নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asadali.ht

মোহাম্মদ আসাদ আলী

সাংবাদিক

মোহাম্মদ আসাদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের শরীয়াহ আইনের প্রতি এত ভয় কেন?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

ইসলামকে রাষ্ট্র থেকে দূরে রাখতে চান যারা, তাদের অন্যতম অভিযোগ ইসলামের শরীয়াহ আইন নিয়ে, যেটা মৌলবাদী জঙ্গিরা জোর করে মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে চায়।

পৃথিবীর যেসব দেশে বা ভূখণ্ডে কথিত শরীয়াহ আইন চালু করা হয়েছে বা অনেক আগে থেকে চলে আসছে, বস্তুত তা ওইসব দেশের অধিকাংশ জনগণই সমর্থন করে না। আবার প্রকাশ্যে বিরোধিতাও করে না, কারণ জানের ভয়।

ওইসব দেশের দৃষ্টান্ত দেখে অনেকে মনে করেন ইসলামকে রাষ্ট্রের সাথে মেশানোর অর্থই হচ্ছে, এই শরীয়াহ আইনকে বলবৎ করে মানুষের হাত-পা কাটা, পাথর ছুড়ে হত্যা করা, শিরোশ্ছেদ করা ইত্যাদি। মূলত এই ভয় থেকে তারা যে কোনো রাষ্ট্র থেকে ইসলামকে একশ' হাত দূরে রাখতে চান। অন্য কোনো বিষয় নয়, শরীয়াহ আইনেই তাদের যত ভয়। চোর ধরে ধরে হাতকাটা শুরু হলে বছরান্তে দেশের হাতকাটা মানুষদের একটা ভালো পার্সেন্টেজ দাড়াবার আশঙ্কা আছে, এটা তারা ভালোভাবেই বোঝেন।

তাদের উদ্দেশে কথা হলো ইসলামকে যদি তারা মৌলবাদী-জঙ্গিবাদীদের চোখ দিয়ে দেখেন তাহলে ভুল ধারণা পাবেন। শরীয়াহ আইন মানেই চোর-ডাকাত ধরে ধরে হাত-পা-মাথা কাটা নয়।

ইসলামের প্রথম ও প্রধান শরীয়াহ হচ্ছে ঐক্য। তাছাড়া শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকা, সরকার বা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যপরায়ণ হওয়া, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে স্থানীয় দায়িত্বশীল পর্যন্ত সকলের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা, সামাজিক সহযোগিতা, দান, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, সত্য কথা বলা, ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন, মিথ্যা ও অন্যায়কে প্রতিরোধ, আমানত রক্ষা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা, সত্য সাক্ষ্য দেওয়া, অবৈধভাবে অর্থোপার্জন না করা, অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক না করা, অশ্লীলতা পরিহার করা, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা, ক্ষতিকর তথা হারাম দ্রব্য ভক্ষণ না করা, অন্যকে হারাম ভক্ষণে নিরুৎসাহিত করা, শ্রমিককে প্রাপ্য মজুরি দেওয়া, মাপে কম না দেওয়া ইত্যাদি সবই ইসলামের শরীয়াহর অন্তর্ভুক্ত।

একটি সমাজ যখন উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো ধারণ করবে, এগুলোকে এবাদত মনে করবে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এই গুণগুলো নিজেদের আত্মায় গেঁথে নেবে, তখন মানুষের চুরি করার দরকার পড়বে কি? ডাকাতি করার দরকার পড়বে কি? অন্যায়ভাবে মানুষ খুন করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে কি? সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায়, এ ধরনের অপরাধ প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে আসবে। তারপরও কেউ যদি কোনো গর্হিত কাজ করেই ফেলে তার জন্য ক্ষমার ব্যবস্থা আছে। ইসলাম ক্ষমাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মানুষকে ক্ষমা করতে উৎসাহ দিয়েছে। বলা হয়েছে, তোমরা একে অপরকে ক্ষমা কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আছে রক্তপণের ব্যবস্থা। অর্থাৎ একজন চুরি করলেই তাকে হাত কেটে দেওয়া হবে ব্যাপারটা তা নয়।

মানুষের হাত-পা কাটার জন্য পৃথিবীতে ইসলাম আসে নি। ইসলাম এসেছে শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ইসলামের ইতিহাসে আমরা পাই, আইয়্যামে জাহেলিয়াতের মানুষগুলো ইসলামের সংস্পর্ষে এসে এতটাই পাল্টে গিয়েছিল যে, তারা রিপুর তাড়নায় কেউ অপরাধ করে ফেললে নিজেরাই নিজের বিচার দাবি করতো। নিজেকে নিজে রশি দিয়ে বেধে রাখতো, আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তির আশা করতো যাতে অপরাধের গ্লানি কাধে নিয়ে পরপারে যেতে না হয়।

একদিন এক ব্যাভিচারী আল্লাহর রসুলের কাছে এসে বলল, হুজুর, আমি তো ব্যাভিচার করে ফেলেছি। রসুলাল্লাহ শুনলেন কিন্তু না শোনার ভান করে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে ফেললেন। তিনি চাইলেন- যেহেতু অপরাধ গোপন আছে, কেউ অভিযোগ করছে না, সুতরাং গোপনই থাকুক, আল্লাহ চাইলে তাকে ক্ষমাও তো করে দিতে পারেন। কিন্তু ব্যাভিচারকারী নাছোড়বান্দা। সে আবার রসুলাল্লাহকে বলল, হুজুর আমি তো ব্যাভিচার করে ফেলেছি। রসুল আবার ঘুরে বসলেন। কিন্তু সে আবারও রসুলকে একই কথা বলল। এভাবে বারবার নিজের অপরাধের কথা বলে বিচার প্রার্থনা করলে এক পর্যায়ে রসুলাল্লাহ তার শাস্তির ব্যবস্থা করলেন।

যে সমাজে স্বার্থ নিয়ে বা পরিকল্পনা করে সংঘটিত কোনো অপরাধ নেই বললেই চলে, কেবল রিপুর তাড়নায় উত্তেজিত হয়ে দু-একটি অপরাধ ঘটলেও তাৎক্ষণিক অপরাধী তার ভুল বুঝতে পারে এবং সে অপরাধের শাস্তি ভোগ করে পবিত্র হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে যায়- এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই ইসলামের লক্ষ্য। এটাই প্রকৃত ইসলামের শরীয়াহ আইন প্রয়োগের বাস্তব ফলাফল। যে শরীয়াহ আইনের ভয়ে মানুষ সদা তটস্থ থাকে, মানুষের উপর জোর করে বিধান প্রয়োগ করা হয় সেটা ইসলামের শরীয়াহ নয়, সেটা দিয়ে ইসলামকে বোঝার চেষ্টা করা ভুল।

আল্লাহর রসুল কি শরীয়াহ আইন প্রবর্তন করেন নি? তাকে কি কেউ ভয় পায়? আজ ১৪০০ বছর পরও তিনি কোটি কোটি মানুষের নয়নের মণি, ভালোবাসার পাত্র হয়ে আছেন। অন্যদিকে আজকে যারা শরীয়াহ আইনের ধ্বজাধারী সেজে আছে তাদেরকে মানুষ ভালোবাসে না, ভয় পায়। এর কারণ কী? কারণ এরা নিজেদের বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা ও সিদ্ধান্ত সমাজে জোর করে চাপিয়ে দিতে চায় যা সম্পূর্ণভাবে ইসলামপরিপন্থী।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

হাসান নাঈম বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম আজকে যারা শরীয়া আইনের ধ্বজাধারী তারা ভাল না, তাদেরকে মানুষ ভালবাসে না।
তাহলে ভাল মানুষ কারা যাদেরকে মানুষ ভালবাসে?
সেইসব ভাল মানুষেরা ইসলামী শরিয়া প্রবর্তনের জন্য কী কাজ করছে?
শুধু সমালোচনাতো কোন কাজের কথা না - সমাধানওতো দিতে হবে। সেটা কে দেবে?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: সেই ভালো মানুষদের পক্ষ থেকেই লিখেছি। অনেকে সমালোচনা করে মজা পায়। সেটাকেই তারা পেশা হিসেবে নিয়েছে। তার মানে এই নয় যে, সব সমালোচনাকারীই সমালোচনার জন্য সমালোচনা করে। আমি হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের সদস্য। টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পন্নী পরিবারের সন্তান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী এ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, ইমাম। আমরা বিগত প্রায় ২০ বছর যাবত প্রকৃত ইসলামের কথা প্রচার করে আসছি। আমাদের বক্তব্য জানতে ভিজিট করুন- http://hezbuttawheed.org/

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইসলামের প্রথম ও প্রধান শরীয়াহ হচ্ছে ঐক্য। তাছাড়া শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকা, সরকার বা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যপরায়ণ হওয়া, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে স্থানীয় দায়িত্বশীল পর্যন্ত সকলের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা, সামাজিক সহযোগিতা, দান, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, সত্য কথা বলা, ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন, মিথ্যা ও অন্যায়কে প্রতিরোধ, আমানত রক্ষা, প্রতিশ্রুতি রক্ষা, সত্য সাক্ষ্য দেওয়া, অবৈধভাবে অর্থোপার্জন না করা, অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক না করা, অশ্লীলতা পরিহার করা, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করা, ক্ষতিকর তথা হারাম দ্রব্য ভক্ষণ না করা, অন্যকে হারাম ভক্ষণে নিরুৎসাহিত করা, শ্রমিককে প্রাপ্য মজুরি দেওয়া, মাপে কম না দেওয়া ইত্যাদি সবই ইসলামের শরীয়াহর অন্তর্ভুক্ত।


ভাল বলেছেন।

++

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার অধিকাংশ মতের সাথেই আপনি সহমত পোষণ করেন। এটাতেও সহমত হবেন জানতাম। আবারো ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

চাদের জোসনা বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ। এমন ব্যতিক্রমি লেখা আশা করি। চালিয়ে যান।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: ইনশা'আল্লাহ চালিয়ে যাবো। ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার অধিকাংশ মতের সাথেই আপনি সহমত পোষণ করেন। এটাতেও সহমত হবেন জানতাম। আবারো ধন্যবাদ।

হা হা হা

উল্টা মত লিখে দেখেন মোটেই সহমত হবো না ;)

আপনি চিরন্তন সত্যগুলোকে তুলে ধরেনতো তাই .. সে সবে সহমত না হয়েতো উপায়ও নাই ;)

++

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: হা হা হা। ভিন্নমতকে আমি সম্মান করি। মতের অমিল হওয়া দোষের কিছু নয়। অনেক কিছু শেখা যায়। আশা করি, ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখব।

বস্তুত সহমত-ভিন্নমত তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল বিষয় হচ্ছে সত্যকে গ্রহণ বা অস্বীকার, সেটা আপনার-আমার সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমি চাই সকলেই সত্যকে স্বীকার করুক, মিথ্যাকে মোকাবেলা করুক। আবারও ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

হাসান নাঈম বলেছেন: শুনে ভাল লাগল যে আপনারা নতুন কিছু করার চেস্টা করছেন।
যদিও নামটা নিশিদ্ধ ঘোষিত 'হিযবুত তাহরীর' এর খুব কাছাকাছি, তবে আপনারা মনে হয় নিশিদ্ধ হন নি।

বস্তুত প্রতিটি ইসলামী দলই বলে তারাই 'প্রকৃত ইসলাম' এর অনুসারী, অন্যরা সবাই বিভ্রান্ত।
আপনাদের ইমাম 'প্রকৃত ইসলাম' সম্পর্কে মৌলিক যে ধারনা প্রচার করছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।
সম্ভব হলে লিংক দেবেন, পড়ে বোঝার চেস্টা করব - আপনাদের 'প্রকৃত ইসলাম' আসলেই কতটা প্রকৃত।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: আমার আন্দোলনের নাম - হেযবুত তওহীদ। হিজবুত তাহরীর নিষিদ্ধ। হেযবুত তওহীদ নিষিদ্ধ নয় এবং নিষিদ্ধ হবার কোনো কারণও নেই। বস্তুত নামের কিছু আংশিক মিল ছাড়া এই উভয় সংগঠনের মধ্যে আদর্শিক কোনোই মিল নেই। হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে জানুন, সব বুঝতে পারবেন।

আগের কমেন্টের রিপ্লাইয়ে লিংক দিয়েছি। এখানে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের লিংক দিলাম। Click This Link

৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৪

সজিব্90 বলেছেন: হিযবুত তাহরীরের প্রতিষ্ঠাতা কে?জানালে খুশি হতাম।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫

মোহাম্মদ আসাদ আলী বলেছেন: হিজবুত তাহরীরের প্রতিষ্ঠাতা কে তা বলতে পারব না। আমি এখানে হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে বলেছি। হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা টাঙ্গাইলের জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

হাসান নাঈম বলেছেন: "আমরা শুধু চাই দেশটি শান্তিময় হোক। শান্তির জন্য অনেকেই প্রয়াস করছেন কিন্তু আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, শান্তির পথ তাদের কাছে নেই। সেটা আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে দিয়েছেন। আল্লাহ কাকে তাঁর সত্য দান করবেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে লাভ নেই, এটা তার এখতিয়ার। "

"তিনি যখন মোহাম্মদ (দ.) কে রসুল নিযুক্ত করলেন তখন কাউকে জিজ্ঞেস করেন নি, তেমনি হেযবুত তওহীদকে তিনি সত্য দান করেছেন, সংকট থেকে মুক্তির পথ দান করেছেন। "

ধন্যবাদ আপনাদের অফিসিয়াল পেইজের লিংক দেয়ার জন্য। সেখানে প্রকাশিত "হেযবুত তওহীদের কিছু মৌলিক নীতি" লেখার মধ্যে আমি এই কথাগুলি পেলাম। আপনাদের নীতিগুলি আমার বেশ ভালই লেগেছে। যদিও যতদুর জানি আরবিতে 'এ' কারের ব্যাবহার নাই। তাই শব্দগুলি 'এসলাম' না হয়ে 'ইসলাম', 'হেযবুত' না হয়ে 'হিযবুত' হলে ভাল হয়।

তবে এটা তেমন গুরুত্বপুর্ণ নয় - গুরুত্বপুর্ণ হচ্ছে উপরের লেখায় যে কথাটা বলা হয়েছে - আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে শান্তির পথ দিয়েছেন। এবং আপনারা আল্লাহর এই দানকে মুহাম্মদ(স)কে রসুল নিযুক্ত করার ঘটনার সাথে তুলনা করেছেন। এটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় এ'কারণে যে বর্তমানে আমরা বিশ্বাস করি নবী মুহাম্মদ(স) সর্বশেষ নবী ও রাসুল। সুতরাং তাকে যেভাবে আল্লাহ বাছাই করে সত্য বাণী দিয়েছিলেন সেই ভাবে আর কার পক্ষে সত্য বাণী পাওয়া সম্ভব নয়। আপনারা অবশ্য সত্য বানীর দাবি করেন নি করেছেন 'শান্তির পথ' পাওয়ার দ্বাবি। আমি সেই 'শান্তির পথ' সম্পর্কেও জানতে আগ্রহী। যদি তার কোন সরল বর্ণনা কোথাও থাকে তাহলে লিংক দিতে অনুরোধ করছি। যদি কোন বই থাকে তাহলে আমি তা কিনে পড়তেও প্রস্তুত।

৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনারা কি নতুন আরেক ফেতনা নিয়ে আসছেন ? শরিয়া আইন সম্পর্কে আপনার ধারনা কি খুব সচ্ছ ?? আপনি কি মনে করেন শরিয়া আইন কোরান সুন্নাহ অনুসরন করে করা হয়েছে এবং এটা মানুষের তৈরী নয় ? কিছু আইনের উদাহরন দিয়ে বিশ্লেষন করবেন কি কি ভাবে সে গুলো কোরানের উপদেশ অনুযায়ি হয়েছে । শরিয়া আইন অনুযায়ি মুরতাদ হত্যা করা যায় - এই গুলো একটু বিশ্লেষন করবেন কি ??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.