নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপি: ‘প্রতিশ্রুতি বাংলা গাইড’ বাজারে কেন চলে

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫


সেপ্টেম্বর ১৯৯২, কুমিল্লা:
===============
সময় পেলেই আমি ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বের ডায়েরী’ পড়ি। ৪০ নর্থব্রুক হল রোড, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এ গ্রন্থটি মূলত বড় ভাই মো. আলী আশ্রাফেরই কেনা।
এটি যতোই পড়ি, ততোই জানি, অসাধারণ এক গ্রন্থ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই এ বইটি সবচেয়ে বেশি পড়েছিলাম।
ঢাকায় আমি যাদের বাসায় আছি, তাদের প্রতিটি রুমেই টিউবলাইটের স্নিগ্ধ আলো। এই আলোতেই অভ্যস্থ এখন আমি। কিন্তু হঠাৎ আমার রুমের টিউবলাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লাগানো হলো বাল্ব। আর তাতেই আজ আমার মাথায় কোনো পড়াই ঢুকছে না। কি সাংঘাতিক ব্যাপার। আলোর রঙের বা অন্যান্য ধরনের প্রভাবও কিভাবে আমাদের প্রভাবিত করে।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে একটি দীর্ঘ লেখা আজ পড়লাম। সাহিত্যিক এই লোকটি ১৯৮৫ সালে মারা যান ৯৪ বছর বয়সে। তার পিতা ছিলেন একজন আইনজীবী। এই প্রভাতকুমার রবীন্দ্রজীবনীকার হিসেবেই বেশি পরিচিত। তার রচিত রবীন্দ্রজীবনী না পড়ে রবীন্দ্রনাথকে কোনোভাবেই পূর্ণাঙ্গভাবে জানা সম্ভব নয়। কবিগুরুর খুব কাছের লোকও ছিলেন তিনি। শান্তিনিকেতনেই শিক্ষকতা করতেন। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতা ইন্দিরা গান্ধী তার ছাত্রী ছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তার তেমন না হলেও তিনি ছিলেন পন্ডিত। বিশ্বভারতী তাকে ‘দেশিকোত্তম’ উপাধিতে সম্মানিত করেছিলো।

আমার রাজনীতি করা অথবা আমার লেখালেখি বিষয়ে আমাকে আরও সচেতন হতে হবে। কোনোভাবেই এখন ঝুঁকি নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এই দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম নেতা রতন সেনের পরিণতি দেখলাম। বাম রাজনীতিক ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে গুলি করাসহ নানা কলঙ্কে ক্ষতবিক্ষত এ দেশ।
এদিকে অর্থাভাবও প্রচন্ড আমার। মাঝে মাঝে মনে হয় মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের ‘বাংলা গাইড বই’ লিখি। কিন্তু আমার বই কে পড়বে যে প্রকাশকগণ ছাপাবেন? মোঃ মোশাররফ হোসেন ডবল ষ্ট্যান্ডধারী ছাত্র ও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সে এবং মাষ্টার্সে ফার্ষ্ট ক্লাস পেয়েছেন বলেই না তার ‘প্রতিশ্রুতি বাংলা গাইড’ বাজারে এমন চলে। এ ছাড়া তিনি রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের চ্যান্সেলর পুরস্কারও পেয়েছেন।
এসব ভাবলে মন খারাপ হয়। শুধু মনে একটু আনন্দ আসে তখন, যখন অনেকদিনের একাকীত্বের পর কুমিল্লা যাওয়ার জন্য আমাদের কুমিল্লার বাস ‘পিপলস ট্রান্সপোর্ট’ এ গা এলিয়ে দেই।
আমার সহপাঠি ও বন্ধু আবিদ হোসেন আমাকে ঢাকায় ‘ছাত্র ইউনিয়ন’ করার পরামর্শ দিচ্ছে। বলছে এতে আর্থিক কোনো লাভ হবে না ঠিকই, কিন্তু জীবনচেতনা আরও শাণিত হবে। এমনকি আবিদ আমাকে আরও বলেছে, কুমিল্লায় গেলে ছাত্র ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা সংসদের সভাপতি শেখ আবদুল মান্নানের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে। কিন্তু আমি আছি সিদ্ধান্তহীনতায়। কারণ কুমিল্লায় অনেক অনেক বন্ধু আমার এখনো আমাকে ছাত্র শিবিরের আগের সেই তুখোড় কর্মী হিসেবেই জানে। তাঁরা এখনো আমার মতান্তর বা চেতনান্তরের খবর কিছুই পায়নি।
ওদিকে কুমিল্লায় গেলে আমাদের পাশের বাসার মুনির হাসান সংকেত এখনো বলে, সময় পেলে আমাদের ‘প্রত্যাশা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে’ সময় দিয়ো। তিনি আবার কুমিল্লা সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের নেতা। অবশ্য তিনি একজন নাট্য নির্দেশকও। কয়েক বছর আগেও আমরা ভাবতাম, তার কাছে সব সময়ই একটি বুলেটভর্তি পিস্তল থাকে। পরে সেই বিভ্রান্তি আমাদের একেবারেই দূর হয়েছে।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বই কিনে আর বই পড়ে কেউ ঠকেনা
অতএব, পড়তে থাকুন এবং অন্যকেও উৎসাহিত করুন ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

জসীম অসীম বলেছেন: সে এক সময় ছিল মুদ্রিত বই পড়ার বটে। আজকাল ই-বুকই জনপ্রিয় হচ্ছে। তারপরও ছাপা বইয়ের বিকল্প যেন আর হয় না। রকমারি ডট কম থেকে এখনো মানুষ কম বই কেনে না। ধন্যবাদ আমার ব্লগে/ পোস্টে মতামত লেখার জন্য।

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

শরীফ আতরাফ বলেছেন: দিনলিপি লেখার ধরণটা বেশ ভালো লাগলো।আমিও ভাবি লিখবো। কিন্তু একঘেয়ে জীবনে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনা বলে লেখা হয়না। এই ইন্টারনেটের যুগে বই কেনা বেশ কমে গেছে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

জসীম অসীম বলেছেন: দিনলিপি আমি শৈশব থেকেই লিখেছি। তবে অধিকাংশ হারিয়েও ফেলেছি। এখনো কম্পোজ করা হয়নি শত শত পৃষ্ঠা। আজকাল আর সময়ের অভাবে তেমন লেখাই হয় না।
জীবনে উল্লেখযোগ্য ঘটনা না ঘটলেও দিনলিপি লেখা যায়। আর ইন্টারনেটের যুগে বই কেনা কমে গেলেও পাঠ মানুষকে করতেই হবে। এবার যে মাধ্যমেই পড়ুক। সেটা ছাপা বই অথবা ই-বুক।

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দোদুল্যমান মানুষের মন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

জসীম অসীম বলেছেন: লেখার মূল জায়গাটিই খুঁজে পেয়েছেন। সব্বাই এমন দিব্যদৃষ্টিতে লেখা পড়তে পারে না। ধন্যবাদ। শুভ কামনা।

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: পোস্টে দেয়া ছেলেটার ছবি কি আপনার কিশোর বয়সের ছবি

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

জসীম অসীম বলেছেন: যখন এই ডায়েরি লিখেছিলাম, তখনকার ছবিই এটি। আরও অনেক ছোট বয়সের ছবিও রয়েছে। ধন্যবাদ।

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

রাজীব নুর বলেছেন: ঘরে কি এখনও ব্লাভ?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

জসীম অসীম বলেছেন: লেখাটি ১৯৯২ সালের। সুতরাং বাল্ব পরিবর্তন হয়েছে।

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ও বলতে ভুলে গেছি। আপনার ছবিটা বেশ। একদম ইনোসেন্ট।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

জসীম অসীম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.