নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপি: মার্কার পেন দিয়েই আমি অনেক ছবি এঁকেছি

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৯

অলংকরণ: জসীম অসীম


31 জানুয়ারি 2014, শুক্রবার।
কুমিল্লা।


আমার রঙ কেনার পয়সাও থাকতো না বলে অনেক রঙই আমি নিজে তৈরি করতাম। আজ অনেক বছর পর এসব ছবির রঙও নষ্ট হয়েছে।
প্রায় 25 বছর আগের আঁকা কিছু ছবি সেদিন আমি আমার ছেলেকে দেখাতে গেলে তার হাতেও ছবি থেকে অনেক রঙ লেগে যায়। সে তখন এর কারণ জিজ্ঞেস করলে আমি বলি, এ রঙ ছিলো আমার নিজেরই হাতে তৈরি।
ছেলে প্রশ্ন করে, বাবা তুমি রঙও বানাতে পারতে! আমি বললাম, আমি তো মনে করেছিলাম, আমি চিত্রশিল্পী হতে পারবো। তাই রঙ বানানোর কাজেও একসময় মনযোগী হয়েছিলাম। পরে দেখলাম, ছবি আঁকা হয়ই না আমার।
আর রঙ তো অনেক শিল্পীই নিজেই তৈরি করতেন। একদা বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এস.এম.সুলতান (1924-1994) তাঁর ছেলেবেলায়ও এমন নিজে রঙ তৈরি করেছিলেন।
এস.এম.সুলতানের পিতা ছিলেন একজন রাজমিস্ত্রী। এক নিম্নবিত্ত পরিবারেই তিনি জন্মেছিলেন। তিনি তাঁর ছেলেবেলায় কাঠ-কয়লা-কাঁচা হলুদ-পুঁই শাক ফলের রস দিয়েই ছবি আঁকতেন।
তখন এস.এম সুলতানের নাম ছিলো লাল মিয়া। পরে নাম নেন শেখ মুহম্মদ সুলতান। সংক্ষেপে এস.এম সুলতান।
সুলতানের ছবিতে বাংলার কৃষক-কৃষানী এসেছে বীর হয়ে। তাদের তিনি এঁকেছেন পেশীবহুল শক্তিশালী নরনারীরূপে। কৃষক সমাজকে বলবান হিসেবে অঙ্কন করে চিত্রকলায় এক নতুনমাত্রা সংযোজন করেছেন তিনি। ছিলেন চিরকুমারও। একজন চিত্রশিল্পী কিভাবে সারাজীবন বিয়ে না করে থাকতে পারেন, সেটা আমার মাথায়ই আসে না। এটাও কি সম্ভব! অথচ তিনি এটা তার জীবনে করে দেখিয়েছেন।
গুহার ভিতরে একেবারে শেষপ্রান্তে যেসব আদিম মানুষ নানা জস্তুর ছবি ছবি এঁকেছে, তাদের জীবনও নিয়মিত যৌনতামুক্ত ছিলো না। এদিকে আমি যখন ফটোগ্রাফিও করেছি, তখনও চিত্রকলাকে মাথায় রেখেই অনেক কাজ করেছি। কিন্তু এই কুমিল্লা শহরে আমার বরাবরই মূল্যায়ন হয়েছে অভাবগ্রস্থ কিংবা কিছুটা ঋণগ্রস্থ, বেকার, অস্থির, বাড়িঘরহীন এক যুবক হিসেবেই। আমার কিছুসংখ্যক অতি আপন বন্ধুই বরাবর আমার পাশে ছিলেন। হয়তো তাদের জন্যই কখনো এ শহর ছাড়া হয়নি আমার। আমার প্রতিদিনকার দিনলিপিতে তারা উজ্জ্বল হয়ে আছেন। একদিন তারা আমার লেখায় বিভিন্ন অধ্যায় হয়ে আসবেন।
আমি যখন ফটোগ্রাফি করেছি, তখন রিকশার পেছনের চিত্রকলারও অনেক ছবি তুলে রেখেছিলাম। 1993 সালে বাংলাদেশের একটি সিরিয়াস সাহিত্য পত্রিকা ‘মাটি’ এবং 1995 সালে বাংলাদেশেরই সাহিত্য পত্রিকা ‘শৈলী’সহ অনেক সাহিত্য পত্রিকাতেই ‘রিকশা-পেইন্টিং’ নিয়ে কখনো কখনো প্রতিবেদন ছাপা হতো। আজকাল ‘রিকশা-পেইন্টিং’ প্রায় উঠেই গেছে। রিকশা পেইন্টিং ভালো লাগতো আমার শিল্পের একটি শাখা বলেই। কিন্তু আমি ও পথে কাজ করার চিন্তাও করিনি কোনোদিন। এ পথে অনেকেই একসময় ভালো অর্থও ব্যয় করেছেন।
অর্থের নেশা আমার কখনোই ছিল না। দৃষ্টি ছিল বরাবরই পাঠের দিকে। তাই 20 বছর ধরে সাংবাদিকতার সাথে পেশাগতভাবে জড়িত থাকার পরও, এমনকি কুমিল্লা শহরে একটি পুরনো পত্রিকার প্রায় মালিকানা আমার নিজের নামে থাকার পরও আজ অবধি আমি একটি কম্পিউটারই কিনতে পারিনি। অর্থ উপার্জন এবং জমা করার ক্ষেত্রে আমি কতোটা ব্যর্থ, শুধু এই একটি ঘটনা দিয়েই সহজেই মানুষ অনুমান করতে পারবে। অথচ এই যুগ কম্পিউটারের, প্রযুক্তির ও ইন্টার্নেটেরও যুগ।
কুমিল্লার স্থানীয় দুইটি পত্রিকার কাছ থেকে দুইটি কম্পিউটারও নিয়ে এসেছিলাম বাসায়। কিন্তু তাদের বাণিজ্যিক মর্জিমাফিক রিপোর্ট দিতে পারিনি বলে শেষে তাঁদের কম্পিউটার আবার ফেরতও দিয়েছি।
আর একবার আমার এক বন্ধু আমাকে একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার গিফট করেছিলেন। কিন্তু সেটি কিছুসংখ্যক দুর্বৃত্ত মূলত এখানকার এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে লেখার ‘অপরাধে’ আমার বাসা থেকে একদিন জোর করেই নিয়ে গেছে। সেটা ফেরৎ চেয়ে চেয়ে বরং আমার আরও ক্ষতি হয়েছে। অথচ এসব ক্ষেত্রে আমি আমার ‘সাংবাদিক’ পরিচয় কোনোদিনও কাজে লাগাতে পারিনি।
কুমিল্লা শহরে আমি যেন সাংবাদিক হিসেবে সফল না হই, তার জন্য যেমন আমার নিজেরই বড় ব্যর্থতা ছিলো, অন্যদিকে সে জন্য এখানকার অনেক সাংবাদিকের অনেক ষড়যন্ত্রেরও শিকার হয়েছি আমি। সময়ে সেসব তথ্য ফাঁস হবে কোনোদিন। আরেকটি মর্মান্তিক নেপথ্যও রয়েছে। আমার একান্তই নিজের লোকেরা আমার বিরুদ্ধে বরাবরই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। যতবারই শত্রুর অনুসন্ধান করেছি আমি, প্রায় ততবারই আমার নিজের লোকের চেহারা চলে এসেছে। এটা যে কতোটা দুঃখের, ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। বুঝলাম, নিজের লোকের ষড়যন্ত্র থাকলে কেউই জয়ী হতে পারে না। নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলার পতন হয়েছিল নিজের লোকের শত্রুতায়ই: যদিও তাদের প্রত্যেকের পরিণতিও খুবই করুণ হয়েছিল।
আমার অনেক আঁকা এবং তোলা ছবিও অনেকভাবে হারিয়েছি। অথচ আমাদের দেশের, কলকাতার, ঢাকার শত বছর আগের ছবিও এখনও খুঁজে পাওয়া যায় কলকাতা ও লন্ডনের লাইব্রেরী, আর্কাইভ বা মিউজিয়ামে।
জলরঙে ঢাকায় আমি একটি ছবি এঁকেছিলাম 1992 সালে। নাম দিয়েছিলাম ‘লাভ ফর গ্যাম্বলিং’। পরে মূল ছবিটি হারিয়ে সেই ছবিটিই আবার এঁকেছিলাম মার্কার পেন দিয়ে। এই ছবিটি এখনো রয়েছে।
আমার আঁকা সেসব ছবি দিয়ে গ্রন্থ প্রকাশ করার বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম 2004 সালেই একবার। একজন তা প্রকাশ করে দেবেন বলাতেই বিজ্ঞাপন ছেপে দিলাম। পরে গ্রন্থ প্রকাশ না করতে পেরে লজ্জায় পড়লাম। গ্রন্থ আর প্রকাশ করতে পারলাম না।
আমি তেলরঙে ছবি আঁকিনি কোনোদিনও। জলরঙে ও কালি-কলমেও এঁকেছিলাম কিছুদিনও। মার্কার পেন দিয়ে আমি কাউকে তেমন আঁকতে দেখিনি। অথচ মার্কার পেন দিয়ে আমার ছবি এঁকে যেতে বরাবরই ভালো লাগতো। আমি যেসব মার্কার পেন দিয়ে ছবি এঁকেছি, সেসবের দাগ একবার পড়লেই আর মোছা যেতো না। সুতরাং ওসব মার্কার পেন দিয়ে ছবি আঁকা আবার খুব সহজও নয়।
প্রথম দিকে চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর ছবি থেকে কৌশল অনেকটা নকলই করতাম। শুধু প্রভাব নয়, রীতিমত ছবির নকলই করতাম আমি। আমার এক আঁকা ছবি দেখে তো কুমিল্লার কবি ইসহাক সিদ্দিকী একবার বলেই বসলেন, ‘ওটা কি নন্দলাল বসুর ছবি!’ ... । তখন সঙ্গে আমার কুমিল্লার কবি দীপ্র আজাদ কাজলও ছিলো।
শিল্পী জয়নুল আবেদিন আঁকার সময় হাত ভাজ করতে দিতেন না। আঁকার সময় হাত একেবারেই সোজা রাখার পরামর্শ দিতেন। মার্কার পেন দিয়ে ছবি আঁকতে গিয়ে আমি এর গুরুত্ব অনুভব করেছি।
29 ডিসেম্বর 1914 সালে শিল্পী জয়নুলের জন্ম। তার বাবা দারোগা ছিলেন। জয়নুলরা ছিলেন মোট নয় ভাই-বোন। তাদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন পাবনার। পরে তাদের বাড়ি হয় ময়মনসিংহের দরিরামপুরে।
অনেক বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর শৈশবে পড়ায় মন ছিলো না। কেউ আবার শহর ছেড়ে চলে গিয়েছেন গ্রামে। রুশ সাহিত্যিক লিও টলষ্টয়ও মস্কো ছেড়ে নিজ জন্মভূমি ইয়াসনাইয়া পলিয়ানায় ফিরেছিলেন। প্যারিসের চাকচিক্য ফেলে চিত্রশিল্পী পল গঁগা চলে গিয়েছিলেন তাহিতি দ্বীপে। কী রোমাঞ্চকর ঘটনা।
চিত্রশিল্পী এডলফ হিটলারের অনেক ভালো চিত্রকর্ম আমি দেখেছি। 1909 থেকে 1945 সালের মধ্যে হিটলার প্রায় 3 হাজার 4 শত চিত্রকর্ম ও স্কেচ আঁকেন। কী অসম্ভব ব্যাপার।
আমি বাচ্চাদের ছবি আঁকা শিখিয়ে টাকা কামাই করবো, এভাবে ভাবতে পারিনি কোনোদিনও। অথচ আমার অভাব ছিলো বরাবরই তীব্রতর। অনেকেই আমাকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন শিখিয়ে পেশা তৈরির পরামর্শও দিতেন।
যেসব শিক্ষক শিশুদের চিত্রাঙ্কন শেখান, ওসব শিক্ষকগণ পড়েন না পল সেজান অথবা পল গঁগা। হায়রে পল সেজান! হায়রে গগা। সেজান তার আঁকা ছবি দিয়েই আমাদের বুঝিয়ে দেন চিত্রকর্ম কখনোই বাস্তবের অনুকরণ নয়। বরং তা স্বয়ং নিজেই একটি স্বাধীন বাস্তবতা।
আমার যদি ছবি আঁকার প্রতিভা থাকতো, তা হলে হয়তো ছবি আঁকাটা ধরে রাখতামও আমি। কারণ কতো কতো অভাবের দিনেও ‘ক্লোদ মনে’ এর মতো একাগ্রচিত্তে ছবি এঁকেছি আমি।
একবার এক মেয়ের বাসায় বেড়াতে গেলাম। কয়েকদিন ধরে যত ছবি আঁকলাম, ফেলে এলাম। তারাও আর সেসব রক্ষা করেননি। ভালো লাগা ছবি হলে রেখে দিতেন নিশ্চয়ই। একবার কুমিল্লার চান্দিনার কবি মোহাম্মদ আলীর বাসায় আঁকলাম কিছু ছবি। সে অনেক অনেক বছর আগে। আর আনিনি। তারও এসব সংরক্ষণের কারণ ছিলো না। গেলাম একবার কুমিল্লার গল্পকার ও গবেষক মামুন সিদ্দিকীর ঢাকার বাসায় বেড়াতে। 2005 সালে। থাকলামও কয়েকদিন। আঁকলামও কিছু ছবি। মামুনের পছন্দ হয়নি। তাই হয়তো রাখেনি। ভালো না লাগলে মানুষ ছবি রাখে না। কিন্তু মানুষের কাছে ভালো লাগা ছবিই কি কোনো শিল্পীর শ্রেষ্ঠ ছবি?
আমার ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন পিয়াস শৈশবে অনেক ছবিই আঁকতো। তখনই এক ট্রাঙ্ক ছবি ছিলো তার। কিন্তু একদিন কী এক অভিমানে সে তার অসংখ্য ছবি ছিঁড়ে ফেললো। তারপর ওজন দরে কাগজওয়ালার কাছে বিক্রি করে দিলো তার বাকি সব ছবিও। এখনো পিয়াসের কোনো ছবি কোথাও পাওয়া গেলে আমি তা সংগ্রহ করে রাখি।
পিয়াস কোনোদিনও আমাকে অর্থহীন এক উদভ্রান্ত যুবক হিসেবে মূল্যায়ন করেনি। কিন্তু পিয়াস আর ছবি আঁকে না এখন। আমাদের পরিবারে এই পিয়াস সবার চেয়ে ছোট। মা’কে সে বেশিদিন পায়নি। এখন আর সে কোনো ছবিই আঁকে না। কেন? আমি জানি না।
আমার ছেলে কফিল মোহাম্মদ অপূর্ব তার তিন-সাড়ে তিন বছর থেকে এ পর্যন্ত যত ছবিই এঁকেছে, এ নিয়ে আমি এখন আর অতি উৎসাহী নই। কোনদিন না আবার আঁকা ছেড়ে দেয় কোনো কারণে, কে জানে!
কার সন্তান কী হবে, কতোদূর যাবে, ভবিষ্যৎই বলবে। চিত্রশিল্পী পল গগাঁর বাবা ছিলেন সাংবাদিক। গগাঁ 1883 সালে তার নিরাপদ ও লাভজনক একটি চাকুরি ছেড়ে চিত্রশিল্পীর পেশা বেছে নেন। পরে তিনি পানামা খালে একজন শ্রমিক হিসেবেও বেশ কিছুদিন কাজ করেন। পল গগ্যাঁ বলেছেন, সরাসরি প্রকৃতি থেকে খুব বেশি এঁকো না। শিল্প প্রকৃতির সরাসরি অনুসরণ নয়। শিল্প হচ্ছে বিমূর্ততা।
পিয়ের অগুস্থ রেনোয়ার নারীদেহের লাবন্য যে কোনো মানুষকেই উন্মাদ করে দিতে পারে। পিয়ের অগুস্থ রেনোয়াকে আমি প্রথমে চিনেছি তার ছেলেকে দিয়েই। 1992 সালে ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরিতে পড়ছিলাম চলচ্চিত্রকার জঁ-রেনোয়াকে নিয়ে। হঠাৎই জানতে পারি, তারই পিতা পিয়ের অগুস্থ রেনোয়া। পরে 1995 সালের দিকে বাংলা একাডেমী থেকে কুমিল্লার গল্পকার মামুন সিদ্দিকীকে দিয়ে পিয়ের অগুস্থ রেনোয়া বিষয়ক কিছু বইপত্র কিনিয়ে এনেছিলাম। তখন আমার ঢাকায় যাওয়া কমে গিয়েছিলো।
পিয়ের অগুস্থ রেনোয়ার বিষয়ে এতো চমৎকার লিখেছেন কবীর চৌধুরী, পড়লেই মুগ্ধ হতে হয়। অগুস্থ রেনোয়ার বাবা লিওনার্দো রেনোয়া ছিলেন একজন দর্জি। অগুস্থ রেনোয়া এমনই একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন, যিনি তার মৃত্যুদিবসেও ছবি এঁকে গেছেন। মৃত্যুদিবসের ভোরবেলায়। এসব চিত্রশিল্পীদের এতো অভাব ছিলো, সমকালে অনেকেরই মূল্যায়ন ছিলো না। পল গগ্যাঁ তো একবার অর্থকষ্টে ও ঋণের চিন্তায় আর্সেনিকের গুড়া খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টায় সে যাত্রায় তাকে বাঁচানো যায়।
পিকাসোর কিউবিজম নিয়ে এক সময় আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কতো আড্ডা হতো। আফ্রিকা থেকেই পিকাসো এই মতবাদ গ্রহণ করেছিলেন। পিকাসোর কিউবিজম-এর উৎসও সেই আফ্রিকা।
বিখ্যাত এ চিত্রশিল্পী পিকাসোর জন্ম 1881 সালের 25 অক্টোবরে, স্পেনে। তার কিছু ছবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চুরি হয় বা হারিয়ে যায়। আমার বিশ্বাস এগুলো একসময় উদ্ধারও হবে এবং প্রমাণও হবে যে ছবিগুলো পিকাসোর। চিত্রকর্মের ওপর অতিরঞ্জন রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞগণ ছবিটি কার, তা চিহ্নিত করতে পারেন। এভাবে এ পর্যন্ত অনেক শিল্পীরই ছবি সনাক্ত হয়েছে।।।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: একই সাথে তিনটা পোস্ট দিয়েছেন, পড়ুম না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

জসীম অসীম বলেছেন: প্রিয় বন্ধু, ব্লগ ব্যবহারের নিয়ম মনে হয় আমার এখনো অনেক জানার বাকি। রাজীব নূর ভাই যা বললেন, তা তো আমার জন্য রীতিমত শিক্ষনীয়। ধন্যবাদ। সযত্নে এমন ঘটনা পরিহার করবো।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম পাতায় একটা লেখা থাকলে পরে আরেকটা পোষ্ট দিবেন না। আপনার লেখা প্রথম পাতা থেকে চলে গেলে তারপর পোষ্ট দিতে পারেন।
অন্যথায় আপনাকে প্রথম পাতা থেকে ব্লক করা হতে পারে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

জসীম অসীম বলেছেন: সরি রাজীব ভাই। চরম বেকুবি হয়ে গেছে। বুঝিনি। এটাই মূল কারণ। ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবো। আপনি আজ যা জানালেন, এতো বছরেও তা জানিনি। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনাকে।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২১

নজসু বলেছেন: দিনলিপি পড়ছি।
একটা বিষয় খুবই ভালো হয়েছে।
পাশাপাশি বেশ কিছু অজানা তথ্য জানতে পারছি।
এস এম সুলতানের পিতা রাজমিস্ত্রী ছিলেন আমি অতোটা জানতাম না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

জসীম অসীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের মতামত আমার জন্য প্রেরণা হোক। আগামী দিনগুলোতে ভালো লেখা পোস্ট দিতে সচেষ্ট হবো।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

জসীম অসীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। দিকনির্দেশনামূলক বা পরামর্শমূলক মতামত পেলে আরও উপকৃত হবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.