নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসাদুজ্জামান জুয়েল

আসাদুজ্জামান জুয়েল

রওশনারা বেগম ও আবদুর রশীদ খানের কনিষ্ঠ পুত্র আমি আসাদুজ্জামান জুয়েল। ১৯৭৮ সালের ০৫ জুন শরীয়তপুর জেলার পালং থানা পালং গ্রামের এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। শিক্ষা জীবন শুরু মায়ের হাতে। তুলাসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস.এস.সি; শরীয়তপুর সরকারী মহাবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ.এস.সি; জাজিরা ডিগ্রী কলেজে থেকে বাণিজ্য বিভাগ হতে বি.কম পাস করার পর প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন অনুষদ হতে এলএল.বি ও এলএল.এম সম্পন্ন করি। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই কেটেছে মধুর দিনগুলো। ২০০৯ সালের ০৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে তালিকাভূক্ত হয়ে ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ঢাকা বার এসোসিয়েশনে সদস্যভূক্ত হই। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যভূক্ত হয়ে আইন পেশার সাথে যুক্ত আছি। ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি ও শরীয়তপুর জেলা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে আইন পেশায় নিয়োজিত আছি। সাংবাদিকতা ও লেখালিখি করি মনের টানে। একই সাথে আইন পেশা ও সাংবাদিকতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কর্ম জীবন শুরু লেখালিখির মাধ্যমে। দৈনিক ভোরের কাগজ দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু। এর পর দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক গণমুক্তি সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কাজ করেছি। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬টি। প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ নিয়ে লেখা আমার প্রথম উপন্যাস ‘যেমন আছি লন্ডনে’ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালের একুশে বই মেলায়। দীর্ঘ বিরতির পরে ২০১৯ এর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় ভ্রমণ কাহিনী ‘কলকাতা ভ্রমণঃ জীবনে প্রথম কিছু’; প্রবন্ধ সংকলন ‘সমকালীন ভাবনা’ ও প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘হৃদয়ের শব্দক্ষরণ’। ২০২০ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় প্রবন্ধ সংকল ‘সমকালীন ভাবনা-২’ ও দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ ‘তুই থাকিস পরাণের গহীনে’। এছাড়াও বেশ কিছু বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। লেখালিখি করি বিভিন্ন ব্লগে। আমার ওয়েবসাইটঃ www.asadjewel.com, নিজস্ব ব্লগঃ www.asadjewel.blogspot.com এছাড়া www.somewhereinblog.net এ নিয়মিত লেখালিখি করি। শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে তিনবার ও লাইব্রেরী সম্পাদক হিসাবে দু্ইবার দায়িত্ব পালন করেছি। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, শরীয়তপুর জেলা ইউনিটের জীবন সদস্য। প্রগতি লেখক সংঘ, শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দ্বায়িত্বে আছি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড শরীয়তপুর, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শরীয়তপুর এর আইন উপদেষ্টা হিসাবেও কর্মরত আছি। গরীব-দুঃখীদের মামলা পরিচালনার জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা শরীয়তপুর জেলা শাখার প্যানেল আইনজীবী হিসাবে দুস্থ্যদের আইনগত সহায়তা প্রদান কাজে নিষ্ঠার সাথে জড়িত আছি। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), শরীয়তপুর জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষানিকেতন কর্ম কেন্দ্রীক পাঠাগার, শরীয়তপুরের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অস্ট্রেলিয়ান বার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইনটেনসিভ ট্রায়েল এডভোকেসী ওয়ার্কশপ, ২০১০ সালে এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার এর উদ্যোগে হিউম্যান রাইটস এন্ড রুল অফ ‘ল’, ২০০২ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে শিশু ও নারী বিষয়ক রিপোর্টিং কর্মশালা, ১৯৯৯ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত কম্পিউটার ট্রেড প্রশিক্ষণ, ২০১০ সালে ইউএসএইড-প্রগতি-কালেরকন্ঠ আয়োজিত দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী ও তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। লেখালিখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে সমাজ সংস্কারে একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার অর্ধপ্রাণ কন্যা রওশন আসাদ প্রিয়ন্তী। সহধর্মীনি মুনমুন সুলতানা লুনা পেশায় শিক্ষিকা। দুই বোন রেহানা আক্তার রেখা এবং কহিনুর আক্তার শিখা এবং একমাত্র ভাই মোহাম্মদ রুহুল আমীন খান আজাদ একজন প্রবাসী। যোগাযোগের জন্য আমাকে মেইল করতে পারেনঃ [email protected]

আসাদুজ্জামান জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভাষাগুলো কার । এ ভাষা আমাদের সন্তানের হতে পারে না!

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫১

সম্প্রতি ঢাকার এয়ারপোর্ট সড়কে একটি মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে যায়। যদিও এটাকে দূর্ঘটনা বলা ঠিক হবে না। একদল অদক্ষ চালক একে অপরের সাথে প্রতিযোগীতায় মেতে একটি বাস রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা স্কুল থেকে বাসয় যাওয়ার জন্য অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের উপর তুলে দেয়। এতে দুটি তাজা প্রাণ ঝড়ে যায় মূহুর্তের মধ্যে। আরো অনেকেই আহত হয়।

সহপাঠীদের হারিয়ে শোকে কাতর ছাত্র-ছাত্রীরা নেমে আসে রাস্তায়। শুরু হয় এক অভাবনীয় আন্দোলন যাতে সমর্থন দেয় বিবেকবান সকল মানুষ। আর আন্দোলনের আগুনে এক বালতি হাসিমাখা ঘি ঢেলে দেন শ্রমিক ফেডারেশন নেতা মন্ত্রী শাহজাহান খান। তার হাসিতে যা হবার তাই হলো। আন্দোলন হলো আরো বেগবান। এই পর্যন্ত যা ঘটছে তার সবই ঠিক আছে। কিন্তু কিছু ছাত্র-ছাত্রী দেখলাম হাতে লেখা পোষ্টার নিয়ে দাড়িয়ে আছে। আবার কেউ কেউ রাস্তায় লিখে রেখেছে। কি লিখে রেখেছে সেটা ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য।

মন্ত্রীর হাসি যেমন আন্দোলনে ঘি ঢেলে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করিয়েছে তেমনি ছাত্র-ছাত্রীদের এমন লেখা এবং এমন ভাষা আন্দোলনে পানি ঢেলে দিয়েছে, ঘৃণার পাত্র-পাত্রী হয়েছে।

আসলে অনেকেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন। আবার আমার এই লেখাটা যারা পড়ছেন তাদের অনেকেই হয়তো দেখেননি। তাই তাদের উদ্দেশ্যে কিছু শব্দ উজ্জ রেখে লিখছি-
এক ছাত্রীর হাতে একটা কাগজে লিখা-পুলিশ কোন চ্যা... বা...
একদল ছাত্রের হাতে-কমরেড, রাজনীতি মেধায় লাথি মারছে....রাজা আছে নীতি নাই....নেতা চো.. টাইম নাই।
এক ছাত্রী হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে, তাতে লেখা-লাঠির ভয় দেখাবে না....লাঠি একদম ভরে দেব..
কিছু ছাত্র-ছাত্রী দাড়িয়ে আছে আবার কেউ কেউ লিখছে। সেখানে লেখা আছে-লাঠি চার্জ চু... না...।আরেক জায়গায় লেখা-পুলিশ কোন চ্যা...বা....
এক ছাত্র কাগজে লেখা পোষ্টার নিয়ে বসে আছে। লেখা-মদ খাবা আর পুলিশ চো...বা..

এবার বলুন এই ভাষা কি আমাদের সন্তানের হতে পারে! আমাদের সন্তানরা স্কুল-কলেজে গিয়ে কি শিখছে? এর দায়ই বা কার। এর দায় হতে আপনি, আমি কি এড়িয়ে যেতে পারি। এগুলোকি ছাত্র-ছাত্রীদের ভাষা হতে পারে? তারা শিক্ষা নিচ্ছে। যে পর্যায়ে আছে তাতে তারা শিক্ষিত। কেউ কেউ এখান থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে, কেউ হবে শিক্ষাবিদ, কেউ হবে বিজ্ঞানী, কেউ হবে লেখক। তাদের যে ভাষা তা এখন অসভ্য লোকেরাও ব্যবহার করে না। আমরাতো তাদের সভ্য জগতের লোক ভাবি, তারাইতো আগামীর সভ্য জাতি। কিন্তু তাদের হাতের লেখা দেখে খুবই হতাশ হতে হয়। আরেকটা কথা না বললেই নয়। হাতের লেখার শ্রী ও ভালো না। যদিও ভালো ছাত্র হতে, ভালো মানুষ হতে হাতের লেখা ভালো হতে হয় না। তবুও তাদের লেখার চর্চা দেখে মনে হচ্ছে তাদের মেধার জোরও কম। নইলে এমন লেখা কিভাবে লেখে?

আমি কোন ভাবেই ছাত্রদের এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে নই। তবে তাদের এমন আচরন দেখে হতাশ। এর ভেতর আমরা ভালো ছাত্রদের কর্মকান্ডও দেখেছি। অনেক ছাত্র হাতে ঝাড়ু নিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা কাচের টুকরো সরাচ্ছে, রাস্তা পরিস্কার করছে। অনেকে ভালো ভালো কথা লিখে দাড়িয়েছে, যেমন-‘যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ। যদি তুমি রুখে দাড়াও, তবে তুমি বাংলাদেশ’। এমন কথা দেখলে মনে সাহস জাগে, ভালো লাগে। আসলে ভালো ছাত্রগুলোর শান্তিপূর্ণ আচরণ, ভালো কর্মকান্ডই তাদের আন্দোলনকে সকলের কাছে পৌছে দিবে এবং সমর্থন কুড়াবে।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০২

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২১

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত। এধরনের ভাষা ব্যবহার হিতে বিপরীত হয়ে দাড়াবে।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০৬

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: একটা ব্যাপার, অনবরত রাস্তায় থাকার ফলে মুখের ভাষাটা একটু বিগড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। একটা আন্দোলন এর জন্য আজ কত দিন ছাত্রছাত্রীরা মাঠেে? দাবীগুলোও এমন কি ছিল যে যেগুলো মেনে নিতে পারেনি বা এর একটা সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস দিতে পারে নাই। এর মধ্যে মন্ত্রী সাহেব আবার বললেন কি হাসি দেওয়াটা নাকি উনার স্বভাব।
আমরা আসলে যতটা ভাবছি তার চেয়ে বর্তমানের জেনারেশন বেশি আপডেট (হোকনা স্ল্যাং ইউজ করা সহ।)

যদি আমি এমন স্ল্যাং ইউজ করার জন্য পক্ষপাতী না। কিন্তু তারপর ও বলব চারদিনে কিন্তু আমরা এটা লক্ষ করেছি যতই সময় গড়াচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের স্ল্যাং ইউজ করার পরিমান ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর শত ভাগ দায় কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দেয়া যাচ্ছেনা।

সময় করে এই লেখাটা পড়তে পারেনঃএকটি ছাত্র আন্দোলনঃ শান্তিপূর্ণ না অসহযোগ!? বিশ্লেষণ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: একটা কথা আছে না? রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আমি শতভাগ একমত তাদের আন্দোলনের সাথে। কিন্তু মাথা বিগড়ালে কি চলবে। তাতে হিতে বিপরীত হবে না?

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই ব্যপারে আমিও একটা পোস্ট দিয়েছি। ওখানে কয়েকজন আমাকে সবক দিয়েছেন। আশা করি আপনাকেও দিবে...

সাময়িক পোস্ট : এগুলো কি অশ্লীলতার পর্যায়ে আর নেই?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনি আগেই আমাকে সতর্ক করে দিলেন। ছাত্র-ছাত্রীরা রেগে গিয়ে বেফাস কথা বলছে। আবার অনেকেই আমাকে সবক দিবে। আমি রাগবো না এবং তাদের কথার জবাবে বেফাস কথার সমর্থন করবো না।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১২

অক্পটে বলেছেন: এটা আই এম জিপিএ ফাইভ প্রজন্ম। ওদের কোন দোষ নেই। জাতিকে যারা অপদার্থ হিসেবে গড়ে উঠানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। জাতির মেধাকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে ওদেরই ভন্ডামীর ফসল এসব।

দুঃখীত হওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা নেই।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। বেফাস কথাগুলো লিখছে এবং বলছে ঐসব আই এম জিপিএ ফাইভ টাইপ ছেলেপিলে।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সরকারকে কতটা চাপে ফেলতে উদ্দেশ্য মূলক এমন শ্লোগান তৈরি করেছে। এটা যাদেরই কাজ হয়ে থাকুক নিশ্চিতভাবে বলা যায় সরকারের প্রতি প্রচুর ঘৃণা প্রকাশ করেছে। এমন শ্লোগান ছাত্রছাত্রীদের হতে পারেনা।
হায়রে বাংলাদেশ এমন একটা ঘটনা নিয়েও রাজনীতি শুর করতে চায়!!



০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: সরকারকে চাপে ফেলতে শান্তিপূর্ণ আচরণই যথেষ্ট। পুলিশ বেপরোয়া হয়ে বিগ্রে গিয়ে মারধর করে বলেইনা আমরা তাদের খারাপ বলি। সরকার ভালো কাজের দাবী সমর্থন করছে না বলেই আমরা সরকারকে খারাপ বলি। তেমনি যে ছাত্র-ছাত্রীরা খারাপ ভাব প্রকাশ করছে তাদেরও আমরা খারাপ বলবো। আর ভালো শিক্ষার্থীরাই আন্দোলনটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, শান্তিপূর্ণ আচরণ দিয়ে।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৯

ঢাকার লোক বলেছেন: এ ধরনের কুৎসিত শব্দ ব্যবহার এবং ডিসপ্লে কোনো অবস্থায়ই গ্রহণযোগ্য বা সমর্থনযোগ্য নয় ! সার্থান্নেষী কারো কু প্ররোচনার শিকার না হয়ে আশা করবো ছাত্ররা এটা বুঝবে এবং রুচিসম্মত প্রতিবাদী ভাষা ব্যবহার করবে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আমি আপনার সাথে শতভাগ একমত পোষণ করছি। প্রতিবাদের ভাষা হবে রুচিসম্মত। তাতেই ভালো ফল আসবে।

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৩৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



এই সব যারা লিখছে তারা পোংটা পোলাপাইন! আন্দোলনের 'অ' বুঝে না! এদের যদি পুলিশ থ্যাপড়ায় আমি থ্যাংকস বলব! এদেশে পুলিশে এখনো অনেক ভাল মানুষ আছে! তাদের একটা বাহিনী নিয়ে এত বাজে কথা বলার আগে বোঝা উচিত জানা উচিত।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আসলেই এরা পোংটা পোলাপান। পুলিশে এখনও ভালো মানুষ আছে, রাজনীতিতেও এখনও ভালো মানুষ আছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই ভালো, দুএকটা খারাপের জন্য ওদের বদনাম হচ্ছে।

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৫

রাকু হাসান বলেছেন: ছাত্রদের আন্দোলনে আমারও এটা খারাপ লাগছে । এটা নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে অনেকে ,পাবার কথাও । এটা কাম্য নয় । ভদ্র ভাষায় প্লেকার্ড হয় , এদের মধ্যে একটা শ্রেণি যথেষ্ট বাজে ভাষা ব্যহার করে ,অনেক সময় । সেটার প্রতিফলন হচ্ছে এখানেও । অশাকরি ছাত্ররা বুঝবে ,আমাদের কথা ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আমি আপনার মতামতের সাথে শতভাগ একমত পোষণ করছি। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে, কিছু শিক্ষার্থীর আচরনে ঘৃণার সৃষ্টি হতে পারে। সেই সুযোগ দেয়া উচিত হবে না।

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৮

তাওহিদ হিমু বলেছেন: ফেসবুকে আপনার পোস্টে কমেন্ট করতে যেয়েও করি নি। এখানে করি, কারণ এখানে বিজ্ঞ ব্লগারগণ আছেন।
বিশাল আন্দোলনে এমন কিছু ভাষা থাকেই। আপনারা এই কথিত অভদ্র ভাষাগুলোকে বড় করে দেখিয়ে বাচ্চাদের আন্দোলনকে ছোট করছেন, সিলি একটা বিষয় হাইলাইট করে কোমলমতিদের বিক্ষোভকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পথ খুলে দিচ্ছেন। দুয়েকটা বাক্যে কী এমন সর্বনাশা জিনিস আছে যে, তাদের অসম সাহস ও অভূতপূর্ব আন্দোলনকে উপেক্ষা করছেন? বাচ্চাদেরও এত ভয়? উপরে একজন দেখলাম পুলিশের গুণগান গেয়ে বাচ্চাদেরকে থাপ্পড় মারতে বলেন এক মন্তব্যে। তারা তো বাচ্চা, থাপ্পড় খেলে কী আসে যায় তাদের! কী হবে, যদি সেই বাচ্চারাই উলটা চাটুকার ছিদ্রান্বেষীদের থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আমার ফেসবুক পোষ্ট ও ব্লগের পোষ্ট পড়ার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার পোষ্টটা কাউকে হেয় করার জন্য নয়। আর আমি কারো চাটুকারিও পছন্দ করি না। ভালোকে ভালো বলতে চাই আর খারাপকে খারাপ। পুলিশ বিগড়ে গিয়ে যে আচরণ করছে তা খারাপ, রাষ্ট নায়করা ওদের দাবী মানছে না সেটা খারাপ, কিন্তু কিছু শিক্ষার্থীর আচরণও খারাপ। খারাপ খারাপই। কিছু ভালো, কিছু খারাপ ঠিক নয়। বাচ্চাদের শতভাগ ভালো শিক্ষা দিতে হবে, তার মধ্যে কিছু খারাপ গ্রহণের সুযোগ নাই।

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



স্কুলে লাঠি বন্ধ করা ভুল হইছে। বাংলাদেশের মত দেশে স্কুলে চিকুন বেত আর জালি বেতের কোন বিকল্প নাই। প্যান্টের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত স্যারদের ট্রাস ট্রাস না পড়ার কারনে ইহারা দেশে মিডিয়ার সামনে লেখে পুলিশ কোন *টের *ল, আরেক জন লেখছে মদ খাও আর পুলিশ চো*!


এইখানেই এই আন্দোলনে *লপাকনা পুচ্চিদের সাথে আমি নাই। এদের প্রথমে ভাল ভাবছিলাম। কিন্তু এই পোষ্টারগুলো দেখে ঘৃনা লাগছে। ওরা মগজহীন প্রাণী, অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ ভাষা এদের কাছে ফ্যাশন। এরা দেশ চালালে বলবে -

মদ খাও আর দেশ *দ!

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আমিও ওদের এধরণের আচরণের সাথে কোন কিছুতেই একমত হতে পারি না। কেই কেউ ওদের এই আচরণকে সহানুভূতির সাথে দেখেন। আমি তাদের দলে নই। যে পুলিশ শিশুর গলা টিপে ধরা আমি তার পক্ষে যেমন নই, আবার যে ছাত্র লেখে-মদ খাও আর পুলিশ চো.... তার পক্ষেও নই, সর্বদা তাদের বিপক্ষে।

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এই দেশের রাজনীতির মারপ্যাঁচে পড়ে ভালোও হয়ে যায়। সরকার যেমন পাব্লিকও তেমন।
যে দেশে সরকার প্রধান, সাবেক সরকার প্রধানসহ ভি.আই.পি'দের বিরুদ্ধে খুনি, চোর... ইত্যাদি ইত্যাদি বলে রোডে মিছিল করা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই দেশে এমন কিছু দেখা অস্বাভাবিক নয়। তার উপর বর্তমান শিক্ষার যা অবস্থা!

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: খুনি, চোর এসব বলে একটা পরিস্থিতির উপর এবং তা সহনশীল মাত্রারই বটে। কিন্তু চ্যা....বা..., ভরে দেব, মদ খাও আর পুলিশ চো.... এটা কোন ধরনের ভাষা। আপনার আমার ছেলে যদি আমাদের সামনে এমন শব্দ উচ্চারণ করে তবে আমি আপনি কি করতাম বলেন?

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৯

অনল চৌধুরী বলেছেন:
স্কুলে লাঠি বন্ধ করা ভুল হইছে। বাংলাদেশের মত দেশে স্কুলে চিকুন বেত আর জালি বেতের কোন বিকল্প নাই। [/sbএই মানসিকতার কারণেই বাংলাদেশ কোনদিন উন্নত দেশ হবেনা।
জেনে আনন্দ করেন যে, বেত বন্ধ হয়নি।ঢাকার অাইডয়াল সহ দেশের বেশীরভাগ বিদ্যালয়েই প্রতিদিনই ছাত্রদের পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে ইংলিশ মিডিয়ামে বেত বন্ধ।এজন্যই সবাই ওখানে পড়াতে চায় অার বিজাতীয় প্রজন্ম তৈরী হয়।
এদেশের বিদ্যালয়ে পড়া ৯৯% শিক্ষার্থী স্মার্ট ফোনে সানি লিওন দেখে।
ওদের মাথা যে এখনো ঠিক আছে অার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে ,এটাই অনেক বেশী।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য। তবে এটা কাম্য নয়। যার যার সন্তান দেখে শুনে রাখা তার তার কর্তব্য। নইলে এমন সন্তান নিজ ঘরে বড় হয়ে একদিন আমাদেরই বলবে তোমাকে চু....সময় নাই।

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১৮

রুফিয়াস মিলেনিয়াম বলেছেন: আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষার ব্যবহার কিছুটা অশ্লীল। আরে মনা, তোর ছোট বোনকে মেরে ফেলে খুনি পার পেয়ে গেলে কি তুই তাকে প্রমিত বাংলায় আশীর্বাদ করবি? সানি লিওন দেখে, বেতের বাড়ি ফিরিয়ে আনা হোক ইত্যাদি বলে তোরা কি প্রমান করতে চাস? এই প্রজন্মের বেড়ে ওঠার পরিবেশ তৈরি কি তারা নিজেরা করেছে?

স্কুল পড়ুয়াদের জীবনে কিন্তু এখনো কোনো কমিটমেন্ট তৈরি হয়নি। স্বার্থ জন্মায় নি। তারা নিঃস্বার্থ। এবং তারা নির্ভিক। ভয় যদি থাকে, তা হল হোমওয়ার্ক না আনায় ডিটেনশন পাবে বলে। তাদের কমিটমেন্ট যদি থাকে তা হল তাদের ন্যায়-নীতির উপর, শিক্ষার উপর, জ্ঞানের উপর।

আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচাতে হলে ছাত্ররাই, নবীনরাই তা করবে। তাদের পিছু হটার কোনো এক্সকিউজ নাই। তারা আপনার থেকে বয়সে ছোট হতে পারে, কিন্তু তারা অনেক বড় চিন্তা করতে সক্ষম। তাদের দৃষ্টি সংকীর্ণ না। এরা ভবিষ্যতের কথা ভাবে। এরা নিজের পকেট গরম করার জন্য দেশকে বিক্রি করে দেয় না। এরা বন্ধু হত্যার বিচার চায়।

যে দেশে স্কুল পড়ুয়াদের মানব অধিকারের জন্য রাস্তায় নামতে হয়, আর সরকার পাকিস্তানী শাসকদের মত তাদেরকে ছোট করে দেখে, পেটায়, মারে, সে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তো নিজেদের কে বাংলাদেশি বলতেই ঘৃণা করবে। এখনই করছে অনেকে।

পুলিশ নামে সন্ত্রাসীদের দিয়ে যদি এই ছাত্রদের উপর আবার হামলা চালানো হয়, যদি ছাত্রলীগ নামে রেপিস্টদের দিয়ে আন্দোলন বন্ধকরার চেষ্টা করা হয় তাহলে আওয়ামীলীগকে রাস্তায় নামিয়ে জুতো পেটা করা হবে, বলে দিলাম। আমি করতে পারবো না, ওই ছাত্ররাই করবে। তাদেরকে যা শেখাবেন, তারা তো তা ই করে দেখাবে, আরেকটু বড় হতে দিন না।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: একটা একটা করে আপনার কথার জবাব দিতে চাই
১। আপনি লিখেছেন ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষার ব্যবহার কিছুটা অশ্লীল। আরে মনা, তোর ছোট বোনকে মেরে ফেলে খুনি পার পেয়ে গেলে কি তুই তাকে প্রমিত বাংলায় আশীর্বাদ করবি? সানি লিওন দেখে, বেতের বাড়ি ফিরিয়ে আনা হোক ইত্যাদি বলে তোরা কি প্রমান করতে চাস? এই প্রজন্মের বেড়ে ওঠার পরিবেশ তৈরি কি তারা নিজেরা করেছে?

তাই বলে তারাও এ ভাষা ব্যবহার করতে পারে আপনার মনে হয়? আপনি বিয়ে করেছেন না করেননি জানি না, যদি আপনার সন্তান আপনার সামনে বলে, মদ খাও আর পুলিশ চো, আপনি তার পিঠ চাপরিয়ে বাহবা দিবেন? বেড়ে ওঠার পরিবেশ তারা নিজেরা করলে ধরে নেয়া যায় তাদের অভিভাবক নেই, বেজন্মা??

২। লিখেছেন, ‘স্কুল পড়ুয়াদের জীবনে কিন্তু এখনো কোনো কমিটমেন্ট তৈরি হয়নি। স্বার্থ জন্মায় নি। তারা নিঃস্বার্থ। এবং তারা নির্ভিক। ভয় যদি থাকে, তা হল হোমওয়ার্ক না আনায় ডিটেনশন পাবে বলে। তাদের কমিটমেন্ট যদি থাকে তা হল তাদের ন্যায়-নীতির উপর, শিক্ষার উপর, জ্ঞানের উপর।’

তারা কিন্তু একদম ছোট না। অনেকেই ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে। তার মানে একটা স্তর পার হলেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে, তাদের ভাষা দেখে কি মনে হয় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার মত প্রস্তত?


৩। ‘আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচাতে হলে ছাত্ররাই, নবীনরাই তা করবে। তাদের পিছু হটার কোনো এক্সকিউজ নাই। তারা আপনার থেকে বয়সে ছোট হতে পারে, কিন্তু তারা অনেক বড় চিন্তা করতে সক্ষম। তাদের দৃষ্টি সংকীর্ণ না। এরা ভবিষ্যতের কথা ভাবে। এরা নিজের পকেট গরম করার জন্য দেশকে বিক্রি করে দেয় না। এরা বন্ধু হত্যার বিচার চায়।’

দেশ বিক্রি করার কথা আর কতকাল বলবেন? দেশ যে বিক্রি করা যায় না এই শিক্ষাটাও কি জাতী এতদিনে শিখতে পারলো না? আর নবীনরাই করবে তবে চু.....বা... ছিড়ে? ভালো ব্যবহার দিয়ে, যৌক্তিক আন্দোলন দিয়ে সরকারের কাছ থেকে আদায় করে নেবে, বকাবকি করে নয়? আপনার মন্তব্যতো দেখি দলকানার মত। দলকানার মন্তব্যে হতাশ হলাম।


৪। ‘যে দেশে স্কুল পড়ুয়াদের মানব অধিকারের জন্য রাস্তায় নামতে হয়, আর সরকার পাকিস্তানী শাসকদের মত তাদেরকে ছোট করে দেখে, পেটায়, মারে, সে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তো নিজেদের কে বাংলাদেশি বলতেই ঘৃণা করবে। এখনই করছে অনেকে।’

সরকারের এমন আচরনে ঘৃনাই বাড়বে তাতে আপনাদের কি বিশেষ কিছু সুবিধা হবে? আমিও সরকারের এমন আচরনে ঘৃনা প্রকাশ করি, কিন্তু এখন নিরাপদ সড়কের দাবীতে যে আইন করার প্রস্তাব বা দাবী তুলছে, আপনি যে দলের কানা সে দল জখন ক্ষমতায় ছিলো তখন কি করেছে? মনে রাখবেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকার পতনের জন্য নয়, নিরাপদ সড়ক এর দাবীতে, তাই বেশি খুশি হয়ে বা বিরক্ত হয়ে লাভ নেই।

৫। ‘পুলিশ নামে সন্ত্রাসীদের দিয়ে যদি এই ছাত্রদের উপর আবার হামলা চালানো হয়, যদি ছাত্রলীগ নামে রেপিস্টদের দিয়ে আন্দোলন বন্ধকরার চেষ্টা করা হয় তাহলে আওয়ামীলীগকে রাস্তায় নামিয়ে জুতো পেটা করা হবে, বলে দিলাম। আমি করতে পারবো না, ওই ছাত্ররাই করবে। তাদেরকে যা শেখাবেন, তারা তো তা ই করে দেখাবে, আরেকটু বড় হতে দিন না।’

আপনি যে পাড়বেন না তা আপনার কথায়ই বোঝা যায়। বিগত দিনের আন্দোলনে তো দেখেছি আপনাদের মুরোদ কত? এখন ছাত্রদের কাধে ভর দিয়ে দাড়াতে চান। আর ছাত্রলীগ র‌্যাপিষ্ট? ছাত্রদল কি মসজিদের খাদেম? দুটোই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। শুধু সুযোগের অভাবে ভালো খারাপ।

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২১

রুফিয়াস মিলেনিয়াম বলেছেন: ম্যানস্লটারের বিচার বাদ দেন। এখন ওদের গালাগালি করার জন্য বিচার হোক। কি বলেন?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: এমন দাবী আপনার মত লোকের পক্ষে সম্ভব। আমার মনে হয় মিনিমাম যাদের বিবেক আছে তারা এমনটা ভাবে না। গালাগালি সমর্থন করিনি, করবোও না। আন্দোলন সমর্থন করি, শেষ পর্যন্ত করবো। আর আপনার যদি সন্তান থাকে তাকে বলবেন, বাবা বলোতো, মদ খাবি আর পুলিশ চু...বি। এখন থেকেই শিখান। নইলে ভবিষ্যতে দিবে কিভাবে?

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এই সব লেখেই এরা জাবালে নূরের মালিকদের খালাস করে দিল! এই আন্দোলনের এখানেই সমাপ্তি! সুবিধাবাদীরা ঘোল খাক।



০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: অনেকেই শিক্ষার্থীদের সাথে একমত হতে গিয়ে তাদের সকল কর্মকান্ড মেনে নিচ্ছে। কিন্তু তারা জানে না যে, তাদের কিছু কর্মকান্ডের কারনে তাদের আন্দোলন ভেস্তে যেতে পারে।

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অশ্লীল গালি, লিখিত গালি দেয়াটা কোন ভাল কিছু না।
পুলিশের হাতে মার খাওয়া নতুন কিছু না। এর আগে এরচেয়ে শতগুন মারখেয়েও খাস অসভ্য শিবিরও এরকম অশ্লিল বাক্য উচ্চারন করে নি।
৫২, ৭১, ৯০ কোন আন্দোলন কোন আশালিন গালাগালি দেখা যায় নি।

গালিগুলো নিশ্চয়ই নিজেরা লিখেনি, ওদের বড়ভাইয়ারা হয়তো বস্তিবাসি টোকা। তা না হলে এধরনের ভাষা বাচ্চাদের মুখে আসার কথা না।
আর কোন অঘটন ঘটার আগেই তাদের ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত পোষণ করে বলছি, ওরা চরম ভুল করছে। ওদের থেকে মানুষের সমর্থন কমে যাবে।

১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮

অক্পটে বলেছেন: এটা এই অবৈধ সরকারকে গালাগাল। মানুষের ধৈর্যের বাধ ভাঙ্গছে ধীরে ধীরে। এই ছোট্ট পোলাপানের আন্দোলনও সরকার সইতে পারেনা পেটোয়া বাহিনী লাগিয়ে দেয়। এই লজ্জা কোথায় রাখি। কিছু দালাল আছে গালি দেয়ায় তাদের ঠোয়া পড়ে গেছে। সরকারী উদ্যোগে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে তলানিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, আই এম জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তরা গালি দেবেনা তো চুমো দেবে?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আপনিতো দেখি শিক্ষার্থীদের মত রেগে গেলেন। আর অবৈধ সরকার বলে চেচাচ্ছেন তাতে বোঝা যায় আপনি সরকার বিরোধী কোন সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। আপনারা মাঠে নামেন না কেন?? এমনিতেই বিজয় আসবে ভাবছেন? দল ও নেতাকে তেলালে ভালো পদ পাওয়া যায়, সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে আন্দোলন লাগে, তেলবাজীতে হয় না। আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে সরকার হটানো যায় না, ওদের দাবী সরকার হটানো নয়, নিরাপদ সড়কের দাবী। তাই বলবো, ওদের গালিকে সমর্থন দিবেন না।

১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪৪

অক্পটে বলেছেন: এই সব ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে আসতে হয়েছে এটাই বড় কথা। এরা তো অসভ্য গুন্ডা ধর্ষণকারী লুন্ঠনকারী ছাত্রলীগের চেয়ে অনেকই ভালো।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: সত্যি আপনার কথাগুলো ‘এরা তো অসভ্য গুন্ডা ধর্ষণকারী লুন্ঠনকারী ছাত্রলীগের-ছাত্রদলের চেয়ে অনেকই ভালো” এমন হলে ভালো হতো। ছাত্রদলের পোলাপান, ছাত্র শিবিরের পোলাপান নারী পেলে ধুপ ধুনো দিয়ে পুজো করে মনে হয়? ভালো ছাত্ররা ভালই, আর খারাপ ছাত্ররা খারাপই। শিক্ষার্থী যারা আন্দোলন করছে তাদের মধ্যে খোজ নিয়ে দেখেন অনেকেই ছাত্রলীগ করে আবার অনেকেই ছাত্র দল করে। শুধু প্রকাশ্য হওয়ার সময় এখনও আসেনি, কলেজের গন্ডিটা পেরোতে পারলেই দেখবেন আসল রুপ।

১৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৫৯

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: দেশের কর্নধারদের জন্য এই গালিগুলি কি পাওনা ছিল না? দুঃখের বিষয় নাতি-পুতির বয়সি পোলাপাইনের মুখে এইগুলা শুনতে হইল।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১১

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আজকে যাদের গালি দিচ্ছে সেটা শুনে হয়তো আপনার ভালো লাগছে, কাল ঐ পোলা আপনাকেই গালি দিবে তখন কি করবেন? সরকারের উচিত দাবী মেনে নেয়া, আর আমাদের উচিত আমাদের সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখা, তাদের মানুষ করা..

২০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:১৬

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: এটা যে একটি যক্তিক আন্দোলন সেটা আমরা ভুলে গেছি।

মেনে নিলেইত হয়ে যাই।

সব যায়গায় রাজনীতি খুজলে হবে! মাথাটা পচে গেচে

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১০

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: এটা একটা যৌক্তিক আন্দোলন তাতে কোন সন্দেহ নাই। সরকারের দৈন্যতার কারনে এমন ভালো দাবী মেনে নিতে দেরি করছে। কিন্তু এর সাথে কুরুচিপূর্ণ কথাগুলো আমি সমর্থন করি না। আমার এ লেখায় কোন রাজনীতি নাই।

২১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:২৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অশ্লীল ভাষা অবশ্যই অবশ্যই পরিত্যাজ্য | তবে অনেকে ছাত্রদের এই আন্দোলন চরম পন্থা হবে নাকি মধ্য পন্থা হওয়া উচিত এরকম প্রশ্ন তুলছেন | একটা কথা মনে রাখা উচিত, যে কোনো স্বতঃফূর্ত আন্দোলনের কোনো ফরমেট থাকে না | মানুষের গা যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন ক্ষোভ বা প্রতিবাদের প্রকাশ ঘটে কোনো সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনাবিহীনভাবে | ক্ষমতাসীনরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে অনেক সময় বুঝে উঠতে পারে না কেন এধরণের গণবিক্ষোভ ঘন ঘন হচ্ছে | তাই তারা সবকিছুতেই খুঁজে বেড়ায় বিরোধী দলের সম্পৃক্ততার, এমনকি সেই বিরোধী দলও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সত্বেও |

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই স্বামী বিশুদ্ধানন্দ। এমন একটি আন্দোলনের কোন ফরমেট থাকার কথাও না। আর আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা, এতে বিরোধী দল কোন সুযোগই নিতে পারবে না। যদি ক্ষতি কিছু হয় তা সরকারেরই হবে, সেটা হবে ইমেজ সংকট। আর সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা বারবে।

২২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

চোরাবালি- বলেছেন: এগুলি আমাদের সন্তানদেরই ভাষা। ১৩বছরের সন্তানের হাতে স্মার্ট ফোন আর ঘরে ছেলের জন্য আলাদা টিভিও স্যাটালাইট কানেকশনের যুগে এর থেকে ভালোভাষা শিখাবে কে? কোন বাবা আজ বলতে পারে তার ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যায়? ছেলেকে সাথে নিয়ে রাতে পড়তে বসে? অথবা পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে টিভি সামনে বসেন কি? আমাদের সময় নেই।

আর টিভি বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে নাটক সিনেমা সবখানেই এসব শব্দ শেখান হয় সেটি হয়তো আমরা জানিই নাই।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। পরিবারের লোকজনের দায়িত্ব আছে। সবাই যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। একারনেই এসব সুযোগ পাচ্ছে। পারিবারিক সৌহার্দই পারে এমন কাজ রুখতে।

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১২

নাহিদ০৯ বলেছেন: নোংরা ভাষায় লিখা পোষ্টার গুলোর অনেকটাই কারো চোখে পড়া মাত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কয়েকটা শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ফান করার জন্য কেউ কেউ ছবি তুলেছে (সাজানো ভাবে)।

এমন চটকদার একটা ক্যাপশন ওয়ালা ছবি হাজার হিাজার বার শেয়ার পাতায় ঘুরে। অনলাইনে বসে বসে আন্দোলন দেখলে মনে হবে আসলেই মনে হয় আন্দোলনের মাঠেও এরকম চলছে। আসলে এরকম জঘন্য কাজ কে প্রশ্রয় দিচ্ছে না ছাত্ররা।

কেউ কেউ অশ্লীল, ছাত্রদের সামনে পুলিশের লাইসেন্স বিহীন চালক ছাড় পায় না। এরকম প্রকাশ্য অসভ্যতা কোন ছাড়। ছবি তোলা পর্যন্তই শুধু এই পোষ্টার জীবিত ছিলো। তারপরে অনলাইনে ঘুরে বেড়িয়েছে হাজার কয়েক প্রোফাইলে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: শিক্ষার্থীদে ৯৯ ভাগ কাজই সমর্থনযোগ্য এবং নৈতিক। ১ ভাগ শিক্ষার্থী তাদের কাজ দিয়ে ভালো কাজগুলোকে ম্লান করে দিচ্ছে। এক সের দুধে যেমন এক ফোটা চনাই যথেষ্ট তেমনি ওদের পোষ্টারগুলো এমন হয়েছে। তবে ফান অনেক সময় বুমেরাং হয়ে যায়। এটা ওদের ঠিক হয়নি। ওদের আন্দোলনে আমি সমর্থন করি, বাজে মন্তব্যকে নয়।

২৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ছাত্রছাত্রীদের কিছু প্ল্যাকার্ড বেশ আপত্তিকর। ছাত্ররা কেন অশালীন কথা লিখবে? গাড়ি বাস ভাঙ্গা, আগুন দেওয়া ঠিক না। দরিদ্র দেশে এটা বিশাল অপচয়। আর কোন অভিভাবক তাদের ছেলে মেয়েদের এই আন্দোলন করতে পাঠিয়েছেন? অভিভাবকরা কি দেখেন নি- কোটা আন্দোলনকারীদের কি অবস্থা হয়েছে?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০১

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: সরকার আন্দোলন থামানোর জন্য যে নিপিড়নমূলক কাজ করে তার প্রতি আমাদের ঘৃণা আছে, আমি আপনার সাথে একমত, তবে বলবো, ছাত্র-ছাত্রীদের এমন আচরনে আমি হতবাক। ওদের এমন ভাষা ব্যবহারের সাহস কিভাবে হলো, একবারও ভাবলো না, পরিবারের লোকজন, সমাজের লোকজন এগুলো দেখবে।

২৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

আকবার বলেছেন: ওরা শিখবে কোন জায়গা থেকে। শিক্ষা ব্যবস্থা, শাসন ব্যবস্থা কাদের হাতে?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থা যার হাতেই থাকুক না কেন, ওরা যে শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে সে শিক্ষাটা নিয়ন্ত্রন করার কথা পরিবারে। পরিবারের লোকজনকে আরো সতর্ক হতে হবে।

২৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব ছেলেমেয়েদের মনে অনেক ক্ষোভ ও উষ্মা জমা হয়ে আছে, তা বুঝি। তার পরেও, সকল উস্কানির মুখেও, জাতির ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে তাদের কাছে সভ্য ও শালীন ভাষার প্রত্যাশী।
মুখ খারাপ করে ভাল কিছু অর্জন করা যায়না, করলেও সেটা ভাষার কারণে কলুষিত থেকে যায়।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল ভাই, কেউ কেউ ওদের ভাষা মেনে নিতে চায়। আমি আপনার সাথে একমত। ভালোকে ভালো বলতে হবে এখনই। ওরা ভালো ব্যবহার দিয়ে নিজেদের দাবী আদায় করে নেবে, অপকৌশলে নয়। আর এ কথা বললে বলে দালালি, চাটুকারি ইত্যাদি। দুঃখ লাগে।

২৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

লোনার বলেছেন: এই ভাষা আমাদের সন্তানদেরই - বরং, তারা হয়তো অনেক রেখে ঢেকে বলেছে। ৯ টাকায় ১ জিবি-র পরিণতি! দেখুন:view this link

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আমাদেরই সন্তান ওরা এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে দুঃখ পেলাম ওদের ভাষা শুনে। আশার বিষয় হলো এমন ছাত্র হাতে গোনা কয়েকজন, বাকীরা অত্যন্ত ভালো, ভদ্র, মেধাবী, চৌকষ, বিনয়ী। ওদের কারনেই বিজয় আসবে, ফালতু পোলাপানের কারনে নয়।

২৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

জানা বলেছেন: খুব দরকারী একটি পোস্টের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় আসাদুজ্জামান জুয়েল। এইসব নজরে আসার পর থেকেই মনটা প্রচন্ড খারাপ হয়েছে! আমাদের (বড়দের) হস্তক্ষেপ জরুরী হয়ে উঠেছে এখনই।
শিশু-কিশোরদের এই অমূল্য আন্দোলনে ব্যবহারকৃত প্লাকার্ড, ব্যানার এবং ফেস্টুনে লেখা অসাধারণ সব বুদ্ধিদীপ্ত, মার্জিত, ক্রিয়েটিভ এবং হৃদয়গ্রাহী স্লোগান রয়েছে যা আগে কখনও কোন আন্দোলনে ব্যবহৃত হয়নি। আন্দোলনের জন্যে দরকারী এই সুন্দর অনুষঙ্গগুলোতে ওদের ন্যায্য চাওয়া কোনভাবেই ব্যহত তো হয়ইনি বরং সবার পূর্ণ সমর্থন আর দৃষ্টি বিশেষভাবে আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে। ওরা যে এখনও 'বড়'দের মত পচে-গলে যায়নি বা নোংরায় পা দেয়নি তার প্রমান রেখেছে। এসবই এসেছে ঐ বাচ্চাগুলোর সুস্থ মস্তিষ্ক থেকে, একেবারে বুকের ভেতর থেকে যা ওদের সত্যিকারের পরিচয় বহন করছে এবং ওদের প্র‌ত্যয়ের গভীরতা প্রকাশিত হচ্ছে। কোন উন্মাদনাতেই যে কাজের কাজ হয়না তা তারা দেখিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি অশালীন ভাষা বা গালিগালাজ সম্বলিত কিছু প্লাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুনও লক্ষ্য করা গেছে। এটা খুবই দুঃখজনক! ( ইতিমধ্যে 'হায়েনা' আর 'শকুন' এর দল সুযোগ নিয়ে প্লাকার্ড এডিট করে অত্যন্ত অশালীন শব্দ-বাক্য জুড়ে দিয়ে ফেইসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বাচ্চাগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচারও শুরু করে দিয়েছে)! কারা এই বাচ্চাগুলোকে বিপথে ঠেলছে? কে বা কারা এই বাচ্চাগুলোকে তাদের ক্ষোভ প্রকাশে উন্মাদ করে তুলছে? অথবা ওদের মধ্যেই কেউ যদি কষ্ট এবং ক্ষোভের বশে এইসব নোংরামী বেছে নিয়ে থাকে তবে আমাদের (যারা ওদের পাশে থেকে, খুব কাছে থেকে সাহস যোগাচ্ছেন) জরুরী ভিত্তিতেই ওদের সংশোধনের দায়িত্ব নেয়া উচিত। ওদের ছোট-খাট ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে এই আন্দোলনকে ফলপ্রসূ করে তুলতে সাহায্য করা উচিত। ওরা তো আমাদেরই সন্তান বা অনুজ।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার সাথে শতভাগ সহমত প্রকাশ করছি। কিছু বিপথগামী ছাত্র এমন কাজ করেছে আর সেই সুযোগে সুযোগ সন্ধানী কেউ কেউ এডিট করে তাদের আরো পচিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।

২৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

জানা বলেছেন: ১৬ নম্বর মন্তব্যে হাসান কালবৈশাখী'র সাথে শতভাগ একমত। পাশাপাশি অন্যান্য সবাই বিষয়টা নিয়ে যে উদ্বিগ্ন ও সুন্দরের পক্ষে কিছু করার রয়েছে বলে মনে করছেন তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেছেন: আমিও তাই বলি, মন্দকে বর্জন করে সুন্দরের পক্ষে থেকে শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও যৌক্তিক দাবীর পক্ষে থেকে সমর্থন জুগিয়ে ওদের মনবল বাড়িয়ে এগিয়ে দিতে হবে।

৩০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দিন দিন সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের পরিচয় হচ্ছে ভয়ংকর একটি দেশ হিসেবে - আমার ব্যাক্তিগত ভাবে মনে হয় এটি বাংলাদেশের মানুষের পাওনা - কারণ এই দেশের যাবতীয় ক্ষতি ও লোকসানের দায়ভার এই দেশের জনগণের, অবস্যই এই দায়ভার এই দেশের জনগণের - কোনো সন্দেহ ???

৩১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫১

পাঠক০০৭ বলেছেন: দুঃখিত! আপনার পোষ্টটি সময়ের সাথে উপযোগী নয়। আপনি যা বলছেন, সেটা খুবই নগন্য মাত্রার এবং অধিকাংশগুলোই ফটোশপ করা। আমি মনে করি, প্রতিবাদের ভাষার শালীনতা খোঁজা বোকামি এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। যে আন্দোলনটি চলমান আছে, সেই আন্দোলনের স্বার্থেই এইসব বিচ্ছিন্ন জিনিসকে আমলে নেয়া উচিত নয়।

এর চেয়েও ভয়াবহ কুৎসিত জিনিস আমাদেরকে দৈনন্দিন দেখতে হয়, তখন তো আপনি আমি লজ্জা পাই না? উদহারন দিবো দৈনন্দিন লজ্জার দৃশ্যের?

যাইহোক, একটা গল্পের দুইটা দৃশ্য বলি।
১। মুক্তিযুদ্ধের সময়- আপনি একজন যোদ্ধা, শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এই শত্রুরা আপনার ভাই, বোন, মা বাবাকে হত্যা করেছে। আপনার চোখের সামনে সেই দৃশ্য ভেসে উঠল। আপনি দাত কিড়মিড় করতে করতে আপন মনে রবি ঠাকুরের কবিতা আবৃতি শুরু করলেন।
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে,
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।

হঠাৎ সামনে শত্রু। আপনি অস্ত্র হাতে বললেন, কিছু মনে করো না দাদা ভাই। পাপের শাস্তি এইভাবেই পেতে হয়। ঐ পৃথিবীতে ভালো থেকো এই বলে আপনি ব্রাশ ফায়ার করলেন। মৃত্যু নিশ্চিত করে গুন গুন করে গাইতে লাগলেন, "যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে গো"

দৃশ্য শেষ।

দ্বিতীয় দৃশ্যঃ
২। মুক্তিযুদ্ধের সময়- আপনি একজন যোদ্ধা, শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এই শত্রুরা আপনার ভাই, বোন, মা বাবাকে হত্যা করেছে। আপনার চোখের সামনে সেই দৃশ্য ভেসে উঠল। আপনি দাত কিড়মিড় করতে করতে সেই শত্রুর মুখোমুখি হলেন। আপনার মুখ থেকে অচিরেই বের হলো অকথ্য গালি, ক্রোধ! লাথি দিয়ে ফেলে শত্রুর বুকে করলেন ব্রাশ ফায়ার। মৃত্যু নিশ্চিত করে শত্রুর মুখে এক গাদা থুতু মেরে বিদায় নিলেন।
দৃশ্য শেষ।


এই দুই দৃশ্যের মধ্যে যতই খারাপ হোক না কেন,আমি দ্বিতীয় দৃশ্য কেই বেছে নিবো, প্রথম দৃশ্যকে না। অন্তত এই সময়ে এই সব ভাষা টাষা নিয়ে অবান্তর সুশীলগিরি বাদ দেন ভাই। এর চেয়েও জঘন্য গালি আমাদের সমাজে প্রচলিত। সেইগুলো শুনেও কেউ শুনে না। আপনি আমি গিয়ে কখনও তাদেরকে সংশোধন করি নাই। আজকে তারা তাদের সীমিত মেধা আর সামর্থ্য দিয়ে জাতির জন্য কিছু করার চেষ্টা করছে - আজাইরা বিভেদ এখানে না টানি।

৩২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: তোরা কি প্রমান করতে চাস?
কে এই বেয়াদব?

৩৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১৭

নির্বাকে ভাবি বলেছেন: আমি আপনার কথার সাথে এক মত।
দেখুন যারা ছাত্র ছাত্রীদের এই আন্দোলনকে অনেক রুপকে বিশেষায়িত করছেন, তারা এই আন্দোলনের খুব সন্নিকটের যে চূড়ান্ত পরাজয় তা দেখছেন না। এই আন্দোলন কিন্তু কোনদিন বেশি সময় ধরে চলবে না। সরকার এখন প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাই এরা পথে থাকতে পারছে। সরকার বেকায়াদায় আছে, তারা সব জন সম্পৃক্তাতেই ভয় পায়। এই ছাত্র ছাত্রীরা যা করার করেছে। তাদের এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে। তারা দেশের সমাজের অনেক অনিয়মের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখিয়েছে। এটাই বড় বিষয়। কিন্তু এদের আর কয়দিন রাস্তায় থাকতে দিন, দেখবেন এদের উপর কতটা রাজনৈতিক কূটচালের জাল নেমে আসে। এরা ফেসে যাবে।

এবার আসি ভাষার বিষয়ে। এই কথা গুলো কে লিখছে?
সে যত বিক্ষুব্ধই হোক না কেন, সেই কথা লিখতে পারে না। গালি কে না জানে। আমরা জানতাম। আমার বাবা জানত। দাদা জানত। গালি দিব কি না তার সাথে তা জানা না জানার সম্পর্ক নাই। এরা প্রকাশ্যে যে ভাবে ভাষার ব্যবহার করছে, তা অবশ্যই প্রশ্ন সাপেক্ষ। এবং আমি হতাশা জ্ঞাপন করছি। এই আন্দোলন যদি কোন দিন ইতিহাস হয়, তাহলে সেখানেও এই প্লাকার্ড ছবি হয়ে থাকবে। তখন কি উত্তর দিব আমাদের উত্তর জনপদের কাছে? রাস্ট্রভাষা বাংলা চাই. আমি কতবার এই প্লাকার্ডের ছবি একেছি। নূর হোসেন এর পিঠে কত সহজ কিন্তু বলিষ্ট উচ্চারনে স্বৈরাচার এর নিপাত দেখেছি আমরা। কিন্তু এ কি ভাষা? মেয়েরা কি করে সেই প্লাকার্ড ধরে রাখতে পারে? না.। এটা কোন যুক্তিতে মেনে নেয়ার কারন নাই। দেখুন অন্যায় দমাতে গিয়ে আরো অন্যায়কে মেনে নেয়া আর ক্রস ফায়ারের খুনকে জায়েজ করা একই কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.