নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘রুদ্রকে কথা দেই মিঠেখালি যাবো’

২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৭

জসীম অসীম:

আমি রুদ্রকে কথা দেই , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিঠেখালি সফরে যাবো।

পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় তরুণ কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল¬াহ ১৯৯১ সালের ২১ জুন আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে চির বিদায় নেন। আমি তখন ঢাকায় । রুদ্রের আরেক মৌন উত্তরসূরী । সময়ের নৈঃশব্দ্যকে ছুঁতে ব্যস্ত খুব।

রুদ্রের জন্ম হয়েছিল ১৬ অক্টোবর ১৯৫৬-তে। রুদ্রও কি সময়ের নৈঃশব্দ্যকে ছুঁতে পেরেছিলেন ?

‘নগ্ন নির্জন হাত’ কবিতায় জীবনানন্দ সময়ের নৈঃশব্দ্যকে ছুঁতে চেয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ সময়ের নৈঃশব্দ্যকে ছুঁতে ‘গীতাঞ্জলি’-তে ঈশ্বরে সমর্পিত হয়েছিলেন। কবি রুদ্রের কবিতাগুলো সময়ের নৈঃশব্দ্যকে ছুঁতে চেয়েছিল দেশপ্রেমের রাজনৈতিক ঋদ্ধ আকাঙ্খায় । আজ সময়ের নৈঃশব্দ্যকে ছুঁতে চাইবে কে আর কবি রুদ্র ছাড়া ? হাসিমুখে আজ আমাদেরকে আর অভ্যর্থনা জানাবে কে কবি রুদ্র ছাড়া ? তাই তার অকালমৃত্যু আমাদের জীবনেও এমন প্রভাব ফেলেছে। তাই দেশের আর দেশের মানুষের মুক্তির চিন্তা ছাড়া রুদ্র কবিতা লিখতে পারতেন না।

আমি প্রায় রাতেই রুদ্রের সাথে কথাবার্তা বলি। তিনি আমার হাতে তুলে দেন তার নতুন নতুন কবিতা। সেই কবিতায় তিনি আমাকে মংলার মিঠেখালি গ্রামের যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, বিভিন্ন কারণে তাঁর কবিতার বই ‘উপদ্রুত উপকূল’, ‘ফিরে চাই স্বর্ণ গ্রাম’, ‘মানুষের মানচিত্র’, ‘ছোবল’ , ‘গল্প’ , ‘দিয়েছিলে সকল আকাশ’ , ‘মৌলিক মুখোশ’ , ও ‘বিষ বিরিক্ষের বীজ’ আমার জীবনের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি রুদ্রকে কথা দেই , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিঠেখালি সফরে যাবো। একদিন রাতে রুদ্র আমাকে মংলার সেন্ট পলস স্কুল দেখাতে নিয়ে যান এবং ওখান থেকে আবার ফিরে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে । তারপর তিনি বলেন , আমি কি ঢাকা ছেড়ে বাঁচতে পারি ? কষ্টে আমি রুদ্রকে বলি , ঢাকা তো নষ্ট হয়ে গেছে রুদ্র। কষ্টে তাই ঢাকা ছেড়েছি আমি। এ কথা শুনে রুদ্র চিৎকার করে বলেন , ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন’--- ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন’--- ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন’ ...আমি তখন আবৃত্তি করতে থাকি তাঁর এই কবিতারই অপর একটি চরণ, ‘ধর্ষিতা বোনের শাড়ি ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা’!--- ‘ধর্ষিতা বোনের শাড়ি ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা’!--- ‘ধর্ষিতা বোনের শাড়ি ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা’! আমি রুদ্রকে কথা দেই , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিঠেখালি সফরে যাবো। ভাবছেন কখন কথা দিলাম ? বলছি শুনুন ।সহসা আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় । এমন অবিস্মরণীয় স্বপ্ন কতোকাল আর দেখি না আমি ?



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.