নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন কোন নারী সাংবাদিক কুমিল্লায় সাংবাদিকতা করছেন

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

জসীম উদ্দিন অসীম-painting:jashimashim

কুমিল্লা থেকে প্রথম প্রকাশিত ত্রিপুরা হিতৈষী পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন গুরু দয়াল সিংহ। এই পত্রিকাটি পরবর্তীতে সম্পাদনার দায়িত্ব পান গুরু দয়াল সিংহেরই উত্তরসূরী উর্মিলা সিংহ। ঊর্মিলা সিংহ-ই ছিলেন কুমিল্লার প্রথম মহিলা সম্পাদক। এই ঊর্মিলা সিংহ বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সম্পাদক বলেও অনেকের অভিমত। সেই হিসেবে বর্তমান সময়ে কুমিল্লার সাংবাদিকতায় মেয়েদের অংশগ্রহণ খুবই কম। বর্তমানে কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘আমোদ’-এর সম্পাদক শামসুননাহার রাব্বী কুমিল্লার সাংবাদিকতায় একটি সম্মানীয় আসন দখল করে আছেন। দৈনিক রূপসী বাংলার সম্পাদক হাসিনা ওহাবও বর্তমানে পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করছেন। আরও অনেক গুণী সাংবাদিকের স্ত্রীগণ সাংবাদিকতায়-সম্পাদনায় এগিয়ে আসেননি। হাসিনা ওহাব একদিকে গৃহিনী অন্যদিকে সাংবাদিক। কিন্তু দৈনিক ইত্তেফাকের আজীবন কুমিল্লা প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা চৌধুরী পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন শিক্ষকতাকেই। ইয়াসমিন রীমা ‘বর্ণপাঠ’ পত্রিকা বের করলেও পত্রিকাটিকে বাজারে দেখা যায় না। ইয়াসমীন রীমা একসময় ‘পাঠকবার্তা’ পত্রিকারও সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। তারপর ‘দি নিউ এইজ’ পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লেখালেখিতে তিনি দেশ বিদেশের অনেক পদকও পেয়েছেন। সাপ্তাহিক বাংলার আলোড়ন পত্রিকার সম্পাদক ফারহানা শারমিন হলেও এর প্রায় সকল দায়িত্ব পালন করেন পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম। সাপ্তাহিক ‘আমোদ’ সম্পাদক শামছুননাহার রাব্বীর বড় মেয়ে আকীলা রাব্বীসহ তার তিন মেয়ে কুমিল্লায় সাংবাদিকতায়, লেখালেখিতে একদা দক্ষতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রাখলেও বর্তমানে তারা সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত নন। কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান তার সংস্থা-‘বিসিডিজেসি’ কর্তৃক কুমিল্লার মেয়েদের সাংবাদিকতা বিষয়ে একাধিকবার প্রশিক্ষণ দিলেও প্রশিক্ষণের পরপরই ওরা হারিয়ে গিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণ পাওয়া মেয়েদের মধ্য থেকে ঝাউতলা খ্রিষ্টানপাড়ার কাজী মিজানুর রহমানের মেয়ে কাজী উম্মে সালমা [সানজু] ও শাহীনুর সুলতানাকে একসময় কুমিল্লার কাগজ পত্রিকায় চাকুরি দেয়া হলেও বর্তমানে তারা আর এ পেশায় নেই। নারী সাংবাদিক হিসেবে কুমিল্লার কাগজ পত্রিকায় প্রায় ১০বছর ধরে কাজ করে আসছেন কুমিল্লা শহরতলীর শাকতলার মোশারফ হোসেনের মেয়ে ফাতেমা আখতার। সাপ্তাহিক ‘আমোদ’-এর সম্পাদকের মেয়ে তারিকা রাব্বী লেখালেখিতে একসময় তুখোড় ভূমিকা পালন করলেও বর্তমানে লেখালেখিতে খুবই অনুপস্থিত। সাপ্তাহিক আমোদ-এর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বাকীন রাব্বীর স্ত্রী শাহানা রাব্বী সাংবাদিকতা বিষয়ক অনেক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকতায় আসেননি। সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুলের কন্যা সুমাইয়া হাসানাত সময়-এর নামে পত্রিকাটিতে মাঝে মাঝে রিপোর্ট ও ছবি ছাপা হলেও ভবিষ্যতে সাপ্তাহিক আমোদ সম্পাদকের কন্যা আকিলা রাব্বী ও তারিকা রাব্বীদের মত পরে রিপোর্টিং-ফটোগ্রাফি ছেড়ে দেয় কিনা সেটা শুধু ভবিষ্যতই বলতে পারে। তবে গৃহিণী হলেও কুমিল্লার সাপ্তাহিক অভিবাদন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পারভীন হাসানাত সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত। কাগজের পেস্টিং থেকে শুরু করে কাগজ ভাঁজ করে টিকেট লাগিয়ে পাঠকের কাছে কাগজ পাঠানোর ক্ষেত্রে তার যে ভূমিকা , তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। । দৈনিক কুমিল্লা বার্তা পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক মফিজুর রহমানের মেধাবী কন্যা ফারজানা লোপা জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে লেখাপড়া করেছেন। তিনি অনেক সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেননি। সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেননি দৈনিক রূপসী বাংলার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওহাবের কন্যাগণও। তবে কুমিল্লার বিভিন্ন পত্রিকার প্রিন্টার্স লাইনে অনেক নারীর নাম ছাপা হয়। তবে তাদের সবাই সাংবাদিক নন , কেউ কেউ সাংবাদিক হলেও পেশাদার নন। সাপ্তাহিক নিরীক্ষণের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী কাজী ফাতেমা বেগম-এর নামে পত্রিকাটির রি-ডিক্লারেশন দেয়া হলেও মূলত গৃহিনী হিসেবেই তিনি পরিচিত। সাপ্তাহিক কুমিল্লা দর্পণ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে নাগমা মোর্শেদ-এর নাম ছাপা হলেও সাংবাদিকতায় তিনি পেশাদারী নন। এ ক্ষেত্রে দৈনিক শিরোনাম সম্পাদক নীতিশ সাহা ব্যতিক্রম। তার স্ত্রীও শিক্ষিত। শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। কিন্তু তার স্ত্রী সাংবাদিকতা করেন না বলে নীতিশ সাহা স্ত্রীকে পত্রিকাটির কোনো পদে রাখেননি , এমনকি তার নাম পত্রিকাটির প্রিন্টার্স লাইনেও ছাপেন না। সাপ্তাহিক নতুনপত্রের প্রিন্টার্স লাইনে নাম ছাপা হয় এডভোকেট শামসুননাহার বাকীর। কিন্তু তিনিও সাংবাদিকতায় পেশাদারী নন। দৈনিক শিরোনাম সম্পাদক নীতিশ সাহার বড় ভাই আশিষ সাহার মেয়ে দীপান্বিতা সাহা ঊর্মি একসময় খুব ভালো লিখতেন এবং ভালো ছবিও আঁকতেন। ঊর্মি বর্তমানে ডাক্তার হয়েছেন। সুতরাং সাংবাদিকতায় আসার আর সম্ভাবনা আর নেই। কুমিল্লার ফটো সাংবাদিক ওমর ফারুকী তাপসের ছোটবোন রাইয়ান আরা বীথি কিছুদিন সংবাদপত্রে লেখালেখি ও সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও শেষে এ পেশায় আর থাকেননি। কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগ নেতা কাজী মমতাজ উদ্দিন একসময় কুমিল্লার সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন। তার মেধাবী মেয়ে মহুয়া মমতাজ একসময় পত্রিকায় লেখালেখি করলেও সাংবাদিকতায় আর আসেননি। কুমিল্লার ‘বর্ণপাঠ’ সম্পাদক ইয়াসমিন রীমা একসময় কুমিল্লার শিক্ষানবীশ সাংবাদিক মেয়েদের নিয়ে গঠন করেছিলেন ‘উইমেন ইন মিডিয়া ফোরাম-কুমিল্লা’। পরে সেটির কার্যক্রমও একেবারে স্থবির হয়ে যায়। সারা বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সম্পাদক ঊর্মিলা সিংহ ছিলেন কুমিল্লার। বর্তমান সময়ে সাপ্তাহিক আমোদ এর সম্পাদক শামসুননাহার রাব্বীকে কুমিল্লার নারী সাংবাদিকদের এক আদর্শ মডেল বলা যায়। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে ‘আমোদ’ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত তিনি মাসিক ‘ময়নামতি’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকাও প্রকাশ ও সম্পাদনা করেন। ১৯৯৭ সালে মহিলা সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার জন্য ‘অনন্যা শীর্ষ দশ’ সম্মাননা পদকে তাকে ভূষিত করা হয়। সাংবাদিকতার শুরু হয়েছিল ১৯৫৯ সাল থেকে তার স্বামী সাপ্তাহিক আমোদ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর হাত ধরে। শিক্ষানবীশ নারী সাংবাদিকদের মধ্যে কুমিল্লার বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুরের দক্ষিণ শ্যামপুরের একটি মেয়ে একসময় পড়তেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। থাকতেন কুমিল্লা শহরের ঝাউতলার খ্রীস্টানপাড়ায়। নাম ছিল তার উম্মে ইফফাত জাহান লুনা। লুনা বিভিন্ন পত্রিকায় একসময় লেখালেখি করতেন। সাংবাদিকতাও করেছিলেন কিছুদিন। পরে আর আসেননি রিপোর্টিংয়ে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী সানন্দা রুবী সাপ্তাহিক আমোদসহ বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরে সাংবাদিকতা করেননি আর। বাড়ি ছিলো তার কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরববাজারের লক্ষ্মীপুর মোল্লা বাড়িতে। কুমিল্লার ফটো সাংবাদিক শাহজাহান চৌধুরীর দুই মেয়ে তৃণাজাহান ও তৃষা জাহান চৌধুরীও কিছুদিন শুরু করেছিলেন সাংবাদিকতা। কিন্তু পেশাদারী দিক থেকে আর এগোননি তারা। একসময় মুক্তাপাল শানু, স্নিগ্ধা রায়, মুক্তা রায়, স্বপ্না দেবনাথ নামে ভিক্টোরিয়া কলেজের আরও অনেক ছাত্রী সাংবাদিকতার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কিন্তু তাদের অনেকেই বিয়ের পর আর সাংবাদিকতার সুযোগ পাননি। স্বপ্না দেবনাথ একসময় দৈনিক কুমিল্লা বার্তায়ও কাজ করেছিলেন। কিন্তু পরে ছেড়ে দিয়েছেন সব। মুক্তাপাল শানুর বিয়ে হয়েছে কুমিল্লার কালির হাটের নবদ্বীপ চন্দ্রের বাড়িতে। স্বামী অনাথ চন্দ্র পাল লিটন স্ত্রীকে আর সাংবাদিকতা করতে দেননি।

কুমিল্লার পেশাদার আলোকচিত্রী শ্যামল বড়–য়া ববি-র টমছমব্রীজে একটি বাণিজ্যিক স্টুডিও আছে । ‘গ্ল্যামার ফটো স্টুডিও’ নাম। তিনি সুমি সিংহ নামে যে মেয়েকে বিয়ে করেন , একসময় সুমি সিংহ সাংবাদিকতা করার স্বপ্ন দেখলেও পরে আর সে পথে অগ্রসর হননি। কুমিল্লা শহরের তালপুকুরের পশ্চিমপাড়ের সংযুক্তা রায় মুন এখন আর সাংবাদিকতা করেন না। মাসিক ‘প্রতিভা’ নামে একসময় তিনি একটি কাগজও করতেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা জজ কোর্টের আইনজীবি। কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় হাজী তারুমিয়া পৌর ভবনের দোতলায় ‘কালার এড’ প্রিন্টিং ব্যবসার স্বত্ত্বাধিকারী আমেনা বেগম শিউলী একসময় পত্রিকার পরিচয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করলেও তিনিও সাংবাদিকতা করেননি ।

সাপ্তাহিক কুমিল্লা দর্পণ পত্রিকার নাগমা মোর্শেদ, ফারহানা মরিয়ম আঁখি ও ফাখেরা মনসুর এর নামে বিভিন্ন রিপোর্ট ছাপা হলেও তারা সাংবাদিকতায় পেশাদারী নন। কুমিল্লা শহরের রাণীর বাজার লুনাবাদ পুকুরের পশ্চিমপাড়ের আবুল মনসুরের মেয়ে ফাখেরা মনসুর সাংবাদিকতার অনেক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তবে তিনি মূলত একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। সাংবাদিকতায় পেশাদারী নন , শৌখিন। সাপ্তাহিক সময়ের পথ পত্রিকার প্রিন্টার্স লাইনে সাংবাদিক বাচ্চু বকাউলের স্ত্রী মেহেরুননেছা বকাউলের নাম ছাপা হলেও তিনিও এ পেশায় পেশাদারী নন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় রুমা বকাউল নামে লেখালেখি করলেও পেশাদারী চিন্তা থেকে লেখালেখি করছেন না। গৃহকর্মের পাশাপাশি শখের বশেই লিখছেন। কুমিল্লার বুড়িচং-কালিকাপুরের জাহাঙ্গীর আলম জাবির পত্রিকায় লেখালেখি করেন। তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার সুমিও কিছুদিন পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। কিন্তু সেই লেখালেখি সাংবাদিকতার পর্যায়ে পড়ে না। সেসব শৌখিন লেখালেখিই করতেন কুমিল্লার গল্পকার মামুন সিদ্দিকীর ছোটবোন নাসরিন লিপি। লিপি ইংরেজি সাহিত্যে লেখাপড়া করেছেন , কিন্তু আর সাংবাদিকতা করেননি । বিয়ের আগে তিনি সাংবাদিকতার একাধিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও পরে সাংবাদিকতা করেননি আর। কুমিল্লা শহরের পুরাতন চৌধুরীপাড়ার এডভোকেট সাইদুর রহমানের মেয়ে নূরজাহান বিলকিস ‘বিসিডিজেসি’ আয়োজিত সাংবাদিকতার একাধিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও প্রশিক্ষণ শেষে এ অঙ্গন থেকেই উধাও।

এডভোকেট নাহিদ সুলতানা মুক্তির ছোটবোন তৌহিদা সুলতানা শেলী কসমেটিক ব্যবসা করতেন। সাংবাদিকতার অনেক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলেও শেষ পর্যন্ত কবিতা লেখা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলেন। কুমিল্লার কাগজের এক সময়ের সাংবাদিক শাহিনুর সুলতানার বড় বোন নুরুন নাহার সুলতানা শর্মী কিছুদিন পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। আর এগোননি। কুমিল্লা খেলাঘর-এর রাশেদা আখতার এর মেয়ে আফরোজা হাসান সুবর্নার অবস্থাও একই। তেমনিভাবে বর্ণালী চক্রবর্তী, নাহিদা আক্তার নিঝুম, সুরভী দে সরকার, মিতু পালসহ আরও অনেকের নাম উল্লেখ করা যাবে , যারা শুরু করলেও পরে আর সাংবাদিকতা করেননি। কুমিল্লায় নারী সাংবাদিকতা এখনও পেশাদারী ভূমিকায় নেই। নারী সাংবাদিকদের কোনো সংগঠন নেই। আর প্রকাশনা ? কুমিল্লা কোনো পুরুষ সাংবাদিকদেরও কোনো অনিয়মিত জার্নাল নেই বর্তমানে। সারা বাংলাদেশে যেখানে পুরুষ সাংবাদিকের সংখ্যা ৭ হাজারেরও বেশি , সেখানে নারী সাংবাদিকের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩৫০ জন। কুমিল্লাও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ স্তরে যে কয়েকজন নারী সাংবাদিক রয়েছেন , তারাও মূলত এসেছেন সাংবাদিক পরিবার থেকে , বিশেষ করে স্বামী কিংবা পিতার উত্তরসূরীতাতেই তারা সাংবাদিকতা করছেন। সাপ্তাহিক আমোদ সম্পাদক শামসুননাহার রাব্বী সাংবাদিকতায় এসেছেন স্বামীর হাত ধরে। তার যে হাতে তার কলম চলেছে , সেই হাতেই করেছেন সংসারের যাবতীয় কাজ। তবে বর্তমানে কুমিল্লার মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন দিলরুবাইয়াৎ সৌরভী। কেন কুমিল্লার নারীরা আর সাংবাদিকতা করতে উৎসাহ পাচ্ছেন না ? শুধু পেশাগত বৈরীতাই নয় , বহুমুখি বৈরিতাই তার পেছনে কাজ করেছে। এ বিষয়ে এএফপি-র ফটো সাংবাদিক ফারজানা খান গোধূলি-র মতামত জানার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারিনি। একসময়ের সালমা সোবহান ফেলো দৈনিক প্রথম আলোর কামরুন নাহার জানান , মেয়েদের সাংবাদিকতায় এগিয়ে আসার আর্থিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। একসময়ের সালমা সোবহান ফেলো দৈনিক প্রথম আলোর শারমিন ফারজানাও বলেন , সাংবাদিকতা সব দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ পেশা , যদিও এ পেশা সম্ভাবনারও। সুতরাং সময় না আসা পর্যন্ত মেয়েরা এখনই এতটা ঝুঁকি নিতে পারছে না। দৈনিক জনকণ্ঠের একসময়কার রিপোর্টার নাজমুন এ্যানি বলেন , ‘মেয়েদের সনাতন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে সাংবাদিকতায় মেয়েরা সফল হতে পারবে না।’





মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সাংবাদিকতা পেশায় মাঠ পর্যায়ে আসবার প্রধান বাঁধা মনে করি আমাদের সমাজের বৈরী মনোভাব আর নিরাপত্তা হীনতা।



শামসুন্নাহার রাব্বী আপুর সঙ্গে শেষবার দেখা হয়েছে তিনি যখন ময়নামতি সি এম এইচে ভর্তি ছিলেন।

ছাত্রাবস্থায় সে সময় আমোদে রিপোর্ট পাঠাতাম ইলিয়টগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে। আমার লেখালেখির সূত্রপাতও আমোদ-কে ঘিরেই (ভিন্ন নামে)।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.