নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জসীম অসীম সময় পেলেই বনে যান পাখি দেখবেন বলে

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৩১





ফাহমিদা নিপু:

তিনি একজন আলোকচিত্রী , তিনি একজন চিত্রকর এবং একজন লেখক , তিনি জসীম উদ্দিন অসীম। যিনি এখনও সময় পেলেই বনে চলে যান কেবলই পাখি দেখবেন বলে। আলাপে-আড্ডায় জেনেছি , তার জীবনের বিশেষ কোনো লক্ষ্য নেই , যখন যা ভালো লাগে , তখনই তা করেন। নিজের ইচ্ছেকে খুব বেশিই সম্মান দেন তিনি। তাই একসময় ইসলামি ছাত্রশিবিরও করেছেন , বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদীর ফাঁসির দাবিতে এবং তার ‘সেটানিক ভার্সেস’ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলও করেছেন , পোস্টারিং করেছেন। আবার পরে কোনো একসময় রুশদীর পক্ষ নিয়েও কথা বলতেন। আরও বলতেন কোনো বই-ই নিষিদ্ধ করা উচিত নয়। এখনো তিনি নিজের ইচ্ছেমতোই একজন বহুমাত্রিক লেখক।

মূলত: কবিতা দিয়েই একদিন তিনি সাহিত্যের মৌলধারায় অনুপ্রবেশ করেন। তারপর থিয়েটার। বড় কোনো দলে কাজের সুযোগ না থাকলেও থিয়েটার বিষয়ক ব্যাপক লেখাপড়াও করেছেন। করেছেন বিভিন্ন ওয়ার্কশপ। ঢাকায়।

বাংলায় অনার্স পড়ার সময়েই অভিনয়ের প্রতি তার প্রবল একটা ঝোঁক তৈরী হয়। ফলে একাডেমিক লেখাপড়ায়ও যথেষ্ট বিঘœ ঘটে। বাংলায় গ্রাজুয়েশন করেছেন। কিন্তু মাস্টার্স পরীক্ষা দেননি। বাধাও ছিলো অনেক। বাবার সঙ্গে যৌথ পরিবারের হাল ধরেছিলেন। বোনদের বিয়ের লগ্ন এবং মায়ের মৃত্যুও তখন তার জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

তিনি একসময় মৌলবাদীদের পক্ষ নিয়েও কথা বলতেন। সেটা অনেক আগের কথা । সবগুলো ধর্মগ্রন্থের নির্যাস পাঠ করেছেন। ছাত্রশিবির করাকালে যেমন আল-কুরআন বুঝতে চেষ্টা করেছেন , পরে আবার বাইবেল স্কুলের ছাত্রও হয়েছেন। তিনি যে পরিবার থেকে এসেছেন , সেটি রক্ষণশীল ধর্মীয় পরিবার নয়। তাই তার কবিতাতেও রক্ষণশীলতা নেই এবং শেষে তিনি বর্জন করেন মৌলবাদী সব চিন্তাই তার।

খুব বেশি স্বেচ্ছাচারীও ছিলেন। অশিষ্ট আচরণও করতেন মানুষের সঙ্গে। কথা বলতেন তোয়াক্কাহীন ঢঙে। বর্তমানে সেই অবস্থান অনেকটাই পরিত্যাগ করেছেন। বাংলার পাশাপাশি একসময় ইংরেজিতে লেখালেখি করলেও তিনি নিজেকে একজন অসফল লেখক মনে করেন। মনে করেন , তার কোনোই প্রতিভা নেই। তিনি খুবই অস্থির প্রকৃতির একজন লোক। প্রেমের ক্ষেত্রেও । তাই ডান-বাম উভয় রাজনীতির সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। তাই একসময় যেমন আফগানিস্তানে গিয়ে জিহাদের স্বপ্ন দেখেছেন , আবার আরেক সময় নেপালের কমিউনিস্ট গেরিলাদের হয়ে যুদ্ধের কথাও ভাবতেন। শেষে বাস্তবায়ন হয়নি কিছুই।

তার কবিতায় রক্ষণশীলতা না থাকলেও তিনি একসময় ইসলামি কবিতাই বেশি লিখতেন। সে সময়ে ফররুখ আহমদ তার প্রিয় কবিদের একজন ছিলেন। তার অনেক কবিতায় সমকালীন যুগের দাবি স্বীকৃত হয়েছে। কবিতায় তিনি আঙ্গিক নিয়েও নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। জীবন ধারনের ক্ষেত্রে তার যে সংগ্রাম , তা উঠে এসেছে তারই অনেক কবিতায়। প্রথমদিকে তার ইসলামী বিপ্লবের চেতনা ও পরে তার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্ন তাকে প্রচলিত এ সমাজের সাথে খাপ খাওয়াতে দেয়নি। তিনি এখনও সময় পেলেই বনে চলে যান কেবলই পাখি দেখবেন বলে। আলাপে-আড্ডায় জেনেছি , তার জীবনের বিশেষ কোনো লক্ষ্য নেই , যখন যা ভালো লাগে , তখনই তা করতে চেষ্টা করেন। নিজের ইচ্ছেকে খুব বেশিই সম্মান দেন তিনি। আর তিনি মনে করেন , পাখিই তার বড় বন্ধু ,মানুষের থেকেও বেশি।



প্রথম প্রকাশ : সাপ্তাহিক মুক্তির লড়াই , কুমিল্লা।

৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:২৭

ভিটামিন সি বলেছেন: আমার খালি থাপড়াইতে ইচ্ছা করে। কারে যে ধইরা থাপড়াই। আনলিমিটেড থাপড়ানো, যা শুরু হবে কিন্তু শেষ হবে না। চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

জসীম অসীম বলেছেন: কারে থাপড়াইতে ইচ্ছা কর--------পাখিই বড় বন্ধু ,মানুষের থেকেও বেশি।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: রংবাজ শিবির?

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫৫

জসীম অসীম বলেছেন: শৈশবে শিবির করেছিলাম। না বুঝেই।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

জসীম অসীম বলেছেন: শৈশবে শিবির করেছিলাম। না বুঝেই। তারপর ছাত্র ইউনিয়ন-যুব ইউনিয়ন-উদীচী...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.