নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানজট থাকবে অসহনীয়!

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৪









ঈদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশে যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে কি ?

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশে প্রতিদিনই কিলোমিটার-কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষ। এবারের বর্ষার প্রথম দিন থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। প্রতিদিনই মহাসড়কে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা যানজট লেগেই থাকছে। অনেক সময় তা বেড়ে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্তও স্থায়ী হচ্ছে। এই যানজটের ভয়াবহতা আরো তীব্র আকার ধারণ করতে পারে আসন্ন ঈদে। যানজটের ১০ মিনিটের রাস্তা পারি দিতে সময় লাগছে ৮-১০ ঘণ্টা। ঈদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশে যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে কি ? মহাসড়কে

যানজট নিত্যদিনের এক যন্ত্রণার নাম। আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে সৃষ্ট যানজটে আরো কতোটা দুর্ভোগ পোহাতে হবে, তা ভেবে এখনই আতঙ্কে আছেন বিভিন্ন নগরবাসী লোকজন। ঈদকে সামনে রেখে সারাদেশে সড়ক মহাসড়কে যানজট নিরসনে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় অনেক সিদ্ধান্তই প্রতি বছর নেয়। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশ থাকার পরও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র দেখতে হয় ।

যানজটের অনেক কারণ রয়েছে। এ নিয়ে গবেষণাও কম হয়না। কিন্তু শেষে দেখা যায় সমস্যার সমাধান তো হয়নি বরং দিনে দিনে তা আরও প্রকট হয়েছে। আর প্রতি বছর ঈদ এলেই এ সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম যে হবে , তার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং এই ভরা বর্ষায় অবস্থা আরো খারাপও হতে পারে। প্রতি বছর ঈদে ঘরমুখো মানুষ পরিবহনে নতুন পরিবহন যুক্ত হয়। যুক্ত হয় অসংখ্য মানুষের নিজস্ব গাড়ি , যা মহাসড়ক দখলের জন্য দায়ী। তাছাড়া ফাঁকে ফাঁকে সরকারি ভিআইপিদের গাড়িগুলোকে প্রাধান্য দিতে গিয়েও যানজটের বলি হচ্ছে সাধারণ জনগণ। এর পাশাপাশি রয়েছে মহাসড়কের সংস্কার কাজ বা মেরামতের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ঘটনাও।

এ ছাড়া মহাসড়কের রাস্তার মধ্যে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট হয় বড়বড় গর্ত। এসব গর্তে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে স্কেল ভেঙে নষ্ট হয়। আর নষ্ট হওয়া গাড়ি সরিয়ে নিতে সময় লেগে যায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। আর এ সময়টাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এছাড়া মহাসড়কে গর্তের কারণে যান চলাচলের গতি কমে যাওয়ার কারণেও যানজটের মাত্রা বাড়ে। প্রতি বছর ঈদের লগ্নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশে যানজট লেগেই থাকে। মহাসড়কে থাকে অনেক খানাখন্দক। আর এসব খানাখন্দকে পড়ে গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় উল্টেও যাচ্ছে পণ্য ও যাত্রীবোঝাই গাড়ি। এতে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশকে যানজটমুক্ত করতে প্রয়োজন আরো বেশি উদ্যোগ। কিন্তু জনাকীর্ণ এ মহাসড়কের যানজটের হাত থেকে যাত্রীদের নিষ্কৃতি দেয়ার বিভিন্ন চেষ্টা চললেও ট্রাফিক ব্যবস্থার শৃঙ্খলার প্রতি আরও নজর দেয়া উচিত বলে অনেকে মনে করেন। ট্রাফিক শৃঙ্খলা এবং রাস্তার যাবতীয় জটিলতা বন্ধ করা সম্ভব হলে যানজট অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে। ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশের যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো দায়বদ্ধ ভূমিকা রাখলে অনেকটাই সমাধান সম্ভব।

ঈদে মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশে তীব্র যানজটের আশঙ্কা থেকে কিছুদিন আগে মহাসড়কের মেরামত কাজ শুরু করেছিল সংশি¬¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ। মহাসড়কের মাধাইয়া ও চান্দিনা বাস স্টেশন এলাকায় পাথর ও বিটুমিনের মিশ্রনে আধুনিক মেশিনে মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশের ফোরলেনের কাজের পাশাপাশি পুরাতন সড়ক মেরামত কাজও অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশের মাধাইয়া, চান্দিনা ও ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় সড়ক ভাঙ্গাচুরার কারণেও কখনো কখনো যানজট হয়। তবে মহাসড়কের উপর কাঁচাবাজার ও স্টেশন এলাকায় গাড়ির অবৈধ পার্কিং এবং সিএনজি স্টেশনে যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে , ওই সমস্যার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যানজট কমানো সম্ভব হবে না।

মহাসড়কের চান্দিনা ও মাধাইয়া বাসস্টেশন এলাকার ছোট-বড় গর্তের কারণে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয় , তা সমাধান হলেও ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় সেনাবাহিনীর সিগনাল আরও বিরক্তিকর। সেনাবাহিনীর সাইকেল থেকে শুরু করে যে কোন গাড়ি ভিতর থেকে এ পার-ওপার হলেই চলে কড়া সিগনাল। আর একটি সিগনালে লাইনে পড়ে যায় কয়েক ডজন গাড়ি। আর ওই লাইন দ্রত শেষ না হলেই সৃষ্টি হয়ে যানজট।

হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ (সাজেন্ট) আসাদ জানান, মহাসড়কের যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিক। কারণ এ সমস্যার কারণে সৃষ্ট যানজট হাইওয়ে পুলিশকেই মোকাবেলা করতে হয় বেশি।

এবারের ঈদে হয়তো যানজট সমস্যার জট খুলবে , এমনটি প্রতিবছরই মনে করা হয়। কিন্তু পরে প্রতিবছরই এ সমস্যার সমাধান তো হয়ই না , বরং দিনে দিনে তা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। প্রতি বছর রমজান মাস এলেই এ সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বরং এ ভরা বর্ষায় অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত অবধি মহাসড়ক সংস্কার হলেও শেষ পর্যন্ত ঈদ এলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশেই যানজটে বেশি নাকাল হচ্ছে ঘরমুখো মানুষ। তাই অনেকেরই আশঙ্কা আসন্ন ঈদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্ল¬া অংশে যানজট সহনীয় থাকবে কি ?



মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.