নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘একজন রাষ্ট্রনায়ক আরেকজন রাষ্ট্রনায়ককে মেরে ফেললেন’

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬



মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কত যে কথা এখনো আমাদের রাষ্ট্রে প্রচলিত রয়েছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। তবে সব কথা তো আর তথ্যভিত্তিক নয়। মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলৎজ-এর যে রিপোর্টগুলো পত্রিকায় পড়েছিলাম, তা পড়ে আমার মনে হয়েছে আমরা আসলে কোথায় আছি। এমন সাংবাদিকতা যারা করে গেছেন, তাদের রিপোর্টগুলো পড়ার পর নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে ভীষণই সংকোচ বোধ করি। ১৯৮১ সালের ১ জুন মধ্যরাতে চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মো. আবুল মঞ্জুর সেনানিবাসে সামরিক হেফাজতে থাকার সময়ে রহস্যজনকভাবে নিহত হন। একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে মঞ্জুর নিজের স্বাতন্ত্র্য তুলে ধরেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছিলেন রাষ্ট্রের উচ্চ সম্মান ‘বীর উত্তম’ খেতাব। তার মৃত্যুর বিষয়ে আমি একসময় ভীষণ কৌতূহলীও ছিলাম। এমনকি শৈশবেও। আমার আপন জ্যাঠাতো ভাই এবং আমার মায়ের আপন মামাতো ভাই তখন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কর্তব্যরত ছিলেন। পরে আমার মায়ের আপন মামাতো ভাই, অর্থ্যাৎ আমাদের ‘হাশেম মামা’ বদলী হয়ে এলেন কুমিল্ল¬া ক্যান্টনমেন্টে। ১৯৮৫ সালে আমি গেলাম হাশেম মামার সাথে দেখা করতে, কুমিল্ল¬া ক্যান্টনমেন্টেই । বললাম, মামা প্রকৃতপক্ষে কী হয়েছিল সে সময় ? মামা বললেন, মঞ্জুর ছিলেন খুবই ভালো একজন মানুষ। চট্টগ্রাম সফররত অবস্থায় ৩০ মে ১৯৮১-তে যে জেনারেল জিয়াউর রহমান নিহত হন, তার জন্যও মামা খুব দুঃখ প্রকাশ করলেন। বললেন, ‘একজন রাষ্ট্রনায়ক আরেকজন রাষ্ট্রনায়ককে মেরে ফেললেন’ এবং শেষে তিনিও বাঁচতে পারলেন না। কিন্তু তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদের বিরুদ্ধে মামা একটি কথাও বললেন না। কারণ তিনি তখন সেনাবাহিনীর চাকুরি করেন এবং জেনারেল এরশাদ তখনও সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি। চট্টগ্রামে ৩০ মে ১৯৮১-তে কী ঘটেছে, তা নিয়ে চতুর্দিকে বলা হতে থাকলো, মেজর জেনারেল মঞ্জুর ক্ষমতা দখলের অভিপ্রায়ে অভ্যুত্থান করেছেন, যার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা। কিন্তু পরে এমন কথাও শোনা গেল মানুষের মুখে যে, হয়তো মেজর জেনারেল মঞ্জুর জিয়াকে হত্যাই করেননি। কেউ কেউ এটাকে তখন ‘দাপ্তরিক গল্প’ বলেও সন্দেহ করা শুরু করলেন। তবে সা¤প্রতিক সময়ে আমার এমন অনেক প্রশ্নের উত্তরই যেন খুঁজে পেয়েছি সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলৎজ-এর প্রকাশিত রিপোর্টগুলোতে ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.