নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুমিল্লায় সিএনজি অটোরিকশায় ভাড়ার নামে চলছে নৈরাজ্য !

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

সিএনজি অটোরিকশা ভাড়ার নামে কুমিল্লায় ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্ধারিত ভাড়ার কিছু রুট ছাড়া প্রায় সর্বত্রই এ নৈরাজ্য চলে বলে জানা যায়। ওসব রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এ নিয়ে যাত্রী আর চালকদের মধ্যে প্রতিনিয়তই চলছে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি। যাত্রীদের নির্দিষ্ট ভাড়ার ব্যবস্থা না থাকায় কথিত ভাড়ার উপরে আবার অতিরিক্ত ভাড়াও সময়ে সময়ে আদায় করা হয়। ফলে সিএনজি অটোরিকশার যাত্রীদের হয়রানি দৈনন্দিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিএনজি অটোরিকশার চালকদের কাছে যেন হাজার হাজার যাত্রী জিম্মি হয়ে পড়েছে। চালকদের চাহিদামতো যাত্রীরা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করছেন।

এদিকে বিভিন্ন সমিতি ও ফান্ডের নামে বিভিন্ন রুটে প্রতিদিনই উত্তোলন হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সন্ধ্যার পর কোনো কোনো শ্রমিক নেতা, স্থানীয় উঠতি বয়সি সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারি দলের নেতাসহ কয়েকটি সিন্ডিকেটের মধ্যে এ টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে , টোকেনের মাধ্যমে আদায় করা অর্থের বিরাট একটি অংশ নির্দিষ্ট নিয়মে পৌঁছে যাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগেও। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে , কুমিল্লা শাসনগাছা আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ডাকবাংলো সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড, বুড়িচং রোডের সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ক্যান্টনমেন্ট, চান্দিনা সড়ক-ক্যান্টনমেন্ট-দেবিদ্বার সড়কে চলাচলরত ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলোতে এ নৈরাজ্য চলছে। শাসনগাছা ডাকবাংলো সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাত্রী প্রতি কথিত ভাড়া ১০ টাকা। সন্ধ্যার পর ১৫ টাকা ও রাত ১১টার পর ২০ টাকা করেও যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও অধিকাংশ সময় বেলা ২টার পর থেকে ‘যানজট, পথে যাত্রী নেই, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, বৃষ্টি’ ইত্যাদি বাহানা করে ১৫ টাকা করে ভাড়া আদায় করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সন্ধ্যার পর এ স্ট্যান্ডের চারদিক ছিনতাইকারিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। ডাকবাংলো থেকে ১শ’ গজ পশ্চিমে শাসনগাছা কৃষিভবন সংলগ্ন সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড একই কায়দায় ভাড়া আদায় করছে। নিয়মের কোন বালাই নেই বুড়িচং সড়কে চলাচলরত সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডেও। একই স্থানে পৃথক পৃথকভাবে গড়ে উঠা কমপক্ষে ৩টি সিএনজি স্ট্যান্ডে চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য। চলছে চাঁদাবাজিও। এই স্ট্যান্ডগুলোতে রয়েছে শতাধিক লাইসেন্সবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা । চাঁদার টোকেনে এসব সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছে।

এদিকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীন সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলোতেও চলছে নৈরাজ্য। ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিমসার ও চান্দিনায় চলাচলরত যাত্রীরাও জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ স্ট্যান্ডের চালকরা ৫টাকার ভাড়া এখন ১০টাকা আদায় করছে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিমসার সিএনজি ভাড়া ছিল ১০টাকা। এখন আদায় করা হচ্ছে ১৫-২০টাকা। এই রোডের প্রতিটি স্থানে যাতায়াতকারি যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণকারী ও চালকরা। ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেবপুর, কংশনগর, জাফরগঞ্জ, দেবিদ্বার সড়কে একইভাবে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। কোন কোন সময় জোরপূর্বকও আদায় করা হচ্ছে ভাড়া। সিএনজি অটোরিকশা খাতের চাঁদাবাজির অর্থ সিএনজি মালিক সমিতি, স্থানীয় চাঁদাবাজ, প্রশাসনসহ কয়েকটি ভাগে বাগবাটোয়ারা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া ইস্যুতে প্রতিদিন বাকবিতন্ডা হলেও এর কোন ব্যবস্থা নেয়না সিএনজি অটোরিকশার মালিক সমিতিও।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.