নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীতে দুই ধরনের নারী আছে-এক : দেবী , দুই : পাপোষ

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:০৩





জসীম উদ্দিন অসীম:

পৃথিবীতে দুই ধরনের নারী আছে। এক ধরনের নারী হলেন দেবীর মতো। অন্য নারীর মান হলো পাপোষের মতো। পৃথিবীর প্রায় সব জিনিসকেই এ দু’ভাগে বিভক্ত করা চলে। কেউ যখন বলে , কিন্তু আপনি এটা বললেন কেন ? আমি বলি , পাবলো পিকাসো বলেছেন ,পৃথিবীতে দু’ধরনের নারী আছে। এক : দেবী , দুই : পাপোষ। দেবী হলে সংসার হয়। দেবীর পায়ে মানুষ মাথা ঠুকে আর পাপোষে উল্টো পায়ের জুতোর তলা মুছে। কিন্তু এটাই কি সঠিক উত্তর ? কিংবা আমিও কি সব উত্তর জানি?

আমার দ্বারা কী হবে , এটা দ্রুত বুঝে না নিলে জীবনের ফাঁক গলে সময় চলে যাবে। আমার একদা’র একমাত্র গুরু মহান কার্লমার্কসও তার কবিতায় এমনটিই বলেছেন-‘পথ বহুদূর। নষ্ট করার মতো সময় নেই।’ তিনি অন্য এক কবিতায় বলেছেন-‘হয় শক্ত হাতে টানো দাঁড়, অথবা ছেড়ে দাও, যে দিকে যায় যাক।’ কিন্তু তার এ শেষ কথার সঙ্গেই আমি এখন তাল মিলিয়েছি , ছেড়ে দিয়েছি দাঁড়।

এই যে দেবী আর পাপোষ , এটা সব জায়গাতেই রয়েছে। সাহিত্যেও। যখন আমি দেবীর প্রতিমূর্তি তৈরি করতে পারিনি , তখন কেবল পাপোষের পর পাপোষ তৈরি করেছি। এই যেমন কিছু স্মৃতি বলে শেষ করা। এটা এখন আমার এক ধরনের দায় হয়ে গেছে। নিজের কাছেই। শিল্পীত করার মতো সময়-শ্রম এখন কি সম্ভব? হয়তো ডায়েরি হবে অথবা রিপোর্টিং। কিন্তু আমার এসব গুচ্ছ গুচ্ছ ঘটনার শিল্পীত প্রকাশের জন্য আমাকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। তাই আমার লেখার মান নিয়ে আমার এখন খুব মাথাব্যথা নেই। কারণ বৈশিষ্ট্যগতভাবেই আমি বলি বেশি , লিখি বেশি , মান তাই খুব কম। একসময় ভাবতাম সিরিয়াস হবো প্রবন্ধ সাহিত্য নিয়ে। কিন্তু বামপন্থী রাগমিশ্রিত গদ্য আমাকে একটি জায়গায় স্থির করে দিয়েছে। ১৯৯২ সালে কুমিল্লার প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী আমাকে দিয়ে জোর করে আকস্মিক একটি প্রবন্ধ লিখিয়ে তার পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘আমোদ’ এ ছেপেছিলেন। রোহিঙ্গা নির্যাতনের ওপর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হিসেব করে দেখেছি আমি , আমার কোনো প্রতিভা নেই।

রবীন্দ্রনাথকে বুর্জোয়া কবি আমিও বলেছি। নকশালরা তো রবীন্দ্রমূর্তি পেলেই ভাঙ্গতো। পরে দেখলাম রবীন্দ্রনাথ রক্তের মতো বিকল্পহীন। অন্তত আমাদের জীবনে। আমি যখন পুরোপুরিই নাস্তিক ছিলাম , কেন যে তখনও তার ভাববাদী ‘গীতাঞ্জলি’ ভালো লাগতো। আজকাল যে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রকাব্য পাঠ দিবস পালন করা হয় , তা রবীন্দ্র প্রতিভার কতো বড় স্বীকৃতি। কেবলমাত্র পাপোষ তৈরি করলে এটি সম্ভব ছিল না।

যেহেতু আমার প্রতিভা নেই , তাই এখন সাধারণ কিছু কাজ করতে চাই। বলা চলে ওই পাপোষের মতোই। কাজে যেহেতু লাগিনি , সেহেতু এখন মানুষ দেখতে চাই এবং নোট রাখতে চাই। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে সময় সুযোগ নিয়েও কাজ করা যাবে। ভালো কাজও করলাম না , নষ্টও হতে পারলাম না। নষ্ট হলেও তো জঙ্গলদস্যু বীরাপ্পনের মতো আমার মাথার মূল্য হতো ৫ লাখ রূপী।

তবে পৃথিবীতে এখন দেবীর চেয়ে পাপোষের মূল্যই বেশি। কারণ দেবী বাজারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন না। অন্যদিকে বাজারের জন্য পাপোষ দারুণ পুঁজি। গোটা সমাজেই এখন পাপোষের কদর বেশি। কাঁচা মরিচ দিয়ে যত ব্যবসা হয় , গোলাপফুল দিয়ে তত হয়না। কারণ প্রায় সব লোকই কাঁচামরিচ কেনেন , গোলাপ কেনেন কতজন ? ফলে একদা প্রচন্ডভাবে বাজারবিরোধী হয়েও বর্তমানে নিজেকে আমি একটু একটু করে বিক্রি করতেও চেষ্টা করছি। কারণ টিকে তো থাকতে হবে। হিসেব অনেকই করেছি। বাড়ির দলিল , গাড়ির লাইসেন্স , পরিচয়পত্র এসবের জায়গা পূরণ করতে পারে না কোনো উঁচুদরের চিত্রকর্ম অথবা কবিতা অথবা নান্দনিক গান। পৃথিবীতে দুই ধরনের নারী আছে। এক ধরনের নারী হলেন দেবীর মতো। অন্য নারীর মান হলো পাপোষের মতো। পৃথিবীর প্রায় সব জিনিসকেই এ দু’ভাগে বিভক্ত করা চলে। যেহেতু আমার প্রতিভা নেই , তাই এখন সাধারণ কিছু কাজ করতে চাই , বলা চলে ওই পাপোষের মতোই। একদা প্রচন্ডভাবে বাজারবিরোধী হয়েও বর্তমানে নিজেকে আমি একটু একটু করে বিক্রি করতেও চেষ্টা করছি। কারণ টিকে তো থাকতে হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: পৃথিবীতে দুই ধরনের পুরুষ আছে, এক দেবতা দুই ক্ষুধার্ত নেকড়ে

বলুন তো আপনি কোন ধরনের মধ্যে পরেন।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: গতকাল মাথায় আঘাৎ পেয়েছি, দারুন লেগেছে, তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে উঠে বসে গেলাম, ব্লগ খুলে আপনার দেবি পাপোষ কি জানি শিরোনাম দেখে ঢুকলাম লেখা পড়ে দেখি মাথার যন্ত্রণা বেড়ে গেছে, বুঝতে পারছিনা সমস্যাটা কোথায়,আমার মাথায় নাকি আপনার লেখায়। একধিকাবর পড়েও এই যন্ত্রণা লাঘব হলোনা।

পরে আবার এসে পড়বো

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

ঝড়ের পাখি বলেছেন: ""পৃথিবীতে এখন দেবীর চেয়ে পাপোষের মূল্যই বেশি। কারণ দেবী বাজারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন না। অন্যদিকে বাজারের জন্য পাপোষ দারুণ পুঁজি। গোটা সমাজেই এখন পাপোষের কদর বেশি। কাঁচা মরিচ দিয়ে যত ব্যবসা হয় , গোলাপফুল দিয়ে তত হয়না। কারণ প্রায় সব লোকই কাঁচামরিচ কেনেন , গোলাপ কেনেন কতজন ? ফলে একদা প্রচন্ডভাবে বাজারবিরোধী হয়েও বর্তমানে নিজেকে আমি একটু একটু করে বিক্রি করতেও চেষ্টা করছি। কারণ টিকে তো থাকতে হবে'' বিশয়টি ভাল লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.