নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

৪০০ বছরের পুরনো জাহাপুর জমিদার বাড়ির অনন্য দুর্গাপূজা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

৪০০ বছরের পুরনো কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাপুর জমিদার বাড়ি। এ জমিদার বাড়িতে প্রতিবছরই আন্তরিকতার সাথে উদযাপিত হয় দুর্গাপূজা। জাহাপুরের জমিদারগণ সকলেই ধর্মভীরু ছিলেন। তাদের মধ্যে শ্রী অনিল কুমার রায়ের সুযোগ্য পুত্র স্বর্গীয় রণবীর রায় চৌধুরী জাহাপুরকে বিশাল ধর্মীয় তীর্থক্ষেত্রে পরিণত করেছেন। আধুনিক কারুকার্যে স্থাপিত জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যথারীতি ধর্মীয় উৎসব চলে। প্রায় প্রতিদিনই ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে মুখরিত হয় এ মন্দির প্রাঙ্গন। এ মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রায় ৫ হাজার লোক বসতে পারে। সামনে রয়েছে বিশাল পুকুর। প্রায় ৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত জমিদার বাড়িটি এখনও তাদের অতীত ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। যুগে যুগে এ জমিদার বাড়িতে যে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা রীতিমত এক ইতিহাস।

জমিদার বাড়ির ১২ তম বংশধরগণ এখন এখানে বসবাস করছেন। জগতের মহাকল্যাণ কামনায় এখানে প্রতি বছর ৬ দিনব্যাপি ধর্মীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও এখানে রথযাত্রাসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোও আন্তরিকতার সাথে উদযাপিত হয়।

‘শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞ’ শিরোনামে জাহাপুর হরিসভার ব্যানারে ১৩৭৮ বাংলা থেকে এখানে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে ৬ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানসূচীতে থাকে প্রতিদিন শ্রী ভগবৎপাঠ, শ্রী শ্রী গীতা পাঠ, শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞ, নগর কীর্তন, জলকেলী, উৎসব সমাপন ও মহাপ্রসাদ বিতরন। এতে বহু দূরদূরান্ত থেকে হাজার-হাজার ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। কীর্তন উপলক্ষে আসা লোকজন প্রয়াত জমিদারদের সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন। বাড়ির বাইরের অংশে এ সমাধিস্থলটি অবস্থিত। এখানেই প্রতাপশালী জমিদারগণ চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন। এখানে একটি চিতাও রয়েছে। চিতার পাশেই কমলাকান্তের সমাধি। ৪০০ বছরের পুরনো কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাপুর জমিদার বাড়িতে প্রতিবছরই যে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়, তা শারদীয় শুভ্রতায় যুগ যুগ ধরে সমুজ্জল হয়ে রয়েছে।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: আপনার মত শিবির থাকতে ওরা কিভাবে পুজা করছে? নিশ্চয় আপনাদের চাঁদা দিয়ে ম্যানেজ করছে?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

জসীম অসীম বলেছেন: এ কথা আপনি ঠিকই বলেছেন, এদেশে এখন আর পূজা করা এত সহজও না। কাউকে চাঁদা দিয়ে ম্যানেজ করে পূজা করতে হয় কী না জানিনা, তবে নিরাপত্তার ভীষণতর অভাব নিশ্চয়ই রয়েছে। নিরাপত্তার ভীষণতর অভাব রয়েছে ভারতেও। ১৯৯২ সালে অযোদ্ধায় রাম-মন্দির নির্মাণের দাবী নিয়ে রাষ্ট্রীয় শিব সংঘ (আর.এস.এস) উগ্র হিন্দুদের নিয়ে ইতিহাসের এক বিরল সাক্ষী প্রাচীন প্রতœতাত্বিক নিদর্শন সম্রাট বাবরের হাতে গড়া বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে। ২০০২ সালে ভারতের গুজরাট প্রদেশে বর্তমান ভারতের বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হাজার হাজার মুুসলমানকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদেরও নিরাপত্তারও ভীষণতর অভাব রয়েছে । আর আপনি নিজে কতটা গভীরতর শিবির, খেয়াল করেছেন ?

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: অনেক খেয়াল করেছি, ঘাতক শিবির ব্লগে কেন?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

জসীম অসীম বলেছেন: শিবিরকে গালিগালাজ করা শিবিরের একটি স্কোয়াডের কৌশলগত নমুনা। আপনি শিবির বলেই মনের দু:খে আমাকে শিবির শিবির বলে মুখে ফেনা তুলছেন। আমি শিবির করলে আপনি আর আমার পিছনে লাগতেন না। আমাকে একজন বললেন আপনি নাকি শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.