নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসাদুজ্জামান জুয়েল

আসাদুজ্জামান জুয়েল

রওশনারা বেগম ও আবদুর রশীদ খানের কনিষ্ঠ পুত্র আমি আসাদুজ্জামান জুয়েল। ১৯৭৮ সালের ০৫ জুন শরীয়তপুর জেলার পালং থানা পালং গ্রামের এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। শিক্ষা জীবন শুরু মায়ের হাতে। তুলাসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস.এস.সি; শরীয়তপুর সরকারী মহাবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ.এস.সি; জাজিরা ডিগ্রী কলেজে থেকে বাণিজ্য বিভাগ হতে বি.কম পাস করার পর প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন অনুষদ হতে এলএল.বি ও এলএল.এম সম্পন্ন করি। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই কেটেছে মধুর দিনগুলো। ২০০৯ সালের ০৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভূক্ত হয়ে ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ঢাকা বার এসোসিয়েশনে সদস্যভূক্ত হই। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যভূক্ত হয়ে আইন পেশার সাথে যুক্ত আছি। ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ও শরীয়তপুর জেলা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে আইন পেশায় নিয়োজিত আছি। সাংবাদিকতা ও লেখালিখি করি মনের টানে। একই সাথে আইন পেশা ও সাংবাদিকতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কর্ম জীবন শুরু লেখালিখির মাধ্যমে। দৈনিক ভোরের কাগজ দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু। এর পর দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক গণমুক্তি সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছি। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬টি। প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ নিয়ে লেখা আমার প্রথম উপন্যাস ‘যেমন আছি লন্ডনে’ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালের একুশে বই মেলায়। দীর্ঘ বিরতির পরে ২০১৯ এর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় ভ্রমণ কাহিনী ‘কলকাতা ভ্রমণঃ জীবনে প্রথম কিছু’; প্রবন্ধ সংকলন ‘সমকালীন ভাবনা’ ও প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘হৃদয়ের শব্দক্ষরণ’। ২০২০ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় প্রবন্ধ সংকল ‘সমকালীন ভাবনা-২’ ও দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ ‘তুই থাকিস পরাণের গহীনে’। এছাড়াও বেশ কিছু বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। লেখালিখি করি বিভিন্ন ব্লগে। আমার ওয়েবসাইটঃ www.asadjewel.com, নিজস্ব ব্লগঃ www.asadjewel.blogspot.com এছাড়া www.somewhereinblog.net এ নিয়মিত লেখালিখি করি। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে তিনবার ও লাইব্রেরী সম্পাদক হিসাবে দু্ইবার দায়িত্ব পালন করেছি। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, শরীয়তপুর জেলা ইউনিটের জীবন সদস্য। প্রগতি লেখক সংঘ, শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দ্বায়িত্বে আছি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড শরীয়তপুর, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শরীয়তপুর এর আইন উপদেষ্টা হিসাবেও কর্মরত আছি। গরীব-দুঃখীদের মামলা পরিচালনার জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা শরীয়তপুর জেলা শাখার প্যানেল আইনজীবী হিসাবে দুস্থ্যদের আইনগত সহায়তা প্রদান কাজে নিষ্ঠার সাথে জড়িত আছি। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), শরীয়তপুর জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষানিকেতন কর্ম কেন্দ্রীক পাঠাগার, শরীয়তপুরের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অস্ট্রেলিয়ান বার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইনটেনসিভ ট্রায়েল এডভোকেসী ওয়ার্কশপ, ২০১০ সালে এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার এর উদ্যোগে হিউম্যান রাইটস এন্ড রুল অফ ‘ল’, ২০০২ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে শিশু ও নারী বিষয়ক রিপোর্টিং কর্মশালা, ১৯৯৯ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত কম্পিউটার ট্রেড প্রশিক্ষণ, ২০১০ সালে ইউএসএইড-প্রগতি-কালেরকন্ঠ আয়োজিত দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী ও তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। লেখালিখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে সমাজ সংস্কারে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার অর্ধপ্রাণ কন্যা রওশন আসাদ প্রিয়ন্তী। সহধর্মীনি মুনমুন সুলতানা লুনা পেশায় শিক্ষিকা। দুই বোন রেহানা আক্তার রেখা এবং কহিনুর আক্তার শিখা এবং একমাত্র ভাই মোহাম্মদ রুহুল আমীন খান আজাদ একজন প্রবাসী। যোগাযোগের জন্য আমাকে মেইল করতে পারেনঃ [email protected]

আসাদুজ্জামান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কষ্ট করে ধরা আসামী বিচারক ছাড়ে আইনজীবীরা ছাড়ায়!

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪১

পুলিশ কত কষ্ট করে মাকদ সেবী ও ব্যবসায়ী ধরে। আর আদালতে সোপর্দ করার পর বিচারক ছেড়ে দেয়, আইনজীবীরা ছাড়িয়ে আনে। পুলিশের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের!! শুধু যে পুলিশের তা কিন্তু নয়! অনেক সময় সাধারণ মানুষেরও! আর বিচার বিভাগও মাঝেমাঝে মনে করে আইনজীবীরা ছাড়িয়ে নিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা কোথায় সেটা কেউ বিচার বিবেচনা করে না।
আমি একজন আইনজীবী। অনেকেই হয়তো ভাববেন আমিতো আইনজীবীদের পক্ষেই যুক্তি দেব। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা শরীয়তপুর জেলা শাখার একজন প্যানেল আইনজীবী হিসাবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করার কারনে কয়েকটা মাদক মামলা পরিচালনা করেছি। সবগুলো মামলাই গরীব দুখীর মামলা। মামলা করতে যেয়ে মোয়াক্কেলের কাছ থেকে কোন টাকা পাইনি, উপরন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যে ফি দেয়া হয় তা তুলতেও চেষ্টা করিনি। তোলার ক্ষেত্রে মুলার চেয়ে ধেড়া বেশি মনে হয় তাই বিল করিনি। কয়েকটা কেস স্টাডি দেই। পড়ে বিবেচনা করবেন আসলে আইনজীবীদের দায় কতটুকু?
কেস স্টাডি-১॥ দুই মাদক সেবী কাম ব্যবসায়ী ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে। একজন পুরুষ আরেকজন নারী। একে অপরের স্বামী-স্ত্রী তারা। এ দুজন থাকে সরকারের আনুকুল্যে গড়া গুচ্ছ গ্রামে। স্বামী-স্ত্রী একসাথে গাজা খায় এবং বিক্রি করে। হতদরিদ্র পরিবার। ধরা খাওয়ার পর নিজেদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে জামিন চাওয়া সম্ভব হয়নি। জেল কর্তৃপক্ষ বসিয়ে খাওয়াতে খাওয়াতে ক্লান্ত। তার উপর জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি কারাগার পরিদর্শন করতে গেলে কান্নাকাটি করে। জেল কর্তৃপক্ষ মামলা লিগ্যাল এইডে পাঠালে মামলার আইনজীবী নিয়োগ করলো আমাকে। আমি জামিন চাইলাম। বিজ্ঞ বিচারক জামিন দিলেন। জামিন পাওয়ার পর হাজিরা দিতে আসলে বিজ্ঞ বিচারক জানতে চাইলেন, গাজা খান কেন? উত্তরে গাজাখোর দম্পতি জানালো, স্যার, ক্যানভাচারের কাম করি। খাইতে খাইতে নেশা হইয়া গেছে। এখন আর ছাড়তে পারি না। খাইতে খাইতে টুকটাক বিক্রিও করি। কথা শুনে বিজ্ঞ বিচারক শাষিয়ে দিলেন, আর খাবেন না এবং বিক্রির অপরাধও করবেন না। দম্পতি মাথা নেড়ে সায় জানালো। কিন্তু কে শোনে কার কথা? কদিন পরে আবার ধরা খেলো। কষ্টে ধরা আসামী গাজা খাওয়ার অপরাধে আর কদিনই বা জেলে রাখা যায়? ছেড়ে দিতে হলো!
কেস স্টাডি-২॥ গাজাখোর দম্পতির মতো আরেক গাজাখোরকে পুলিশ ধরে আনলো। একই পদ্ধতিতে মামলাটা আমার কাছে আসে। এবারের আসামীর বিশেষত্ব হলো সে কানা। একজন অন্ধ মানুষ গাজা খায় ভাবাযায়? তাকেও জামিনে মুক্ত করলাম। জামিন শুনানীর সময় বিজ্ঞ বিচারক জিজ্ঞেস করলেন, গাজা খান কেন? সহজ সরল উত্তর দিলো, স্যার, একটু গান বাজনা করিতো। গাজা না খাইলে গান গাইতে পারি না। অন্ধ গাজাখোর ছিলো বয়াতী টাইপের লোক। বিজ্ঞ বিচারক বললেন, গাজা খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। উত্তরে আসামী বলে, স্যার তাইলে গান বাজনা ছাইড়া দিতে হইবো। অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু গানও ছাড়তে পারি না গাজাও ছাড়তে পারি না। সেই অন্ধ গাজাখোরও একাধিকবার ধরা খেয়েছে। হাজতে রেখে জেল কর্তৃপক্ষও বিরক্ত। এবারও পুলিশের কষ্টে ধরা আসামী ছাড়া পেয়ে গেলো।
কেস স্টাডি-৩॥ সরকারী চাকুরী করে এমন এক গাজাখোর ধরা পরলো। ছোট পদের চাকুরীজীবি। সারাদিন অফিসে কাজ কর্ম করে। বিকালে, ছুটির দিনে ছুটে যায় গাজার টানে। একা একা খায় না। তার গাজার সঙ্গী পুলিশের এক পুত্র। একদিন পুলিশ পুত্রের সাথে গাজা খেয়ে ফিরছিলো। মটর সাইকেল ড্রাইভ করছে পুলিশ পুত্র। পিছনে সঙ্গী গাজাখোর। টহল পুলিশ গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করলো। গাজা পাওয়া গেলো কয়েক পুড়িয়া। আর পুলিশ পুত্রকে বাদ দিয়ে সেই ছোট সরকারী কর্মচারীকে দিলো জেলে পুড়িয়া! কয়েকদিন জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে এলো। বেরিয়ে আবার সেই পুলিশ পুত্র বন্ধুটির সাথে গাজা খাওয়া। দুই গাজাখোরকে কষ্ট করে ধরে একজনকে দিলো জেলে!
কেস স্টাডি-৪॥ ছোট্র একটা ফটোকপির দোকান করে জীবীকা নির্বাহ করে এক যুবক। হঠাৎ এক দুপুরে ডিবি পুলিশের একটি টিম এসে দোকানের সামনের দিকে রাখা একটা নির্দিষ্ট ফাইল চাইলো। দোকানি বললো এই ফাইল বিক্রির জন্য নয়। একজন রেখে গেছে। ডিবির চৌকষ দল অন্য কোন ফাইল নয় ঐ ফাইলই চাইলো। এর পর ফাইল খুলে পাওয়া গেলো কয়েক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। ধরে নিয়ে যাবে ছেলেটিকে। এমন সময় স্থানীয় লোকজন ডিবির টিমকে আটকালো। জানতে চাইলো ঘটনা। অবশেষে বেরিয়ে এলো প্রকৃত ঘটনা। ছেলেটির মামাতো ভাইর সাথে ফরায়েজের জমি নিয়ে বিরোধ। ত্রিশ হাজার টাকায় দফারফা করে ঘটনার নক্সা আকা হয়। যে ছেলে ফাইলটি রেখেছিলো সেই ছেলেটি বাইরে ডিবির এক কনস্টেবলের সাথে কথা বলছে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে আনলো। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায় ঘটনা বেরিয়ে এলে ডিবি পরিত্যাক্ত অবস্থায় ইয়াবাগুলো উদ্ধার দেখিয়ে ছেলেটিকে রেখে চলে যেতে বাধ্য হলো। কষ্ট করে ধরা আসামী আর নেয়া হলো না আদালত পর্যন্ত!
কেস স্টাডি-৫॥ এই মামলাটা আমার নয়। জজ কোর্টে এক আসামীর জামিন শুনানী চলছিলো। এক বৃদ্ধকে ডিবি পুলিশ ইয়াবা সহ আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করেছে। এমন বৃদ্ধ যে ঘটনা জানার জন্য বিজ্ঞ বিচারক তাকে নানাভাবে প্রশ্ন করে জানতে চাইলো প্রকৃত ঘটনা কি? বৃদ্ধের কথা শুনে বিজ্ঞ বিচারক সন্তুষ্ট হয়ে জামিন মঞ্জুর করে পুলিশকে ভৎসনা দিলো। আসামি এমনই বৃদ্ধ এবং সহজ সরল গ্রাম্য লোক যে কিনা মায়াবড়িও চিনে না, জীবনে একটা সিগারেটেও টান দেয়নি। অথচ এমন এক বৃদ্ধকে প্রতিপক্ষের দারা প্রভাবিত হয়ে ইয়াবা দিয়ে চালান দিয়েছে। এবারও পুলিশের কষ্টে ধরা আসামী ছাড়া পেয়ে গেলো!
একবার আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে সপথ নেয়ার জন্য অনুষ্ঠানে বসে আছি। নির্বাচন পরবর্তী নবগঠিত কমিটিকে শপথ পাঠ করার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন পান জেলার জজশীপের অন্য বিচারকগণ, জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, পুলিশ সুপার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বঘোষিত কবি এবং পুলিশ সুপার উপস্থিত হয়ে তার ভাষনে বিজ্ঞ বিচারকদের অনুরোধ করলেন মাদক ব্যবসায়ীদের জামিন না দিতে এবং আইনজীবীদের অনুরোধ করলেন মাদকের আসামি ধরা পরার পর অন্তত তিনমাস জামিন না চাওয়ার জন্য। তিনি বললেন, এত কষ্ট করে পুলিশ মাদকের আসামীদের ধরে আনে আর বিচারকরা যদি জামিন দিয়ে দেন এবং আইনজীবীরা যদি জামিন চান তবে তাদের কষ্ট বৃথা যায়!
তার কথামত যদি জামিন না চাই তবে যাদের সাথে অবিচারগুলো হয় তাদের কি অবস্থা হবে? পুলিশের ধারনা দেখে মনে হয় মাদক বিস্তারে যেন আইনজীবীরাই বড় নিয়ামক এবং মাদক বিস্তার রোধে আইনজীবীরাই বড় বাধা! অথচ কোথায় কোথায় মাদক বিক্রি হয়, কারা কারা মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত তা সমাজের সবাই জানে শুধু জানে না পুলিশ!
মাদক নির্মূলে পুলিশের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার কাছে মনে হয়। ক্রস ফায়ার দিয়ে বা জামিন না দিয়েই মাদক প্রতিরোধ করা যাবে না। আসুন মাদক প্রতিরোধে সচ্ছতার সাথে আন্তরিক হয়ে চেষ্টা করি।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৫৩

স্ব বর্ন বলেছেন: মুল হোতাদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওয়তায় এনে বিচার ব্যবস্থা করা উচিত।দিনশেষে পালের গোদারা উধাও হয়ে যায় আবার নতুন করে শুরু ধ্বংসের খেলা।
ভাল লেগেছে আপনার আলোচনা।

১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামত দেয়ার জন্য। পালের গোদারা যায় হজে আর চুনপুটিরা খায় ধরা। সমুলে ‍উৎপাটন চাই আমরা

২| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ২:০৯

কাইকর বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে।

১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫০

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ২:১৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: অপরাধীরা এভাবে ছাড়া পেয়ে যায় বলেই তো তারা আবার অপরাধ করতে উৎসাহিত হয়।

১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫১

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: ছাড়া না পাওয়ার ব্যবস্থা পত্র পুলিশের হাতে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন ত্রুটিমুক্ত না হলে ছাড়া পেয়ে যাবে সবসময়।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২১

অনল চৌধুরী বলেছেন: বেশীরভাগ আইনজীবির ধান্ধাই এটা।এজন্য তারা তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পেশকারদের নিয়োগ দেয় বিচারককে ঘুষ দিয়ে আসামীর জামিন করানোর জন্য।
এভাবে তারা আদালতের মর্যাদা ভুলুন্ঠিত করছে।

১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য। এভাবে গণহারে বলা বোধহয় ঠিক নয়। সব পেশায়ই কিছু ধান্ধাবাজ থাকে। সেই সুযোগে আইনজীবী, পেশকার, সুযোগ নেয়। তবে সবাই না। আর প্রসিকিউশনের ভূমিকাই বিচারের জন্য বড় ভূমিকা রাখে। তাদের দুর্বলতার কারনে আসামী আইনের মধ্যে থেকেই ছাড়া পাড়। আপনাকেও যে কোন সময় দশ পিস ইয়াবা পকেটে ভরে চালান দিতে পারে, আপনাকে কি আইনজীবী ছাড়াবে না, বিচারক কি ছাড়বে না?

৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মদ,গাজা,ইয়াবা চাইবা মাত্র পাইবা- টাইপ অদৃশ্য বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে যারা ব্যবসা করতেছে তাদের বিরুদ্ধে একশন না নিয়ে গাঁজাখোর মেরে খুব একটা ভালো ফল পাওয়া যাবেনা।
পুলিশ কষ্ট করে মূল কারিগরদের ধরলে আদালত ছেড়ে দেয়। এজন্য তারাও আর বেহুদা চাপ নিতে চায় না।

১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আইনের আওতায় আসার পর যদি ছাড়ার সুযোগ থেকে যায় তবে না ছাড়াটাই অন্যায়। পুলিশ মাসোহারা তোলে বলে ঘাটি বন্ধ করে না, দুএকটা আসামী ধরে চাঙ্গা রাখে। মাদক সেবী ধরে কাজ হবে না। প্রশাসনের মধ্যে যারা সহযোগীতা করে তাদের সংশোধন করতে হবে।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কষ্ট করে গাঁজাখোরদের না ধরে পুলিশ আরো বড় বড় সন্ত্রাসীদের ধরলেই তো পারে। তখনও তো বিচারকরা জামিন দেয়, আর আইনজীবিরা জামিন চায়...

১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আইনগত সেবা পাওয়ার অধিকার সকলের আছে। এটা সবার মৌলিক অধিকার। একজন আসামীর সাথে যাতে অবিচার না হয় সেজন্য তার নিযুক্ত আইনজীবী কাজ করে আর বিচারক কাজ করে বিচারের। জামিন কেন দেয় সেটা বিচারক ঠিকই বিবেচনা করে বলেই তারা বিচারক। বিচারের দায়িত্ব সবাই পায় না। মূলে আঘাত করুন।

৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: এটা একটা চক্র।

১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: প্রসিকিউশন ও প্রশাসন ঠিক করুন সব ঠিক হয়ে যাবে ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.