নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা ডাস্টবিন থেকে খাবার খেয়ে বাঁচে

২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১১





জসীম অসীম:

ডাস্টবিন থেকে খাবারের উচ্ছিষ্ট কুঁড়িয়ে খেয়ে বাঁচে , এমন জীবনের এই লোকটির দেখা পেয়েছিলাম ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে কুমিল্লা রেলষ্টেশনে । আমার মায়ের মৃত্যুর কয়েকদিন পরে। তার একাধিক সাক্ষাৎকারও তখন ছেপেছিলাম স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে। ছবিটি দেখে এখনো আমার মনের মধ্যে শুধু একটি প্রশ্নই বাজে , ডাস্টবিন থেকে খাবারের উচ্ছিষ্ট কুঁড়িয়ে নিয়ে যারা খায় , বাঁচে , তারা কি মানুষ নয় ? যে ৫ শতাংশ মানুষের কাছে ৯৫ শতাংশ সম্পদ , তারা কি এই মানুষগুলোর দিকে চায় ?

নির্মম সত্যের বয়ান করতে আমি ইচ্ছুক। কিন্তু পারি না সব সময় । বার্লিন আন্তর্জাতিক ফিল্ম উৎসবের শর্ট ফিল্ম প্রতিযোগিতায় যে পরিমাণ ক্ষুধা দেখানো হয় , তার চেয়ে বেশি ক্ষুধা আমি বাস্তবে দেখেছি। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ক্ষুধার যন্ত্রণায় যেভাবে কাতরায় , জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থায় ধনী মানুষের জাকাতের টাকা দিয়ে , এসব দরিদ্র মানুষের স্থায়ী সমাধান আছে কী না , আমার জানা নেই। ‘প্রত্যেকে নিজের গ্রামের দারিদ্র্য নিরসনে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে পারলে জাকাতের প্রকৃত আদর্শ বাস্তবায়িত হবে’-এমন তো শুনে আসছি , সমাধানের পথ তো দেখছি না। নির্মম সত্যের বয়ান করতে আমিও ইচ্ছুক , কিন্তু পারি না । পারছি না কোনোভাবেই।

ডাস্টবিন থেকে খাবারের উচ্ছিষ্ট কুঁড়িয়ে নিয়ে যারা খায় এবং বাঁচে , তারা কি মানুষ নয় ? প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে সহায়তা চাওয়া হলে বিত্তবান মানুষ সাগ্রহে কতোটা এগিয়ে আসেন ? জাকাত আদায় এবং আদায়কৃত অর্থ ব্যবহার ব্যবস্থাপনায় মানুষের এমন অভাব দূর হবে কী না , আমি জানি না । পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে বহুবার সরাসরি এই জাকাতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু যাদের নিজস্ব সম্পদ বলে কিছুই নেই , তাদের জন্য সমাধান খুব সহজ কাজ নয়। ৫ শতাংশ মানুষের কাছে ৯৫ শতাংশ সম্পদ। তারা কি ৯৫ শতাংশ মানুষের দিকে চায় ? তাহলে সমাধানটা কিভাবে হবে ? আমার জানা নেই। মনের মধ্যে শুধু একটি প্রশ্নই বাজে , ডাস্টবিন থেকে খাবারের উচ্ছিষ্ট কুঁড়িয়ে নিয়ে যারা খায় , বাঁচে , তারা কি মানুষ নয় ? ডাস্টবিন থেকে খাবারের উচ্ছিষ্ট কুঁড়িয়ে খেয়ে বাঁচে , এমন জীবনের এই লোকটির দেখা পেয়েছিলাম ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে কুমিল্লা রেলষ্টেশনে । আমার মায়ের মৃত্যুর কয়েকদিন পরে। তার একাধিক সাক্ষাৎকারও তখন ছেপেছিলাম স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে। ছবিটি দেখে এখনো আমার মনের মধ্যে শুধু একটি প্রশ্নই বাজে , ডাস্টবিন থেকে খাবারের উচ্ছিষ্ট কুঁড়িয়ে নিয়ে যারা খায় , বাঁচে , তারা কি মানুষ নয় ? যে ৫ শতাংশ মানুষের কাছে ৯৫ শতাংশ সম্পদ , তারা কি এই মানুষগুলোর দিকে চায় ?



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন বলেছেন: হুম ভালো বলেছেন

২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

জসীম অসীম বলেছেন: ধন্যবাদ। সম্পদের সুষম বন্টনের জন্য সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে ইসলামী আইনেও। সমাজতন্ত্র তো বলেই । কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন। নয় কি ?

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৫

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ভাই বহুকাল ধরে কদমের নিচে ঢাকা পড়ে আছি। এখান থেকে আমাকে উদ্ধারের কোনো প্রচেষ্টা থাকলে উপকৃত হবো।।

কি যে বলেন আপনি অনেক মাথা উচু করে কদম ফুলের অনেক উপরে দাড়িয়ে আছেন। ...চারিদিক উজ্জল করে আছেন। কি সুন্দর মানবিক লেখা গুলি লিখেন। অনেক ধন্যবাদ এই মানবিক লেখার জন্য। আমার সালাম জানবেন। ভাল থাকবেন কেমন।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

জসীম অসীম বলেছেন: কৃতজ্ঞ আপনার কাছে এত আন্তরিক পরামর্শের জন্য। ব¬গে আমি একেবারেই নবাগত। জীবনানন্দ দাশ বাংলার নদী মাঠ জোছনা শিশির ভালোবেসে হৃদয়ের গহীনে যে শব্দমালা গেঁথেছেন তার উষ্ণতা থেকে আমিও বিচ্ছিন্ন ছিলাম না কখনোই। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম ‘দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে।’ কিংবা ‘নরম ধানের গন্ধ-কলমির ঘ্রাণ , হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, চাঁদা সরপুঁটিদের মৃদু ঘ্রাণ...’-এর মতো দু-চারটি অমর উদ্ধৃতি রচনা করে এ জীবনকে স্বার্থক করতে। অথচ শেষ পর্যন্ত আমার দ্বারা হলো না কোনো কিছুই। হবেও না। জানি আমি। কারণ আমার কোনো প্রতিভা নেই , ছিলোও না কোনোকালে। নিশ্চিত। অজস্র ব্যর্থতা দিয়ে ভরিয়েছি আমি আমার জীবন।।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪৩

নতুন বলেছেন: মানুষের ভন্ডামীর জন্যই এই সব সমস্যার সমাধান হয়না....

মুখে ভাল কথা বলে... কিন্তু কাজের বেলায় কেউই করতে চায়না..

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০২

জসীম অসীম বলেছেন: তবে একদা আমিও ছিলাম একজন রুশ-সমর্থক , ক্রেমলিনের সমাজতান্ত্রিক ইতিহাস আমিও পড়েছিলাম। বিপ¬বী নেতা হতে আমিও চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে ‘বনের হিজল গাছ ডাক দিয়ে নিয়ে যায় হৃদয়ের পাশে’ এই আমাকে। তারপর ‘চারিদিকে চেয়ে দেখি পল¬বের স্তূপ , জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ’। তা-ই দেখে আমার এ হৃদয়ের গহীনে মৃত সব লতাগুল্মও প্রাণ পেয়ে যায়। কিন্তু আমি বাদ হয়ে যাই এই সমাজের চোখে। সমাজের চোখে আমি পরিত্যক্ত মানুষ।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২১

রাজিব বলেছেন: আপনার লেখা ভাল। বাংলা নিয়ে পড়েছেন এবং বাংলাতেও দখল আছে আপনার আমাদের অনেকের থেকে বেশী। প্রায় সমবয়সী হিসেবে ব্লগিং এর ব্যপারে ২ টি পরামর্শ দেই দয়া করে অন্যভাবে নেবেন না। ইচ্ছা হলে মানবেন না হলে মানবেন না।
১। আপনি দিনে ১ টি করে পোস্ট দিন এবং এর বেশী দেবেন না। এতে করে ১ বছরে ৩৬৫ পোস্ট হয়ে যাবে। এবং যারা আপনার পোস্টে কমেন্ট করেন তাদের কমেন্ট এর উত্তর যতটা সম্ভব সুন্দর করে দিন। এতে করে দেখবেন অনেক ব্লগারের সঙ্গে আপনার সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে।
২। অন্যদের পোস্টেও কমেন্ট করুন। অন্তত যারা আপনার পোস্টে কমেন্ট করছেন তাদের ব্লগে গিয়ে তাদের পোস্টে কমেন্ট করুন। এতে করে অন্যদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
আপনার একজন সফল, জনপ্রিয় ও ভাল ব্লগার হবার সম্ভাবন আছে দেখেই আমি এ পরামর্শ দিলাম। মানা না মানা আপনার ইচ্ছা।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

জসীম অসীম বলেছেন: ভাই রাজিব, কৃতজ্ঞ আপনার কাছে এত আন্তরিক পরামর্শের জন্য।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:২১

রাজিব বলেছেন: আর আপনার লেখাটি খুব ভাল হয়েছে, আশা করি নির্বাচিত পোস্টে স্থান পাবে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৩

জসীম অসীম বলেছেন: ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.