নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইতিহাসের পাঠশালায়

আসিফ আযহার

শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়।

আসিফ আযহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের পাঠশালায়: পর্ব-১৫ | রোমান সভ্যতা: রিপাবলিক হতে রাজতন্ত্রে

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫


যিসাসের জন্মের পরে প্রায় পাঁচশ বছর রোমান সভ্যতা টিকেছিলো। রিপাবলিক বা প্রজাতন্ত্র থেকে রাজতন্ত্রী ব্যবস্থায় প্রবেশ করেও রোম সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ সংঘাত থেমে যায়নি। উত্থান-পতন, হিংসা-লোভ, বিদ্রোহ-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই ইতিহাস হয়ে আছেন পরবর্তী রোম সম্রাটরা। টিবেরিয়াস সিজার ক্ষমতায় ছিলেন ৩৭ সাল পর্যন্ত। তাঁর সময়েই যিসাসের আগমন ঘটেছিলো। তাঁর পরে ক্ষমতায় আসেন ক্যালিগুলাস (৩৭-৪১ খ্রি.), ক্লডিয়াস (৪১-৫৪ খ্রি.), নীরো (৫৪-৬৮ খ্রি.) প্রমুখ।

এদের মধ্যে সবচেয়ে নিষ্ঠুর ছিলেন নীরো। তিনি ছিলেন যেমনই নিষ্ঠুর তেমনই খামখেয়ালী। গল্পে আছে একবার রোমে আগুন লেগেছিলো। দাউদাউ আগুনে যখন রোম শহর পুড়ে যাচ্ছিল নীরো তখন নিরাপদে বসে পরম নিশ্চিন্তে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। খৃস্টানদের তিনি দুচোখে দেখতে পারতেন না। খৃস্টানদের ওপর তিনি অকল্পনীয় নৃশংসতায় নির্যাতন চালিয়ে ছিলেন। শোনা যায়, নেবুচাঁদনেজারের মতো নীরোও পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।


চিত্র: ইহুদি-রোমান যুদ্ধ

গৃহযুদ্ধের পরবর্তী সময়েও রোমান সম্রাটরা অত্যাচার ও বিলাসীতায় একজন আরেকজনের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। অগাস্টাস সিজারের পরবর্তী সম্রাট টিবেরিয়াস সিজার চারশ ইহুদিকে রোম থেকে সার্ডিনিয়ায় নির্বাসিত করেন। সম্রাট ক্যালিগুলাসকে ইতিহাসবিদরা অর্ধ উম্মাদ বলেছেন। লাম্পট্য ছিলো তার প্রবাদপ্রতীম বিলাসিতার সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ। তার বিলাসিতার জন্য রোমান রাজকোষ ব্যয় করতো তৎকালীন রোমান মুদ্রায় বর্তমান ইংল্যান্ডের প্রায় দুই কোটি পাউন্ড সমপরিমাণ অর্থ।

ক্যালিগুলাস জেরুজালেমের রোমান কর্তৃপক্ষকে আদেশ প্রদান করেন অবিলম্বে সলোমনের ধর্মগৃহের পবিত্র হোলিসের ওপর তাঁর নিজের মূর্তি স্থাপনের। এই আদেশ বিদ্রোহী করে তোলেছিলো ইহুদিদের। অত্যাচারী রোমান শাসককে তারা দেবতা হিসেবে মেনে নিতে রাজী হয়নি। ইহুদি, মোয়াবীয়, আমোনীয় প্রভৃতি সেমেটিক জাতির মানুষ কখনও রোমানদের শাসকপূঁজারী ধর্মমত গ্রহণ করেনি। জেরুজালেমের ধর্মগৃহ তাদের সকলেরই শ্রদ্ধার পাত্র ছিলো। ক্যালিগুলাসের দেবতা হওয়ার অভিলাষ তাদেরকে বিদ্রোহের পথে টেনে আনে।

অর্থনৈতিক শোষণের জন্য জুডিয়ায় বার বার বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। সর্বস্তরের মানুষই এ ধরনের বিদ্রোহে অংশ নিতো। মূলত অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তির আকাঙ্খাই ধর্মীয় প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বারবার সংগঠিত বিদ্রোহের আকার ধারণ করেছে। রোমান গভর্নর গেসিয়াস কর্তৃক ইহুদি ধর্মগৃহ লুটের কারণে ৬৬ সালে জুডিয়ায় ব্যাপক বিদ্রোহের সূচনা হয়। ৭০ সালে সম্রাট টিটাস নারকীয় নৃশংসতায় জেরুজালেম ধ্বংস করে এ বিদ্রোহ দমন করেন। ক্যালদীয় সম্রাট নেবুচাদনেজারের পর রোমান সৈন্যরা আবারও জেরুজালেমের ধর্মগৃহ ও দাউদের প্রাচীর ধূলায় মিশিয়ে দিলো। দশ লক্ষ ইহুদিদের অনেকেই হয় তাদের তরবারির নিচে প্রাণ দেয় অথবা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া ইহুদিরা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী নির্বাসনের (dias pora) মুখোমুখী হয়।

দ্বিতীয় দফায় ব্যাপক ইহুদি-রোমান যুদ্ধ শুরু হয় ১১৫ সালে। অতিরিক্ত করারোপ থেকে মুক্তি লাভের জন্যই সর্বস্তরের ইহুদিরা এ বিদ্রোহে যোগ দেয়। ১১৫ সালে যখন অধিকাংশ রোমান সৈন্য পার্থিয়ার (পারস্য) সাথে যুদ্ধের জন্য সাম্রাজ্যের পূর্ব সীমান্তে অবস্থান করছে তখন সাইরেনিকা, সাইপ্রাস এবং মিসরে ইহুদি বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহীরা এসব অঞ্চল দখল করে নেয় এবং পার্থিয়া যুদ্ধে অংশ না নিয়ে যেসব রোমান সৈন্য পেছনের এসব অঞ্চলে অবস্থান করছিলো সেসব সৈন্যদের গ্যারিসন আক্রমণ করে ব্যাপক হত্যাকান্ড চালায়। ১১৭ সালে রোমান জেনারেল লুসিয়াস কুইটাস ব্যাপক লড়াইয়ের পর এ বিদ্রোহ দমন করেন। এ যুদ্ধকে কিটোস যুদ্ধ বলা হয়।

তৃতীয় ইহুদি-রোমান যুদ্ধ শুরু হয় ১৩২ সালে, সম্রাট হাদ্রিয়ানের সময়। এটি ছিলো রোমান শাসনের বিরুদ্ধে তিনটি বড় ইহুদি বিদ্রোহের মধ্যে শেষ বিদ্রোহ। সাইমন বার কোখবার নেতৃত্বে জুডিয়ার ইহুদিরা এ বিদ্রোহের সূচনা করে। মূলত অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় নিপীড়নই এ বিদ্রোহের মূল কারণ। বিদ্রোহের তাৎক্ষণিক কারণের মধ্যে ছিলো জুডিয়ায় ব্যাপক সংখ্যাক রোমানদের উপস্থিতি এবং অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার কড়াকড়ি, ইহুদি শিশুদের খতনা নিষিদ্ধকরণ, জেরুজালেমের ধ্বংসস্তুপের ওপর এইলিয়া ক্যাপিটোলিনা নামে একটি নতুন রোমান শহরের নির্মান কাজ শুরু করা এবং টেম্পল মাউন্টের ওপর জুপিটারের মন্দির স্থাপন।

১৩৪ সালে রোমান সম্রাট হাদ্রিয়ান এ বিদ্রোহ দমনের জন্য জেনারেল সেক্সটাস জুলিয়াস সেভেরাসের নেতৃত্বে ছয় লিজিয়নের এক বিশাল সৈন্যবাহিনী পাঠান। ১৩৬ সালের মধ্যে রোমান সেনারা ইহুদি বিদ্রোহ দমনে পুরোপুরি সফল হয়। এ বিদ্রোহ দমনে রোমান সেনারা ভয়ানক নৃশংসতার পরিচয় দেয়। ইতিহাসবিদ ডিও ক্যাসিয়াসের মতে, এ বিদ্রোহে প্রায় ৫৮০০০০ ইহুদি নিহত হয় এবং তার চেয়েও বেশী ইহুদি মারা যায় অনাহার ও রোগের আক্রমণে। যুদ্ধবন্ধী অসংখ্য ইহুদিকে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। জুডিয়ার ইহুদি সম্প্রদায় প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়।


চিত্র: ১১৭ খ্রিস্টাব্দের রোমান সাম্রাজ্য

সম্রাট হাদ্রিয়ান জেরুজালেমে বাইরে থেকে ইহুদিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অরোপ করলে জেরুজালেম প্রায় ইহুদি শূণ্য হয়ে যায়। এ সময় থেকেই পালিয়ে যাওয়া ইহুদিরা সারা আরবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। জুডিয়ার সকল স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য সম্রাট হাদ্রিয়ান মানচিত্রে এর নতুন নামকরণ করেন ‘সিরিয়া প্যালেস্টিনা’। সালে সম্রাট হাদ্রিয়ানের মৃত্যুর পর ইহুদি নিপীড়ন কিছুটা শিথিল হলেও রোমানরা ইহুদিদের জেরুজালেমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখে; অবশ্য ইহুদিদের বাৎসরিক উপবাস ও শোকের দিন তিশা বা'ব-এ তাদেরকে জেরুজালেমে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতো। ইহুদিরা তাদের এ পরাজয়ের জন্য তালমুদ পুস্তকে বার কোখবাকে ভূয়া মসিহ বলে অভিহিত করেছে।

ধর্মীয় আদলে এসব বিদ্রোহ হলেও মূল কারণটি ছিলো অর্থনৈতিক শোষণ। কিন্তু প্রতিটি বিদ্রোহই শেষ হয়েছে ব্যার্থতা ও পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। পরাধীনতার শেকল আরও চেপে বসেছে গলায়। এমতাবস্থায় এটাই স্বাভাবিক যে, বিপন্ন মানুষ ধর্মের মধ্যেই সান্তনা খোঁজার চেষ্টা করবে। ধর্ম তখন আর বিদ্রোহী নয় বরং শান্তি ও সমর্পিত জীবনের কথা বলে এবং দুঃখ-বেদনা ও গ্লানিময় জীবনকে সহ্য করে বেঁচে থাকার আধ্যাত্মিক প্রেরণা জাগায়; মানুষের শক্তি দ্বারা মুক্তির আশা ছেড়ে দৈব-শক্তিতে মুক্তি অনুসন্ধানের কথা বলে। দুঃখের দিনে আধ্যাত্মিক প্রেরণা ও সাহস মানুষের বেঁচে থাকার খুবই বড় অবলম্বন।

রোমান অত্যাচারে বিপন্ন প্রাচ্যের জীবনে এরকমই একটি বড় অবলম্বন হয়ে দেখা দেয় খ্রিস্টধর্ম। যদিও যিসাসের জীবদ্দশায়ও খ্রিস্টধর্ম প্রাচ্যের প্রজাদের জীবনে খুব বড় প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে নি তবুও সময় ও প্রেক্ষপটের কারণে ধীরে ধীরে তাঁর প্রচারিত শিক্ষাগুলোই একসময় রোমান প্রজাদের দুঃখ ও দারিদ্রপীড়িত পরাজিত জীবনে সান্তনা ও স্বস্তি ও এনে দিতে শুরু করে। অধ্যাত্মিক সান্তনায় মানুষ দুঃখ ভুলতে চেষ্টা করে। শুধু ইহুদি প্রদেশগুলো নয়, গ্রিস, রোম ও এশিয়া মাইনরেও তাঁর শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ে। সেমেটিক নবিদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিসাসের শিক্ষাই শাসকপূঁজারি ও প্যাগান গ্রিকো-রোমানদের মধ্যে প্রবেশ করে। এটা ছিলো ইতিহাসের অভূতপূর্ব ঘটনা।

এই ইতিহাসটি এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো; কিন্তু তা হয়নি। পরবর্তী সময়ে যিসাসের অনুসারিদের প্রচারিত খ্রিস্টধর্ম হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়ে সারা রোমান সাম্রাজ্যজুড়ে। প্যাগানরা একসময় তাদের অদ্ভুত দেব-দেবীদের ছেড়ে দলে দলে এই ধর্মে দীক্ষা নিতে শুরু করে। তবে ইতিহাসে এই ধর্মের গুরুত্ব প্রতীয়মান হয় যিসাসের আবির্ভাবের অনেক দিন পরে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকে খ্রিস্ট মতবাদ রোমান ক্রীতদাসদের মাঝে ব্যাপক আবেদন সৃষ্টি করে এবং তারা দলে দলে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা নিতে থাকে।


চিত্র: বাইজেন্টাইন সৈন্য

রোমানদের মধ্যে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে যারা খ্রিস্টধর্মের প্রথম যুগে ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে সেইন্ট পল ও সেইন্ট পিটারের অবদান ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। দুজনকেই জীবন দান করতে হয়েছিলো। সেইন্ট পিটারকে যেখানে হত্যা করা হয় বহুদিন পরে রেনেসাঁর যুগে সেখানে নির্মিত হয় সেইন্ট পিটারের গির্জা। খ্রিস্টধর্মের প্রসারে সম্রাট ডায়োক্লেটিয়ান (২৮৪-৩০৫ খ্রি.) শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। এর প্রসার রোধে তিনি যে হত্যাকান্ড চালান, তা খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য হত্যাযজ্ঞ। এই নিধনযজ্ঞ খ্রিস্টধর্মকে নির্জীব করতে পারলো না।

খ্রিস্টমতবাদ এক প্রবল জোয়ার সৃষ্টি করে সারা রোমান সাম্রাজ্যজুড়ে। জোয়ারের তোড়ে ভাসিয়ে নেয় দাস ও সাধারণ দরিদ্র রোমানদের। এ পরিস্থিতি শংকিত করে তোলেছিলো রোমান সম্রাট কনস্টানটাইনকে (৩০৬-৩৩৭ খ্রি.)। খ্রিস্ট মতবাদের প্রতি বৈরী মনোভাব ধরে রাখলে পরিণামে তা বিদ্রোহের জন্ম দিতে পারে - এই আশঙ্কা থেকে তিনি সাম্রাজ্যের অখন্ডতা ও শান্তি রক্ষার জন্য খ্রিস্টধর্মীদের প্রতি সহনশীল হওয়ার নীতি গ্রহণ করেন এবং এক পর্যায়ে নিজেও খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা নেন। এটা ৩১৩ সালের ঘটনা। এটা ইতিহাসের এক অভূতপূর্ব ঘটনা। কোন সম্রাটের সেমেটিক ধর্ম গ্রহণের ঘটনা এটাই প্রথম।

অতীতের ইতিহাসে পারস্য সম্রাট সাইরাস ইহুদিদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিখ্যাত হলেও তিনি মুসার ধর্ম গ্রহণ করেননি। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের ইতিহাসে একজন সম্রাট হিসেবে হিসেবে কনস্টানটাইনই প্রথম সেমেটিক ধর্ম গ্রহণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি মানব সভ্যতার ইতিহাসকে অত্যন্ত গভীরভাবে প্রভাবিত করেছেন। রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী তিনি রোম থেকে সরিয়ে এনেছিলেন বাইজানটিয়ামে (বর্তমান তুরস্কের ইস্তাম্বুল) এবং এর নামকরণ করেছিলেন ‘নোভা রোমা’ অর্থাৎ নতুন রোম। কিন্তু অচিরেই তাঁর নামে এর নামকরণ হয়ে যায় ‘কনস্টানটিনোপল’।

৩৩৭ সালে কনস্টানটাইনের মৃত্যুর পর রোমান সাম্রাজ্যের অধিপতি হন ২য় কনস্টানটিয়াস (৩৩৭-৩৬১ খ্রি.)। এর পরের উল্লেখযোগ্য সম্রাট ভ্যালেন্স (৩৬৪-৩৭৮ খ্রি.)। ভ্যালেন্স এর পরের বিখ্যাত সম্রাট ১ম থিওডোসিয়াস (৩৭৯-৩৯৫ খ্রি.)। তিনি ৩৮০ সালে খ্রিস্টধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেছিলেন। অখন্ড রোমান সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট এই ১ম থিওডোসিয়াস ৩৯৫ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর দুই পুত্র হনোরিয়াস (৩৯৩-৪২৩ খ্রি.) ও আর্কাডিয়াসের (৩৮৩-৪০৮ খ্রি.) মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে রোমান সাম্রাজ্য ভাগ করে দেন।

পশ্চিমাংশ পান হনোরিয়াস। তাঁর রাজধানী হয় মিলান। পূর্বাংশ পান আর্কাডিয়াস। তাঁর রাজধানী কনস্টানটিনোপল। যেহেতু বাইজানটিয়াম দুর্গকে কেন্দ্র করে এই নগরী গড়ে উঠেছিলো তাই সাম্রাজ্যের পুর্বাংশের নাম হয়ে যায় বাইজেনটাইন সাম্রাজ্য। একসময় পশ্চিমাংশের পতন ঘটলেও পূর্বের এই বাইজেনটাইন সাম্রাজ্য টিকে থেকে গিয়েছিল আরও বহুদিন। পশ্চিম ইউরোপ চলে গিয়েছিল যাযাবর টিউটন জাতিগুলোর হাতে। ৪০০ সাল থেকেই ইউরোপজুড়ে টিউটনদের আধিপত্য দেখা দেয়।

কী দাপট ছিলো রোমের সৈনিকদের! তাদের পদভারে কেঁপে উঠত তিন-তিনটে মহাদেশ। ইউরোপ-এশিয়া-আফ্রিকা! হাজার বছরের পুরনো রোমান সভ্যতা। তবু এই বিশাল সভ্যতার রাজধানী রোমই লুটে নিয়ে গেলো একের পর এক অর্ধসভ্য যাযাবর টিউটন জাতির লোকেরা। গথদের কাছে প্রথম মাথা নোয়ালো রোম; তারপর এলো ভ্যান্ডালরা; পরে বার্গান্ডিয়ান, পূর্ব-গথ, এলেমান্নি, ফ্রাঙ্ক - একের পর এক। আজকের ইউরোপের আদি পুরুষ এই টিউটনরা। ইংরেজ, ফরাসি, জার্মান, নরওয়োজিয়ান, হাঙ্গেরিয়ান, রাশিয়ানরা এদেরই বংশধর।

টিউটনরা ৪০০ সালে ব্রিটেন আক্রমণ করে। সেখানকার রোমান সৈন্যরা পরাজিত হয়ে রোমে ফিরে আসে। সে বছর সম্রাট হনোরিয়াস গথদের আক্রমণ থেকে রোম রক্ষা করতে পেরেছিলেন। ব্রিটেন উপদ্বীপে যেসব টিউটনরা বসবাস শুরু করে তাদের নাম অ্যাঙ্গল ও স্যাক্সনস। অ্যাঙ্গলদের নাম অনুসারে তাদের দেশের নাম হয় ইংল্যান্ড। টিউটনদের আরেকটি দল গলদেশ অর্থাৎ ফ্রান্স দখল করে নেয়। এদের বলা হতো ভ্যান্ডাল। এরা যেখানেই যেতো ভয়াবহ তান্ডবলীলা চালাত। তাই এদের নামানুসারে ইংরেজিতে একট শব্দ আছে ‘ভ্যান্ডালিজম’ যার অর্থ মূল্যবান কোন কিছুর ওপর নির্বিচারে ধ্বংসলীলা চালানো।


চিত্র: ৯ সালে সংঘটিত টিউটোবার্গ ফরেস্টের রোমান-জার্মান যুদ্ধ

ইতালির উত্তরের টিউটিনদের নাম গথ্স। এরা সুযোগ পেলেই ইতালিতে ঢুকে পড়তো। প্রথম ও দ্বিতীয় শতকে এদেরকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছিলো। কিন্তু এর পরেই এদের চাপ বাড়তে থাকে। অন্যদিকে প্রাচ্যের পার্থিয়ান (পারসীয়) ও আর্মেনীয়রাও রোমান সীমান্তের ভেতরে ঢুকে পড়তে শুরু করে। কিন্তু এসব অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য রোমের সেই শক্তি আর অবশিষ্ট ছিলো না। দাসত্বের ভিত্তির ওপর ইতালির অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আর টিকে থাকতে পারছিলো না।

ইতালির অর্থনৈতিক জীবনে তখন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দাসতন্ত্রী অর্থনীতি চাঙ্গা রাখার জন্য অনবরত দাস সরবরাহ চাই। কিন্তু দাসের যোগান তখনই সম্ভব যখন দেশ জয়ের কাজ চলতে থাকে। রোমের পক্ষে তখন সে পথ বন্ধ। ফলে দাস ভিত্তিক উৎপাদন অচল হয়ে যায়। সামুদ্রিক বাণিজ্যও ছিলো বন্ধের পথে। কৃষি উৎপাদনে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বাধ্য হয়ে ল্যাটিফান্ডিয়ার মালিকরা তাদের জমি দাসদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া শুরু করে। ফসলের মালিক হতো দাসই। মনিব ফসলের একটি অংশ কর হিসেবে নিতো। প্রলেতারিয়ানদের মধ্যেও জমিবণ্টন হতে থাকে।

এভাবে দাস ও প্রলেতারিয়ানরা পরিণত হয় প্রজায়। এদের নতুন নাম হয় কলোন। ভূস্বামী দাস-মালিকরা পরিণত হয় সামন্ত জমিদারে। ফলে ইতালির অর্থনীতি সামন্ততন্ত্রের আকার ধারণ করতে থাকে। এ অবস্থায় বিশাল সৈন্যবাহিনীর ভরণ পোষণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। নতুন দেশ লুণ্ঠনের লোভে কেউ সেনাবাহিনীতে আসবে - সে পথও বন্ধ। চতুর্থ শতকে টিউটনদের অনবরত আক্রমণে রোমান সামরিক শক্তি প্রচন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে আত্মরক্ষার জন্য সেনাবাহিনী পোষা কঠিন হয়ে পড়ে।

টিউটনরা ইতালিতে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন এলাকা দখল করতে থাকে। তারা সেসব এলাকার জমি দখল করে যৌথ গ্রাম ব্যবস্থায় উৎপাদন শুরু করে। বড় বড় ভূ-স্বামীরা নিজস্ব রক্ষীবাহিনী গঠন করে এদেরকে বাধা দিতে চেষ্টা করতেন; প্রায়ই বিফল হয়ে এদের সাথে আপোষ করতে বাধ্য হতেন তারা। শহরের পলাতক দাসেরা এসব ভূ-স্বামীদের কাছে আশ্রয় নিয়ে প্রজায় পরিণত হতো। ধীরে ধীরে এসব ভূ-স্বামীরাই সামন্ত অধিপতি হয়ে উঠতে শুরু করে। সম্রাটের শক্তি বলতে আর কিছু ছিলো না। সম্রাটরা বাধ্য হয়েই এসব সামন্তদের হাতে শাসনভার ছেড়ে দিতেন।

চতুর্থ শতকের শেষের দিকে টিউটনদের আক্রমণ প্রতিরোধ করার আর কোন উপায় থাকে না। গথরাই প্রথম ইতালিতে ঢুকে পড়ে। পঞ্চম শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পুরোটাই চলে যায় টিউটনদের দখলে। তখন টিউটনরা আর যাযাবর নেই। রোমানদের কাছ থেকে উৎপাদন প্রযুক্তির ব্যবহার শিখে তারাও সভ্য জীবনে প্রবেশ করছে। তবে রোম বার বার টিউটন জাতিগুলোর হাতে লুন্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে। রোমান সম্রাটরা টিউটনদের সাথে আপোষ করে কোনমতে টিকে থাকার চেষ্টা করছিলেন।

গথ সেনাপতিরা আপোষ প্রস্তাব অনুযায়ী নিজেদেরকে সম্রাটের সামরিক কর্মচারী পরিচয় দিলেও তারা মোটেও সম্রাটের আদেশের ধার ধারতেন না। পঞ্চম শতকের মাঝামাঝি সময়ে তারাই প্রকৃতপক্ষে রোমের শাসকে পরিণত হন। ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে তারা রোমের বালক সম্রাট রেমুলাস অগাস্টালুসকে সরিয়ে দিয়ে তাদের নেতা ওডোয়েসারকে (Odoecar) রাজা ঘোষণা করেন। মূলত এ ঘটনার মধ্য দিয়েই অবসান ঘটে হাজার বছরের পুরনো রোমান রাষ্ট্রব্যবস্থার। রোমান সাম্রাজ্যের পূর্বাংশ নিয়ে টিকেছিলো শুধু কনস্টান্টিনোপাল।

টিউটনরা ছিন্ন ভিন্ন পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যে শাসন করতে থাকে। টিউটনদের মধ্যেও খ্রিস্টধর্ম প্রসার লাভ করে। রোমানদের কাছ থেকেই টিউটনরা খ্রিস্টধর্মের শিক্ষা পেয়েছিলো। এভাবে রোমানরাই এক সময়ে এসে পরিণত হলো সেমেটিক ধর্মের প্রচারকে। অধিকাংশ টিউটনই খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিল। খ্রিস্টধর্মের তোড়ে টিউটনদের আদি ধর্ম হারিয়ে গেলেও আমাদের জীবনে এখনও তার কিছু নিদর্শন বিদ্যমান। সপ্তাহের কিছু দিনের নাম হয়েছে তাদের দেবতাদের নামে। যেমন-

টিউইসডে: ‘টিউ’ দেবতার নামে হয়েছে টিউইসডে।
উডনেসডে: গথদের শ্রেষ্ঠ দেবতা ছিলো আকাশের দেবতা উডেন।
থার্সডে: ‘থর’ দেবতার নামে হয়েছে থার্সডে।
ফ্রাইডে: ‘ফেরা’ দেবতার নামে হয়েছে ফ্রাইডে।

টিউটনদের মধ্যে একসময় ফ্রাঙ্করা ইউরোপজুড়ে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। এদের ভেতর চার্লস মার্তেল ও পেপিন এই দুই রাজার চেষ্টায় পশ্চিম ইউরোপে একটি সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। শার্লেমানের সময়ে এ সাম্রাজ্য চূড়ান্ত বিস্তার লাভ করেছিল। নির্মম আক্রমণের মধ্য দিয়ে পশ্চিম ইউরোপজুড়ে তিনি যে বিশাল সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন করেছিলেন তা ছিলো নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যের আগে পর্যন্ত ইউরোপের সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্য। ৮০০ সালে খ্রিস্টধর্মজগতের গুরু স্বয়ং পোপ তাঁর মাথায় সম্রাটের মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন। শার্লেমানের মৃত্যুর পর ইউরোপ আবার টুকরো টুকরো হয়ে যায়।


চিত্র: ১৪৫৩ সালে বাইজানটিয়ামের পতন

৪৭৬ সাল পর্যন্ত সভ্যতার ইতিহাসকে প্রাচীন যুগ ধরা হয়। তখন থেকে শুরু হয় মধ্যযুগ। মধ্যযুগ শেষ হয় ১৪৫৩ সালে। মধ্যযুগের সব চেয়ে বড় ঘটনা হলো আরব খিলাফতের আবির্ভাব। ১৪৫৩ সালে ওসমানীয় সুলতান ফাতেহ আল মাহমুদের কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ঘটনাকে মধ্যযুগের শেষ ধরা হয়। তখন থেকে সূচনা ঘটে আধুনিক যুগের। কনস্টান্টিনোপলের পতনের ফলে ইউরোপের সাথে এশিয়ার বাণিজ্যপথ বন্ধ হয়ে যায়। ইউরোপীয়দের মধ্যে শুরু হয় সমুদ্রপথে ভারতে আসার বিকল্প পথ আবিষ্কারের চেষ্টা। এ চেষ্টা করতে গিয়ে ১৪৯২ সালে কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন। অবশেষে ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা আফ্রিকার দক্ষিণ হয়ে ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কার করতে সমর্থ হন। ইতালিতে শুরু হয় রেনেসাঁ অর্থাৎ পুরনো গ্রিকো-রোমান জ্ঞান-বিজ্ঞান-দর্শন ও শিল্পকলার পূর্ণজাগরণের প্রচেষ্টা।

রোমান সম্রাটদের তালিকা

Name Reign
Augustus: January 16, 27 BC – August 19, 14 AD
Tiberius: September 18, 14 AD – March 16, 37 AD
Caligula: March 18, 37 AD – January 24, 41 AD
Claudius: January 25/26, 41 AD – October 13, 54 AD
Nero: October 13, 54 AD – June 9, 68 AD
Galba: June 8, 68 AD – January 15, 69 AD
Otho: January 15, 69 AD – April 16, 69 AD
Vitellius: April 17, 69 AD – December 20, 69 AD
Vespasian: December 21, 69 AD – June 24, 79 AD
Titus: June 24, 79 AD – September 13, 81 AD
Domitian: September 14, 81 AD – September 18, 96 AD
Nerva: September 18, 96 AD – January 27, 98 AD
Trajan: January 28, 98 AD – August 7, 117 AD
Hadrian: August 11, 117 AD – July 10, 138 AD
Antoninus Pius: July 10, 138 AD – March 7, 161 AD
Marcus Aurelius: March 7, 161 AD – March 17, 180 AD
Lucius Verus: March 7, 161 AD – ? March 169 AD
Commodus: 177 AD – December 31, 192 AD
Pertinax: January: 1, 193 AD – March 28, 193 AD
Didius Julianus: March 28, 193 AD – June 1, 193 AD
Septimius Severus: April 9, 193 AD – February 4, 211 AD
Caracalla: 198 AD – April 8, 217 AD
Geta: 209 AD – December 26, 211 AD
Macrinus with Diadumenian: April 11, 217 AD – June 8, 218 AD
Elagabalus: June 8, 218 AD – March 11, 222 AD
Severus Alexander: March 13, 222 AD – March 18, 235 AD
Maximinus I with Gaius Julius V Maximus: March 20, 235 AD – June 238 AD
Gordian I: March 22, 238 AD – April 12, 238 AD
Gordian II: March 22, 238 AD – April 12, 238 AD
Pupienus: April 22, 238 AD – July 29, 238 AD
Balbinus: April 22, 238 AD – July 29, 238 AD
Gordian III: April 22, 238 AD – February 11, 244 AD
Philip I with Philip II: February 244 AD – Sep/Oct 249 AD
Trajan Decius with Herennius Etruscus: September/ October 249 AD
– June 251 AD
Hostilian: June 251 AD – late 251 AD
Trebonianus Gallus with Volusianus: June 251 AD – August 253 AD
Aemilian: August 253 AD – October 253 AD
Valerian: October 253 AD – 260 AD
Gallienus with Saloninus:October 253 AD – September 268 AD
Claudius Gothicus: September 268 AD – January 270 AD
Quintillus: January 270 AD – 270 AD
Aurelian September: (?) 270 AD – September 275 AD
Tacitus: September 25, 275 AD – June 276 AD
Florian: June 276 AD – September? 276 AD
Probus: Sept? 276 AD – Sept/ Oct 282 AD
Carus: Sept/ Oct 282 AD – July/August 283 AD
Numerian: July/August 283 AD – 284 AD?
Carinus: July/August 283 AD – 285 AD
Diocletian: November 20, 284 AD – May 1, 305 AD
Maximian: April 1, 286 AD – May 1, 305 AD
Constantius I: May 1, 305 AD – July 25, 306 AD
Galerius: May 1, 305 AD – May 311 AD
Severus II: Summer 306 AD – March/ April 307 AD
Constantine the Great: July 25, 306 AD – May 22, 337 AD
Maxentius: October 28, 306 AD – October 28, 312 AD
Maximinus II: May 1, 311 AD – July/August 313 AD
Licinius I with Valerius Valens and Martinian: Nov 11, 308 AD
– Sept 18, 324 AD
Constantine II: May 22, 337 AD – 340 AD
Constantius II: May 22, 337 AD – November 3, 361 AD
Constans I: May 22, 337 AD – 350 AD
Vetranio: March 1, 350 AD – December 25, 350 AD
Julian: February 360 AD – June 26, 363 AD
Jovian: June 26, 363 AD – February 17, 364 AD
Valentinian I: Feb 26, 364 AD – Nov 17, 375 AD
Valens: March 28, 364 AD – August 9, 378 AD
Gratian: August 4, 367 AD – August 25, 383 AD
Valentinian II: November 17, 375 AD – May 15, 392 AD
Theodosius I: January 1, 379 AD – January 17, 395 AD
Arcadius (EAST): January 383 AD – May 1, 408 AD
Magnus Maximus with Flavius Victor (WEST): 383/384 AD
– August 28, 388 AD
Honorius (WEST): January 23, 393 AD – August 15, 423 AD
Theodosius II (EAST): January 402 AD – July 28, 450 AD
Constantine III with Constans II (WEST): 407/409 AD - August or
September 411 AD
Constantius III (WEST): February 8, 421 AD – September 2, 421 AD
Joannes (WEST): August 27, 423 AD – May 425 AD
Valentinian III (WEST): October 23, 424 AD – March 16, 455 AD
Marcian (EAST): Summer 450 AD – January 457 AD
Petronius Maximus: March 17, 455 AD – May 31, 455 AD
Avitus: July 9, 455 AD – October 17, 456 AD
Majorian: April 457 AD – August 2, 461 AD
Libius Severus: November 461 AD – August 465 AD
Anthemius: April 12, 467 AD – July 11, 472 AD
Olybrius: July 11, 472 AD – November 2, 472 AD
Glycerius: March 473 AD – June 474 AD
Julius Nepos: June 474 AD – August 28, 475 AD (in Italy); spring 480 AD (in Gaul and Dalmatia)
Romulus Augustulus: October 31, 475 AD – September 4, 476 AD (in Italy)

লেখক: আসিফ আযহার
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, শাবিপ্রবি
ই-মেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: http://www.asifajhar.wordpress.com
ফেসবুক: Asif Ajhar, যোগাযোগ: 01785 066 880

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

সজল_ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.