নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইএসের বাংলাদেশ ভাবনা, বাংলাদেশের আইএস ভাবনা

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

সম্প্রতি আইএসের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত অনলাইন মাসিক পত্রিকা ‘দাবিক’- এ বাংলাদেশ নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, যাকে বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতি ও সক্রিয়তার দালিলিক প্রমাণ হিসেবেও ধরা যেতে পারে। বাংলাদেশে আইএস আছে কি নেই- বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমের মধ্যে এই বিতর্ক যখন তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ই এ দেশে আইএসের অতীত কর্মকাণ্ড, তাদের মনোভাব, আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে এই নিবন্ধে। এমনকি বাংলাদেশ নিয়ে আইএসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনারও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সেখানে। দাবিকের ১২তম সংখ্যায় The Revival of Jihad in Bengal: With the Spread of the Light of the Khilafah শিরোনামের নিবন্ধে সাম্প্রতিক বিদেশী হত্যা, চেকপোস্টে পুলিশ হত্যা ও হোসনে দালানে বোমা হামলার পুনর্বার দায় স্বীকার করা হয় এবং বাংলাদেশ সরকারকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, বাংলায় খলিফার সেনারা যখন কুফরের বিরুদ্ধে নতুন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন ধর্মনিরপেক্ষ মুর্তাদ আওয়ামী লীগ সরকার সত্য বিকৃত করছে এবং মুরতাদ বিএনপি ও জামায়াতের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
বাংলাদেশে আইএসের সক্রিয়তা ও সাম্প্রতিক বিদেশী হত্যাকাণ্ড নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পর্যালোচনাকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘সাইট’ বরাবরই দাবি করে আসছিল যে, এইসব ঘটাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত অঞ্চল দখলকারী জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। কিন্তু তাদের সেই দাবিকে বাংলাদেশ সরকার কখনই আমলে নেয় নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার বলেছেন বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই। একই সুরে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীও। উল্লেখ্য, এতদিন আইএসের দায় স্বীকারের খবর প্রদান করেছে কেবলই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওই ওয়েবসাইটটি, এছাড়া আইএসর পক্ষ থেকে তেমন কোনো সমর্থনযোগ্য সূত্রে দায় স্বীকারের খবর না পাওয়াকে সরকার তাদের পক্ষে যুক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এটাও জানানো হয়েছিল যে, আইএসের নামে দায় স্বীকার করে টুইট করা হয়েছে বাংলাদেশে বসে। এ দেশেরই একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আইএসের উপর দায় চাপাচ্ছে। কিন্তু আইএসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিনে দায় স্বীকারের পর আর কোনো কথা থাকতে পারে বলে মনে হয় না। সরকার যা-ই বলুক, এখন অনেকেই বাংলাদেশে আইএসের সক্রিয় উপস্থিতিকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন।
আসলে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে কালো পতাকা হাতে রাস্তায় বেরোলেই কেবল আইএস হয় না। বস্তুত মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাগদাদির অনুসারীদের বাংলাদেশে প্রবেশের প্রয়োজন নেই। আইএস এর আদর্শ ধারণকারী মানুষ এ দেশেই আছে। ঘটনাক্রমে তাদের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তারা শরীরে আইএসের লেবাস না লাগালেও মনে মনে একেকজন পাক্কা আইএসবাদী হয়ে আছে। অনেক ভালো ভালো পদে বসে থাকা মানুষ আইএসকে সাপোর্ট করছে, মনে-প্রাণে তাদের বিজয় কামনা করছে। একটি বিরাট সংখ্যার মানুষ দাঁতে দাঁত চেপে রয়েছে এই আশায় যে, একদিন আইএস এই দেশে হানা দিয়ে তাদের ভাষায় নাস্তিক, মুরতাদ ও কাফেরদের ধ্বংস করবে, গাজওয়াতুল হিন্দ হবে, মুসলমানরা বিজয়ী হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আইএসের লেবাস গায়ে না জড়ালেও প্রকারান্তরে এরাও আইএস। সুতরাং কে আইএস, আর কে আইএস না, তা সরকারি দফতরে বসে যেমন টের পাওয়া যাবে না, তেমন গোয়েন্দাদের হাতেও সেরকম কোনো ফিল্টার নেই যা দিয়ে তারা ১৬ কোটি মানুষ থেকে জঙ্গিদেরকে ছেঁকে ছেঁকে পৃথক করতে পারে। একবার আইএসের সবুজ সংকেত পেলে আপনার-আমার পাশের চেয়ারে বসে থাকা মানুষটিও যে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে আপনার-আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে না তার নিশ্চয়তা নেই। এমন তো নয় যে, আমাদের দেশে অতীতে কোনো জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড হয় নি, বোমাবাজী হয় নি, সন্ত্রাস হয় নি কিংবা জেহাদের কথা বলে ধর্মবিশ্বাসী মানুষকে ভ্রান্ত পথে চালিত করা হয় নি। সবগুলোই হয়েছে, কখনও তার তীব্রতা বেশি ছিল, কখনও কম। বিগত দশকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে সরকারি বাহিনীর ব্যাপক দমনাভিযান শুরু হয়। সরকার জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতৃত্বকে জেল-জরিমানা-ফাঁসির মুখোমুখি করতে সক্ষম হয়। ফলে জঙ্গিবাদের তীব্রতা কমে আসে। পরবর্তীতে সব সরকারের আমলেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দমনাভিযান অব্যাহত থাকলে জঙ্গিরা আর প্রকাশ্যে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে নি। কিন্তু এটাকেই যদি সরকার পরম বিজয় ধরে বসে থাকে এবং ভাবে যে, বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ মুছে গেছে, আর ফিরে আসার সুযোগ পাবে না তাহলে তা নিঃসন্দেহে বড় ভুল হবে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে যখন ক্রমাগত ব্লগার হত্যা, বিদেশী হত্যা, পুলিশ হত্যা, জনাকীর্ণ স্থানে বোমা হামলা ইত্যাদি ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলেছে এবং সবক’টি ঘটনার দায় স্বীকার করছে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠন, তাও আবার এমন এক সময়ে যখন আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে, জঙ্গিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের থাবায় একের পর এক দেশে চলছে ধ্বংসযজ্ঞ, মানুষ প্রাণের মায়ায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে ছুটছে, জঙ্গিবাদের রঙ্গমঞ্চকে কেন্দ্র করে ঘনিভূত হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, তখন স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরও আইএস নেই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকা হবে চরম আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত।
সরকারের পক্ষ থেকে আইএসের উপস্থিতিকে অস্বীকার করার সম্ভাব্য কারণ দু’টি।
এক- সংকীর্ণতাবশত সরকার মনে করছে, এসব কেবলই বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র, এর সাথে জঙ্গিদের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই;
দুই- সরকার বুঝতে পারছে আইএস বা জঙ্গিরা বাংলাদেশকে টার্গেট করেছে, কিন্তু এটা স্বীকার করলে ইরাক-সিরিয়া-আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির রঙ্গমঞ্চে পরিণত হবে- এই ভয়।
যদি প্রথম কারণটা সত্য হয় তাহলে বলব- এই সংকীর্ণতার পরিণতি হবে অতি ভয়াবহ। আর যদি দ্বিতীয়টি সত্য হয় অর্থাৎ আইএসের উপস্থিতি অস্বীকার করা কেবলই সরকারের কৌশলগত সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তাকে সাধুবাদ জানাই। যেহেতু আইএস একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী এবং তার প্রতিপক্ষ সেজে আছে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা, কাজেই বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নিয়ে যতই প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে ততই পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা বাংলাদেশকে হাতের নাগালে পেয়ে যাবে। জঙ্গি দমনের নামে শুরু হবে নতুন কোনো প্রহসন। রক্ত ঝরবে সাধারণ মানুষের। সার্বভৌমত্ব হারাবে ১৬ কোটি বাঙালি। পশ্চিমা পরাশক্তিগুলো ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নাম দিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে বহু দেশ, নির্বিচারে হত্যা করেছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে, কিন্তু পরিসংখ্যান বলে- আজ পর্যন্ত তারা পৃথিবীর একটি দেশকেও জঙ্গিবাদের ছোবল থেকে মুক্ত করতে পারে নি। বাংলাদেশকেও পারবে না। সুতরাং, সরকার যদি আইএসের অস্তিত্বকে আপাতত অস্বীকার করে অভ্যন্তরীণভাবে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে তা নিঃসন্দেহে দূরদর্শিতার পরিচয় প্রদান করে।
প্রশ্ন হলো- অভ্যন্তরীণভাবে সরকার কী পদ্ধতিতে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করতে চায়? এখানেও দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। এক- শক্তি প্রয়োগ, ব্যাপক দমনাভিযান, ধর-পাকড়, জেল-জরিমানা, ফাঁসি ইত্যাদি। দুই- আদর্শিকভাবে ইসলাম ধর্মের আলোকে জঙ্গিবাদের ভুল-ত্র“টি প্রচার করার মাধ্যমে। এখানে বলে রাখা দরকার, আইএসের ‘দাবিক’ ম্যাগাজিনের ভাষ্য মোতাবেক, বর্তমানে বাংলাদেশে যে জঙ্গিরা আইএসের হয়ে সক্রিয় রয়েছে তারা হচ্ছে জেএমবি ও তার সমমনা সংগঠনগুলো যাদেরকে এক সময় সরকার ব্যাপকভাবে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যত নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছিল। আইএসের দাবি সত্য হলে বাস্তবতা এই দাঁড়ায় যে, সরকার তার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে যে সংগঠনটিকে কার্যত নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছিল বলে মনে করা হয় তা আদতে নিশ্চিহ্ন হয় নি, সুপ্ত অবস্থায় শক্তি সংগ্রহ করছিল মাত্র। আজ একটি পর্যায়ে এসে তারা আবারও আত্মপ্রকাশ করার পাঁয়তারা করছে। সুতরাং সরকার এখন ব্যাপক দমনাভিযান চালানোর মাধ্যমে যদি দ্বিতীয়বারের মতোও তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তবু এ কথা বলার আর অবকাশ থাকে না যে, এসব জঙ্গি সংগঠন নির্মূল হয়ে গেছে বা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এদিকে তারা এবার আইএসের ব্যানারে মাঠে নামায় বাড়তি কিছু সুবিধাও পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্বেই বলা হয়েছে, আইএসের একটি বিরাট সংখ্যার সমর্থক তৈরি হয়ে গেছে বাংলাদেশে যারা প্রকাশ্যে আইএসের পক্ষে কথা বলতেও দ্বিধা করছে না। এখন যদি এ দেশের আইএস সমর্থকরা জঙ্গিদেরকে সহযোগিতা করাকে ঈমানী দায়িত্ব মনে করে তাহলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
অর্থাৎ আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যাচ্ছে, শক্তি প্রয়োগ কোনো দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়, সাময়িক উপশমমাত্র। তাই বর্তমানে বিশ্লেষকরা বেশি জোর দিচ্ছেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াইকে (Ideological fight)। বলা হচ্ছে, গনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেই কেবল জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হলো- এই কাজের জন্য সরকার বরাবরই পেশাদার আলেম-মাওলানা ও মসজিদের ইমাম-খতিবদের উপর ভরসা করে ব্যর্থ হয়েছে।
এই ব্যর্থতার কারণ আছে। একজন পেশাদার রাজনীতিবিদ যখন তার বক্তৃতায় মানুষকে দেশমাতৃকার জন্য ত্যাগস্বীকার করার আহ্বান করেন তাতে মানুষ কতটা অনুপ্রাণিত হয়? ধর্মজীবী আলেমসমাজ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে চাইলে তা কখনোই গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কারণ জঙ্গিবাদীরা ঈমানী চেতনা দ্বারা আত্মোৎসর্গকৃত, পক্ষান্তরে ধর্মজীবী দরবারী আলেমরা টাকার বিনিময়ে ওয়াজ করেন। তাদের ওয়াজের কোনো তাসির (প্রভাব) মানুষের উপর পড়ে না, জনতা কেবল ওয়াজ শোনার সওয়াবটারই প্রত্যাশী, যদিও এতে কোনো ফায়দা হয় না। দুর্নীতিবাজ পুলিশ যদি ঘুষের বিরুদ্ধে উপদেশ দেয় তার ফল যতটুকু হবে, লেবাসধারী ধর্মব্যবসায়ীরা বা ধর্ম থেকে পার্থিব স্বার্থ হাসিলকারীরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ওয়াজ করলে ততটাই ফলপ্রদ হবে- এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া এই ধর্মব্যবসায়ী আলেম-মাওলানা-ইমাম-খতিবরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এমন কোনো যুক্তি-প্রমাণ দাঁড় করাতে সক্ষম নয় যা সন্দেহাতীতভাবে জঙ্গিবাদকে অনৈসলামিক প্রমাণ করতে পারে। জঙ্গিরা কোর’আন-হাদীস ও ইতিহাসের পাতা মিলিয়ে মিলিয়ে পদক্ষেপ ফেলে। কিন্তু দ্বীন সম্পর্কে তাদের আকীদা (সামগ্রিক ধারণা) বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তারা বুঝতে পারে না যে, তাদের কাজ প্রকৃতপক্ষে কতটা ইসলাম পরিপন্থী হচ্ছে। এই সঠিক আকীদা মোল্লা-মাওলানাদের কাছেও নেই। থাকলে তারা ধর্মকে জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে পরিণত করতে পারতো না। প্রবাদ আছে, ‘ঝাঝর বলে- সুঁই, তোর পেছনে ফুটো।’ সুঁইয়ের ফুটো খোঁজা ঝাঝরের জন্য যতটা অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য, জঙ্গিবাদের ভুল-ত্র“টি ধরা ধর্মব্যবসায়ীদের জন্য তার চেয়েও বেশি অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কার্যকরী আদর্শিক লড়াইয়ের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য এমন কিছু নিঃস্বার্থ ও আত্মোৎসর্গকারী মানুষ দরকার ইসলাম সম্পর্কে যাদের সামগ্রিক কনসেপ্ট রয়েছে যা সন্দেহাতীতভাবে জঙ্গিবাদের ভ্রান্তি প্রমাণ করতে সক্ষম।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব সুন্দর বিশ্লেষণ| লড়াইটা আদর্শিক হতে হবে, এখনও দানা বাঁধেনি এটা এদেশে| তবে ওদের সাপোর্টার প্রচুর| তারাই হয়ত একদিন জিহাদ করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব কাঁধে নেবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.