নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিবির ছাড়ার কারণ বলতে আমাকে একটি লেখা লিখতে হবে

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩১





শিবির ছাড়ার কারণগুলো উপস্থাপনের জন্য আমাকে আরেকটি লেখা লিখতে হবে । আমার জীবনের স্বর্ণবছর বলা যায় ১৯৯২ সালকে। এই দাবি যথার্থ। সব মিলিয়ে সে বছরের কার্যক্রম আমার উল্লেখ করার মত। সেটি কোনো আকস্মিক বা কার্যকারণহীন ঘটনা ছিল না। এক ভুবনমোহিনী হাসিওয়ালীর প্রেমেও পড়লাম ঢাকায় এবং একজন শিবির নেতার ঠ্যাং ভাঙ্গলাম , তাও ঢাকায়। তারাও একদিন আবার পাল্টা হামলা করলো এবং আমি প্রাণ বাঁচালাম কবরস্থানে লুকিয়ে--। যে গোলাম আযমের বই মুখস্থ করতাম , তার মাথায় মারতে ইঁট নিয়েও ঢুকলাম এক সভায়। পরে অবশ্য মারতে পারিনি কোনো কারণে। অনেকেই তাদের প্রতিবাদকে স্মরণীয় করেছেন নিজের সংগ্রামী প্রতিভা দিয়ে। কিন্তু আমার নিজের সংগ্রাম অনেক সময় গড়পরতার চেয়েও নিম্নমানের ছিল। কারণ একাই আমি অনেক ঝুঁকি নিয়েছি , সাংগঠনিকভাবে না গিয়ে। নিজের প্রতিবাদ-প্রতিভা রয়েছে জেনেও সাংগঠনিকভাবে ঝুঁকি নেইনি , রাজনীতি নিয়ে বেশি নিরীক্ষাও করিনি। শিবিরের মোস্তফা এখন জামাতের বড় নেতা। তাদের উদীচী করার কারণ নেই । তখনকার বাকি নেতারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক । আমি সততাকে বাঁচাতে গিয়ে এখনো দিন এনে দিন খাই। একবেলা কাজ না করলে ভাত জুটে না। সব মিলিয়ে আমার শিবির করাটা চোখে পড়ার মত নয়। এটি একটি আকস্মিক বা কার্যকারণহীন ঘটনা। মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় ,তখন আমার জন্ম। মৌলবাদী শক্তির পতনের সঙ্গে সঙ্গেই দেশীয় মৌলবাদীরা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন উদ্যমে কাজে নামছে। সব জায়গাতেই , বিশেষ করে গ্রামে নতুন করে তখন আবার মৌলবাদী হাওয়া বইছে। আর সেই হাওয়া কোনো কিশোরকে একটু নাড়া দেবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সময়ই আমাকে উদ্ধার করে এবং তার সাথে আমার মা। আমার মা

আমাকে প্রমাণ করে দেন ছাত্রশিবিরে আমার যে লিডার ছিলেন , তার বাবা ছিলেন ১৯৭১ সালের কুখ্যাত রাজাকার এবং তাকে মুক্তিযোদ্ধারা গুলি করে মেরেছিল। তারপর মা দিলেন কিছু বই পড়তে এবং গভীর করে শোনালেন ১৯৭১ সালে শহীদ আমার আপন বড় মামার আত্মত্যাগের ইতিবৃত্ত। ধীরে ধীরে আমার সামনে অন্য এক রসায়ন উন্মুক্ত হলো মৌলবাদ সম্পর্কে । এই রসায়নের নাম জামাত-শিবির রসায়ন। শিবির ছেড়ে দেই ১৯৯০ সালে। সেটা তখন খুবই কঠিন ছিল এবং তার চেয়েও কঠিন ছিল শিবির ছেড়ে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন করা । সব মিলিয়ে শিবির ছাড়ার কারণগুলো উপস্থাপনের জন্য আমাকে আরেকটি লেখা লিখতে হবে ।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: আপনি শিবির ছাড়েননি।

আপনার চেহারায় শিবির।

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২২

জসীম অসীম বলেছেন: শিবির ছিলাম শৈশবে , তারপর বামফ্রন্ট এবং এখন শিবির থেকে তেত্রিশ হাজার মাইল দূরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.