নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘গার্ডিয়ান’ আর ‘আমোদ’ পত্রিকার জন্মতারিখ এক ?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯



জসীম অসীম

ঢাকায় একবার আমার কথা বলার সুযোগ হয় বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। তিনি গ্রামীণ ফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড.মুহম্মদ ইউনূসের আপন ভাই। মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন [সি.ডি.সি]-এর নির্বাহী পরিচালক। এক সময় তিনি বিটিভি-তে ‘অভিমত’ নামে একটি পরিশীলিত অনুষ্ঠানের উপস্থাপকও ছিলেন। সাংবাদিকতা বিষয়ে তিনি অনেক লেখালেখিও করেছেন। মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একসময় বিটিভি-তে ‘হুইল সাবান’-এর একটি বিজ্ঞাপনেও উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। ঠিক এই বিজ্ঞাপনটিতেই কাজ করতেন আবার বিটিভি প্রযোজক সালেক খান। তিনি ছিলেন আমার অভিনয়ের শিক্ষক। ১৯৯১ সালে-ইনষ্টিটিউট অব ব্রডকাস্টিং আর্ট-এ ঢাকার রামপুরায়।

তিনি আমার কাছে কুমিল্লার সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকার গল্প শুনতে চান। আমি বললাম-আমোদ ৫০ বছরের পথ পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটা গৌরবের। ১৯৫৫ সালের ৫ মে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী আমোদ-প্রকাশনার দাযিত্ব নেন। ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর তার মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত তিনি ‘আমোদ’ পত্রিকার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বললেন-তিনি তা জানেন। এমনকি আঞ্চলিক সংবাদপত্র হিসেবে আমোদ-এর ইউনেস্কোর স্বীকৃতির কথাও তিনি জানেন। আমাদের আলোচনার সময় আরেকজন বুদ্ধিজীবিও উপস্থিত ছিলেন-তিনি হলেন প্রশিকার প্রশিক্ষণ বিভাগের তখনকার ডেপুটি ডিরেক্টর বিনীত কুমার চক্রবর্তী। আমি বললাম একটি বিষয় হয়তো আপনারা কেউ জানেন না-হয়তো ‘আমোদ’ পরিবারও না। কারণ ফজলে রাব্বীর লেখা ‘কাগজের নৌকা’ গ্রন্থে আমোদ প্রতিষ্ঠাতার তারিখ বিষয়ে কিছুই সম্ভবত নেই। কিন্তু ১৯৯৩ সালের আমার এক ডায়েরীতে লেখা আছে : ‘আমোদ সম্পাদক আমাকে সাংবাদিক আতাউস সামাদের গল্প শোনান। আরও বলেন-আমোদ এর মুদ্রাকর ও প্রকাশকের দায়িত্ব তুলে দেবেন তার একমাত্র পুত্র বাকীন রাব্বীর হাতে। বাকীন রাব্বীর পুরো নাম বাকীন মোহাম্মদ আবদে রাব্বী। সেপ্টেম্বর থেকেই তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হবে।

ফজলে রাব্বীর মুখে শুনলাম সাংবাদিক আতাউস সামাদের গল্প। আতাউস সামাদ বর্তমানে কাজ করছেন বিবিসি-তে। আগে তিনি বাংলাদেশের সেরা কাগজগুলোতেও কাজ করেছেন। এর মধ্যে দৈনিক সংবাদ-অবজারভার-আজাদ-বাংলাদেশ টাইমস উল্লেখযোগ্য।

আমোদ-এর জন্মদিন সম্পর্কে তিনি আমাকে বলেন-৫ মে ১৯৫৫ সাপ্তাহিক আমোদ প্রতিষ্ঠার তারিখ। এ তারিখটি শুধু আমোদ-এরই প্রতিষ্ঠা তারিখ নয়-এ তারিখ পৃথিবী বিখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘দি গার্ডিয়ান’ এরও জন্মতারিখ। এ পত্রিকাটি একদা খুবই জনপ্রিয় ছিল। ১৮২১ সালের ৫ মে তারিখ এই জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকাটির প্রথম সংস্করন প্রকাশিত হয়েছিল...।’

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর এ কথা শুনে খুবই অবাক হন। বলেন-গার্ডিয়ান আর আমোদ পত্রিকার জন্মতারিখ এক? আমি বললাম-আমি তো যাচাই করে দেখিনি-আমোদ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী বলেছেন। তার তো এ বিষয়ে ভুল হওয়ার কথাই নয়।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.