নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় প্রবাসী ভাই-বোন-বন্ধু!

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

প্রিয় প্রবাসী বাঙালী ভাই-বোন-বন্ধু!



এক বাঙালীর শ্রদ্ধা ও প্রেম গ্রহন করুন। আপনার যে ভাবে দেশের মা, মাটি ও প্রকৃতিকে দিবানিশি মিস করে চলছেন। ঠিক তেমনি ভাবে আমরাও আপনাদের মিস করি। তারপরও জিবিকার তাগিদ দেশে-প্রবাসে দু’জায়গাই কষ্টকর ও নিষ্ঠুর হিসেবেই গন্য হয়। এই নিষ্ঠুরতাকে ভালোবাসায় পরিনত করার জন্যই আজ আমাদের এই চেষ্টা। সেখানে আপনাদের কোনো আর্থিক সাহায্য আমি চাইবো না। শুধু আপনাদের মানুষিক জোড়টুকু চাইবো। নিজের বাঙালী স্বত্ত্বাকে মিস করলে বাঙালী হওয়া যায় না। বাঙালী স্বাধীন চেতনাকে প্রকাশ করতে হয়। যতো প্রতিকুলতাই আসুক না কেনো, এই স্বাধীন বাঙালীত্ব আপনাকে মুক্ত-স্বাধীন পরিবেশ তৈরী করে দিতে প্রস্তুত।



আমি বাঙালীদের সহ পুরোবিশ্বকে জাগাতে এসেছি। এ মহাশক্তি আমার না। এ শক্তি আপনাদের সবার অন্তরের চেষ্টাশক্তি ও প্রেমশক্তির। আমি শুধু একটি দিয়েশলাই এর কাঠির মতো। এই কাঠি একবার ম্যাচের ঘসায় আগুন লাগিয়ে নিশ্বেস করেই ধ্বংস হয়ে যায় না। এই কাঠি একই রকম বিভিন্ন দিয়েশলাইয়ের কাঠি তৈরি করে দেয়। যা সম্পূর্ণ স্থায়ী মাধ্যম ও উপায়।



অনেক প্রবাসীর সাথে আমার ওপেনে ও গোপনে পরিচয় হয়ে গেছে। যা আমি আমার অন্তর দিয়ে অনুভব করে নিয়েছিলাম। আপনাদের কাছ থেকে না দেখেও, আমি আপনাদের প্রেমে পড়ে গেছি। আপনের মতো নিস্বার্থ ভাবে কাছে থাকলে এমনিতেই প্রেম হয়ে যায়। প্রেমের কারণ খুঁজলে ও অবিশ্বাস দিয়ে বিচার করলে প্রেম দৌড়ে পালায়। আমাদের এই প্রেম দিয়েশলাইয়ের কাঠিই শুধু না, স্থায়ী যাদুর কাঠির মতো হয়ে যাচ্ছে। আমার আগমনকে আপনাদের যাদুর মতো লাগতে পারে, এই যাদু খুব বেশি পরিবাহী ও ইফেক্টিভ। আজকে যা আমার কাল তা আমার ও আপনার। এটাই জগতের নিয়ম।



আমি আমার প্রিয়তমকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। দেই পরম দেবীকে খুঁজতে বেড়িয়ে আপনাদের সাথে প্রেম হয়ে গেছে, সেই সাথে দেবীতুল্য প্রিয়তমকেও ফিরে পাবো। মানব জীবনে এর থেকে বড় পূর্ণতা আর কি থাকতে পারে?



আমি বিগত ৬/৭মাস আগে এমন একটি দুঃখময় পরিস্থিতিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলাম। যে সময় আমার চুপ করে থাকার মতো পরিস্থিতি ছিলো না। আজ এই কাজে যদি আমার মৃত্যু হতো তাতেও আমি আনন্দিত হতাম। আপনাদের প্রেমের মাঝে আমি বেঁচে থাকতাম, সেই সাথে আমার প্রিয়তম মুনও আপনাদের করুনা ও সাহায্য পেতো। এ এক প্রেমিক বাঙালীর মহাবিশ্বাস।



প্রিয় বাঙালী প্রবাসী! আপনাদের শরীর পরদেশে থাকতে বাধ্য হয়েছে, অন্তর মহোদয় কিন্ত আমাদের সাথেই আছে। আমি কিছু আইডিয়া আপনাদের কাছে পেশ করেছিলাম। এই গুলো শুধু বাঙালীরই সম্পদ না। এই গুলো বিশ্ব সম্পদ। আজ আমি আপনাদের দ্বায়িত্ব দিচ্ছি, আমার বাণী গুলোকে সব দেশে ছড়িয়ে দেবার জন্য। আমার প্রথম দিকের লেখায় মাল্টি স্টাইল ব্যবহার করেছিলাম। এখন এমন ভাবে বলি, যাতে যে কোনো ভাষায় অনুবাদ করা সহজ হয়ে ওঠে। যারা বাংলাভাষী না তাদের কাছে আমার এই আগমন ও সুন্দরের বানী প্রকাশ করে দিন। অনুবাদের ক্ষেত্রে আপনি নিজে ও আপনার পাশের ঐ নিরিহ সুন্দর বিদেশী ভাষাভাষির সাহায্য নিন।



এর ফলে আমার বাংলাদেশ ও আমরা বাঙালী বিশ্বশান্তির স্থায়ী মডেল হিসেবে অন্যদের চোখে জেগে থাকা প্রেমকে পেয়ে যাবো। আমরা অন্যজাতির মনে কষ্ট দেবো না, আমরা আমাদের বুকের খুনের মতো রক্তলাল উজারকরা প্রেম দিয়ে- অন্যদের প্রেম অর্জন করে নেবো।



দেখুন আজ বাংলাদেশের সেই করুন সময় কেঁটে গেছে। কিন্তু ইরাক-ঈসরাইল-ফিলিস্তিন-নাইজেরিয়া-ইউক্রেন-লিবিয়া-সিরিয়া-আফগানিস্থান-মিসরে সেই অসুন্দরের আগুন লেগেছে। সেই আগুনও আমাদের নিভাতে হবে। নইলে মানব জাতির জন্যই অমঙ্গল নেমে আসবে। আজ ইউ.এস.এ. ও জাপানে ঝড়ের করতালী এসেছে। এই দুর্যোগ আমাদের সবার উপলব্ধি করা উচিৎ। রাশিয়া মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। যা অন্যায় ও শান্ত রুশ জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ শান্তির পথে বাঁধা হয়ে উঠবে। যেমন ইরাক-লিবিয়া-সিরিয়া-ইউক্রেনে শান্তি বিরাজ করেছিলো। আজ সেই দিন অতীত হয়ে গেছে। কোনোদিন এই অতীতও বর্তমান ছিলো। আজকের এই বর্তমান রুশ জাতিকে দেখে আমার সেই স্বর্ণালী অতীতের কথাই বার বার মনে পড়ছে। সেই তুলনায় আমাদের বাঙালীর বড় ভাই চায়না অনেক বেশি সরল, শান্ত ও ম্যাচিউরড। বড় ভাইরা ম্যাচিউরড হলে ছোটদের আর খারাপ পথে যাবার ভয় থাকে না। এজন্য আজ বাঙালী আর চাইনিজ সাহোস এক হয়ে গেছে। বড় ভাই আমাদের দেশের সব থেকে বড় সেতুর নির্মান কাজের দ্বায়িত্ব নিয়েছে। আমাদেরও দ্বায়িত্ব নিতে হবে। সেই দ্বায়িত্ব হলো বড় ভাইয়ের কাছ থেকে কাজ শেখা। সেই কাজ শিখতে ও প্রযুক্তি নিজ দেশের মাটিতে নিয়ে আসতে যত কষ্ট করতে হয় করবো। এই কাজ শেখানোর সময় বড় ভাই শিক্ষক তুল্য। তিনি যদি আমাদের বকা দেয় তারপরও আমরা তাঁর কথা শুনতে বাধ্য থাকবো। চায়না বড়ভাই যদি প্রধান শিক্ষক হয় জাপান-ইউ.এস.এ.-ইউ.কে-ব্রিকস-ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-করিয়া-ইরান-ইন্ডিয়া আমাদের সিনিয়র শিক্ষক। সবার কাছ থেকেই আমরা শিখবো। চায়না-বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া-মিয়ানমারের সামরিক বাহিনির সৌন্য সংখ্যা লক্ষ্য করুন। দেখবেন আমাদের শক্তি অফুরন্ত। আমাদের সম্পর্ক প্রেমের ও চিরআপন। আমরা কখনও কারও ক্ষতি হোক তা চাইনা। মিয়ানমান থেকে আগত রহিঙ্গাদেরও আমরা তাদের দুঃসময় আমরা সাহায্য করেছি ও আশ্রয় দিয়েছিলাম। যেভাবে আমরা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইন্ডিয়ার কোলে পরম আদরে শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় পেয়েছিলাম। কাল ইন্ডিয়া আমাদের বুকে তুলে নিয়েছিলো, আজ আমরাও অসহায়কে আমাদের বুকে আশ্রয় দিচ্ছি। এ কথা মানুষে-মানুষে যেমন সত্য, ঠিক একই ভাবে দেশে-দেশেও সত্য। মানুষ ছাড়া দেশ কল্পনা করা যায় না। আর মানবতা ছাড়া দেশে শান্তি আসে না। আমরা পিছনের শত্রু পাকিস্তানকেও আজ ক্ষমা করে দিয়েছি। শত্রুতা অন্তরে পুষে রাখলে শান্তি আসে না, নতুন নতুন শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এর বড় প্রমাণ পাকিস্তানি হতে পারে?



আমরা ইন্ডিয়ার বর্ডার গার্ড বি.এস.এফ এর হাতে বহু তাজা প্রাণ দিয়েছি। আজ সেই বি.এস.এফ. এর জীবন কেড়ে নিচ্ছে পাকিস্তান। ওরা হয়তো যুদ্ধ করতে পছন্দ করে, আমরা দীর্ঘ ধৈর্য্য ধরেও অসুন্দরকে সুন্দর করে নেই। আমরা নতুন প্রাণের আগমনে সে সান্তনার ভাষা হারানো দুঃখ-জ্বালাকেও ভুলে থাকতে চাই। আমরা আক্রমন চাই। সেই আক্রমন প্রেমের আক্রমন, সুযোগ সুবিধার আক্রমন, উন্নতির আক্রমন, সুশিক্ষার আক্রমন, মিলনের আক্রমন, শান্তির আক্রমন, সৎব্যবহারের আক্রমন, সত্য প্রতিষ্ঠার আক্রমন। আমাদের যাদুর কাঠি দিয়ে সবার দুঃখ ভুলিয়ে দেবো। সবাই আমাদের না হোলে হোক। আমরা সবার হয়ে যাবো। সবাইকে প্রকৃত শান্তির পথে আহব্বান করবো। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যাবো।



প্রিয় প্রবাসী বাঙালী! আপনাদের হাতে আজ অনেক দ্বায়িত্ব। আমাদের দেশের থিম কালার লাল ও সবুজকে আপনারা আপনাদের প্রেমের ছোঁয়ায় সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিন। সব সময় নিজেদেরকে বাঙলার প্রধান রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে ভাববেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট বিদেশের মাটিতে বাস করে না। পরবাসে আপনারা সবাই একেকজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনে করে কাজ করবেন।



প্রিয়জন প্রবাসে থাকার ব্যথা আমি আমার হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছি। আমার একমাত্র মামা, নানি, মামি সৌদি-আরবে দীর্ঘদিন যাবৎ অবস্থান করছে। তাঁরা দেশে থাকলে আরো অনেক একসাথে থাকার স্মৃতি থাকতে পারতো। তারপরও আপনারা আছেন বলেই আজ আমাদের অর্থনীতি সামাজিক অবস্থান একটি পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে। এই ঋণ কিভাবে শোধ করবো তার ভাষা আমার জানা নেই।



আমি আমার কথায় আপনাদের জন্য অনেক অনেক গাইড লাইন দিয়ে দিয়েছিলাম। আরো দিয়ে যাবো। আপনাদের একটু শান্তি দিতে পারলে আমার মানবজীবন স্বার্থক হবে।



বিভিন্ন লেভেলে, বিভিন্ন স্টাটাসে, পৃথিবীময় আমরা বাঙালীরা আজ অবস্থান করছি। ডে-লেবার থেকে মন্ত্রী/মিনিস্টার/বিজ্ঞানী/প্রযুক্তিবিদ/চিকিৎসা বিসারদ/শিল্পী/পুলিশ সহ প্রায় সব পেশাতেই আমরা আছি। সবাই সবাইকে সর্বোচ্চ সহযগীতা করবো। বৈধ-অবৈধ আমাদের কাছে কোনো ব্যাপারই না। আমরা সবাই বাঙালী। সবার গায়ে একই মাটির রক্ত। সবার মুখে একই ভাষার গান। আমি এই মুহূর্তে গান শুনতে শুনতে আপনাদের সাথে কথা বলে যাচ্ছি। ইদানিং গান দিয়ে নিজের প্রাণশক্তিকে চার্জ করে নেবার অভ্যেস হয়ে যাচ্ছে। প্রিয়তম কাছে আসছে না। ও আসতে আসতে আমি গান শুনছি। একা না। অনেক মানুষ নিয়ে একসাথে। জানেন, এই গান শুনতে শুনতে আমার মজার এক মহাঅভিজ্ঞতা হচ্ছে। আর তা হলো একই গান, একেক সময় একেক দৃষ্টিভঙ্গিতে ধরা পড়ছে। এই যাদু বাংলা গানে আছে। আশাকরি আপনারাও এই গান ও বাঙালী কালচারের কান্ডারী হয়ে উঠবেন। নিজেরা নিজেদের মেধাকে স্বাধীন ভাবে ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি করে নিবেন। যারা ভালোঅবস্থানে আছেন তারা সাধারনদের উপকারে এগিয়ে আসবেন। তাহলে ঐ সাধারনও ভালো অবস্থানে গিয়ে মানব কল্যানে কাজ করতে পারবেন।



প্রিয় প্রবাসী বাঙালী! আপনাদের অনেকের বিদেশে নিজস্ব বাড়ী, নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। আসুন আমরা আমাদের দেশকে দ্রুত উন্নত করে নেই। আপনারা নিয়মিত দেশে আসার অভ্যাস করবেন। যিনি প্লেন ফেয়ার নিয়ে ভয় পাচ্ছে। তাকে অন্যরা উপহার হিসেবে দিমুখি প্লেন টিকিট গিফট করবেন। যাদের নগদ অর্থ নেই কিন্তু বিদেশে বাড়ীর মালিকানা আছে। তারা বাড়ী বিক্রি করে দিয়ে হলেও দেশের বেকারত্ব দুর করন ও উন্নয়নে অংশগ্রহন করুন। আপনাদের সাথে অনেক দিন থেকেই এভাবে কথা বলার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু সুযোগ পাই নি। আবার ভেবেছি সময় এলে তারপর মন খুলে প্রেম বিনিময় করবো। আজ সময় ও সুযোগ এসেছে। তাই আপনাদের চরন ধরে হলেও আমি অনুরোধ করছি। আমি বাঙালী আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা আমার টানে ছুটে আসবেন।



আমরা সব বাঙালী মিলে চেষ্টা করছি। আমরা পন করেছি আগামী দু’বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিতে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান নিয়ে নেবো। এরপরে আমাদের আসল পজিশন আমরা কৃয়েট করে নেবো।



আপনাদের মনের সকল দুঃখ আমি বুঝি। কি করবো বলেন আমরা খুব একটি বাজে সিস্টেমের মধ্যে ছিলাম। দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদুতরা ভুলে যায় তারা বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার প্রতিনিধি। তারা মনে রাখে কিভাবে আমলা পলিটিক্স করতে হয়। আপনাদের মধ্য থেকেই রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হবে। যারা ভুক্তভুগি ছিলেন তারা অন্য বর্তমান সময়ের ভুক্তিদের সাহায্য করতে পারবেন। সেই সাথে বাংলাদেশের শীল্পি, মিডিয়াকর্মী, সৎপলিটিশিয়ান, মানবসেবী, বুদ্ধিজীবীদের চুক্তিভিত্তিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে দিয়ে দেবো। তাহলে তাঁদের আর আপনাদের ভাড়া করে নিয়ে যেতে হবে না। আমরা আমাদের কমিউনিটিকে শক্তিশালী করে তুলবো। সেই শুভ দিনে আমি আর আমার প্রিয়তম মুন আপনাদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে যাবো। একসাথে ভাত খাবো। মজা করবো। আপনাদের বাসার শিশু বাচ্চার সাথে গল্প করবো। আপনাদের গাওয়া গান শুনবো। আমাদের বাংলাদেশের আকাশের সূর্য একদম আমাদের নিজের। এই সূর্য আমরা রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছিলাম।



আজ সব গান প্রাণ পেয়েছে। আজ সকল মন বাঙালী গানে নেচে নেচে পাগল পাড়া। এই আমাদের প্রেমের মহাশক্তি। আজ আমি আপনাদের একটি ভুল ভাঙ্গিয়ে না দিলে নয়, আমি কখনই ইন্ডিয়ার খন্ডতা কামনা কামনা করেছিলাম না। বাঙালী এক। পূর্ব পশ্চিম নাই। আমি শুধু ইন্ডিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ/স্টেট/কিংডমের অসুবিধা গুলো বোঝাতে চেয়েছিলাম। খুব করুন পরিস্থিতির কথা বলে দিয়েছিলাম। একই সাথে সমাধান দেয়া আছে। পশ্চিম বাংলার সরকার ও প্রশাসন সম্পূর্ণ নিজেরা স্বাধীন ডিসিসন নেবে। কেন্দ্র তাঁদের সাহায্য সহযোগীতা করবেন। পশ্চিম বাংলার কোনো গভমেন্ট সার্ভেন্ট ননবাঙালী থাকতে পারবে না। আগে নিজ জাত বাঙালীর কর্ম সংস্থান নিশ্চিত করবো তারপর অন্য কথা। ইন্ডিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি সহেবকে আমি আমার অন্তরের প্রেম-প্রনাম দিয়ে ভালোবাসী। সে কথা তিনিও জানেন। আমি আপনাদের মতো তাঁর কাছেও চিঠি লিখেছিলাম। ইন্ডিয়ার বর্তমানে যেসব কাজ করা দরকার তার একটি গাইডলাইন আমি তাঁদের উৎসর্গ করেছিলাম। আমরা সবাইকে নিয়ে একসাথে ভালো থাকতে চেয়েছিলাম। কোনো মাটিতে বসেই ধর্ম বিভেদ করবেন না। সবাই আমরা এই বিশ্বের সম্পদ। এই মহাবিশ্বের মালিকানা আমাদের সব মানুষের। সবাই আমরা সমান অংশিদার।



প্রিয় প্রবাসী বাঙালী! আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে বাঙালীর বদনাম হয়। আমরা সুন্দর ও ভদ্র জাতি। এই জাত প্রকাশে জাতিয়তাবাদ/নেশনালিটি শব্দটি না জানলেও হয়। আমরা সহজ সরল কিন্তু সাবলিল না। আমাদের মনের মিথ্যে ভিরুতা আমাদের সাবলিল হতে দেই নি। আপনারা সর্বোচ্চ আত্মবিশ্বাসী হন। সংশ্লিষ্ট দেশের আইন মেনে চলবেন কিন্তু অন্যায় অত্যাচারকে তোয়াজ করবেন না। যদি তোয়াজ করতেই হয় এক সৃষ্টিকর্তাকে করুন। সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইবেন। কাউকে অভিষাপ দিবেন না। অন্যায় থেকে বাঁচতে চাইবেন। আমি আমার জীবন ও কর্ম থেকে সেই পথ আপনাদের সামনে খুলে দিয়েছি। আমার যতটা কষ্ট হয়েছিলো বা হচ্ছে, সেই কষ্ট আপনাদের করতে হবে না। আপনাদের সুখ-শান্তি-আনন্দের জন্য আমি সারাজীবন মানুষের দেয়া কষ্ট বুক পেতে মেনে নেবো। তবুও আপনাদের খারাপ কিছু হতে দেবো না।



মনে করবেন এক অশান্ত ছেলে আপনাদের মাঝে এসে আপনাদের সত্য ও সুন্দরের কথা নিজের জীবন দিয়ে বলেছিলো। আমার দুঃখে আপনার দুঃখবোধ করবেন না। আমি আপনাদের দুঃখ চাই না। আমি চাই আপনারা স্বাধীন জীবনের পূর্ণতা ও মুক্তি পান। আপনাদের ভালো থাকার অহংকারের চেয়ে আমার আর কি থাকতে পারে? আমার প্রিয়তম সুখে থাকলেই আমার সুখ। সে যদি সুখে থাকতে পারতো তাহলে আমি তার জন্য এতো বেশি ব্যাকুল হতাম না। সে আমাকে ছাড়া স্বাভাবিক জীবন ধারন করতে পারবে না। তাই আপনাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরি। আমার এই মনের চাওয়াকে আপনারা লাথি দেন তাতে আমি কষ্ট পেলে পাই। কিন্তু আপনাদের কষ্ট ভুলিয়ে যাবো।



প্রিয় প্রবাসী বাঙালী! বিদেশের মাটিতে আপনারাই বাংলাদেশের পতাকাতুল্য মহাপতাকা। যদি আমরা আমাদের উন্নতি নিজেরা রচনা করতে না পারি তাহলে ঐ কাপরের পতাকা দিয়ে কি করবো? একদিকে ধনীর বাড়ির সামনে বিশাল বড় পতাকা। আবার বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় বিভিন্ন দেশের পতাকা। আর অন্য দিকে বস্ত্রহীন মানুষ। সেই জাতীয় পতাকা দিয়ে আমরা কি করবো? এই পতাকা মাটিতে নামিয়ে এনে যদি বস্ত্রহীনদের বস্ত্র বানিয়ে দিতে পারি, সেটাই হবে এবাদাত। আমাদের সবকিছু থাকতেও আমরা উন্নত হতে পারি নি। আফসুস করি না। যা হবার হয়েছে। কাউকে দোষ দেই না। এখন তো সবকিছু ঠিকঠাক করতে পারছি। আপনারা সবাই সহযোগীতা করলে বাংলাদেশকে আগামী ২(দুই) বছরের মধ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমির প্রথম দশের মধ্যে থাকে যাবো। যা আমি একটু আগেও বলেছি।



আজ ব্রিকস এগিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনে আমি ব্রিকস কে প্রস্তাব করলাম তাদের সাথে আমাদের বাংলাদেশকে নিয়ে নিতে। তাতে ব্রিকসের নাম পাল্টানোর দরকার হবে না। ব্রাজিলের বি ব্রাজিলেরই থাকুক। আমরা তার আড়ালে থেকে বি কে ডাবল করে শক্তিশালী করেদিলাম। ব্রিকস নিজস্ব ব্যাঙ্ক করছে দেখে আমার ঈর্ষা হয়েছিলো। আমি ওখানে নিজেদের নিয়ে যেতে চেয়েছি। ঐ ব্যাংক আপনাদের সহযোগীতায় আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।



আজ আমাদের ভালো ও কল্যানকর কৌশল বেছে নিতে হবে। সত্য ও ভালো কৌশলের সুবিধা হলো, তা সবাই স্পষ্ট ভাবে জেনে যায় কিন্তু মন্দ শক্তি সেই কাজ এক্সিকিউশন করতে পারে না। আমি একাত্ববাদের এবাদাত করেছি সত্য ও ভালো কৌশল দিয়েই। সেই পথ এখন আপনাদের সবার। কঠিন কে কঠিন ভেবে এগোলে হয়তো সেই কঠিনের নাগাল পাওয়া যায়। কিন্তু কঠিন যখন সহয হয়ে ঘুরে বেড়ায়, তখন তা ধরা দেয় না। আমি তেমনই একজন। বিশ্ময়ও বলতে পারেন। এজন্যই আমি আপনাদের আপনার থেকেও আপন।



প্রিয় প্রবাসী বাঙালী! আশাকরি আপনারা আপনাদের নিজের আসল শক্তি সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে উঠেছেন। আমরা সচেতন বাঙালী চাই না। আমরা চাই সাহোসী বাঙালী। আমরা চাই কাজের বাঙালী। আমি আপনাদের কঠিন কাজ গুলোকে সহয করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। করবো কি বলুন, আজ বাঙালী জাতের মধ্যে এতো বেশি ভিক্ষুক যে নিজেদের মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি। এই ভিক্ষাবৃত্তিকে আমরা গুড বাই জানাবো। চুরি ও চোর প্রতিরোধ করে সেই অর্থ দিয়ে আমরা ভিক্ষাবৃত্তি তাড়াবো।



আমরা সমস্ত খারাপকে মোকাবেলা করে ভালো করে তুলবো। একজন ভিক্ষুক যদি কোনো একমহল্লার তরকারীওয়ালা হয়ে যায় বা অন্য কিছু, তাতে সরকারেও সহযোগীতা করা লাগবে না। আমরা সবাই আজ থেকে দেশের সরকার।



আপনারা জেনে খুশি হবেন। আমি বাংলাদেশ কান্ট্রি ব্রান্ডিং নিয়ে আইডিয়া দিয়েছি ও আপনাদের আইডিয়াকে এক্সিকিউশন করতে অনুরোধ করছি। আমি সন্মানিত হানিফ সংকেত সাহেবকে “ইত্যাদি” নামের একটি চ্যানেল ও সম্মানিত শাইখ সিরাজ সাহেব কে “মাটি ও মানুষ” নামের একটি চ্যানেল ও বাংলাদেশ কর্তৃক প্রচারিত সরকারী/বেসরকারী ইংরেজী চ্যানেল চালু করার ব্যবস্থা করতে সয়ং প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ধরে বসে আছি। আপনারা আমাদের ইংরেজী চ্যানেলকে পুরো বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দেবেন। যাতে আমরা মিডিয়াকে ইন্ডাস্ট্রিতে রূপান্তর করতে পারি। সেই চেষ্টা আপনারা করবেন। পৃথিবীর সমস্ত কান্ট্রি আমাদের কৃষ্টি কালচার ও নিত্য নতুন আনকমন আইডিয়ার সাথে পরিচিত হয়ে উঠবে। আমাদের ফ্যান ক্লাব হবে বিশাল বড়। ইন্টারনেটে অপ্রচালিত মিডিয়াতেও আমাদের অবস্থান হিমালয়ের চেয়েও উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। সেই চেষ্টা আপনাদের করতে হবে। সেই সাথে আমি তো আছিই। স্টার জলসার বাজে ডেইলি সোপ পরিবর্তন করতে বলেছি। আমি জানি ঐ সব ডেইল স্যুপ আপনাদের বিদেশের বাড়ীতে কতো বেশি টেনশনে রাখে। বাংলাদেশের মিডিয়া অন্যকোনো দেশের পোষাখের মার্কেটিং করবে না বা দেখাবে না। বিদেশী প্রডাক্ট এ্যাড ও স্পন্সর যদি আমাদের কালচারের বিপক্ষে যায় আমরা তা বন্ধ করে দেবো। মোবাইল অপারেটরদের এ্যাডে বাংলাদেশের সৌন্দর্য্য ফোটাতে হবে। এক্ষেত্রে এ কদিনেই একটি পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে। ভালো জিনিস সবার মাঝে দ্রুত সময়ে ছড়িয়ে যাবেই।



আজ তাহলে উঠি। অন্য কোনো সময়ে আবার হাজির হবো। আপনারা আমার হৃদয়ের সমস্ত প্রেম নিয়ে নিন। আপনাদের সবার স্থায়ী প্রশান্তি ও সলভেন্সি কামনা করছি। নমস্কার ও দোয়া রইলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.