো জানি না। তবে আমার মনে হয় জ্ঞান হচ্ছে পর্যায়ক্রমিক পার্থিব অবজারভেশন থেকে এসেছে। তবে এই জ্ঞান আহরনের পর্যায়গুলো এবং ব্রেইনের ফাংশন বড়ই অদ্ভুদ লাগে।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪১

সাসুম বলেছেন: যে শিক্ষক কে এই প্রশ্ন- সেই শিক্ষকের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা'র ভিডিও এবং সেটার লিখিত ট্রান্সক্রিপ্সন আছে।

আপ্নি যদি একবার ও চেক করে দেখেন- তাহলে দেখবেন এর চেয়ে বেটার ভাবে কোন শিক্ষকের পক্ষে উত্তর দেয়া পসিবল না।

উনার চেয়ে সুন্দর করে কেউ বুঝাতে পারবেনা।

আর কোমল মতি ছাত্রদের যদি আপনি রাত দিন ধর্মের নামে জিহাদ, ধর্মের নামে হিংসা জিঘাংসা শিখাতে পারেন তাহলে তাদের কে এটাও ক্লিয়ার লি শিখানো উচিত- বিজ্ঞান কোন হাজার বছর আগের ধর্ম গ্রন্থ থেকে উদ্ভুত হয় নাই।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: জি আমি শুনেছি সেই ভিডিওর কথাগুলো। শিক্ষক সঠিক বলেছেন। কিন্তু উনি এই প্রশ্নের উত্তর না দিলে বেশী ভালো করতেন। বিজ্ঞানীরা বেশিভাগ নাস্তিক - এই কথাটি শিক্ষার্থীদের বলার কোন প্রয়োজন ছিল না। শিক্ষার্থীরা এলো মেলো প্রশ্ন করে যাচ্ছে আর উনিও উত্তর দিচ্ছেন। এটাও ভুল ছিল। এভাবে এলোমেলো প্রশ্ন একজন শিক্ষক কেন নেবেন?
আপনি ঠিক বলেছেন, আপনার সাথে একমত । আপনার সাথে আরও একটু যুক্ত করি এবং আমার লেখায়ও উল্লেখ করেছি যে ধর্মে রাজনীতি প্রবেশ করেছে , সে কারণেই ছোট ছোট কিশোররা কিছুই শিখতে পারছে না। ধর্মের নামে হিংসা বিদ্বেষ চরম পর্যায়ে যাচ্ছে। আর এভাবে চলতে থাকলে এই ধর্মান্ধরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ধীরে ধীরে বিজ্ঞান শিক্ষা উঠিয়ে দিতেও সক্ষম হবে হয়তো।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছাত্ররা যা করেছে তা গ্রহনযোগ্য নয়। আমার মনে হয়ে এখানে কোন রাজনৈতিক ইন্ধন আছে অথবা ব্যক্তি আক্রোশ ইন্ধন যুগিয়েছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: জি , থাকতে পারে। অবাস্তব কিছু নয়।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৬

নিমো বলেছেন: আপনার পোস্ট ও বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। জগতে একন সক্রেটিসদের দরকার। ওয়াজ বাবাদের দপদপানির সময় গরম কালে শীতের ওয়াজ, শীতে গরমের ওয়াজ দেয়ার বেলায় খিয়াল কইরা...নতুবা চরা সপ্তাহের সতর্কবার্তা সহ শ্বশুরবাড়ী চলে যেতে হতে পারে। জয় সোনারবাংলা ব্লগ!

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৭

নিমো বলেছেন: *জগতে এখন সক্রেটিসদের দরকার নেই।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

কাদামাটির বাচ্চারা যা করেছে,বড়রাও তা করবে যদি ধর্মান্ধ হয়।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

একজন নিষ্ঠাবান বলেছেন: পিছনে কোন ঘটনা আছে লুকায়িত।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। জি থাকতে পারে।

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: দেশটা আমাদের। বিশ্বটা আমাদের। আজকের আধুনিক বিশ্ব মানুষের অবদান। ধর্মের নয়।
ধর্মের নিয়মে বিশ্ব চলে না। এমন কি আমাদের দেশও চলে না। দেশ চলছে সংবিধান অনুযায়ী।

ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে জীবন চলবে না। তাহলে সারা জীবন গরীব থাকতে হবে। জীবনে উন্নতির জন্য, দেশের উন্নতির জন্য ধর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে। আজ দুবাই এত উন্নত কেন? কারন তাঁরা ধর্ম টাকে একপাশে সরিয়ে রাখতে পেরেছে। আফগানিস্তানের এই করুণ অবস্থা কেন? কারন তাঁরা ধর্মটাকে আকড়ে ধরেছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধর্ম থাক ধর্মের জায়গায়। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলেই সমস্যা। ধর্মীয় রাজনীতি ভয়ানক হয়।

১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি একই সাথে বিজ্ঞান এবং আমার ধর্মকে ভালোবাসি এবং বিশ্বাস করি। পৃথিবীর বড় ধর্মগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মিল হোল এই ধর্মের অনুসারীরা গডে বিশ্বাস করে। বিশ্বের বড় বড় অনেক বিজ্ঞানী একই সাথে বিজ্ঞান এবং ঈশ্বরের মহিমা বর্ণনা করেছেন। একই সাথে ধার্মিক এবং বিজ্ঞান মনস্ক হতে তাদের সমস্যা হয়নি। কয়েকটা উদাহরণ দিচ্ছি;

১। চার্লস হার্ড টওনেস (১৯১৫-২০১৫);

একজন অ্যামেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ও তার সহকর্মীরা ১৯৫৩ সালে Maser নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন যার সাহায্যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ সৃষ্টি করা যায়। ১৯৬৪ সালে তিনি যৌথভাবে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি ১৯৪৫ সালে থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ছিলেন। ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রু ম্যান থেকে শুরু করে বিল ক্লিনটন পর্যন্ত সকল ইউ এস প্রেসিডেন্টের সাথে ওনার পরিচয় ছিল। চাঁদে প্রথম মানুষের পদার্পণ হয় অ্যাপলো লুনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে। উনি এই প্রোগ্রামের জন্য গঠিত রাষ্ট্রীয় কমিটির ডাইরেক্টর ছিলেন। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাক হোল উনিই প্রথম আবিষ্কার করেন। তিনি একজন ধার্মিক খ্রিস্টান ছিলেন। উনি মনে করতেন যে বিজ্ঞান ও ধর্ম, মহাবিশ্বের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য জানার ক্ষেত্রে এক বিন্দুতে মিলিত হয়ে কাজ করছে। তিনি ইউনাইটেড চার্চ অব ক্রাইস্টের সদস্য ছিলেন। তিনি বলেন “ বিজ্ঞান এবং ধর্ম অনেকটাই সমান্তরালভাবে চলছে এবং অনেক মিল এই দুইয়ের মধ্যে আছে যদিও অধিকাংশ মানুষ এই ব্যাপারে বিপরীত মত পোষণ করে। একসময় বিজ্ঞান ও ধর্ম এক বিন্দুতে মিলিত হবে।“

২। ফ্রান্সিস কলিন্স ( ১৯৫০- এখনও জীবিত);

উনি একজন অ্যামেরিকান জীনতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ এবং ডাক্তার। তিনি অনেক রোগের সাথে সংশ্লিষ্ট জীন আবিষ্কার করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের হিউম্যান জেনম প্রজেক্টের প্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের National Institute of Health (NIH) এর ডাইরেক্টর। তিনি প্রেসিডেন্ট মেডাল অব ফ্রিডম এবং ন্যাশনাল মেডাল অব সাইন্স পদক পেয়েছেন। তিনি বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র ও ধর্মের উপর অনেক বই লিখেছেন। তার একটা বিখ্যাত নিউইয়র্ক টাইম বেস্ট সেলার বইয়ের নাম হোল The Language of God: A Scientist Presents Evidence of Belief। ভ্যাটিকান সিটির বিজ্ঞান একাডেমীর তিনি একজন সদস্য। তিনি ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সেতুবন্ধনে বিশ্বাসী।

৩। ওয়ারনার হেইজেনবার্গ ( ১৯০১- ১৯৭৬);

একজন জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী, কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় যার উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। ১৯৩২ সালে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার উপর গুরুত্বপূর্ণ ও সফল গবেষণার জন্য পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান। হেইজেনবার্গ একজন সর্বজন স্বীকৃত এবং প্রভাবশালী বিজ্ঞানী যিনি নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ্যা, কণা পদার্থবিদ্যা এবং কোয়ান্টাম ফিল্ড থিউরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূচনাপর্বে ওনার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল।

হেইজেনবার্গ একজন নিবেদিতপ্রাণ খৃস্টান ছিলেন। আলবার্ট আইনস্টাইনকে লেখা তার শেষ চিঠিতে হেইজেনবার্গ লেখেন যে “ আমরা সান্ত্বনা পেতে পারি এই কারণে যে, প্রভু ঈশ্বর সাব-এটমিক কণাগুলির অবস্থান জানেন, যার মাধ্যমে ঈশ্বর Causality Principle (যে নীতি অনুসারে প্রত্যেক ঘটনার অবশ্যই একটা কারণ আছে) এর গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করবেন”।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ দীর্ঘ এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ধর্ম এবং বিশ্বাস যার যার নিজের। কেউ ধর্ম বিশ্বাস করেও বিজ্ঞান চর্চা করতে পারে আবার না করেও করতে পারে। যার যার বিশ্বাসে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা উচিত অন্যের বিশ্বাসে আক্রমণ না করে। তাহলেই সবাই শান্তিতে থাকতে পারবে এবং বিজ্ঞান ও ধর্ম সহাবস্থানও করতে পারবে।

১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫১

গরল বলেছেন: সমস্যাটা বিজ্ঞান বা ধর্মের মধ্যে না, সমস্যাটা মানুষের চরিত্রে, বিশেষ করে ধার্মিকদের চরিত্রে। এটা যে শুধু মুসলিম ধার্মিক তা না, হিন্দু এমনকি খ্রিষ্টান ধার্মিক সবাই। ইউরোপেও যখন ধার্মিকের সংখ্যা বেশি ছিল তখন সেখানেও ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট দের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ্য হয়েছে। মিশনারী বোর্ডিং স্কুলগুলো ছিল এক একটা কয়েদ খানা। কানাডার মিশনারী স্কুল গুলো হাজার হাজার ইন্ডিয়ান শিশুদের মেরে পুতে রেখেছিল, এখন সেসব গনকবর উদ্ধার হচ্ছে। অতএব অতি ধার্মিক যেখানে সমস্যা সেখানেই।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
ধর্ম নিয়ে যখনই রাজনীতি হয়েছে, ভালো কিছু হয়নি। সমস্যা হয়েছে। কারণ ধর্মে রয়েছে উঁচু দরের মরাল ভারচু , কাজেই সেটা দিয়ে মানুষকে মেনিপুলেট করা খুব সহজ। কাজেই ধর্ম রাজনীতি একেকবারে বাতিল হয়ে যাওয়া উচিত। আর "we are the best" এই মনভাব থেকে ধর্ম যদি বের হতে পারে তবেই অনেক সমস্যা দূর হতে পারে।

১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫২

সোবুজ বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তুর, যে কয়জনের নাম করলেন তারা কি সবাই মুসলমান ছিল।যদি তারা মুসলমান না হয়ে থাকে,তবে তো কোন ধর্মটা সত্য সেটাই তারা জানে না ,তারা আবার কিসের বিজ্ঞানী।এই সাধারন সত্যটাই যে জানে না।

পৃথীর কোন বিজ্ঞানী ধর্ম নিয়ে গবেষণা করে না।এই ফালতু কাজে সময় দেয়ার মতো সময় তাদের হাতে নাই।দার্শনিকরা আলোচনা করে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধর্মকে ফালতু বলা উচিত না। ধর্ম মহৎ উদ্দেশ্যে এসেছে , কতিপয় খারাপ মানুষ ধর্মকে বাজে প্রপাগ্যান্ডায় ব্যবহার করে ধর্ম নষ্ট করতে চায়। আমাদের ধর্মকে খারাপ না বলে দুষ্ট চক্রটিকে খারাপ বলা উচিত।
আমি কোনই ধার্মিক মানুষ না। কিন্তু সব ধর্মকে সম্মান করি।

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি বলছেন আধ্যাত্মিক মুক্তি বা সমাধান থেকে আসে ধর্ম তথা জীবন বিধান ও নৈতিক মূল্যবোধের চিন্তা। বিজ্ঞান থেকে কি নৈতিক মূল্যবোধ, জীবন বিধান আসা সম্ভব নয়?

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: বিজ্ঞান শুধুই বিজ্ঞান।
স্কুলে যখন পড়েছেন তখন আপনাকে কিন্তু শুধু বিজ্ঞান পড়ানো হয় না। অনেক ধরণের সাবজেক্ট থাকে এবং সবগুলো সাবজেক্টই খুব গুরুত্বপূর্ণ , কারণ একেক সাবজেক্ট আপনাকে একেক শিক্ষা দিবে এবং পর্যায়ক্রমিক ভাবে আপনি উন্নত মনুষ্য শিক্ষা প্রাপ্ত হবেন।

ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য।

১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেখানোর উদ্দেশ্যে আলোচনা এবং শেখার প্রতি আগ্রহ উপস্থিত থাকলে সেটা ফলপ্রসূ হয়। ছাত্র-শিক্ষক উভয়ের মধ্যে একটা প্রকট জেদাজেদি কাজ করেছে, যার ফলে ছাত্ররা নিজেদের মতবাদ এবং শিক্ষক তার মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট ছিলেন। শেখানো এবং শেখার পরিবেশে এত হৈচৈ হতে পারে না। ক্লাসে মোবাইল নিয়ে ঢোকার কথা না। কেন এ ছাত্র মোবাইল নিয়ে ক্লাসে ঢুকলো, সে রেকর্ডই বা কেন করলো? গোপন কোনো ইন্ধন ছিল কারো? রেকর্ডের প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে, আগে থেকেই হয়ত এ বিষয়ে অন্য কোথাও আলোচনা হচ্ছিল, কিংবা আলোচনার সূত্রপাত ঘটেছিল, এবং এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, তা ছাত্ররা জানতো, এবং সেইভাবেই রেকর্ড করা হলো। শিক্ষক এখানে হয়ত ট্র্যাপে পড়ে থাকতে পারেন। অন্যদিকে, শিক্ষকেরও আরো বিচক্ষণ হওয়া ও ধৈর্য ধারণ করে ক্লাস তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই আলোচনায় ক্ষান্ত দেয়া উচিত ছিল। তিনি শেষের দিকে হিন্দুধর্ম ও অন্যান্য ধর্মকে টেনে এনে জিনিসটা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কার ইন্ধনে বা কেন এ ছাত্র তার রেকর্ড করা অডিও পাবলিকলি শেয়ার করলো, তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। পরিকল্পিত কোনো ঘটনা নয় তো?

যা মজ্জাগত, তা ভোলানো (আসলে 'ডি-লার্নিং' হবে) সহজ না, কিন্তু একদিনেই ছাত্রদেরকে তাদের আজন্ম শিখে আসা জ্ঞানকে বদলে দেয়ার অ্যাটেম্প নেয়া ঠিক হয় নি। তার এই অ্যাটেম্প্ট থেকে তার জেদ ফুটে উঠেছে, যেমন ছাত্ররাও অনেক বেশি বাড়াবাড়ি করেছে।

পুরোপুরি অনভিপ্রেত।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার সাথে একমত - ছাত্ররা কেন এই কনভারসেশন রেকর্ড করলো, এটা ক্ষতিয়ে দেখা উচিত। এর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত এবং কোন প্রকার বাজে প্রপাগ্যান্ডা হলে শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.