নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডায়েরি থেকে: আজও আমি মার্কসবাদী হতে পারিনি এবং মার্কসবাদকে বিসর্জনও দিতে পারিনি

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

অনেক লেখকই কেন মার্কসীয় নন্দনতত্ত্বের আলোকে লিখছেন না, এ নিয়ে একসময় আমার খুব মাথাব্যথা ছিলো। এ নিয়ে যুবক-প্রবীণ সব বয়সের লেখকদের প্রশ্ন করতাম আমি। আমার কাছে তখন মার্কসীয় নন্দনতত্ত্বের আলোকে লেখালেখি করা লেখকদের দায়িত্ব মনে হতো। অথচ তখনো আমার অসংখ্য লেখা ছিলো, যা মার্কসবাদের আওতায় পড়ে না। মার্কসবাদী না হওয়ার পরও তখনও আমার খুব ভালো লাগতো কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা। কেন, তার উত্তর জানা নেই। আজও আমি লেখালেখিতে পুরোপুরি

মার্কসবাদী হতে পারিনি এবং আবার আমার লেখালেখি থেকে মার্কসবাদকে পুরোপুরি বিসর্জনও দিতে পারিনি।

আমি কবিতার ৩টি ১-ফর্মার পুস্তিকা [বুকলেট] করেছিলাম ১৯৯৮-৯৯ সালে। ১। চাঁদের জ্যোৎস্না খসে গেছে ২। স্বপ্নের মালা গাঁথার স্বপ্ন ও ৩। তুমি এখন আকাশবাসী। প্রথম ২টি সংকলনের প্রচ্ছদ করেছিলাম আমার তোলা ২টি ছবি দিয়েই। তৃতীয়টির প্রচ্ছদ করেছিলাম একটি উন্মুক্ত নারীমূর্তির ভাস্কর্যের ছবি দিয়ে। প্রথম কবিতা সংকলনের [চাঁদের জ্যোৎস্না খসে গেছে] ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন সাহিত্যিক তিতাশ চৌধুরী।

লেখালেখির ক্ষেত্রে এ তিতাশ চৌধুরী নতুন নাম বরণ করেছিলেন । তার কুমিল্লা রানীরদিঘির দক্ষিণপাড়ের বাসা ‘বৈশাখি’তেও আমি প্রথম প্রথম যেতাম ১৯৯০ সালের দিকে । তখন তার সেই বাসায় প্রায় নিয়মিতই সংগীত চর্চা করতেন তার মেয়ে আলিফ লায়লা ভিনাস। পরে অনেকবার গিয়েছিলাম তার কুমিল্লা শহরের ছোটরার ‘নন্দিনী’ বাসাতেও। তিনি ব্রা‏‏‏‏হ্মণবাড়িয়ায় জন্ম নিয়েছিলেন বলেই ওখানকার বিখ্যাত নদীর নামে নাম নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। তার প্রকৃত নাম-আবু তাহের ভূঁইয়া। বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি আল মাহমুদের জন্মও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কবি আল মাহমুদের পুরো নাম মীর আবদুস শাকুর আল মাহমুদ। আল মাহমুদ তার পুরো নামেরই একটি অংশকে ‘লেখকনাম’ হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু তিতাশ চৌধুরী লেখালেখির ক্ষেত্রে নিজের পুরো নাম বাদ দিয়েই সম্পূূর্ণ একটি নতুন নাম বরণ করেন-তিতাশ চৌধুরী। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজেরও অধ্যক্ষ ছিলেন। তার রচিত কুমিল্লা জেলার লোকসাহিত্য [১৯৮৩], এবং নিষিদ্ধ নজরুল ও অন্যান্য প্রসঙ্গ [১৯৯০], কুমিল্লায় নজরুল স্মৃতি: প্রেম ও পরিণয় [১৯৯৮] আমার পড়া হয়েছে। তার সম্পাদিত ‘অলক্ত’ পত্রিকায় আমার কবিতাও ছাপা হয়েছে। একবার তার একটি সংবর্ধনা সভার লিখিত বক্তব্যও আমি লিখে দিয়েছিলাম। কিন্তু তিতাশ চৌধুরীর সঙ্গে অনেকদিন আমার কোনো যোগাযোগ নেই। ১৯৯২ সালে ঢাকায় তার রচিত ‘কুমিল্লা জেলার লোকসাহিত্য’ বিষয়ে পড়তে থাকি, তখন আমি আমার লেখা ‘গোমতি নদীর এপার ওপার’ উপন্যাসের জন্য সেই লেখা থেকে উপকরণ সংগ্রহ করতে থাকি। কিন্তু আমি যখন ছাত্র ইউনিয়ন করতাম, তখন তিনি কেন মার্কসীয় নন্দনতত্ত্বের আলোকে লিখছেন না, এ নিয়ে খুব প্রশ্ন করতাম তাকে। তিনি বলতেন লেখকদের এ রকম কোনো ইজমের কাছে দায়বদ্ধ হয়ে লেখা উচিৎ নয়। কিন্তু আমি আজও আমার লেখা থেকে মার্কসীয় নন্দনতত্ত্বকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দিয়ে লিখতে পারি না। কেন, তার উত্তর জানা নেই। আজও আমি লেখালেখিতে পুরোপুরি মার্কসবাদী হতে পারিনি এবং আবার আমার লেখালেখি থেকে মার্কসবাদকে আবার পুরোপুরি বিসর্জনও দিতে পারিনি। কেন, তার উত্তর জানা নেই।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

আবু শাকিল বলেছেন: চেষ্টা করেন,উত্তর পেয়ে যাবেন।
অফ দা টপিক : তিতাস নদীতে গোসল করেই আমার শৈশব কেটেছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

জসীম অসীম বলেছেন: ধন্যবাদ, মতামত ভালো লেগেছে। তিতাশ একটি নদীর নাম, তিতাশ একজন মানুষের নাম। তিতাশ নদীতে গোসল করে আপনার শৈশব কেটেছে, কতো ভাগ্যবান আপনি। আমি জানিনা কেন মার্কসবাদ এত প্রিয় আমার , অথচ আবার মার্কসবাদের বিপক্ষের সব শিল্পকলাও ভালো লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.