নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমন একদিন আসবে-যেদিন নিজেদের দোষের কথা নির্ভয়ে লিখতে পারবেন

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩



জসীম অসীম

আমি নিজের দোষের কথা লিখি। কিন্তু আমার অনেক সাংবাদিক-লেখক বন্ধু লিখেন না। নিজ পেশার লোকদের খারাপির বিরুদ্ধেও না-নিজেদের খারাপির বিরুদ্ধেও না। তাদেরকে ঠিক কী থেরাপি দেয়া যায়-এখনো আমি বুঝতে পারছি না। এমন একদিন আসবে-যেদিন লেখক-সাংবাদিকগণ-ও নিজেদের দোষের কথা নির্ভয়ে লিখতে পারবেন। সেদিন দূরে নয়। ভন্ড লোক হয়ে সাধুর অভিনয় করলে ভীষণ রাগ ওঠে। আমিও সাধু নই। দুর্নীতিমুক্ত নই। জেলখানার রক্ষীরাও অনেক ঘুষ খায়। কিন্তু বলতে গেলেই বিপদ। ‘কী প্রমাণ আছে?’

আমার ঘরের বউ খুব সুন্দরী হলেও চোখ পড়ে যায় বাইরের অনেক সুন্দরীর দিকেও। আমি স্বীকার করি বলে অনেকে আমাকে ভন্ড বলে দন্ড দিতে চায়-কিন্তু যে ‘শালা’ এমন বিষয়কে গোপন রাখে মনের ভিতর-সেও কি সৎ রয়েছে?

আমাদের ঘরের সুন্দরী বউয়েরা কি পরিপূর্ণ নয়? কেন আবার আমরা অন্যের সুন্দরী বউ দেখলে হা করে তাকিয়ে থাকি? একদা এক মেয়েকে ভালোবাসতাম আমি। তাকে একদিন পড়তে দিয়েছিলাম ‘কাহলিল জিবরান’। কিন্তু সে সেই বইয়ের বদলে একগুচ্ছ গোলাপফুল পছন্দ করেছিল। ভালো একটি বইয়ের বিকল্প কি একগুচ্ছ গোলাপ? ঘরের বউয়ের বিকল্প কি পথে দেখা সুন্দরী কোনো নারী? কেন মানুষ এমন দ্বন্দ্বে ভিতরে-বাইরে স্পষ্টবাদী হতে পারে না? একজন ‘বদমাশ’কে আমি একবার বলেছিলাম-তুমি কি তোমার স্ত্রী-কে তোমার পতিতবৃত্তির কথা জানাতে পারো? সেই লোক উত্তরে না বলেছিল। ঠিক। এটাই বাস্তব। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে বর্তমান সময়ে চীন কার পক্ষে যাবে-তা হিসেব করে দ্রুতই বের করা যায়।

কুমিল্লা শহরের একজন যুবতী মেয়ের মা ছিলেন অত্যন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্না মহিলা। তিনি তার মেয়ের সঙ্গে আমার খুব মেশামেশি দেখে একদিন তার মাথায় হাত রেখে আমার মৃত মায়ের নামে শপথ করালেন-আমি যেন মেয়েটির শারীরিক কোনো ক্ষতি না করি। মেয়েটি তখন কাছে ছিল না। আমি তার মাকে দেয়া কথা রেখেছিলাম।

২০০৩ সাল। আমার কুমিল্লার কান্দিরপাড়ের তিনতলার বাসায় একদিন মেয়েটি এসে হাজির। সন্ধ্যায়। বাসায় একজন লোকও ছিল না। এমন সময় লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ চলে গেল। মেয়েটি আমার সঙ্গে একা। চতুর্দিকে যেন শহীদ মিনারের নিস্তব্ধতা। মেয়েটি ... নিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়লো। আমি আমার মৃত মায়ের নামে করা শপথের কথা মনে করলাম এবং মেয়েটিকে চলে যেতে বললাম। মেয়েটি বললো অন্ধকারে যেতে তার ভয় লাগছে-বিদ্যুৎ এলে যাবে। আমি তখন তাকে বললাম-তুমি অন্ধকারকে ভয় পাও? আমি অন্ধকারের চেয়েও হিংস্র। সুতরাং চলে যাও। মেয়েটি গেল ঠিকই-কিন্তু আমাকে ‘ভীতু’ মনে করে। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপারটা কী ছিলো? আমি তো আমার মৃত মাকে ‘নিষিদ্ধ পুরনো গাড়ি’ মনে করতে পারি না। শুধু একটি মেয়ের সঙ্গে শুয়ে যাওয়ার জন্যই কি আমি আমার মাকে টাকার মতো অবমূল্যায়ন করতে পারি? না। কিন্তু তাই বলেই আমি চরিত্রবান নই। যদি আমি যুবতী মেয়েটির মাকে আমার মৃত মায়ের নামে ‘কসম’ না দিতাম-তাহলে কি করতাম কিংবা তাহলে কি অন্য কিছু ঘটতো? যদি তা-ই হয়-তাহলে আমি চরিত্রবান কোথায়?

১৯৯৮ সালে আমার মা মারা গেলেন কিডনী রোগে। খুব বড় রকম চিকিৎসা সম্ভব হলো না। সুখ আমাদের তখন থেকেই নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সবার হাতে ভিক্ষের থালা উঠার বাকি ছিল। মাকে আমি এতটাই শ্রদ্ধা করি-আজ পর্যন্ত তার নামে শপথ করে আমি কোনো মিথ্যে কথা বলতে পারি না।

আমার বাবা বাংলাদেশের অনেক ট্রাফিক পুলিশের মতো ছিলেন না-যেসব ট্রাফিক পুলিশের যানজট দেখলে কোনো মাথাব্যথাই হয় না। তাই আমরা অনেক কঠিন নিয়মে বেড়ে উঠেছিলাম। তাই এখন চেষ্টা করেও চোর-বাটপার-টাউট হতে পারছি না। শৈশবে পাওয়া শিক্ষাগুলো কোনোভাবেই জীবন থেকে বাদ দিতে পারি না। জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর খাল খনন কর্মসূচিতে মনোযোগ দেন। কোদাল দিয়ে মাটি কেটেও খাল খনন উদ্বোধন করেন জিয়া। সেদিন আওয়ামীলীগের এক নেতা এ বিষয়ে বলেন-এই খাল কেটেই নাকি জিয়া বাংলাদেশে কুমীর এনেছিলেন। আমি বললাম-বন্যা প্রতিরোধে এবং সেচ ব্যবস্থায় খালের কিন্তু গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু তিনি শুধু আমাকে কুমীরের ভয়ই দেখালেন। সেই আওয়ামী নেতার নাম বললে আওয়ামী ধোলাই খাবো-অথচ আমি বিএনপি-কেও দেখতে পারি না।

ডুবুরি যেমন সাগরতলে স্বর্ণ অথবা রতœ খুঁজে-তেমনি আমি ভালো মানুষের খোঁজ করি। কিন্তু পাই কি? কখনো যদি নয়নলোভা যুবতী খুঁজে পাই-যার কাছে স্বর্ণ-রতœ কোহিনূর সবই আছে-কাছে গিয়ে তার হয়তো দেখা গেল চরিত্রটাই নেই-তাহলে থাকলো কী আর তবে।

ঢাকার বইপাড়ার বাংলাবাজার আর নাটকপাড়ার বেইলীরোডে একদা আমার অনেক সময় কেটেছে। ডায়নার চোখের আয়নার মতো চোখওয়ালী দেবীতুল্য সুন্দরী নারীও দেখেছি অনেক। তাই কি আমি মন্দ হতে পারি না? পারিনা। ইদানীং চেষ্টাও করি। কিন্তু পারিনা। পারিনি। পারিনি সচিবালয়ে তদবির পার্টির সদস্য হতে। মুক্তিযোদ্ধাকে পঙ্গু করতে। শেরাটন অথবা ক্লিনটন হোটেলে গিয়ে ‘ঘোলা পানি’ খেতে। আর আমাদের সংস্কৃতির কথা বলে তো লাভই নেই। কোনদিকে যে তার গতি-বলাই মুশকিল। জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ কাপড়ে এখন বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা জামাকাপড় বানিয়ে বানিয়ে পরে রাস্তায় হাঁটে-সবাই দেখলেও তা প্রশাসন নাকি দেখেনা। জুতা দোকানের সাজানো জুতার নাীচেও জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়-আহারে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা-কে করবে তার তদারকি। সেদিন একজন লোকের নাম শুনলাম-হাক্কু। আরেকজনের নাম কাক্কু। তিনিও এই কুমিল্লা শহরেরই বাসিন্দা। কুমিল্লা ... বর্তমান মেয়রের ডাকনাম সাক্কু। চিন্তিত থাকি কোনো মানুষ না আবার নাম রেখে বসে ‘চাক্কু’। দলের নাম ফিলিংস। গানের দল। ব্যান্ডগান। শিল্পীর নাম জেমস। কেন যেন মনে হয় টেমস নদীর তীরে তার বাড়ি। দলের নাম ইংরেজিতে-শিল্পীর নামও ইংরেজিতে। কিন্তু তাকে আবার বলা হচ্ছে বাউল। নগর বাউল। আরও উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু বেশি লিখলে খবর আছে। সব অভিজ্ঞতা লেখার মানে নেই। সব চমৎকার অভিজ্ঞতা আসলে চমৎকার নয়। তবু পৃথিবীটা আমার কাছে বড় চমৎকার লাগে। সবাইকে খুব অভিজ্ঞ মনে হয়। একটি নোটিশ বোর্ডে আমি একবার বানানো নোটিশ লাগিয়ে কিছু লোককে যেমন বিভ্রান্ত করতে পেরেছি-তেমনি ডিজাইনার .....ও ডিজাইন দ্বারা কিছু মানুষকে মুগ্ধ ও কিছু মানুষকে বিভ্রান্তও করছেন। অবশ্য যে অন্যকে বিভ্রান্ত করে-সে নিজেও কখনো কখনো বিভ্রান্ত হয়। মায়ের বাবা না হলেও ভারতীয় অভিনেতা নানা পাটেকর নাম শুনেও হঠাৎ কেউ কেউ একটু হলেও বিভ্রাটে পড়েন। কারণ-নামের আগেই নানা। যেমন-বাবা জর্দা। খাজা বাবা। পাগলা বাবা।

একবার আমরা মিছিলে শ্লোগান দিলাম ‘গোলামের চামড়া-তুলে নেবো আমরা’। পরদিন দেখলাম মিছিলেরই এক ছেলে তার বাবার সঙ্গে গোলামের এক শিষ্যের বয়ান শুনতে যায়। জীবন আর পৃথিবী এত বিচিত্র-মাথা ঠিক রাখা কঠিন। ইয়ে আজাদী ঝুট হায়, লাখো ইনসান ভুখা হায়। বন্দে মাতরম। ইনকিলাব-জিন্দাবাদ। গলাকাটা চলছে-চলবে। কতোভাবে-কতো শ্লোগানেই না চলবে আমাদের জীবন। একজন প্রভাবশালী মহিলা একবার আমাকে বাঘের চেয়েও বেশি ভয় দেখিয়েছেন। গডফাদার নন-গডমাদার। শেখ হাসিনার আগের আমলে ‘বঙ্গবন্ধু বাতের মালিশ’ বিক্রি করতেন। যে কোনো মুজিবভক্তই সেটা সহ্য করতে পারতেন না। অথচ পার্টির সঙ্গে কিন্তু তার যোগাযোগ ছিল না। একসময় নারায়নগঞ্জের টানবাজারের দিকেও তার নাকি টান কিছুটা ছিল। তিনি ছিলেন আবার রুহানী সব দরবার শরীফের ভক্ত। ওসব দরবার থেকেই নাকি তিনি যৌনশক্তি বাড়ানোর মন্ত্রতন্ত্র পেতেন। বিস্তারিত লিখলে আমার এ লেখার হাতটাই যেতে পারে। টাক মাথাওয়ালা রূপবান যারা-অর্থ্যাৎ যাদের টাকা আছে তাদের সঙ্গে গভীর রাতে মোবাইল মিতালী করেন। যদি একটা মেয়েকে কয়েকদিন ভাড়ায় খাটানো যায়। তার মুখে বোম্বাইয়ের পতিতালয়ের গল্প শুনলে এক্ষনি আপনার বোম্বে যেতে ইচ্ছে করবে। তার নাকি খুব ইচ্ছে ছিল কোনো স্বৈরশাসকের সঙ্গে তিনি প্রেম করবেন। সেই তিনি চুলে রঙ লাগিয়ে যে সৌন্দর্য চর্চা করেন-তা আমার কাছে প্রায়ই উদ্ভট সাজসজ্জা বলে মনে হয়। তিনি তাকে একবার নিজেকে আন্তর্জাতিক নারী বলেও আমার কাছে দাবী করেন।

প্রাচীন গুহাচিত্র আমার ভীষণ পছন্দ। ‘গুহায় চিত্রচর্চা’র ইচ্ছে হয় আমারও। সৌন্দর্য চর্চায় এই গুহার অবদান অনেক-যেমন অজন্তা। যদিও বোদলেয়ার পড়া ছিলো। কারণ জনকণ্ঠের রিপোর্টার সমুদ্র হকের সমুদ্রের মতো গভীর রিপোর্ট আমি পড়েছি-লেখক রমজান আলী খান মজলিসের সঙ্গে মজলিসে বসার সুযোগ না হলেও কবিতা পড়েছি ম.আলী ও আকবর হায়দার-এর। প্রবন্ধ পড়েছি রাজনীতি বিষয়ে হায়দার আকবর খান রনো’র। স্কুল ভ্যানের খাঁচায় করে কোথাও যাওয়ার দুর্ভাগ্য আমার কখনো হয়নি। তাই লেখক আঁদ্রে জিদের মতো রাগ বা জিদও আমার নেই।

দেশের অবস্থাও এখন খুব ভালো। যদি আপনি পাকিস্তান প্রেমিক হোন-ডোন্ট ওরি বি হ্যাপী। দুই বাংলা এক না হলেও ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দুই পাকিস্তান এক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন। কারণ এদেশে এখন সব সম্ভব। ঋত্বিক কুমারের দুই বাংলা এক হওয়ার স্বপ্ন সফল এক না হলেও ইরানের প্রেসিডেন্ট খাতামিকে এনে ... ইসলামীর আমীর করা যেন সম্ভব। যেমন সম্ভব হয়েছে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের নাগরিকত্ব লাভ।

প্রয়োজনে আপনি সব করতে পারেন। নাম বড় করতে চান? করুন-যেমন বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। দেখুন দু’জনের নাম দিয়ে একজনের নাম রাখা হয়েছে। দুখু মিয়া কবিতা লিখেছিলেন। পরে নজরুল হয়েছেন তিনি। এখনও দুখ বাঙ্গাল নামে একজন কবিতা লিখেন। খাওয়ার নামে নাম রাখতে পারেন। যেমন ওমপুরী। ভারতীয় অভিনেতা।

আপনারা বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’ পড়লে ‘অপু-দুর্গা’র কাহিনী জানবেন। অপু কিন্তু ছেলে। বিটিভির অভিনেত্রী শিল্পী সরকার অপু হলেন মহিলা। সালমান রুশদী ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ লিখে এক প্রকার পলাতক। আবু রুশদ দেশেই আছেন। নামে কতো মিল। একজন মেহেদী কবিতা লিখেন। শফিক আলম মেহেদী। গজল শিল্পী মেহেদী হাসান-কতো বিখ্যাত। অন্যজন মেহেদী হাসান কিন্তু আবৃত্তিকার। ক যে শওকত আলী আর কে যে শওকত ওসমান-তা অনেকেই ঠাহর করতে পারেন না। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বে’নজীর ভুট্টো। বাংলাদেশের একজন বেনজীর আহমেদ। আরেকজন খুব কাছ দিয়ে গেছেন। ব’নজীর আহমদ। ধাক্কা লাগার উপক্রম। এক বিজ্ঞানলেখকের নাম আব্দুল্লাহ আল মুতী। মুতী নামটাকে কেমন মনে হয়? শায়েস্তা খান। এমিল জোলা। ‘জোলা’ বলতে আমাদের গ্রামাঞ্চলে বোকাদের বুঝানো হয়। আকিলা রাব্বী। এক সম্পাদকের মেয়ের নাম। শাকিলা জাফর। সংগীতশিল্পী। ফুলন দেবী। জীবনে অনেকবার ফুলে ফুঁসে দেখেয়েছেন। আরজ আলী মাতুব্বর। কী নতুন রকম নাম। ফটো সাংবাদিকের নাম রফিকুর রহমান রেকু। মীর আহম্মদ মীরু। আমি বলছিনা ওসব জননিন্দিত। অবাক লাগে শুনলে। থমকে দাঁড়াতে হয়। আমার এক শিক্ষক ছিলেন। গবেষক। আবদুল মান্নান সৈয়দ। এক কবির সঙ্গে ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমির একই মঞ্চে বসে কবিতা পাঠ করে গৌরববোধ করেছিলাম। তিনি সৈয়দ শামসুল হক। তিনি ‘সৈয়দ’ আগে নিয়ে এসেছেন। এক কবি সৈয়দ হায়দার। ‘সৈয়দ’ বিশেষ নাম নয়। হায়দারও না। এক প্রকার নামের লেজটেজ। মূল নামই নিখোঁজ। যেমন মোহাম্মদ উল্লাহ। আরও সৈয়দ আছেন। হায়দারও। সৈয়দ হায়দার। দাউদ হায়দার। রশিদ হায়দার। মাকিদ হায়দার। জহির হায়দার। জাহিদ হায়দার। মোফাজ্জল হায়দার ? পত্রিকার নাম আনন্দবাজার পত্রিকা-বাংলাবাজার পত্রিকা। কুমিল্লাতে এখনও হিটলার, চার্চিল, রুজভেল্টরা বেঁচে আছেন। স্টালিনতো কবিই। রেজাউদ্দিন স্টালিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ভাস্কর্য‘অপরাজেয় বাংলা’র সামনে দাঁড়িয়ে ১৯৯১ সালে এক টোকাইকে বলেছিলাম ভাস্কর্যটির নাম জানো? বললো-জানি। জিজ্ঞেস করলাম-কী? পাথ্থরের মানুষ। ফিরে এসে এ বিষয়ে একটি কবিতা লিখেছিলাম ‘সমাচার’-পত্রিকার শিশুদের পাতায়। তখন প্রায় নিয়মিত লিখেছি সেই পত্রিকায়। কখনো ‘বাংলার বাণী’তে। জসীম উদ্দিন অসীম নামে। একদিন দেখলাম-প্রত্যয় জসীমের লেখা। কুমিল্লায় ফিরে জসীম উদ্দিন চাষীর দেখাও পাই। এমন আরও অনেক ঘটনা রয়েছে স্মৃতিতে নেই। কফি খাইনা বহুদিন। কফি খেলে হয়তো মনে থাকতো। কারণ কফি স্মতিশক্তি বাড়ায়। চঞ্চল শাহরিয়ার। গল্প লিখেন। তার চঞ্চলতা আমার চেয়ে বেশি কী না-জানি না। অনেকে তোতলায়ে কথা বলেও নাম বাঁকা করে ফেলে। আমার ছোটবেলার বন্ধু বুদার বাড়ির ... ছেলে ... যদি বলতো-স্যার আমাকে ছুটি দিয়ে দেন। শোনা যেত-স্যার আমারে চুইদদা দেন। একে তো আঞ্চলিক ভাষা-তার উপর তোতলা। পরে তার তোতলামি দূর হয়েছিল। বার্মা-হয়েছে মায়ানমার। পিকিং হয়েছে বেইজিং। কেমন যেন বেজি বেজি শোনায়। উঅঈঈঅ হয়েছে উঐঅকঅ. আর এইতো সেদিন ঈঅখখঈঅঞঞঅ হলো কঙখকঅঞঅ.আমার বিশ্বাস জ্যোতিষীর ওপেন চ্যালেঞ্জের মতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে পৃথিবীর সব পঙ্গু নাম এক সময় ঠিক হয়ে যাবে। এমনকি ঈঙগওখখঅও হয়ে যাবে- কটগওখখঅ-সেদিন দূরে নয়। আমি নিজের দোষের কথা লিখি। কিন্তু আমার অনেক সাংবাদিক-লেখক বন্ধু লিখেন না। নিজ পেশার লোকদের খারাপির বিরুদ্ধেও না-নিজেদের খারাপির বিরুদ্ধেও না। এমন একদিন আসবে-যেদিন লেখক-সাংবাদিকগণ-ও নিজেদের দোষের কথা নির্ভয়ে লিখতে পারবেন। সেদিন দূরে নয়।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.