নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরব বসন্তের নেপথ্যে

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬







সমস্ত পৃথিবীর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ কোরছে মধ্যপ্রাচ্যে। ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন, জনতার বিক্ষোভ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ, আন্তর্জাতিক অবরোধ এই শব্দগুলো যেন এখন এককভাবে মধ্যপ্রাচ্যের জনই প্রযোজ্য। প্রায় প্রতিটি দেশেই রোয়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলন, ভাংচুর, সহিংসতা, হত্যা, নির্যাতনের মত ঘটনা। তবে একটি ব্যাপার লক্ষণীয় যে, এই অস্থিতিশীল প্রায় প্রতিটি ঘটনার পেছনেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পশ্চিমা আগ্রাসীদের যোগসূত্র রোয়েছে। মোসলেম বিশ্বে এদের ষড়যন্ত্র যে নতুন কিছু নয় তা কেউই অস্বীকার কোরতে পারবেন না। তবে এবার এদের কার্যক্রমগুলো অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। যুগের পর যুগ ধোরে চোলে আসা অবৈধ রাজতন্ত্র মধ্যপ্রাচ্যের মোসলেম নামক জনসংখ্যাটিকে শুধু অন্যায়, অবিচার, বৈষম্য আর শাসকদের স্বেচ্ছাচারিতাই উপহার দিয়েছে। সিংহাসনলোভী রাজা বাদশাহদের মনগড়া সিদ্ধান্ত তারা দেশের সাধারণ মানুষগুলোর উপর চাপিয়েছে। অতঃপর সর্বদায় এই মানুষগুলো স্বাধীনতার জন্য আকুলপিপাসু হোয়ে থেকেছে। ঠিক এই সুযোগটাই নিতে চেয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো। তারা মধ্যপ্রাচ্যের এই সরলমনা মানুষগুলোকে স্বাধীনতা নামক মরিচিকার লোভ দেখিয়ে তাদের অপছন্দনীয় সরকারগুলোর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। মুক্তির চেতনায় উদ্ভাসিত এই মানুষগুলোকে সাহায্য সহায়তা করার আশ্বাস দিয়ে তাদের জাতীয় স্বার্থের এজেন্ডা বাস্তবায়নে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার কোরছে। যে সরকার পশ্চিমাদের অপছন্দনীয় প্রথমে বিভিন্ন উপায়ে যেমন- নিষেধাজ্ঞা, অবরোধ ইত্যাদির মাধ্যমে সেই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল কোরে ফেলা হয়, ফলে ঐ দেশের জনগনের মধ্যে সরকারের ব্যর্থতার জন্য সরকারের প্রতি ঘৃণা জন্মাতে শুরু করে অতঃপর পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা সুযোগ বুঝে তাদেরকে লেলিয়ে দেয় সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সর্বরকমে সহায়তা করা হয় এই আন্দোলনকারীদের। অতঃপর সরকার যখন প্রাণপনে চেষ্টা করার পরও অবস্থা নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ হয়, তখন আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের ভয়ে পদত্যাগ করে। রাজতন্ত্রের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয় শান্তিকামী মানুষগুলো। প্রতিষ্ঠিত হয় গণতন্ত্র। শুরু হয় আরেক যুলুমের শাসন। যারা এতদিন পশ্চিমাদের সাহায্য সহায়তা নিয়ে ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘোটিয়েছিল তাদেরকে নিয়ে গঠিত হয় রাজনৈতিক দল, শুরু হয় নির্বাচন, ক্ষমতায় যায় তারাই যারা পশ্চিমাদের আর্থিক সহায়তায় এতদিন বিক্ষোভ চালিয়ে এসেছিল ফলে নতুন সরকার হোয়ে যায় পশ্চিমাদের অনুগত খেলার পুতুল। পশ্চিমাদের স্বার্থে তারা সাধারণ মানুষগুলোর বুকে গুলি চালাতে দ্বিধা করে না। জনগন বুঝতে পারে তারা এতদিন যে স্বপ্ন দেখে এসেছে, বিক্ষোভ-আন্দোলন কোরেছে, সহিংসতা কোরেছে, আহত নিহত হোয়েছে তা ছিল পশ্চিমাদের একটা খেলা, যে খেলায় তাদেরকে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হোয়েছে মাত্র। তাদের স্বপ্ন সপ্নই থেকে যায়। হয়তবা আবারো রাজপথে নামার চেষ্টা করে কিন্তু এবারে ফল হয় উল্টো। কারণ এবারের সরকার তো আর পশ্চিমাদের রোষানলের সরকার নয়, তাদের অনুগত সরকার। তাই এবার যত বড় আন্দোলনই হোক না কেন, যত প্রাণহাণী হোক না কেন পশ্চিমাদের সেই দরদভরা কন্ঠ আর শোনা যায় না। এভাবেই মোসলেম নামধারী জাতিটিকে নিয়ে পশ্চিমারা ইদুর বিড়াল খেলা খেলছে। আল্লাহর লানতের পাত্র এই জাতিটি একবার কড়াই থেকে লাফ দিয়ে চুলোই পোড়ছে আরেকবার চুলো থেকে লাফিয়ে কড়াইয়ে পোড়ছে। তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘোটছে না বরং যারা এই ঘটনাগুলোকে মোসলেমদের জাগরণ বোলে চিহ্নিত কোরতে ব্যস্ত তারা ভালো ভাবে পর্যালোচনা কোরলে দেখতে পাবেন এর দারা কেবলমাত্র এসলামের চিরশত্র“ ইসরাইল এবং তার কুকর্মের সারথী সৌদি আরবই লাভবান হোচ্ছে। তাই তারা এই খেলার নাম দিয়েছে আরব বসন্ত। চাকচিক্যময় সভ্যতার দেওয়া চাকচিক্যময় নামে সমস্ত বিশ্বের মানুষ সহজেই প্রতারিত হোচ্ছে। এই তথাকথিত আরব বসন্ত প্রথম আসে তিউনিসিয়ায়। জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে টিকতে পারেনি তিউনিসিয়ার সৈরশাসক বেন আলী। সারা বিশ্ব বাহাবা দেয় তিউনিসিয়ানদের। শুরু হোয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের বসন্তকাল। সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নিমিষেই বসন্তের কোকিল ডাকতে শুরু কোরল। শান্তির আশায় রাজপথে নেমে আসলো লিবিয়া, মিশর, তুরস্ক, ইয়েমেন, জর্ডান, সুদান, কুয়েত এবং সিরিয়ার হাজার হাজার মানুষ। মিশরে এবং তুরস্কে ফুটল বসন্তের ফুল। লিবিয়ায় এসে কেন যেন আটকে যেতে চাইল পশ্চিমাদের তৈরি এই বসন্তকাল। কিন্তু থেমে গেলেই তো আর হবে না, বসন্ত আসতেই হবে, ফুল ফুটতেই হবে, নইলে গনতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা মধু পাবে কোথায়? হামলা করা হোল লিবিয়ায়, পতন হোল আরো এক শৈরশাসকের। কিন্তু এত কিছুর পরও সিরিয়ায় এসে থেমে গেল বসন্ত। যে আশা নিয়ে এত কষ্ট কোরে মোড়লরা বসন্তকাল নিয়ে এলো সেই আশাটাই যেন ব্যর্থ হোয়ে যাচ্ছে। সিরিয়া হোচ্ছে ইরান এবং লেবাননের এসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মিত্রশক্তি যা ইসরাইলের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ। কারণ যদি কখনো ইসরাইল এই শক্তি দ্বারা কোন কারণে আক্রান্ত হয় তাহলে তার প্রথম চালানটা আসবে সিরিয়া থেকেই। সুতরাং এটাই স্বাভাবিক যে ইসরাইল সর্বোতভাবে চেষ্টা চালাবে সিরিয়ার ইরানপন্থি প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত কোরতে। কিন্তু এত বড় একট মাস্টারপ্ল্যানও সিরিয়াকে ধ্বংস কোরতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরাইল রিতিমত আর কুটনৈতিক সমাধান না খুঁজে ধর্ণা দেয় মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় রাতারাতি আন্দোলনকারীদের হাতে অস্ত্র উঠে যায়। শান্তির দূত পশ্চিমা মোড়লরা আর্থিকভাবে, সামরিকভাবে এবং নৈতিকভাবে সমর্থন দিতে থাকে সিরিয়ান বিদ্রোহীদেরকে। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। লাশের পর লাশ পোড়তে থাকে সিরিয়ার মাটিতে। তবে অতি হাস্যকর ব্যাপার হোচ্ছে সিরিয়ায় যারা এতদিন আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে এসেছে তাদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ হোচ্ছে আল কায়েদার সদস্য যাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র সারা পৃথিবীর সাথে পরিচয় কোরিয়ে দেয় সন্ত্রাসী হিসেবে। যাদেরকে পাশ্চাত্য সভ্যতার অস্তিত্বে বড় ধরনের হুমকি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। সমস্ত পৃথিবীর মানুষ অবগত আছে যে এই আল কায়দা, তালেবান ইত্যাদি জঙ্গীদের দমন করার নামে যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর অনেক দেশে ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে হাজার হাজার নিরাপরাধ বেসামরিক মানুষ মারা যাচ্ছে। এমনকি এই তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী ড্রোন হামলা চালিয়ে তারা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত হত্যা কোরেছে। অতঃপর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অব্যাহত চাপের মুখেও ভুল স্বীকার করার মত ভদ্রতাটুকুও দেখায় নি। এ কেমন নীতি? এক দিকে জঙ্গী দমনের নামে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষকে মারা হোচ্ছে আরেকদিকে ঐ জঙ্গিদেরকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা কোরতে অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে এবং নৈতিক সমর্থন দিয়ে সাহায্য করা হোচ্ছে। এমন প্রতারণামুলক কাজ শুধুমাত্র গণতন্ত্রের ধারক-বাহক সকল অপরাধের মুল হোতা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের দিয়েই সম্ভব।



এবারে একটু অন্যদিকে যেতে হবে। সিরিয়ায় সরকারী বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে যখন ইতিহাসের বর্বরতম লড়াই চোলছে তখন হঠাৎ কোরে বিশ্ববাসী আরেকটি মানবতাবিরোধী ঘটনা দেখল। মিশরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিপুল জনসমর্থন পেয়ে প্রথমবারের মত রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যায় জন্ম থেকে পশ্চিমাদের রোষাণলে থাকা এবং মোবারকবিরোধী তীব্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হোয়েছে এই অজুহাতে হাওয়া হোয়ে গেলেন মাত্র এক বছর আগে শপথ নেওয়া ব্রাদারহুডের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। এ যেন পরীক্ষায় বসা কিশোরের পাশ মার্কের উত্তর লিখার আগেই খাতা ছিনতাই। বিভিন্ন কারণে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা খুব সোচনীয় আকার ধারণ কোরেছিল। প্রতিবাদে নামে সাধারন জনতা। এখানে বোলে রাখা ভালো শিয়া মতাবলম্বী সিরিয়া যতটুকু ইসরাইলের জন্য হুমকি, সুন্নি মতাবলম্বি ব্রাদারহুডের নেতৃত্বাধীন মিশরও ইসরাইলের জন্য ততটুকুই হুমকি ছিল। আশা করি একথাটাও আলাদা কোরে বলার দরকার পড়ে না যে, সৌদি আরব আর ইসরাইলের স্বার্থ এক এবং অভিন্ন। এসলামের ধ্বজাধারী এই দেশটি প্রকাশ্য বা গোপনে আজ পর্যন্ত এমন কোন কর্মকাণ্ড করেনি যাতে কোরে এসলামের প্রকাশ্য শত্র“ ইসরাইলের স্বার্থে আঘাত লাগতে পারে। বরং সর্বদায় আগ্রাসী ইসরাইলের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন কোরে এসেছে। এই ইসরাইল এবং সৌদি বাদশাহ মিশরের সেনাবাহিনীকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে সেনাঅভুথান ঘটায়, যা সম্পুর্ন গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ড। সেনা অভ্যুথানের সাথে সাথে আমেরিকা, সৌদি আরব এবং ইসরাইল মিশরের সেনাপ্রধানকে হাজার হাজার ডলার আর্থিক সাহায্য পাঠায়। এমনকি তারা এটাকে সেনা অভ্যুথান হিসেবে মেনে নেয়নি কারণ তাহলে আর্থিক সাহায্য পাঠানো আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী হোত। তবে সমস্যা দেখা দিল অন্য দিকে। গনতান্ত্রিকভাবে বৈধ উপায়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে লাখ লাখ ব্রাদারহুড সমর্থক রাজপথে নেমে আসে। দিনের পর দিন এই বিক্ষোভ আন্দোলন জটিল আকার ধারণ করে। ব্রাদারহুড কর্মীরা তাদের জীবন বাজি রেখে সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কোরতে থাকে এবং তাদের নেতা মুরসিকে আবারো তার ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানায়। কিন্তু কথায় আছে, বেড়ায় ক্ষেত খেলে ঠেকায় কে? ফলে ইসরাইল- আমেরিকার অনুগত সেনাবাহিনী শুরু করে ইতিহাসের নৃকৃষ্টতম বর্বরতা। নিরস্ত্র ব্রাদারহুড কর্মীদের উপর তারা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সভ্যতার সুুতিকাগার নীল নদের অববাহিকায় শুরু হয় রক্তের হোলি খেলা। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে শত শত মানুষকে গুলি কোরে, আগুনে পুড়িয়ে ইত্যাদি নানানভাবে হত্যা করা হয়। একই সাথে, একই দিনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় প্রায় ২০০০ এর অধিক মানুষকে (ব্রাদারহুডের দাবী)। তার ঠিক একদিন পরেই মসজিদের ভিতরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয় দুইশর অধিক ব্রাদারহুড সমর্থককে। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন জাতির অস্তিত্ব নেই যারা নিজের জাতির লোককে এভাবে নৃশংশভাবে মেরেছে। আমাজানের জংগলে হারিয়ে যাওয়া একটি কুকুরের সন্ধানে একাধিক হেলিকপ্টার উড়িয়ে দেওয়া মানবতার প্রবক্তা পশ্চিমা শক্তি এই নির্মম ও নিষ্ঠুর ঘটনায় একটি বারের মত উচ্চারণ কোরলো না আ! কিংবা উহ! কিন্তু এই বীভৎস ঘটনাগুলো বাকি পৃথিবীর মানুষের হৃদয়কে ব্যথিত কোরেছিল। ফলে সমস্ত পৃথিবীর মানুষ যখন মিশরকে নিয়ে উদ্বিগ্ন তখন পশ্চিমা প্রতারকরা তাদের চিরাচরিত নীতি অনুসারে সকলের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরাতে নতুন ফন্দি আটল। শুরু হোল নতুন নাটক। যার নাম রাসায়নিক গ্যাস। বলা হোল সিরিয়াতে বিদ্রোহীদের দমনে আসাদ বাহিনী রাসায়নিক গ্যাস প্রয়োগ কোরেছে। তাতে নাকি ১০০০ মানুষ নিহত হোয়েছে (পশ্চিমাদের হিসাব)। চারিদিকে হৈ হৈ রৈ রৈ পোড়ে গেল। বিষয়টাকে এমনভাবে প্রচার করা শুরু কোরলো এবং বিশ্ব মোড়লরা এটাকে নিয়ে এমনভাবে ছোটাছুটি শুরু কোরল যে বিশ্ববাসী তখন মিশরের হাজার হাজার মৃতদেহের কথা ভুলে গেল। শুধু তাই নয়, আরো বেশি মনোযোগ আকর্ষণের আশায় ওবামা সাহেব একেবারে ঘোষণাই দিয়ে দিলেন যে তিনি সিরিয়া আক্রমণ কোরতে যাচ্ছেন। এখানে দৌড়াচ্ছেন ওখানে দৌড়াচ্ছেন ইত্যাদি কোরে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি কোরে ফেলেছিলেন যে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববাসীর মস্তিষ্ক থেকে মিশর ইস্যু বিদায় নিল। এই সুযোগে আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেলগুলোকে নিষিদ্ধ কোরে ইসরাইলের দাস মিশরীয় সেনারা তাদের কাজ নিশ্চিন্তভাবে কোরে ফেলল। অতঃপর ওবামা সাহেব ঘোষণা কোরলেন তিনি আপাতত যুদ্ধে যাচ্ছেন না। মাঝখান থেকে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হোয়ে গেল। সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র মুক্ত করা হোল আর ঐদিকে তাদের দাসদেরও চাপমুক্ত করা গেল। আপাতত সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রের হুমকিমুক্ত করা হল এরপর যেকোন অযুহাত দাঁড় কোরিয়ে হামলা চালানো যাবে। এভাবেই মোসলেম নামধারী এই জাতির সাথে সরাসরি এবং বাকি পৃথিবীর সাথে পরোক্ষভাবে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা আগ্রাসীরা। এরা শুধু এসলাম নয়, সকল ধর্মের জন্যই হুমকি। এমনকি যে ধর্ম থেকে ইহুদি খ্রিস্টান সভ্যতার জন্ম সেই খ্রিস্ট ধর্মেরও। সমস্ত পৃথিবীজুড়ে যে অশান্তির দাবানল জ্বলছে তার জন্য এককভাবে দায়ী এই ইহুদি খ্রিস্টান সভ্যতা। মানবজাতি আজ এই সভ্যতার চাকচিক্যময় রূপের ঝলকে বিমোহিত হোয়ে আছে। তবে আর নয়। এখন সময় এসেছে। এই স্রস্টাহীন বস্তুবাদী ভারসাম্যহীন সভ্যতাকে মানবজাতি যত দ্রুত চিনতে পারবে, এর চাকচিক্যময় আবরণের মাঝে লুকিয়ে থাকা কুৎসিত চেহারাকে আত্মার চোখ দিয়ে দেখতে পারবে ততই তাদের জন্য মঙ্গলজনক। এই সভ্যতা এখন মৃত্যুখাদের কিনারায়। মানবজাতি যদি এখনও এই সভ্যতাকে প্রত্যাখ্যান কোরে এর বেড়াজাল ভেদ কোরে বের হোয়ে না আসে তাহলে তারাও এই সভ্যতার সাথে সাথে ধ্বংস হোয়ে যাবে। সিদ্ধান্ত নিক মানবজাতি; তবে যে কথা না বোললেই নয় তা হোচ্ছে, সময় বেশি নাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.