নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুমিল্লা রেলস্টেশন এলাকা কি কখনোই মাদকমুক্ত হবে না ?

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

কুমিল্লা রেলস্টেশন এলাকা কি কখনোই মাদকমুক্ত হবে না ? কেন এ এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করাই যাচ্ছে না। কেন বছরের পর বছর ধরে মাদকের আখড়ায় রূপান্তরিত রয়েছে কুমিল্লা রেলস্টেশন ? কেন হাত হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় সব ধরনের মাদক। কেন বছরের পর বছর ধরে হেরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, পেথোড্রিন, গাঁজা, দেশীয় চোলাই মদ, ভারতীয় হুইস্কি-বিয়ার থেকে শুরু করে চেতনাশক টেবলেট, ইনজেকশন ও যৌন উত্তেজক টেবলেটের আখড়া এখন কুমিল্লা রেলস্টেশন। এ প্রশ্নের উত্তর যেন নেই।

কুমিল্লা রেলস্টেশনের ওয়েটিং রুমেই বিভিন্ন কৌশলে দিন-রাত ২৪ ঘন্টাই চলে মাদকের জমজমাট বেচাকেনা। সেবনের কাজটাও কখনো কখনো রেলস্টেশনের আশেপাশে চলে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকেই মাদক বিক্রেতারা সক্রিয় হয়ে উঠে এখানে। নিয়মিত মাদক সেবনকারীরাও আড্ডা দিয়ে জমিয়ে তুলে মাদক বাণিজ্য। এ মাদক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রন করছে শাসনগাছা, সাতোরা ও ধর্মপুর এলাকার গডফাদাররা। স্থানীয় প্রভাবশালীদের শেল্টারে বহাল তবিয়তে রেলস্টেশনের মাদকের হাট চালাচ্ছে মাদক সম্রাট আর সম্রাজ্ঞীরা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন মাদকের এ আখড়ায় অভিযান চালালে চুপিসারে মাদকের বেচাকেনা চলতো । কিন্তু তেমনি গত কয়েক বছরে কুমিল্লা রেলস্টেশনে বেড়েছে মাদক বানিজ্য । । কুমিল্লা রেলস্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের উৎপাতে , আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন কোন সংস্থা নেই, মাদকহাটে অভিযান চালায়নি, কিন্তু রেলস্টেশন এলাকা থেকে মাদককে নির্মূল করা যাচ্ছে না কোনোভাবেই।



ষ্টেশন এলাকার ও রেলক্রসিং এর উভয় পাশের প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে অবৈধভাবে বসবাসরত এবং স্থানীয় অনেক বাসিন্দার একমাত্র ব্যবসা মাদক। দিনরাত ওই ঘরগুলোতে চলে মাদক ব্যবসা। ক্রেতাদেরকের নিজেদের ঘরে বসিয়ে মাদক বিক্রি করে তারা। নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে কোমলমতি শিশুরাও ক্রেতা চিনতে ভুল করে না। অনেক ব্যবসায়ীরা ক্রেতা বাড়াতে যুবতী মেয়েদের মাধ্যমে ক্রেতাদের নিকট মাদক সরবরাহ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলস্টেশনের একাধিক বাসিন্দা জানান, রেলস্টেশনের এই মাদকের হাট বেশ পুরোনো। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনও এখানে মাদকের হাট বসতো , তবে চুপিসারে। কিন্তু এখন মাদকের হাট বসে প্রকাশ্যে। এখানকার মাদক ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে মাস্তান পুষে। তাদের ভয়ে প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ কোনটাই করা যায়না। আর গডফাদাররা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী মাদকব্যবসায়ী জানায়, প্রতিমাসে পুলিশ ও নেতাদের অনেক টাকাই দিতে হয়। যারা এই মাসোয়ারা না দেয়, ওই ব্যবসায়ীদের পুলিশ গ্রেফতার করে। ওই এলাকার একজন ভদ্রলোক জানান, এখানকার মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে সম্মান নিয়ে এলাকায় তাদের বসবাস করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের ছেলেমেয়েরাও স্কুল-কলেজে বন্ধুদের কাছে নিজেদের বাসার ঠিকানা বলতে লজ্জা পায়। প্রভাবশালী ও লোকাল পলিটিকাল শেল্টারে শাসনগাছা রেলওয়ের মাদক বাণিজ্যের বিশাল নেটওয়ার্ক বিস্তার করে রেখেছে সেখানকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় ভদ্র বাসিন্দাদের প্রতিদিনকার প্রশ্ন , কাদের শেল্টারে এখানে মাদকের এ জমজমাট হাট রয়েছে। আর কেন কুমিল্লা রেলস্টেশন এলাকা থেকে কখনোই মাদকদ্রব্য নির্মূল করাই যাচ্ছে না। কেন বছরের পর বছর ধরে মাদকের আখড়ায় রূপান্তরিত রয়েছে কুমিল্লা রেলস্টেশন ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: যারা এদের ধরবে তারা বেশ ভাল শেয়ার মানি পায় এদের কাছ থেকে।

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জসীম অসীম বলেছেন: ভাই , আপনার সঙ্গে একমত আমি। উত্তরে বিলম্ব হওয়ায় খুবই দু:খিত। ভালো থাকবেন।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

খাটাস বলেছেন: বাংলাদেশের বলা যায় সব জেলার ব্যস্ত স্টেশনেই মাদক ব্যবসা হয় রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায়। নেতারা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। মাদক ব্যবসার টাকা দিয়ে নিজেরাও ফুলে ফেপে ওঠে, আবার ক্যাডার পালে। অন্যের ছেলে মেয়ের হাতে মাদক অস্ত্র তুলে দিয়ে , নিজেদের ছেলে মেয়েদের ভাল জায়গায় রাখে। এই ক্যাডার দের দিয়েও আবার চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি করায়। পুলিশ দের ও নিজেদের স্বার্থেই হোক, আর দলীয় প্রভাবের ভয়েই হোক, চুপ করে নেতাদের কথা মত চলতে হয়। সাংবাদিক রা ও টাকা খেয়ে, কেও ভয়ে চুপ করে থাকে। তবে কখন ও কখন ও কোন সাহসী সাংবাদিক, মাদক নিয়ে নিউজ করেন- তা সাধারণ নিউওজের মত। তবে যখন মাদক নিয়ে নিউজের ট্রেন্ড শুরু হয় বড় পেপার গুলোতে তখন বেশ কিছু দিন রমরমা নিউজ আসে।
আর রাজনৈতিক দল গুলো ও বিভিন্ন জেলায় বা শহরে আধিপত্য বজায় রাখার জন্য- এসব নেতাদের কিছু বলে না। বড় রাজনৈতিক দল চালাতে লোকবল তো এসব নেতারাই দেয়।
তাহলে মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে কিভাবে?

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

জসীম অসীম বলেছেন: এত গভীর থেকে বিষয়টি আপনি বুঝিয়েছেন,ব্যাখ্যা করেছেন , কৃতজ্ঞ আপনার কাছে। ব্যস্ততা না থাকলে একটু মন খুলে উত্তর লিখতাম। ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.