নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তি কত দূর?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। ছোট্ট এই দেশটিতে প্রায় ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা , চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক চাহিদার কথা সংবিধানে উল্লেখ থাকলেও বাস্তব জীবনে তা যেন অমাবশ্যার চাঁদ। বিশ্ব দরবারে আমরা অবহেলিত, উপেক্ষিত কোন কোন ক্ষেত্রে নির্যাতিত একটা জনসংখ্যা। দারিদ্রতা, শিক্ষাহীনতা, কুসংস্কার, রাজনৈতিক হানাহানি, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড ইত্যাদি দ্বারা আমাদের ইতিহাস এবং বর্তমান পরিপূর্ণ। আমরা এই পর্যন্ত যতগুলো জাতীয় সমস্যার সম্মুখীন হোয়েছি তার মধ্যে অন্যতম হোচ্ছে রাজনৈতিক সিস্টেমের জটিলতার ফলে সৃষ্ট সমস্যা। স্বাধীনতা পরবর্তীকালীন আমাদের ইতিহাস মানেই যেন সরকার পবিবর্তন, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ধর্মীয় উন্মাদনা, অর্থনৈতিক বৈশম্য এককথায় জাতিগতভাবে সীমাহীন অশান্তির ইতিহাস। শত চেষ্টা কোরেও আমরা এই অশান্তির বেড়াজাল ভেদ কোরে বেরিয়ে আসতে পারছিনা। এক সরকারের ন্যায়ভ্রষ্টতা, অসহনীয় দূর্নীতি, জনবিমুখতা ইত্যাদির কারণে সাধারণ শান্তিকামী মানুষ রাগে, ক্ষোভে অন্য দলকে ক্ষমতায় বসায়। একই কারণে তাকে উচ্ছেদ কোরে আবার আরেকদলকে ক্ষমতায় বসায়। কিন্তু কি দেয় এই রাজনীতিকরা? তাদের কাছে কি আমরা হাজার হাজার জিনিস চেয়েছি? না। আমরা যা চেয়েছি তা অতি সামান্য। তাদের সাধ্যের মধেই। আমরা তো তাদেরকে প্রকৃত উম্মতে মোহাম্মদির যুগের মত রাতের অন্ধকারে আমাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে আমাদের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে বোলিনি, আমরা একবেলা না খেয়ে থাকলে তাদেরও খাওয়া উচিত নয় এই নীতি কথাও শোনাই নি। তাদেরকে তো রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ব্যয় না কোরে তালি দেওয়া কাপড় পোড়ে থাকতে হবে তাও বোলিনি। কারণ আমরা জানি এটা সকলের কাছে সম্ভব নয়। উম্মতে মোহাম্মদী রাষ্ট্র শাসন কোরেছেন এক মহান আদর্শকে মানবজাতির কাছে পৌঁছে দেবার মত একটা মস্তবড় উদ্দেশ্য নিয়ে আর আপনারা রাষ্ট্রর নেতা হন ক্ষমতার লোভে। কাজেই আমরা নিরক্ষর হোলেও এটুকু বুঝি যে কাঁঠাল গাছের নিচে বসে সারাদিন যাবৎ কান্নাকাটি কোরলেও সেই গাছ থেকে আম পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কাজেই আমরা রাজনীতিক দের কাছে শুধু সেটুকুই চাই যেটুকু তাদের সামর্থের ভিতরে। কিন্তু কোথায়? রাজনীতিকরা মনে করেন জনগন তাদের শত্র“। কারণ তারা তাদের কাছে অনেক কিছু চায়, যা দিতে গেলে তাদের ক্ষমতার মানহানী হয়ে যায়। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। একটা সমস্যার সমাধান নাহোতেই আরো দশটা এসে হাজির। একের পর এক ঘটে চোলেছে অনাকাঙ্খিত সব ঘটনাসমূহ। চারিদিকে দূর্যোগের হাতছানি আজ জাতির সম্মুখে। প্রতিটি দিন সকল শ্রেনী পেশার মানুষ, কী শ্রমিক, কী দিনমজুর, কী ব্যবসায়ী, কী শিক্ষক কী ছাত্র, সকলেই এখন যেন সমস্যায় জর্জরিত জীবন অতিবাহীত কোরছে। সামান্য কটা টাকার বিনিময়ে যারা উদায়াস্ত গায়ের রক্ত পানি কোরে পরিশ্রম করে তারা আজ তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত, দাবি আদায়ের আন্দোলন করার অপরাধে নিষ্ঠুরভাবে লাঠিপেটা হোচ্ছেন, বউ-বাচ্চার মুখে খাবার তুলে দেবার আশায় দাবি আদায়ের আন্দোলনে গিয়ে রক্তাত্ব হোয়ে বাড়ি ফিরে আসছেন। কোটিপোতি মালিকের অবহেলার শিকার হোয়ে শত শত সুবিধাবঞ্চিত ইঁট পাথরের নিছে চাপা পোড়ে মোরছে, আগুনে পুড়ে ছাই হোচ্ছে। জাতির কাণ্ডারী গড়ার কারীগর শিক্ষকরা আজ রাজপথে আন্দোলন কোরতে বাধ্য হোচ্ছেন, নির্যাতিত হোচ্ছেন, অপমানিত হোচ্ছেন। দেশের মেধাবী ছাত্ররা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য রাজপথে নামলে তাদেরকে কুকুরের মত পিটিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া কোরছেন। পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সবখানেই আজ মিথ্যার জয়জয়কার। এভাবে মানব সমাজ চলতে পারে? প্রশ্নটা সকলের প্রতি, বিশেষত তাদের প্রতি যারা ইচ্ছা কোরলেই হয়তবা এই অবস্থা থেকে আমরা নিস্তার পেতে পারি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.