নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপি: ‘এন ইমেজ ফ্রম অসীম্স লাইফ’

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯


7 মার্চ 2014, শুক্রবার
কুমিল্লা।

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হলো নারী। সুন্দর হলো শিল্প। সেরাদের সেরা আর সুন্দরের চেয়ে সুন্দর হলো এরা উভয়ে। সারাজীবন আমি নারী আর এই শিল্পকর্মের প্রেমে পড়েছি।
ছবি আঁকাও একসময় খুবই প্রিয় কাজ ছিলো আমার। তখনও দেখেছি, পৃথিবীর সকল নারীই তার একুশ বছরে পৃথিবীর সেরা সুন্দরী হয়ে উঠে। যেমন একুশে আমার চোখেও এই পৃথিবী অন্য এক আলোয় উদ্ভাসিত ছিলো।
শৈশবে মাটি দিয়ে পাখি বানিয়ে রঙ লাগিয়ে যখন শিক্ষকদের দেখাতাম, তখন যেমন আমার শিল্পপ্রীতি ছিলো, তেমনি এখনও এ নেশা আরও ভয়াবহ হয়েছে। কম্পিউটারের ডিজিটাল ফর্মে ছবি আঁকা সময় সমর্থিত হলেও আমি এতে খুব সুখবোধ করিনি। যদিও একসময় রঙ কেনার পয়সার অভাবেই আমি শত শত ছবি কম্পিউটারের পেইন্ট প্রোগ্রামেও এঁকেছিলাম।
‘বুকে জ্বলে উল্কাপিন্ড’ নামে আমি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী স্বপ্না দেবনাথ ও স্নিগ্ধা রায়সহ আরও কয়েকজন মিলে 2003 সালে একটি কবিতার সংকলন প্রকাশ করেছিলাম। প্রত্যেকেরই নিজেদের একগুচ্ছ কবিতা নিয়ে। 32 পৃষ্ঠার সেই কবিতার সংকলনের প্রচ্ছদ করেছিলাম একটি বিদেশী চিত্রকর্ম ছবি দিয়ে। ভেতরের অলংকরণ করেছিলেন কুমিল্লার কবি সৈয়দ আহমাদ তারেক। এখন সেই ‘বুকে জ্বলে উল্কাপিন্ড’ সংকলনের এক কপিও আর আমার কাছে নেই। যাযাবরের মতো কেটেছে আমার জীবন। কোথায় কখন ঘুমাবো, খাবো, থাকবো...এর কোনো পরিকল্পনাই ছিলো না। এমন লোকের কি শিল্প করা হয়?
মানব সমাজ ক্রমাগতই পরিবর্তনশীল। এই পরিবর্তনের স্রোতে আমার অনেক সৃষ্টিকর্ম ও বন্ধুবান্ধব বানের জলের মতোই ভেসে গেছে। আমিও ভেসেই যাচ্ছিলাম। যদি আমার দেখা না হতো আমার বর্তমান স্ত্রী সাদিয়া পলির সাথে। তা হলে যে কোথায় যেতাম আমি, আর কোথায় থাকতো আমার সৃষ্টিকর্ম! আর নিজস্ব লোক যখন বিশ্বাসঘাতক হয়ে যায়, তখন মানুষ অঙ্কুরেই বিনাশ হয়ে যায়। আমি এমন বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি বারবারই। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের জন্য তাঁর লোকেরাই কম দায়ি ছিলেন না। আর ক্লাইভের পক্ষেও যুদ্ধ করেছিলেন অনেক অনেক বাঙালি সেনা। ক্লাইভের এতো সৈন্য তো ছিলো না। মুঘল সম্রাট বারবার হেরেছেন তাঁর নিজের লোকের জন্যই। নাম ধরে আমার ঘটনা বলতে গেলে শত্রুতা আরও বেড়ে যাবে। বাস্তবে আমার কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, আলোকচিত্র, চিত্রকর্ম, এমনকি ইংরেজিতে লেখা যত গল্প...ইত্যাদি, যত সৃষ্টিকর্ম ছিলো, তার শতকরা প্রায় ৬০ ভাগই আমি হারিয়েছি। অামার স্থলে অন্য কেউ হলে সৃষ্টিকর্ম হারানোর শোকে সত্যি সত্যিই পাগল হয়ে যেতেন।
আমার বর্তমান স্ত্রী সাদিয়া পলি বিগত অনেক বছর ধরে এসবের অনেকাংশেরই বিভিন্নভাবে উদ্ধার ও সংরক্ষণ করে আমাকে আবার সৃষ্টির পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনেছে। মেনে নিয়েছে আমার জীবনে আসা অতীতের অনেক অনেক হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খিস্টান নারীর বন্ধুত্ব ও সঙ্গ লাভ। তাই আমি এখন আর আমার আগেকার কোনো নারী বন্ধুর সঙ্গেই যোগাযোগ রাখি না। এমনকি যেই ফারজানা কবির ঈশিতার সঙ্গে প্রথম সংসার ভেঙ্গেছে আমার, তার দ্বিতীয় সংসারও ভেঙ্গে যাওয়ার পর সে গিয়ে ঢাকায় স্থায়ী হয়েছে বলে সেই থেকে আমি ওই ঢাকা যাওয়াও প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। এর একমাত্র স্বাক্ষী আমার বর্তমান স্ত্রী।
ঈশিতার দ্বিতীয় সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার পর তার সঙ্গে আবারও নিয়মিত যোগাযোগ তৈরি হয়েছিলো আমার। কিন্তু এর পরিণতি খারাপের দিকে যাবে ভেবে আমি আমাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলি। আমার বর্তমান স্ত্রী আমারই প্রথম সংসার ভাঙ্গনের সময়ে হারানো আমার সমূহ শিল্পকর্ম ঈশিতার কাছে ফেরত চাইতে বলে। কিন্তু শুরু থেকে আজ অবধি ঈশিতার সেই একই বক্তব্য: সে কোনোদিনও আমার কোনো শিল্পকর্ম নষ্ট করেনি। এমনকি এসবের সে খোঁজও জানে না। ঈশিতা আমাকে আরও বলেছে, আমার ফটোগ্রাফি কিংবা যাবতীয় লেখালেখি...ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর বরাবরই শ্রদ্ধা ছিল। সুতরাং এসব তাঁর বিনষ্ট করার কোনো প্রশ্ন বা কারণই নেই।
তাহলে আমার এতো এতো লেখা...অাঁকা...আলোকচিত্র কোথায় গেল! কবি ভারতচন্দ্রের কথায় মনকে শান্ত্বনা দেই: ‘‘নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়’’?
আমার প্রথম স্ত্রী কুমিল্লা মহানগরীর সংরাইশ সাহেববাড়ির হুমায়ুন কবিরের তৃতীয় কন্যা ফারজানা কবির ঈশিতা। ঈশিতা একসময়ে বিখ্যাত লেখক ফ্রানৎস কাফকাকে হারিয়ে আমাকে শত শত প্রেমের চিঠি লিখেছিল। সে কেন আমার যে কোনো মাধ্যমের শিল্পকর্মের ক্ষতি সাধন করবে!
তার সঙ্গে যখন আমার প্রেম হয় 1998 সালে, তখনও আমি সাংবাদিকতার চাকুরি করি। যখন তাকে বিয়ে করি 2000 সালের 18 ফেব্রুয়ারিতে, তখনও আমি পত্রিকার চাকুরি করছি। যখন সংসার ভাঙ্গে 2002 সালের 7 ফেব্রুয়ারিতে, তখনও পত্রিকার চাকুরিই করছি আমি। কিন্তু আমি যখন পত্রিকার চাকুরি ছেড়ে বেকার, তখনই কুমিল্লার ‘সাপ্তাহিক ‘নিরীক্ষণ’ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহর মেয়ে সাদিয়া পলির সাথে আবারও আমার প্রেম হয়। তারপর আবার পত্রিকার চাকুরি নিলেও কিছুদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেই সেই চাকুরি। কুমিল্লার একটি দৈনিক পত্রিকার সেই কাজ ছেড়ে যখন আবারও বেকার হয়ে যাই, ঠিক তখনই আমি পলিকে বিয়ে করি। বিয়ের পরেও পত্রিকার চাকুরি ধরেছি এবং ছেড়েছি। অভাবের কথা তো বর্ণনার অতীত। তবু সাদিয়া পলির সাথে আমার বিগত বছরগুলোতে সংসার ক্রমাগত এগিয়েই এসেছে। আমার অতীতের এমন কোনো নেতিবাচক দিক নেই, যা সম্পর্কে পলি অবগত নয়। তবু আমার সকল সৃষ্টিকর্মের জন্যই তার অসম্ভব আবেগ ছড়িয়ে রয়েছে। আমি ভাবতেও পারিনি যে, সাংসারিক সকল কাজকর্ম শেষ করে সে আমার সৃষ্টিসমগ্র সংরক্ষণের জন্যও তার সময়-শ্রম প্রতিনিয়তই ব্যয় করে যাবে। এ জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ দেই না। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেই।
অথচ এই ‘পলি’র সঙ্গে আমার বয়সেরও এক বিশাল ব্যবধান রয়েছে। সে এখন আমার শিশু ছেলে কফিল মোহাম্মদ অপূর্বকে ছবি আঁকা শেখায়। ‘অপূর্ব’ আমার চেয়েও অনেক ভালো ছবি আঁকে। মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে ‘অপূর্ব’ ছবি আঁকে।
ইউরোপের রেনেসা যুগের শিল্পীরা পৃথিবী অবিকল যে রকম, সে ভাবেই তাকে জানবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি এমন মূর্ত ছবি কোনোদিনও আঁকার পক্ষে ছিলাম না। একসময় আমি কার্টুন আঁকার কথাও ভেবেছিলাম। চিত্রশিল্পী কাজী আবুল কাশেম এ বিষয়ে আমার জীবনে প্রথম প্রভাব ফেলেন। তিনি 2004 সালে 92 বছর বয়সে মারা যান। আমার এখনও ইচ্ছে হয়, তার মেয়ে জুলিয়া আখতারকে গিয়ে বলি, আপনি এ জাতির একজন শ্রেষ্ঠ চিত্রকরের সন্তান। কারণ চিত্রকর্ম খুব সহজসাধ্য মাধ্যম হলে আমিও সফল হতাম।
কাপড়ে বা ঘরের দেয়ালে যেসব চিত্র একজন শিল্পী আঁকেন, তা সর্বদাই দুই মাত্রার একটি মাধ্যম। দুই মাত্রার সমতল এই মাধ্যমে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ রয়েছে। কিন্তু এর গভীরতা নেই। অথচ সব বস্তুই তিন মাত্রার। তিন মাত্রার বস্তুকে শিল্পী দুই মাত্রায় প্রকাশ করেন। রেখা ও রঙের সাহায্যে চিত্রকর বাকি এক মাত্রার সমস্যার সমাধান করেন। কাজটি কি এতোই সহজকিছু?
চিত্রকলা তিন প্রকার। চিত্রকলা-ভাস্কর্য-স্থাপত্য। চিত্রকলা তৈরি হয় আয়তক্ষেত্রের উপর। যেমন-কাগজ, চামড়া...ইত্যাদি। আমি ভাবি চিত্রকর লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি (1452-1519) হয়তো এ জন্যই একই সঙ্গে ভাস্কর ও প্রকৌশলীও হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি তো দার্শনিকও ছিলেন। সেটা সম্ভব হলো কিভাবে! তার পোর্ট্রটে ‘মোনালিসা’ আজও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে নন্দিত শিল্পকর্ম।
আমি কেন বিমূর্ত এঁকেছিলাম আমার অধিকাংশ ছবি, তার সঠিক ব্যাখ্যা নেই। আমার ছেলে ছবি আঁকার কথা বললে আমি বলি, তোমার যা ইচ্ছে আঁকো। যেভাবে ইচ্ছে আঁকো। তবু আঁকো। আমি জানি বিমূর্ত শিল্প বস্তুর আকৃতির যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করে না। বাংলাদেশের শহীদ মিনারগুলো বিমূর্ত ভাস্কর্যেরই রূপান্তর। সুতরাং কোনো অঙ্কনই বৃথা নয় আমার কাছে। অভিব্যক্তিবাদ বা এক্সপ্রেশনিজম নিয়ে একসময় কতো পড়েছিলাম। এ ধারার শিল্পীরা মানুষের মনের ধারনা বাসনাকেও ভেঙ্গেচুরে নানাভাবে রূপ দেন। আর ইম্প্রেশনিজম যেহেতু রূপবাদ, সে তো ভিন্ন কথা। অন্যদিকে কিউবিজম সকল বস্তুকে জ্যামিতিক কয়েকটি আকৃতিতে পর্যবসিত করে উপস্থিত করে। এ হলো তখনকার সর্বোচ্চ আলোচিত ফর্ম। অত্যন্ত দুর্বোধ্য এ স্টাইল। 1907 সালে স্পেনের পিকাসো এর উদ্ভাবন করেন।
বাংলাদেশের অনেকের কাজও আমার মনে থাকে। চিত্রশিল্পী নাঈমা হকের ‘আনটাইটেলড’ যেমন এখন মনে রয়েছে। আমার অনেক ছবি আমি উপহারও দিয়ে ফেলেছি। এগুলো ছিলো বিমূর্ত। অথচ সাধারণ মানুষ বিমূর্ত ছবি বুঝে না। তাই তারা ওসব সংরক্ষণও করেনি। একবার বাড়িতে গিয়ে আমার বড় দুলাভাইয়ের ছোট ভাই শহীদ ভাইয়ের মেয়ে শারমিনকে এ রকম কিছু ছবি দিয়েছিলাম। 2005 সালে। আমি জানি এগুলো আর থাকবে না। কিন্তু আমি বরাবরই বেখেয়ালি।
যেমন আমার অনেক ভালো কবিতাই রয়েছে। কেউ একটি প্রকাশনার জন্য চাইলো, তো দিলাম একটি বিবেচনা না করে: হাতের কাছে যেটা পেলাম, সেটাই। তেমনি অনেক আঁকা থাকার পরও 1997 সালে আমাদের পরিবার থেকে প্রকাশিত সাহিত্য সংকলন ‘সংশপ্তক’-এ দিলাম খুব বাজে কিছু স্কেচ।
কিছু আঁকার প্রতিচিত্র কম্পিউটারের ফটোশপে কিংবা পেইন্ট প্রোগ্রামে ট্রান্সফার করে অদক্ষ হাতে চিরতরেই নষ্ট করে ফেলেছি। আমাদের পরিবার থেকে প্রকাশিত সাহিত্য সংকলন ‘সংশপ্তক’-এর প্রচ্ছদ করা হয়েছিলো ছোট ভাই পিয়াসের আঁকা ছবি দিয়ে। পিয়াসও তার ছবি সংরক্ষণ করেনি। একবার 21-এর সংকলন ‘ধানসিঁড়ি’ প্রকাশ করা হলো আমার ছোট ভাই জামাল দামালের সম্পাদনায়। ছাত্র ইউনিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখা কর্র্তৃক প্রকাশিত এ সংকলনেরও প্রচ্ছদ করেছিলো গিয়াস পিয়াস। এর পৃষ্ঠা ছিলো-১৬ এবং মূল্য ৫ টাকা। এটা 2002 সালের ঘটনা।
আরেকবার কুমিল্লার গল্পকার মামুন সিদ্দিকী যুব ইউনিয়ন কুমিল্লা থেকে ‘সুবর্ণ একুশ’ নামে 16 পৃষ্ঠার একটি সংকলন বের করে। এর আলোকচিত্র ছিলো আমারই। প্রচ্ছদ করেছিলো গিয়াস পিয়াস। মূল্য ছিলো-10 টাকা। সেটাও 2002 সালের কথা। সেই মামুনের বাসায় গেলেও বিমূর্ত ছবি আঁকতাম আমি। ওগুলো আর সংগ্রহ করা হতো না। ওই আঁকা পর্যন্তই।
এক্রেলিকে বা তেল রঙে আঁকা অনেক শিল্পীর অনেক ছবিই দেখেছি। কিন্তু আমার প্রিয় মাধ্যম পেন্সিল, কালি-কলম, জলরং এবং মার্কার পেন। আমার একটি বিমূর্ত ছবির টাইটেল ছিলো: ‘এন ইমেজ ফ্রম অসীম্স লাইফ’। নেই এখন আর। অন্য আরো কয়েকটি: ‘লিবারেশান-ওইমেন: মেইড অব স্টোন-পানিশমেন্ট: গিভেন বাই নেচার।’
বিষয় হলো এই কুমিল্লা রেলস্টেশনের ওয়েটিং রুমে আমার অনেক রাত কেটেছে। বাউন্ডুলে জীবনও কাটিয়েছি। অর্থাভাবে এই কুমিল্লা শহরে অনেক দিনই আমার কোনো বাসা ছিলো না। অর্থহীন লোক আর সম্রাটদের আসলে কেউ থাকে না। তারা আসলে একাই। সেটা ভিন্ন ভিন্ন অর্থে। তাই মাঝে মাঝে আমার মনেও হয়, আমি যে এখনও বেঁচে রয়েছি, সে জন্যই বিধাতার কাছে কৃতজ্ঞ। চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন প্রথম কলকাতায় গিয়ে মসজিদে মসজিদেই থেকেছিলেন। তার মা তার স্বর্ণের হার বিক্রি করে ছেলেকে কলকাতা পাঠান। খুব ধনী তো আর ছিলেন না। ছেলেবেলায় ছবি এঁকে প্রতিযোগিতায় পাঠানোর পয়সা জয়নুলের থাকতো না। তার বাবার ইচ্ছে ছিলো ছেলে দারোগা হোক। ছেলে হলেন চিত্রশিল্পী। বাড়িতে কাউকে না বলে এই জয়নুল তার শৈশবে কলকাতা আর্ট কলেজ দেখতে চলে গিয়েছিলেন।
1914 সালের 29 ডিসেম্বর তার জন্ম এবং মৃত্যু 1976 সালের 28 মে। তিনি আজ বিখ্যাত হয়েছেন বলেই আমরা এসব জানি। তিনি হারিয়ে গেলে এসব ত্যাগের কথাও হারিয়ে যেতো। যেমন আমার যাবতীয় ব্যর্থতার কারণে শিল্পের জন্য আমার সমূহ আত্মত্যাগ কখনোই কারো কোনো স্বীকৃতির আওতায় আসেনি।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: সবচেয়ে সুন্দর নারী তবে নারীর সৌন্দর্য ক্ষনস্থায়ী।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

জসীম অসীম বলেছেন: ধন্যবাদ। দার্শনিক মতামতে অভিভূত। মনে হয় শিল্পের সৌন্দর্য দীর্ঘস্থায়ী।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হলো শিশু।

সুন্দর পোষ্ট।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

জসীম অসীম বলেছেন: আসলে শিশুদের আর ফুলের মধ্যে তো কোনো পার্থক্য নেই। ওরাই মূলত সুখি। আর আমরা কেউই সুখে নেই। বয়স হলে অপরাধেও আচ্ছন্ন হয়ে যায় মানুষের মন। অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

এ.এস বাশার বলেছেন: আপনার তিন চারটা পোস্ট প্রথম পাতায়। খুব বিরক্ত লাগলো বিষয়টা.....

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

জসীম অসীম বলেছেন: কয়েকদিন ছিলাম না। হঠাৎই মাথা মনে হয় খারাপ হয়ে গিয়েছিল। স্পষ্ট কথা বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলেই বিরক্তিকর ও দৃষ্টিকটু হয়েছে বিষয়টি। পরের দিকে সচেতন হতে সচেষ্ট হবো। শুভ কামনা রইলো।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

জসীম অসীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সালাম জানাচ্ছি সনেট কবি। হঠাৎ হঠাৎই আসি। সময় একেবারেই করতে পারছি না। শুভেচ্ছা রইলো।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

আফসানা মারিয়া বলেছেন: আপনার লেখাটা সৃষ্টিশীল।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

জসীম অসীম বলেছেন: শুনে সুখবোধ করছি। কারণ একেবারেই ব্যক্তিগত ডায়েরিগোছের লেখাতেই যেহেতু সৃষ্টিশীলতার নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন, তাহলে আমার পাখি বিষয়ক গল্পগুলোও ক্রমাগত পোস্ট দেবো: যেগুলো আমার নিজেরই অনেকটা ভালো লাগে। নিরন্তর শুভ কামনা।


৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২

মিঠু পারভেজ বলেছেন: ভালো লেগেছে!!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

জসীম অসীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মতামত আরেকটু দীর্ঘ হলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। শুভেচ্ছা।

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

বাকপ্রবাস বলেছেন: আপনার মনস্তত্ব ধরতে পারছি মনে হয়। আপনি মানসিক অস্থিরতায় ছিলেন সেটাও বুঝতে পারছি। এখনো যে অস্থিরতা একেবারে কেটে গেছে তাও নয়। আশা করি সকল অস্থিরতা দূর হয়ে যাবে। বর্তমান আর ভবিষ্যৎ এর দিকে তাকিয়ে অতীত ব্যাক্তিগত ব্যাপারগুলো প্রকাশ করবেননা, মনেও আনার চেষ্টা করবেননা। এগুলো প্রকাশ হলে কাছের পরিচিত মানুষগুলো আন্ডার ইষ্টিমেট করবে। আপনাকে দেখলেই আপনার লেখাগুলো তাদের মাথায় কাজ করবে। তায় ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো আর খোলসা করবেননা। আর কিছুদিন বাদে নিজেই হয়তো ভাববেন ধ্যুর এসব না লিখলেই পারতাম।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৫৩

জসীম অসীম বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনার মূল্যবান মতামত পেয়ে। সত্যি আপনার কথাগুলো বিবেচনায় থাকবে। আসলেও আপনার কথার প্রমাণ পেয়েছি এরই মধ্যে। আসলে হতাশা আর অস্থিরতা অনেক সময় মানুষের বোধবুদ্ধিকে দুর্বল করে দেয়। চির কল্যাণ কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.