নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথিত আরব বসন্ত এবং মোসলেম জাতি

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৪

সমস্ত পৃথিবীর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ কোরছে মধ্যপ্রাচ্যে। ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন, জনতার বিক্ষোভ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ, আন্তর্জাতিক অবরোধ এই শব্দগুলো যেন এখন এককভাবে মধ্যপ্রাচ্যের জনই প্রযোজ্য। প্রায় প্রতিটি দেশেই রোয়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলন, ভাংচুর, সহিংসতা ইত্যাদি। তবে একটি ব্যাপার লক্ষণীয় যে, এই অস্থিতিশীল প্রায় প্রতিটি ঘটনার পেছনেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পশ্চিমা আগ্রাসীদের যোগসূত্র রোয়েছে। মোসলেম বিশ্বে এদের ষড়যন্ত্র যে নতুন কিছু নয় তা কেউই অস্বীকার কোরতে পারবেন না। তবে এবার কার্যক্রমগুলো অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। যুগের পর যুগ ধোরে চোলে আসা অবৈধ রাজতন্ত্র মধ্যপ্রাচ্যের মোসলেম নামক জনসংখ্যাটিকে শুধু অন্যায়, অবিচার, বৈষম্য আর শাসকদের স্বেচ্ছাচারিতাই উপহার দিয়েছে। রাজা বাদশাহদের মনগড়া সিদ্ধান্ত তারা দেশের সাধারণ মানুষগুলোর উপর চাপিয়েছে। অত:পর সর্বদায় এই মানুষগুলো স্বাধীনতার জন্য আকুলপিপাসু হোয়ে থেকেছে। ঠিক এই সুযোগটাই নিতে চেয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো। তারা মধ্যপ্রাচ্যের এই সরলমনা মানুষগুলোকে স্বাধীনতা নামক মরিচিকার লোভ দেখিয়ে তাদের অপচন্দনীয় সরকারগুলোর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। মুক্তির চেতনায় উদ্ভাসিত এই মানুষগুলোকে সাহায্য সহায়তা করার আশ্বাস দিয়ে তাদের জাতীয় স্বার্থের এজেন্ডা বাস্তবায়নে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার কোরছে। যে সরকার পশ্চিমাদের অপছন্দনীয় প্রথমে বিভিন্ন উপায়ে যেমন- নিষেধাজ্ঞা, অবরোধ ইত্যাদির মাধ্যমে সেই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল কোরে ফেলা হয়, ফলে ঐ দেশের জনগনের মধ্যে সরকারের ব্যর্থতার জন্য সরকারের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে শুরু করে অত:পর পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা তাদেরকে লেলিয়ে দেয় সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সর্বরোকমে সহায়তা করা হয় এই আন্দোলনকারীদের। অত:পর সরকার যখন অবস্থা নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যর্থ হোয়ে যায়, তখন পদত্যাগ কোরতে বাধ্য হয়। রাজতন্ত্রের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয় শান্তিকামী মানুষগুলো। প্রতিষ্ঠিত হয় গণতন্ত্র। শুরু হয় আরেক যুলুমের শাসন। যারা এতদিন পশ্চিমাদের সাহায্য সহায়তা নিয়ে ব্যাপক আন্দোলোনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘোটিয়েছিল তাদেরকে নিয়ে গঠিত হয় রাজনৈতিক দল, শুরু হয় নির্বাচন, ক্ষমতায় যায় তারাই যারা পশ্চিমাদের আর্থিক সহায়তায় এতদিন বিক্ষোভ চালিয়ে এসেছিল ফলে নতুন সরকার হোয়ে যায় পশ্চিমাদের অনুগত খেলার পুতুল। পশ্চিমাদের স্বার্থে তারা সাধারণ মানুষগুলোর বুকে গুলি চালাতে দ্বিধা করে না। জনগন বুঝতে পারে তারা এতদিন যে স্বপ্ন দেখে এসেছে, বিক্ষোভ-আন্দোলোন কোরেছে, সহিংসতা কোরেছে, আহত নিহত হোয়েছে তা ছিল পশ্চিমাদের একটা খেলা, যে খেলায় তাদেরকে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হোয়েছে মাত্র। তাদের স্বপ্ন সপ্নই থেকে যায়। হয়তবা আবারো রাজপথে নামার চেষ্টা করে কিন্তু এবারে ব্যাপার হয় উল্টো। কারণ এবারের সরকার তো আর পশ্চিমাদের রোষানলের সরকার নয়, তাদের অনুগত সরকার। তাই এবার যত বড় আন্দোলনই হোক না কেন, যত প্রাণহাণী হোক না কেন পশ্চিমাদের সেই দরদভরা কন্ঠ আর শোনা যায় না। এভাবেই মোসলেম নামধারী জাতিটিকে নিয়ে পশ্চিমারা ইদুর বিড়াল খেলা খেলছে। আল্লাহর লানতের পাত্র এই জাতিটি একবার কড়াই থেকে লাফ দিয়ে চুলোই পোড়ছে আরেকবার চুলো থেকে লাফিয়ে কড়াইয়ে পোড়ছে। তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘোটছে না বরং যারা এই ঘটনাগুলোকে মোসলেমদের জাগরণ বোলে চিহ্নিত কোরতে ব্যস্ত তারা ভালো ভাবে পর্যালোচনা কোরলে দেখতে পাবেন এর দারা কেবলমাত্র ইসলামের চিরশত্র“ ইসরাইল এবং তার কুকর্মের সারথী সৌদি আরবই লাভবান হোচ্ছে। কাজেই এই আত্মঘাতি কার্যক্রমগুলেঅকে জাতির জাগরণ হিসাবে না দেখে আমি দেখছি এই জাতি ধ্বংসের চুড়ান্ত স্টেজ হিসাবে। তবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই জাতিটির এই দুরাবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। যখন থেকে তারা তাদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্বকে ত্যাগ কোরেছে অর্থাৎ দীন প্রতিষ্টার সংগ্রাম ত্যাগ করে তখন থেকেই তাদের উপর একের পর এক আল্লাহর লানত এসেছে। সমস্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাদের দ্বায়িত্ব তারা নিজেরাই আজ পৃথিবীজুড়ে সবচেয়ে অশান্তিতে দিনানিপাত কোরছে। পরাজিত জীবন মোসলেমদের জীবন নয়, যারা পরাজিত হয় তারা মোমেন, মোসলেম বা উম্মতে মোহাম্মদী কোনটাই হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এখনো যদি এই জাতি তাদের হারানো আকীদায় ফিরে না যায়, নিজেদের হীনস্বার্থে সৃষ্ট যাবতীয় ফেরকা, মাযহাব ভূলে ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে সামনের ধাপ হবে আরো ভয়াবহ, একেবারে ধ্বংস। আমরা কেউই তা চাই না। এই জাতি আবার তাদের হারানো চরিত্র ফিরে পাবে, সমস্ত মানবজাতির জন্য মুক্তির দূৎ হিসাবে আবারো পৃথিবীতে আবির্ভূত হবে এটাই আমার কাম্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.