নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কলম-ক্যামেরা দিয়ে যদি মুখোশ উন্মোচন করা না যায়

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫২

জসীম অসীম

কুমিল্লার পত্রিকা দৈনিক শিরোনাম যখন বাজারে আসে-২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে-তখন আমি পত্রিকাটির রিপোর্টার কাম ফটোগ্রাফার ছিলাম। রাজনীতিতে নির্বাচনী মনোনয়ন নিয়ে যে বাণিজ্য হয়-অনেক পত্রিকা নতুন বের হওয়ার পর কার্ড প্রদান নিয়ে যে বাণিজ্য করে-‘শিরোনাম’ সম্পাদক নীতিশ সাহা সে পথে একটুও গেলেন না। এমনকি নিজের পকেটের পয়সা খরচ করিয়ে সকল উপজেলা পর্যায়ে আমাদের পাঠিয়েছিলেন পেশাদার সংবাদদাতা নিয়োগের বিষয়ে। সে সময়ে এ কাজে আমি গিয়েছিলাম বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বার প্রতিনিধি নিয়োগের কাজে। দেবিদ্বারে কাউকে না পেয়ে যোগাযোগ করলাম আফাজ মোল্লার সঙ্গে। তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল যখন দৈনিক রূপসী বাংলায় কাজ করতাম। দৈনিক শিরোনামে প্রথম দিকে আফাজ সংবাদ পাঠাতেন। তখনও অনেক লোক এসেছিলেন শিরোনামের সংবাদদাতা হওয়ার জন্য। কিন্তু নীতিশ সাহা পেশাদারী মনমানসিকতার লোক ছাড়া নিয়োগ দেননি। সে সময়ে আমি একদিন .....বললাম-কুমিল্লায় কি ভালো মানের প্রশিক্ষক নেই-সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের জন্য? এত যে লোক জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে সাংবাদিক হওয়ার জন্য হাজির হয়-তাদের কি কোনোভাবে কাজে লাগানো যায় না? ......উত্তরে বলেন-বলো কি- কুমিল্লার অনেক প্রশিক্ষক রয়েছেন। কুমিল্লার প্রশিক্ষক রফিকুল ইসলাম নাসিম তো পিআইবি-র প্রশিক্ষক। কিন্তু প্রশিক্ষণ দেবে কাকে? যারা বায়োডাটা নিয়ে পত্রিকা অফিসে ঘুরে বেড়ায়-তাদের অধিকাংশের তো টার্গেট থাকে একটি আইডি কার্ডের দিকে। আইডি কার্ড সংগ্রহের নেশা আর সাংবাদিকতা শেখার নেশা তো এক হলো না।

রফিকুল ইসলাম নাসিমের প্রসঙ্গ আসাতে আমি বললাম-তার সঙ্গে তো আমার পরিচয় হয়েছে। ঢাকায়। ১৯৯৬ সালে। সাপ্তাহিক আমোদ এর বাকিন রাব্বী তার সঙ্গে আমার পরিচয় করান।

এই রফিকুল ইসলাম নাসিম কিন্তু সাপ্তাহিক আমোদ এর মাধ্যমেই সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন। তিনি দৈনিক বাংলাতেও কাজ করতেন। রফিকুল ইসলাম নাসিম বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউটের একজন অন্যতম প্রশিক্ষক হিসেবেই সাংবাদিকতা জগতে পরিচিতি পান। তিনি কিডনী রোগে অসুস্থ হয়ে ২০০৪ সালে মারা যান। তার জন্ম হয়েছিল কুমিল্লা শহরেরই কালিয়াজুরীতে।]

বাংলাদেশের সবচেয়ে সাহসী সাংবাদিক কে? এ প্রশ্নের কোনো এক কথায় উত্তর নেই-এক নামেই এর উত্তর দেয়া যাবে না। তবে সাহসী সাংবাদিকদের মধ্যে শফিক রেহমানও উল্লেখযোগ্য। শফিক রেহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘যায়যায় দিন’ প্রথম বের হয় ১৯৮৪ সালে। প্রেসিডেন্ট এরশাদের নির্দেশে ১৯৮৫ এবং ১৯৮৬ তে ‘যায় যায় দিন’ দুইবার নিষিদ্ধ হয়। পত্রিকা নিষিদ্ধ হলে শফিক রেহমান আরও প্রসিদ্ধ হয়ে যান। হয়রানি আরও ছিল। শফিক রেহমানের বাড়ি ্এবং অফিসের ওপরও বারবার হামলা চালানো হয়। সবশেষে তাকে লন্ডনে নির্বাসনে পাঠানো হয়। ছাত্রজীবনে সাপ্তাহিক ‘যায়যায় দিন’ আমার কাছে পাঠ্য বইয়ের মতোই ছিল। আরও পাঠ্য ছিল সাপ্তাহিক ‘খবরের কাগজ’। এসব পত্রিকার রাশি রাশি সংখ্যা আমার বাসায় একসময় ছিল। আমার প্রথম সংসার যখন ভাঙ্গে-তখন তার অধিকাংশই লাপাত্তা হয়ে যায়।

কিন্তু যেই শফিক রেহমান ১৯৮৭ সালে লন্ডন থেকে স্বদেশে ফিরতে চাইলে ঢাকা এয়ারপোর্টে তাকে আটক করে আবারও লন্ডনে পাঠিয়ে দেয়া হয়-সেই সাহসী শফিক রেহমান কি এই শফিক রেহমানে বেঁচে আছেন? এই প্রশ্ন আজকাল অনেকেই করেন। ১৯৯২ সালের দিকে তার সম্পাদিত ‘মৌচাকে ঢিল’ সত্যি সত্যি মৌচাকে ঢিল দিত- অথচ বাংলাদেশ এখন আরও জটিল সময়ে প্রবেশ করেছে। পৃথিবী এখন আরও কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি। তাই ইরাকের সেই সাংবাদিক জায়েদী মনের কষ্ট দূর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশকে জুতা নিক্ষেপ করে। এই সময়ে কলম দিয়ে-ক্যামেরা দিয়ে যদি কোনো অসৎ লোকের মুখোশ উন্মোচন করা না যায়-তবে কলম-ক্যামেরা বহন করাই বৃথা নয় কি?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.