নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৌদ্ধধর্মের উপর নাস্তিক্যের অপবাদ আরোপের কারণ কি?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্রথমেই বলে রাখছি- ধর্মীয় জ্ঞানের ব্যাপারে আমার সীমাবদ্ধতা প্রকট। আমি কোনো গবেষকও নই, সামান্য লেখালেখি করি। আমি কেবল প্রতিটি ধর্মের অন্তর্নিহিত সত্যগুলিকে খুঁজে ফিরছি। কারণ স্রষ্টার অপার মহিমায় আমি এটুকু বুঝতে সক্ষম হয়েছি যে, মানবজাতির বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে স্রষ্টার বিধানই হতে পারে মুক্তির আশ্রয়। ধর্মবর্জিত পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুগত হয়ে মানুষ আজ ধ্বংসের দোরগোড়ায় উপনীত। এখান থেকে একমাত্র ধর্মের শাশ্বত বিধানই কেবল মানবজাতিকে মুক্তি দিতে পারে। সত্যের এই শাশ্বত রূপ সব ধর্মেই আছে, কিন্তু বিকৃতির অতল গহ্বর থেকে তা উদ্ধার করতে গলদঘর্ম হতে হয়। সে লক্ষ্যেই আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস।

পৃথিবীতে প্রচলিত ধর্মগুলোকে জানতে গিয়ে প্রথম যে বাধাটির মুখোমুখি হয়েছি তাহলো- জটিলতা। ধর্মকে এতটাই জটিল করে ফেলা হয়েছে যে, সাধারণ কোনো মানুষের মাধ্যমে এর সামগ্রিক রূপ বুঝতে পারা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম নয়, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইসলাম ইত্যাদি সব ধর্মেই অত্যাধিক জটিলতার সৃষ্টি করা হয়েছে। করেছে ধর্মব্যবসায়ী পুরোহিত শ্রেণিটি। তাদের ইতিহাস ঘাটলেই এ কথার সত্যতা প্রমাণিত হয়। ধর্মকে জটিল ও সাধারণ মানুষের বোধগম্যতার বাইরে নিয়ে গিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে তৈরি করেছে বাণিজ্যনিষদ বা সিন্ডিকেট। প্রতিটি ধর্মের ধর্মজীবী সিন্ডিকেট জটিলতার বেড়াজালে আবদ্ধ করে রেখেছে তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও জাতিকে।

বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে আমার কৌতুহল সীমাহীন। মানবজাতির মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও অহিংসার মন্ত্র শেখায় বৌদ্ধধর্ম। বেশ কিছুদিন হলো আমি বৌদ্ধধর্ম বিষয়ক বই-পুস্তক, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট, বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত বৌদ্ধধর্ম বিষয়ক পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি পড়াশোনা করছি। উদ্দেশ্য- বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্মবিশ্বাসটির মৌলিক বিষয়গুলি জানা এবং সেটাকে মানবতার কল্যাণে কাজে লাগানো। কিন্তু পড়াশোনা করতে গিয়ে আমি কিছু অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। একটি ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলি নিয়ে মতভেদ থাকার কথা নয়, অথচ বৌদ্ধধর্মের ক্ষেত্রে যেন উল্টোটা ঘটেছে। প্রধান বিষয়গুলি জানতে গিয়েও আমাকে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। মাঝে মাঝেই পতিত হয়েছি বৈপরীত্য আর অস্পষ্টতার ভ্রান্তিতে। মতভেদও দেখছি বিস্তর। এটা শাশ্বত যে, সত্যমাত্রই সরল আর মিথ্যামাত্রই জটিল। তাই আমি খোঁজার চেষ্টা করছি ধর্মের সহজ-সরল সত্য কল্যাণময় রূপ, যা সব মানুষের বোধগম্য হবে। সবচেয়ে যেটা আশ্চর্যের বিষয় মনে হলো সেটা হচ্ছে, ৪র্থ/৫ম শ্রেণির বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা বইয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে যেভাবে ধর্মকে উপস্থাপন করা হয়েছে তা আমার নিজের কাছেই দুর্বোধ্য লেগেছে, ঐ বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা সেটাকে কীভাবে আত্মস্থ করছে সেটা আমার সামনে বিরাট এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে আছে। বাচ্চাদের পাঠপুস্তক ছাড়াও অন্যান্য গ্রন্থেও বৌদ্ধধর্মের আলোচনা এতটাই উচ্চমার্গীয় যে, আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞান তার মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। পৃথিবীর প্রধান প্রতিটি ধর্মই স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত বা নবী-রসুল-অবতার অর্থাৎ মহামানবদের মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছে। মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবনধারণ নিশ্চিত করার জন্য স্রষ্টা সেসব ধর্মে সময়োপযোগী পথ-নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। সেগুলোকে মেনে চলে মানুষ শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ লাভ করেছে। তাই সনাতন, এসলাম বা খ্রিস্টধর্মের দিকে নজর দেওয়া মাত্রই একজন স্রষ্টার অস্তিত্ব খুঁজে পাই। কিন্তু ব্যতিক্রম বৌদ্ধ ধর্ম। সাধারণভাবে বলায় হয়, গৌতমবুদ্ধ নিরীশ্বরবাদী ছিলেন এবং বৌদ্ধ ধর্ম কোনো ঐশ্বরিক ধর্ম নয়। কারণ, কোনো বস্তু বা গ্রন্থকে বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই স্বতঃপ্রমাণ হিসেবে না মেনে নেবার উপদেশ দিয়েছেন মহামতি গৌতম বুদ্ধ। তিনি বলেছেন, যেসব বিষয়ের সঙ্গে মানুষের জীবন গঠনের সম্পর্ক নেই, সেই সব বিষয়ে চিন্তা করারও প্রয়োজন নেই। তাই বৌদ্ধ ধর্মকে কর্মবাদসর্বস্ব একটি উন্নত দর্শন হিসেবেই দাবি করে থাকে অধিকাংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। বৌদ্ধ ধর্মে বলা আছে কর্মই ধর্ম, মানুষ নিজেই নিজের ভাগ্য বিধাতা। এখানে ঈশ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই। এখানে যুক্তির ও বাস্তবতার স্থান দেওয়া হয়েছে সবার উপরে। আর তা করতে গিয়ে স্বয়ং ঈশ্বরকেও অস্বীকার করতে কসুর করা হয় নি। কিন্তু আসলেই কি তাই? নাকি অন্যান্য ধর্মের বিকৃতির মতো বৌদ্ধ ধর্মেও সময়ের স্রোতে এত বড় বিকৃতি স্থান করে নিয়েছে? বাস্তবেই কি বৌদ্ধ ধর্ম শুধুই একটি নিরীশ্বরবাদী দর্শনের নাম, নাকি ঈশ্বরবাদী ধর্মের উপর নিরীশ্বরবাদের অপবাদ আরোপ করা হয়েছে?



বৌদ্ধ ধর্মে কি স্রষ্টাকে অস্বীকার করা হয়েছে?



এ বিষয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে আমি পূর্বে আলোচিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নাস্তিক্যবাদী ধ্যান-ধারণার বিপরীত চিত্র দেখতে পাই। বুদ্ধের এমন অনেক সুত্র আছে যেখানে স্বর্গের দেবতার এবং স্বর্গের কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে যেমন- গুরুত্বপূর্ণ রতন সুত্রে, মহামঙ্গল সুত্রে। বুদ্ধের বাণী ছাড়াও এদেশের বৌদ্ধদের শিরমনি মহামান্য সাধনান্দ মহাস্থবির উনার ধর্ম দেশনার সব বইগুলাতে স্বর্গ নরকের কাহিনী বর্ণনা করেছেন। যেখান থেকে বোঝা যায়, মহামতি গৌতম বুদ্ধ স্বর্গের কথা বলেছেন।পৃথিবীর ধর্মভূমি নামে খ্যাত ভারতবর্ষে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। মায়ের দাঁড়ানো অবস্থায় তাঁর জন্ম, জন্মের পর উত্তর দিকে সপ্তপদ্মের উপর সপ্তপদ গমন, তর্জনী উত্তোলন করে-“অগ্গোহমস্মি লোকস্স, জেট্ঠোহমস্মি লোকস্স, সেট্ঠোহমস্মি লোকস্স’ অয়ং অন্তিম জাতি নত্থিদানি পুনব্ভবো’তি”-অর্থাৎ আমিই জগতে অগ্র, জ্যেষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠ বলে তিনিি সিংহ নাদ করেন। তাঁর মাতৃগর্ভে উৎপত্তি, জন্ম, সংসারত্যাগ, বুদ্ধত্বলাভ, ধর্মচক্র প্রবর্তন, আয়ুসংস্কার ত্যাগ ও পরিনির্বাণকালে দশহাজার চক্রবালের কম্পন প্রভৃতি বহু অলৌকিক ঘটনার বিষয় বৌদ্ধ-শাস্ত্রে পাওয়া যায়। গৌতম বুদ্ধ পরকাল সম্বন্ধে তাঁর শিষ্যদের বহুকিছু বলে গেছেন। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন- পরকাল নির্ভর করে মানুষের ইহজন্মের কর্মের উপর। মৃত্যুর পর মানুষ ৩১ লোকভুমির যে কোনো একটিতে গমন করে। এই ৩১ লোকভুমি ৪ প্রকারের হয়ে থাকে। যথা- অপায়, স্বর্গ, রূপব্রহ্মভূমি এবং অরূপব্রহ্মভূমি। অপায় হলো আবার ৪ ধরনের অর্থাৎ তীর্যক (পশু-পাখি কুল), প্রেতলোক (প্রেত-প্রেতনী), অসুর (অনাচারী দেবকুল) ও নরক (নিরয়)। স্বর্গ হলো ৭ ধরনের অর্থাৎ মনুষ্যলোক, চতুর্মহারাজিক স্বর্গ, তাবতিংশ স্বর্গ, যাম স্বর্গ, তুষিত স্বর্গ, নির্মানরতি স্বর্গ, পরনির্মিত বসবতি স্বর্গ। আবার রূপব্রহ্মভূমি ১৬ প্রকারের এবং অরূপব্রহ্মভূমি ৪ প্রকারের। অর্থাৎ বুদ্ধের শিক্ষা অনুযায়ী পরকাল হয় মোট ৩১ প্রকার। এই ৩১ প্রকার লোকভুমির উপরে সর্বশেষ স্তর হচ্ছে নির্বাণ বা পরম মুক্তি। ইহজন্মে মানুষ যদি মাতৃহত্যা, পিতৃহত্যা, গুরুজনের রক্তপাত ঘটায় তাহলে মৃত্যুর পর সেই মানুষ চতুর অপায়ে (তীর্যক, প্রেতলোক, অসুর, নরক) জন্মগ্রহণ করে, আর ইহজন্মে মানুষ যদি ভালো কাজ করে তাহলে মৃত্যুর পর সেই মানুষ বাকি ২৮ লোকভুমিতে গমন করে। বৌদ্ধ ধর্ম যদি নাস্তিক্যবাদীই হোয়ে থাকে তাহলে গৌতম বুদ্ধের জীবনীতে এত অলৌকিক ঘটনার সমাহার কেন? আর পরকালের এই ৩১ প্রকারের লোকভূমিরই বা কী হেতু? যারা বৌদ্ধধর্মকে নিরীশ্বরবাদী আখ্যা দেন তাদের নিকটে এই প্রশ্নের সরল উত্তর আশা করছি। স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে গৌতম বুদ্ধ অন্যান্য ধর্মের অবতার বা মহামানবদের মতোই চিত্রিত হয়েছেন। গৌতম বুদ্ধকে নবী ঈসার (আ:) সঙ্গে তুলনা কোরে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “ইহুদি ধর্মের সহিত খ্রিস্টানধর্মের যে সম্বন্ধ, হিন্দুধর্ম অর্থাৎ বেদবিহিত ধর্মের সহিত বর্তমানকালের বৌদ্ধধর্মের প্রায় সেইরূপ সম্বন্ধ। যীশুখ্রিস্ট ইহুদি ছিলেন ও শাক্যমুনি (বুদ্ধদেব) হিন্দু ছিলেন। শাক্যমুনি নতুন কিছু প্রচার করিতে আসেন নাই। যীশুর মতো তিনিও (পূর্ব ধর্মমতকে) ‘পূর্ণ করিতে আসিয়াছিলেন, ধ্বংস করিতে আসেন নাই।’ [১৮৯৩ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর শিকাগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বধর্ম মহাসভায় প্রদত্ত বক্তৃতা]। গৌতম বুদ্ধের নাস্তিক হওয়ার বিরুদ্ধে স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর ‘ভগবান বুদ্ধ ও তাঁর বাণী’ বইতে লিখেছেন যে, শ্রী গৌতম বুদ্ধ তাঁর যুগে আবির্ভূত হোয়ে তাঁর জাতির উপর যেরূপ প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হোয়েছিলেন, সে যুগের কোন নাস্তিকের পক্ষে তা ছিল অসম্ভব-কল্পনার অতীত।’স্বামী বিবেকানন্দের ছুঁড়ে দেওয়া এই প্রশ্নটিরও যথপোযুক্ত জবাব প্রাজ্ঞজনদের নিকট আশা করছি। নাস্তিক্যবাদ কখনও দৈব শক্তিতে বিশ্বাস করে না। কোনো জ্যোতির্বিদ্যা, গণনা, ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাস নাস্তিক্যের পরিপন্থী। অথচ মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবনীতে এমন বহু ঘটনা আমরা দেখতে পাই। যেমন বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্রে গৌতম বুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা উল্লেখ আছে, যা কোনো নাস্তিকের পক্ষে করা শোভা পায় না এবং তাদের দ্বারা সম্ভবও নয়। প্রখ্যাত ভাষাবিদ, ঐতিহাসিক ও প্রতœতত্ত্ববিদ রাহুল সংকৃত্যায়ন শ্রীলঙ্কার বৈশালী নগরের মাটির তলায় প্রাপ্ত বুদ্ধের জীবনীমূলক একগুচ্ছ শিলালিপির পাঠোদ্ধার কোরেছেন। ঐ শিলালিপিতে গৌতম বুদ্ধের একটি ভবিষ্যদ্বাণীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ঐ শিলালিপি হোতে জানা গেছে যে, গৌতমবুদ্ধ এক প্রশ্নের জবাবে তাঁর শিষ্যকে জানান যে, ‘তিনিই একমাত্র মার্গ্যাধ্যায়ী নন; তাঁর পূর্বেও মার্গ্যাধ্যায়ী এসেছিলেন এবং পরেও আসবেন (আর্য-রহস্য: নাসির আহমেদ)।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, রাহুল সংকৃত্যায়ন কর্তৃক আবি®কৃত এই তথ্যের সত্যতা শ্রীলঙ্কা থেকে প্রাপ্ত অপর এক প্রামাণিক গ্রন্থ ঞযব এড়ংঢ়বষ ড়ভ ইঁফফযধ নু চধঁষ ঈধৎঁং হতেও সুপ্রতিষ্ঠিত। সেখানে লিখিত আছে: শিষ্য আনন্দ গৌতম বুদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার মৃত্যুর পর কে আমাদেরকে উপদেশ দিবে? উত্তরে বুদ্ধ জানালেন:

ঞযব ইষবংংবফ ঙহব ৎবঢ়ষরবফ: “ও ধস হড়ঃ ঃযব ভরৎংঃ ইঁফফযধ যিড় পধসব ঁঢ়ড়হ বধৎঃয, হড়ৎ ংযধষষ ও নব ঃযব ষধংঃ. ওহ ফঁব ঃরসব ধহড়ঃযবৎ ইঁফফযধ রিষষ ধৎরংব রহ ঃযব ড়িৎষফ, ধ ঐড়ষু ঙহব, ধ ংঁঢ়ৎবসবষু বহষরমযঃবহবফ ঙহব, বহফড়বিফ রিঃয রিংফড়স রহ পড়হফঁপঃ, ধঁংঢ়রপরড়ঁং, শহড়রিহম ঃযব ঁহরাবৎংব, ধহ রহপড়সঢ়ধৎধনষব ষবধফবৎ ড়ভ সবহ, ধ সধংঃবৎ ড়ভ ধহমবষং ধহফ সড়ৎঃধষং. ঐব রিষষ ৎবাবধষ ঃড় ুড়ঁ ঃযব ংধসব বঃবৎহধষ ঃৎঁঃযং যিরপয ও যধাব ঃধঁমযঃ ুড়ঁ. ঐব রিষষ ঢ়ৎবধপয যরং ৎবষরমরড়হ, মষড়ৎরড়ঁং রহ রঃং ড়ৎরমরহ, মষড়ৎরড়ঁং ধঃ ঃযব পষরসধী, ধহফ মষড়ৎরড়ঁং ধঃ ঃযব মড়ধষ, রহ ঃযব ংঢ়রৎরঃ ধহফ রহ ঃযব ষবঃঃবৎ. ঐব রিষষ ঢ়ৎড়পষধরস ধ ৎবষরমরড়ঁং ষরভব, যিড়ষষু ঢ়বৎভবপঃ ধহফ ঢ়ঁৎব; ংঁপয ধং ও হড়ি ঢ়ৎড়পষধরস.” (ঞযব এড়ংঢ়বষ ড়ভ ইঁফফযধ নু চধঁষ ঈধৎঁং, চধমব হড়. ২১৭১)

অর্থাৎ আমিই প্রথম বুদ্ধ নই এবং শেষ বুদ্ধও নই। যথাসময়ে এই ধরাপৃষ্ঠে আর একজন বুদ্ধের আবির্ভাব ঘটবে। তিনি হবেন অতি পবিত্র এবং সর্বাধিক আলোকপ্রাপ্ত। তিনি বিভূষিত হবেন গভীর প্রজ্ঞাসম্পন্ন জীবনপদ্ধতি দ্বারা, তিনি হবেন মাঙ্গলিক, বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে নিগূঢ় জ্ঞানের অধিকারী, মানবজাতির জন্য একজন অতুলনীয় নেতা, সকল মৃত্যুহীন সত্ত্বা এবং মরণশীলের প্রভু। তিনি তোমাদের সামনে প্রকাশ করবেন সেই অভিন্ন মহাসত্য যা আমি তোমাদের কাছে তুলে ধরেছি। তিনি যে ধর্ম প্রচার করবেন তা হবে সৃষ্টি, পরিণতি ও লক্ষ্যে গৌরবময়, চেতনা ও বাক্যশৈলীতে মহিমাময়। তিনি এমন এক ধর্ম প্রচার করবেন যা হবে নিখুঁত ও খাঁটি, ঠিক যেমন নিখুঁত ও খাঁটি হোচ্ছে আমার প্রচারিত ধর্ম।

আনন্দ জানতে চাইলেন, “আমরা তাঁকে কিভাবে চিনতে পারবো?”

বুদ্ধ বললেন, “তিনি মৈত্তেয় (বা মৈত্রেয়) নামে পরিচিত হবেন।”

বৌদ্ধ ধর্মের অপর প্রামাণ্য গ্রন্থ দিঘানিকায়াতেও ঘোষণা করা হোয়েছে যে, ‘মানুষ যখন গৌতম বুদ্ধের ধর্ম ভুলে যাবে তখন আর একজন বুদ্ধ আসবেন, তাঁর নাম হবে মেত্তেয় অর্থাৎ শান্তি ও করুণার বুদ্ধ।’ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ গবেষকগণ লিখে গেছেন, এখানে মৈত্রেয় বলতে আল্লাহর শেষ রসুল মোহাম্মদ (দ:) কে বোঝানো হয়েছে। এমন ভবিষ্যদ্বাণী কি কোনো নিরীশ্বরবাদীর পক্ষে করা সম্ভব? সম্ভব নয়। কারণ, মানুষ ভবিষ্যৎ জানে না, শত চেষ্টা করলেও সে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে না, যতক্ষণ না ঈশ্বর তাকে ভবিষ্যতের জ্ঞান দান করেন। কাজেই এটাই কি প্রমাণিত হয় না যে, গৌতম বুদ্ধ আস্তিক ছিলেন, তাঁর প্রচারিত ধর্ম মানবতাবাদী ধর্ম বটে, তবে স্রষ্টাহীন নয়?

সকল ধর্মের অনুসারীদের উচিৎ অন্য ধর্মগুলি সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলি জানা, এতে অনেক ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। পরিশেষে আমি অকপট হৃদয়ে বলতে চাই যে, বৌদ্ধ ধর্মে নিরীশ্বরবাদ নিয়ে আমি দ্বিধান্বিত। কেউ আমার দ্বিধা দূর করতে এগিয়ে আসবেন এ প্রত্যাশা নিয়ে এখানেই শেষ করছি।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ লেখায় ++

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বুদ্ধং শরনং গচ্ছামি!

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২২

নতুন বলেছেন: অলৌকিক গল্পগুলকে আপনি কতটা সত্য মনে করেন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: সেটা অন্য প্রসঙ্গ। আমি ঐ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলছি না। আমার কথা হলো- বৌদ্ধধর্মগ্রন্থ ও সাহিত্যে বহু অলৌকিক ঘটনার সমাহার হয়েছে। ব্যস এটুকুই আপাতত আলোচ্য বিষয়। সেগুলোর সত্য-মিথ্যার প্রশ্ন আমি তুলছি না। যেমন সত্য-মিথ্যার প্রশ্ন তুলছি না সনাতন ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম ও ইসলাম ধর্মের অগণিত অলৌকিক ঘটনাগুলো নিয়ে।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মানবজাতির বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে স্রষ্টার বিধানই হতে পারে মুক্তির আশ্রয়। ধর্মবর্জিত পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুগত হয়ে মানুষ আজ ধ্বংসের দোরগোড়ায় উপনীত। আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। বরং উল্টোটাই সত্য। ধর্মপ্রবণ জাতিগুলোই দুনিয়াতে অশান্তিতে রয়েছে। সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য ধর্মের কোনো প্রয়োজন কোনো কালেই ছিল না। মানুষের সাম্প্রদায়িক পরিচয়ই দুনিয়ায় অশান্তির জন্য দায়ী। ঈশর কি ছোটলোক ও ঈশ্বরের এক অবিশ্বাসীর কথোপকথন শিরোনামের আমার দুটি গদ্য রয়েছে। সেখানে অনেক প্রশ্ন রয়েছে এসব ব্যাপারে। আপনাকে পড়ার আহবান জানাই।
Click This Link

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২২

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ‍ধর্মপ্রবণ জাতিগুলোই দুনিয়াতে অশান্তিতে রয়েছে- অবশ্যই, ধর্মপ্রবণ জাতিগুলো অশান্তিতে আছে। তার মানে এই নয় যে, অন্যান্য জাতিগুলো খুব সুখে-শান্তিতে আছে। আশা করি অর্থ-সম্পদকে সুখ-শান্তির মাপকাঠি হিসেবে বিচার করে নির্বুদ্ধিতার আশ্রয় নিবেন না।
ধর্মভীরু জাতিগুলো্ও অশান্তিতে আছে (অন্যান্য জাতির চেয়ে অবশ্যই বেশি অশান্তিতে) কারণ, তাদের পালিত ধর্মের কখন প্রাণবায়ু ফুরিয়ে গেছে তা তারা নিজেরা্ও জানে না। প্রাণহীন, নির্জীব, মৃত ধর্ম পালন করে বেড়াচ্ছে সবাই। ধর্মের প্রাণ হলো মানবতা। যুগে যুগে মানুষের শান্তির জন্য, সম্প্রীতি-সৌহার্দ্র ও ঐক্যের জন্য এসেছে ধর্ম। অথচ আজ যে যত বেশি ধার্মিক সে তত বেশি মানবতাবিরোধী কাজ করে। তিন দিনের বুভূক্ষ ভিক্ষুককে খাবার দানের চেয়ে এদের কাছে পূজা মণ্ডবে দুধ-কলা দেওয়া, হুজুর-আলেম-ওলামাকে মুরগীর রান খাওয়ানো বেশি জরুরি। এদের ধর্ম মানবতাহীন তথা আত্মাহীন, মৃত।




সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য ধর্মের কোনো প্রয়োজন কোনো কালেই ছিল না।- অবশ্যই নয়। সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্যই ধর্মের প্রয়োজন ছিল। মানুষের ইতিহাস যতদূর জানা যায়, দেখা যায়- সব যুগে, সব জাতিই তাদের জীবন পরিচালনা করে এসেছে ধর্মের বা শাস্ত্রের আইনে। যখন সেগুলোকে সঠিকভাবে ও অবিকৃতভাবে মেনেছে তখন এসেছে শান্তি, আর যখন ধর্মজীবীরা সেটাকে বিকৃত করে ফেলেছে তখনই মানুষ অশান্তিতে পতিত হয়েছে। এটাই মানবজাতির এক লাইনের ইতিহাস। এই তো সেদিন ১৫৩৭ সালে ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম ধর্মকে জাতীয় জীবন থেকে প্রত্যাখ্যান করে ব্যক্তিজীবনে নির্বাসন দেওয়া হয় আর জীবন পরিচালনার জাতীয় সিস্টেম মানুষ নিজেই তৈরি করার চেষ্টা শুরু করে। জন্ম হয় ধর্মনিরপেক্ষতার। জন্ম হয় অন্যায়-অবিচার, অশান্তি, যুদ্ধ রক্তপাতের নতুন ধারার। হ্যাঁ, এটা হয়ত করা হতো না যদি ধর্ম অবিকৃত থাকতো, কিন্তু ধর্ম বিকৃত হয়ে যাবার কারণেই ইউরোপের মধ্যযুগ ছিল এত অন্ধকার। আবার ঐ ধর্মই অবিকৃত থাকার কারণে মুসলিমদের মধ্যযুগ ছিল স্বর্ণযুগ। যাই হোক, ইউরোপে খ্রিস্টধর্ম মোতাবেক জাতীয় জীবন পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় যে ধর্মনিরপেক্ষতার জন্ম হয় তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীকে। ফল ভোগ করতে হয়েছে গত শতাব্দীর দুই বিশ্বযুদ্ধে মানব ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণহানী আর চলতি শতাব্দীতে শুধু এক ইরাকেই দশ লক্ষ আদম সন্তানের প্রাণহানীর মধ্য দিয়ে। অন্যান্য হৃদয়বিদরী ঘটনা না হয় আলোচনার বাইরেই রাখলাম।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মানবজাতির বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে স্রষ্টার বিধানই হতে পারে মুক্তির আশ্রয়। ধর্মবর্জিত পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুগত হয়ে মানুষ আজ ধ্বংসের দোরগোড়ায় উপনীত। আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। বরং উল্টোটাই সত্য। ধর্মপ্রবণ জাতিগুলোই দুনিয়াতে অশান্তিতে রয়েছে। সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য ধর্মের কোনো প্রয়োজন কোনো কালেই ছিল না। মানুষের সাম্প্রদায়িক পরিচয়ই দুনিয়ায় অশান্তির জন্য দায়ী। ঈশর কি ছোটলোক ও ঈশ্বরের এক অবিশ্বাসীর কথোপকথন শিরোনামের আমার দুটি গদ্য রয়েছে। সেখানে অনেক প্রশ্ন রয়েছে এসব ব্যাপারে। আপনাকে পড়ার আহবান জানাই।
Click This Link

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৪

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:


@ মোহাম্মদ আসাদ আলী :

আপনি বলেছেন,--------------
"এমন ভবিষ্যদ্বাণী কি কোনো নিরীশ্বরবাদীর পক্ষে করা সম্ভব? সম্ভব নয়। কারণ, মানুষ ভবিষ্যৎ জানে না, শত চেষ্টা করলেও সে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে না, যতক্ষণ না ঈশ্বর তাকে ভবিষ্যতের জ্ঞান দান করেন। কাজেই এটাই কি প্রমাণিত হয় না যে, গৌতম বুদ্ধ আস্তিক ছিলেন, তাঁর প্রচারিত ধর্ম মানবতাবাদী ধর্ম বটে, তবে স্রষ্টাহীন নয়? "


হ্যা, আজ লিখা পড়ে আমিও আপনার মতোই দ্বিধান্বিত।
আজকে আমার অনেক কিছু জানা হলো।

এই জন্যই মনে হচ্ছে যে, বুদ্ধ হয়তো স্রোষ্টার কথা ঠিকই প্রচার করেছিলেন।
কিন্তু কালের আবর্তে কিছু ধর্মগুরু সেগুলো মুছে ফেলেছে।

বিপুল ভাবে প্রসার পাওয়া এই ধর্মের সত্যিকারের অনুসারীরা হয়তো সংখ্যালঘু হতে হতে এক সময়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: পড়ে যথাযথ উপলব্ধি করার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩১

নতুন বলেছেন: ।আপনি যদি অলৌকিকতায় বিশ্বাস না করেন তবে মৌত্রেয় সম্পকে ভবিষ্যতবানী সৃস্টকতৃা হতে পেয়েছন সেটা বিশ্বাস হবেনা..

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমিই প্রথম বুদ্ধ নই এবং শেষ বুদ্ধও নই। - এই লাইনটির পূর্বের বেশ কিছু অংশ টাইপিং এরোর-এর জন্যে পড়া যাচ্ছে না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: আমিই প্রথম বুদ্ধ নই এবং শেষ বুদ্ধও নই।-
এর আগের লাইনগুলো ইংরেজিতে লেখা বিধায় পড়া যাচ্ছে না। তবে বাংলা অনুবাদ দেখে বুঝে নিতে পারেন।

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট। বুদ্ধ মতাদর্শকে নাস্তিক দর্শন বলা হয় তার কারণ হয়তো পুরো মতাদর্শে কোন জায়গায় ঈশ্বরের কোন উল্লেখ নাই সেজন্য। আর ধর্ম বিশ্বাসের বাদবাকী সবই তো আছে দেখছি। তাছাড়া বুদ্ধমতে বেদকে সরাসরি মেনে নেয়া হয়নি বলেও হয়তো এতে নাস্তিক ট্যাগ লেগেছে। কারণ ভারতবর্ষে বেদের সমালোচনাকারী (অংশবিশেষ হলেও) যেকোন মতাদর্শই নাস্তিক মতাদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়। যেমন আরো আছে জৈন, চার্বাক। তবে বুদ্ধের ভবচক্র বড়ই গোলমেলে। ভবচক্র দেখলে মনেহয় সকল জীবের নির্বাণ পাওয়ার সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে কয়েক হাজার পারমানবিক বোমা দিয়ে সমগ্র দুনিয়ার জীবজগতকে একেবারে ধ্বংস করে দেয়া। জীব থাকবেনা তাই থাকবেনা থাকবেনা কোন নতুন জীবের আবির্ভাব। সব্বে সত্ত্বার একযোগে নির্বাণ!!

পোষ্টে প্লাস

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৫

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: প্রাচীন ধর্ম গ্রন্থগুলো লিখিত যুগের আগের সময়কার। এগুলো প্রচার হয়েছে শ্রুতি থেকে শ্রুতিতে। এবং একটা সময় অনেক কিছুই ঠিক আগের মতো থাকেনি। কিন্তু কোরআন লিখিত যুগের ধর্ম গ্রন্থ। তাই কোরআন আমাদের হাতে এসেছে সম্পূর্ন অবিকৃত আবস্থায়। তাছাড়া আল্লাহ নিজেই এর রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন। এজন্য কোরআন সর্বশেষ এবং সমগ্র মানবজাতীর জন্য নাযিলকৃত ধর্ম গ্রন্থ।

কয়েকটা বুদ্ধবানী:

১. মিথ্যাবাদী, ধর্মলংঘনকারী ও পরকালে অবিশ্বাসী ব্যক্তি যেকোনো পাপ কাজ করতে পারে। [লোকবগগো: ১৭৬]

২. আলস্যকে প্রশ্রয় দিও না। ধর্মকে অনুসরন কর। ইহলোক ও পরলোক- দুই লোকেই সুখে থাকবে। [ লোকবগগো: ১৬৮]

৩. পাপী ইহলোক ও পরলোক- উভয়লোকেই মনস্তাপে দগ্ধ হয়। অপরদিকে পুণ্যবান উভয়লোকেই পরমানন্দ লাভ করেন। [যমকবগগো: ১৭-১৮]

৪. ধর্মশিক্ষা দান সর্বোত্তম দান, ধর্মের আলো সর্বোত্তম আলো, ধর্মপালন সর্বোত্তম আনন্দ, আসক্তির বিনাশ সর্বদুঃখ বিজয়। [তনহাবগগো: ৩৫৪]

৫. পাপের প্রতিফল না পাওয়া পর্যন্ত মূর্খরা পাপকেই অমৃত বলে মনে করে। মনস্তাপ শুরু হয় পাপের ফল পাওয়ার পর। [বালবগগো:৬৯]

কোনো ধর্মই ঈশ্বরের ধারনা বিবর্জিত নয়, কারন সব ধর্মাই ঈশ্বরীক।

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:


@ *কুনোব্যাঙ* :

আপনি বলেছেন,----------
" তবে বুদ্ধের ভবচক্র বড়ই গোলমেলে। ভবচক্র দেখলে মনেহয় সকল জীবের নির্বাণ পাওয়ার সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে কয়েক হাজার পারমানবিক বোমা দিয়ে সমগ্র দুনিয়ার জীবজগতকে একেবারে ধ্বংস করে দেয়া। জীব থাকবেনা তাই থাকবেনা থাকবেনা কোন নতুন জীবের আবির্ভাব। সব্বে সত্ত্বার একযোগে নির্বাণ!!"


যেই সব ধর্মে নির্বাণ বলে কিছু আছে, তারা আপনার এই আশ্চর্য বিশ্লেষণ দেখলে ও অনুসরণের চেষ্টা করতে গেলে কি হবে ভাবতেই পারছিনা।

১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

নতুন বলেছেন: The phrase unanswered questions or undeclared questions (Sanskrit avyākṛta, Pali: avyākata - "unfathomable, unexpounded"[1]), in Buddhism, refers to a set of common philosophical questions that Buddha refused to answer, according to Buddhist texts. The Pali texts give only ten, the Sanskrit texts fourteen questions.


১৪ টা বিষয়ে বুদ্ধা নিরব ছিলেন... মৃতুর পরের জীবনের ব্যপারেও কিছু বলেন নাই.. সৃস্টি কত'`া নিয়ে বুদ্ধার চিন্তা কি??

১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: @মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ

বুদ্ধের অনেককিছুই গ্রহন করার মতো কিন্তু বুদ্ধের দুঃখবাদী দর্শন ব্যক্তিগত ভাবে আমার পছন্দ না। জগত দুঃখময় এমনকি সুখটাকেও বুদ্ধ দুঃখের কারণ হিসেবে দেখেছেন। জীবনে দুঃখ ছাড়া কিছু নাই শুধু দুঃখ আর দুঃখ। আর দুঃখের কারণ কি, কামনা। কামনাই মানুষের দুঃখের কারণ। এর এই কামনা দ্বারা চালিত অতৃপ্ত আত্না কামনা পূরণের আশায় বারবার জীবন লাভ করে। পুনঃজন্ম আরকি। তো এই বারবার জীবন লাভ না করার উপায় হচ্ছে আত্নার কামনা মুক্তি। এখন কামনা মুক্তি কিভাবে আসবে? নির্বাণের মাধ্যমে।

তো কথা হচ্ছে এত কষ্ট করে নিয়মাচার পালন করে নির্বাণ পাওয়ার কি দরকার। তাছাড়া সবাই তো কষ্ট করে নির্বাণ লাভ করতে পারবেনা। তারচাইতে কয়েক হাজার পারমানবিক বোমা মেরে পুরা দুনিয়া উড়িয়ে দিলে কোন জীব জগত থাকবেনা তাই থাকবেনা নতুন জন্ম তাই সম্ভাবনা থাকবেনা কারো নতুন করে জগতে ফিরে আসার। সবাই একযোগে নির্বাণ!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.