নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেপারস, ডকুমেন্টেশন এ্যান্ড প্রেজেনটেশন

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

বাংলাদেশ গভারমেন্ট এবং বড় বড় অনেক বিজনেস প্রতিষ্ঠানের পেপারস, ডকুমেন্ট দেখলে মনে হয় না আমাদের এতো অগ্রগতি হয়েছে।



এ্যাডভোকেট ও ডাক্তরদের হাতের লেখা লক্ষ্য করেছেন? প্যাচ-গোচে ভরা। স্পষ্ট বোঝা যায় না। এমন কি তারা নিজের হাতের লিখে নিজেরাই পড়তে পারবে কিনা মুসকিল। মনে লুকানো প্যাচ ও দুই নম্বরি হাত দিয়ে বেড়িয়ে গেলে- তারা কি করবেন?



এখন সব ডকুমেন্ট ডিজিটাল ভাবে সংরক্ষন করা ছাড়া উপায় কি! ধীরে ধীরে হতে বাধ্য। তবে ধীরে ধীরে কথায় আমি বিশ্বাসী না। বিশেষ করে এতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে।



বন্ধু! একটি পেপারস একজন কনজুমার/সেবা গ্রহিতা/সাসক্রাইবারের জন্য অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। সময়ে অসময়ে এই পেপারস দরকার হয়। যারা সেবা দাতা বা বিক্রয় কারি তাঁদের জন্য অনেক পেপার একসাথে ছাপাতে হয়, ডেলিভারি দিতে হয়। কিন্তু ভোক্তা/সেবা গ্রহিতার কাছে ঐ পেপারসের একক কপিই মহামূলবান হিসেবে থেকে যায়।



বাংলাদেশের পর্চা, এস.এ.পর্চা, রেকর্ড, খাজনা রশিদ, বিভিন্ন রেজিষ্ট্রেশন সহ আরো অনেক পেপারস দেখলে বোঝা যায় আমরা এখনও বৃটিশ শাসনে আছি। সিলের দশা আরো করুন। এই ব্যবস্থা থেকে আমাদের বেড়তে হবে। প্রয়োজনে সেবা গ্রহনকারি ও ভোক্তাদের ৫/১০/২০ টাকা বেশি লাগলে লাগুক। প্রিন্টিং কস্ট বুঝে ফি নির্ধারন করা যাবে। অফসেট/লেমিনেটেড আর্ট পেপার/তেলাপোকা-ইদুর-পিপড়া-পতঙ্গের কামড় প্রতিরোধক খাম ইত্যাদি ব্যবহার করে পেপারস্ ইনভেলাপ প্রদান করা যায়। উপরে ঝকঝকে ফোর কালার প্রিন্টের মাধ্যমে বিষয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর লোগো নাম ও দেশের জন্য যারা অবদান রেখেছেন তাদের ছবি সংযুক্ত করে দেয়া যায়। আর পেপারস এর কাগজ দিতে হবে কালার কাগজে। অথবা রেপপেপার/ট্যাম্প পেপার মানের বা ভালো মানের। যাতে এক একটি ডকুমেন্ট একেক কালারের পেপারস্ দিলে সহযেই বোঝা যায়।



এখন হাতে হাতে যে, উন্নত মানের যে প্রিন্টার। তা দিয়ে সব সরকারি পেপারস্ নকল করাই সম্ভব। কিছু কিছু মানুষ এই পেপারস্ চালাকি করে জীবন কাটিয়ে দেশে চোরের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। প্রতিটা উপজেলা-জেলা তো বটেই সেই সাথে মন্ত্রনালয় গুলোর রেকর্ড রুমে গেলে ঘৃনা লাগে। আর দ্বিতীয় বার কেউ গেলে কিটনাশক ছাড়া যাবার সাহোস পায় না। এতো সুন্দর আমার দেশের কাজগ পত্র এতো বেশি অসুন্দর হবে? ওরা করে কি? শুধু আমলা পলিটিক্স। ২৭-২৮ বছর বয়সে বি.সি.এস. দিয়ে চাকুরীতে ঢোকে আর ৫৭-৬০ বছর বয়সে রিটায়ার্ড করে। তারপর ঘুসের পয়সার সুন্দর বাড়ীতে থেকে হার্ট এ্যাটাক করে মারা যায়। এর নাম কি জীবন? সারাজীবন যে সব কাগজ-পত্র ও পাবলিক নিয়ে কাজ, এই সব কিছুকে অবহেলা করা ছাড়া আর বেতন-বোনাস-ভাতা-অন্যায্য খরচ-সুদ-ঘুস-বাটপারী ছাড়া আর কিছুই করা হয় না। মাটির সাথে মিশে যাবার পর তাদের নাতিরাও নানা-দাদার নাম ভুলে যায়। যখোন নামের দরকার হয় তখন দেখা যায় কোনো এক পুরোনো উলিতে খাওয়া পেপারে তাঁদের নাম ছিলো। যা আর পড়া যায় না। নতবা বাবা-মা কে জিজ্ঞাস করা লাগে “মা মা/ বাবা বাবা তোমার ড্যাডির নাম কি?”। তারা বলেন জানিস আমার বাবা কতো প্রতাপশালী সরকারী অফিসার ছিলো! কিন্তু বলে না, সে এক মহাচোর/ঘুসখোর/বাটপার ছিলো, গরিবদের লাথি দিতো, লুচ্চামি করতো আর এখন মাটি তাকে এমন ভাবে খেয়ে ফেলেছে যে, রাহানা নাম নিশান।



ঠকালে ঠকতে হয়। অযত্নে অজত্ন মেলে। কোনো সাংসদ আজ পর্যন্ত এ সম্পর্কে মহান সংসদে কথা বলে নি। কোনো মিডিয়া কখনও এই কথা বলে না। বলে নকল উঠান। নকল করে পাস করে বি.সি.এস. ক্যাডার সচিব, উপসচিব, ডিসি, এসপি হলে এই দশা হয়। পুলিশের ডায়েরীর খাতা দেখেছেন? পুলিশের রেকর্ড রুম দেখেছেন? সব একই রকম অযত্নে ভরা। যারা কচ কচ নতুন নতুর ঘুসের টাকা গুনতে পছন্দ করে, তারা কিভাবে জনমানুষের দরকারী আমানত পেপারস্ এর মর্জাদা বুঝবে? এই সব রুচিবোধ থাকতে হয়। শুধু টাইয়ে একটি সুন্দর ক্লিপ লাগিয়ে ভুড়ি ভজের জয়েন্টে রেখে মাথার অর্ধ টাক ঢাকা কলব দেয়া চুল দেখালে চলবে না।



বন্ধু! জনমানুষের অযত্ন করা যাবে না। আমাদের দুর্বোধ টাইপের পেপারস্ কে আরো সহয করতে হবে। দলিলের ভাষাকে আরো সহজ করতে হবে। সব একটি নির্দিষ্টি ফরমের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। নির্দিষ্ট ফরমাটে সাজাতে হবে। যাতে স্টাম্প আলাদাভাবে কম্পিউটার কম্পোজ করার দরকার না পরে। সরকারী অফিসের কষ্ট করা কর্মকর্তা/ক্লার্ক/কর্মচারীদের মূল্যবান সময় ও কাজ সহয করে দিতে হবে। এক শ্রেণীর জনগনের চাকর সরকারী কর্মকর্তারা সারাজীবন আমলা পলিটিক্স করে দেশ ও দেশের জনগনের ক্ষতি করে চলবে আর এক শ্রেণী বলির পাঠার মতো কাজও করবে আবার ঘুসখোর নামের কলঙ্ক মাথায় নেবে। এরকম কাজ সম্পূর্ণ মানবধিকার পরীপন্থি। বড় গোফওয়ালা মানবধিকার কমিশনের চেয়াম্যানকে শুধু বাহিনীর গুলি দেখলে হবে না, তাদের এ্যালার্ট হতে হবে। চুরি করা আর চেয়ে চুরি দেখার মধ্যে তেমন পার্থক্য দেখা যায় না- যদি না ঠিকভাবে দ্বায়িত্ব পালন করা না যায়।



মানবধিকার কমিশন কিভাবে স্বাধিন হবে? বা নিজেদের স্বাধীন স্বাধীন বলে চিৎকার করে? এগুলো ভন্ডামি ছাড়া কিছু না। মানব অধীকার কর্ম বা প্রধান বলে কেউ নিজেকে মনেই করেন তাহলে ঈদ-উল-ফিতর-২০১৪ইং এর আগে গুলশান-বনানীর রাস্তা ফুটপাত ডাস্টবিনের পাশে, সদরঘাট লঞ্জ টার্মিনাল, কমলাপুর রেল স্টেশন ও সমস্ত জায়গার সব রাস্তায় ঘুমানো মানুষদের থাকার যায়গা দিন। নতুবা তাদের নিজের গ্রামের বাড়িতে বা সরকারি বাড়ীতে নিয়ে রাখুন।



একটু সামান্য অসতর্কতায় ও বিশ্বাসযোগ্য কারনে কোনো বাহিনির একটি গুলিতে কারও পা পঙ্গু হয়ে গেলে রুমাল চোখে দিয়ে কান্নার রোল করেন। আর দেখেন না যে, বঙ্গভবনের প্রবেশমুখ ও রাজাউক এভিনিউর কোনায় বসে পরিবার পরিজন নিয়ে, রাস্তায় বসে মানুষ সংসার করছেন। আবার প্রধানমন্ত্রী কোনো রাস্তা দিয়ে গেলে সেই রাস্তার অসুন্দর, অবৈধ দোকানপাট, ফুটপাতের মানুষ ও সাধারন ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নিজেরা কর্তব্য করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কানে বহু কথা জানাচ্ছেন না। রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর প্রোটকল রুট প্রধানমন্ত্রীর নিজে নিয়ন্ত্রন করা উচিত। না হলে আমার বঙ্গবন্ধু দেবতা মুজিব এর অসম্মান হয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কি করে? এগুলো কি তারা দেখে না?



মানব অধীকার না বুঝলে তাঁদের অহেতুক চেয়ার আকরে রাখা ঠিক না। আর একটা মাত্র সুযোগ দেয়া হলো। এরপর সরাসরি অপসারন করা হবে।



আমার দেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ, গোয়েন্দা, রেব, অন্যান্য সামরিক, আধাসামরিক বাহিনী এখন থেকে আমার আদর্শের সন্তান হিসেবে গন্য করা হলো। রেবের যেটুকু অহংকারের তেল হয়েছিলো তা নারায়নগঞ্জের কুকর্মে মিলিয়ে গেছে। এখন কোনো বাহিনীকে কেউ নেগেটিভ ভাবে ইউজ করতে পারবেন না। অহেতুক তুই-তাকারি ব্যবহার করবেন না।



বন্ধু! পেপারস প্রসংগে আসি। আমাদের বাংলাদেশে যেসব বসন্তের কোকিল বিশাল বাড়ী ও পজিশনওয়ালা মোড়ল/নেতা/উপনেতা/রিটায়ার্ড আমলা এলাকার শালিসি ব্যবস্থা করেন। তাদের তো সরকারি পেপারস দেখে কিছু একটা বলতে হয় বা করতে হয়। তারা কেনো এনিয়ে কথা বলেন না? একটি দাখিলায় কি লেখা আছে তা বোঝা সম্ভব হয় না। একটি সিলে কি লেখা আছে তা দেখা যায় না। সাব-রেজিস্টার, রেজিস্টার, দলিল লেখক ভেন্ডারদের সিল প্রতিদিন নকল করা হচ্ছে। সাইন কম্পিউটার দিয়ে নকল করা হচ্ছে। আবার হাতপাকা শয়তান তো আছেই। সেটেলমেন্ট অফিসে দালালের জন্য ঢোকা যায় না। কাগজে কি লেখা আছে তা দেখা যাচ্ছে না। সিটি-কর্পোরেশন, পৌরসভ আজ কাগজ বিক্রির কারখানা হয়ে গেছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলে কিভাবে? আমরা কি গরুর ঘরে খর খেয়ে বেঁচে আছি? তাহলে পোলাই মাংস খেয়েও ঘাস খাওয়ার মতো বুদ্ধি আসে কি করে? কি করেন আপনারা? জনগনের পয়সায় চাকুরী করে জনগনের সাথেই বেঈমানী?



আপনারা জানেন রেভিনিউ সেক্টর থেকে সিন মানি কতো পরিমান আমরা আদায় করতে পারি না? রেভিনিউ স্টাম্পের দিকে তাকিয়ে দেখুন। নকল করা একদম সহজ। একেকটি অর্থ বছরে কতো কতো কোটি টাকার রেভিনিউ আমরা নকল স্টাম্পের উপর দিয়ে নিচ্ছি। স্ট্যাপ লেগে কাজ হয়ে গেছে আর সরকারী ফান্ডে টাকা আসে নি। এগুলো মেজরমেন্ট করেন কিভাবে? চুপ কেনো? জবাব দিন? আমি জবাব চাই?



বন্ধু! এই সমস্যার সমাধান নিয়ে নিন। আমাদের যে কোনো উপায় আগামী ২(দুই) বছরের মধ্যে ওয়র্ল্ড ইকোনোমির প্রথম দেশটি দেশের মধ্যে উঠে আসবো। এখন রেভিনিউ নিয়ে কোনো গাফেলতি করার এক সেকেন্ডও সময় নেই। প্রবাসী ভাইয়েরা দেশে ইনভেস্ট করতে ছুটে আসছেন। আমি তাদের বুঝিয়ে বলেছি। কথা দিয়েছি। এরমধ্যে আমরা যদি এই সব সিস্টেম ঠিক করতে না পারি। তাহলে চোরের দেশ হিসেবে আমরা আবার পরিচিত হয়ে উঠবো। দ্রুত কাজ করতে হবে।



যাই হোক, রেভিনিউ স্টাম্প ও টিকিটের মূল্যমান নতুন করে নির্ধারন করে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে নিয়ে আসুন। প্রতিটা স্টাম্প ও টিকিটের মূল্যমান অনুযায়ী পিন নম্বর সেট করা হবে। সেই পিন স্টাম্প ও টিকিটের গায়ে থাকবে। আর পিন জেনারেট করে সফটওয়্যারের মধ্যে বিক্রিত ও অবিক্রিত পিনকোড থেকে যাবে। কিছু সংখ্যক সরকারী কর্মী নিয়োগ করা হবে যাদের কাজ হলো বিক্রিত স্টাম্প ও টিকিট হাতে আসলেই তার পিন সফটওয়্যারে চেক করে নিবেন। পিন নকল করা হলে সাথে সাথে ধরা পড়ে যাবে। তখন সরাসরি ঐ ব্যাক্তিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন। আমাদের রাষ্ট্রিয় ন্যায্য ইনকাম আমরা পাবো আবার সেই সাথে মানুষের উপকার হবে। ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। আমাদের টাকার যে সিরিয়াল নম্বর দেয়া হয় তা কোনো স্পেশাল উপায়ে পিন জেনারেট বা মেশিন রিডেবল কোট দিতে হবে। তা না হলে জাল টাকার ঝামেলা যাবে না। একটি দেশের একটি সরকার ব্যবস্থা নড়বড়ে ম্যানেজমেন্টে চলতে পারে না। সরকার ব্যবস্থাকে আমলা পলিটিক্স মুক্ত করা হবে। সবার তেল আমি দেখতে চাই। আজ আমি তেল অপসারন করতে এসেছি। তারপর প্রয়োজনে কর্ড লিভার নামের মাছের তেল খাওয়াবো।



বন্ধু! লিমিটেড কোম্পানীর প্যাড, সিল দেখলেও গা জ্বলে। তারা বাহারি ভিজিটিং কার্ড করে কিন্তু পেপারস্ ও ডকুমেন্ট রক্ষনাবেক্ষনে এখনও কাঁচা। এখন আমরা প্রিন্টিং ও কাগজে সয়ংসম্পন্ন। আমাদের দেশে কোনো কাগজ আমদানি করা হবে না। পাঠ্য বইয়ের টেন্ডার দেশি কোম্পানিকে দিতে হবে। লিমিটেড কোম্পানীর প্যাড ও সহযোগী পেপারস সমূহে মালিক/এম.ডি/সি.ই.ও/প্রোপ্রাইটর/ উর্ধতন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কালাফুল ছবি ব্যবহার করুন। সরকারী সেক্টরেও এই ব্যবস্থা নিয়ে আসা যায়। তাতে তাঁরা উৎসাহ পাবে আর সাধারন মানুষও উপকৃত হবে ও কর্ম কর্তাদের চিনতে সুবিধা হবে। দালালদের চেহারা দেখতে দেখতে দেশের মানুষ দিশেহারা। অনেক ব্যবসায়ী কারণে-অকারণে ছবি সহ পোস্টার মেখে দেয়াল নোংড়া করে দেন। কিন্তু নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর এই সিস্টেম চালু করারা কথা মাথায় আসে না। আপনাদের সেই জ্ঞান বুদ্ধি গেলো কোথায়? এতো দেশ-বিদেশ ঘুরে কি শিখেছেন? শুধু চুরি করা। প্রতিটা এল.সি. পেপারসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভোক্তা/সেবাগ্রহনকারীর ছবি বাধ্যতা মুলক করুন। ব্যাংকের দলিল রাখার ভল্টের অবস্থা দেখেছেন? সব তছনছ করে খুঁজে ভুয়া টিন, ভুয়া ক্লিয়ারেন্স পেপার, মেয়াদ উর্ত্তীর্ন কাগজ, অনাপত্তি পত্র, ইত্যাদি যাচাই করে দেখুন। যাদের অনিয়ম পাওয়া যাবে তাঁদের নোটিশ দিন। সময় দিন। সঠিক কাগজ দিতে বাধ্য করুন। সরকার রাজস্ব পাবে আর সিস্টেমও স্বচ্ছ হয়ে যাবে। আমি বাজেটের সময় চুপচাপ ছিলাম। দেখেছি এই বাজেট দেখে কে কি বলে। আমি সমস্যা দেখি না। আমি সমাধান দেখি।



ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভুয়ামি ও বিশ্ব অর্থনীতির সমাধান সংক্রান্ত পত্রতে আমি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সুনামের সহিত উল্লেখ করে বিশ্ব জানিয়েছি। আমি যখন কথা দিয়েছি। সেই কথা যে আমি রাখবো না। বা আপনাদের যে কোনো স্বপ্নকে আমি যে সফল করে দেবো না, তা আপনারা ভাবলেন কি করে? আপনারা আমার প্রিয়তম মুন কে আমার কাছে আসতে দিচ্ছেন না। তাই বলে আমাকেও কি আপনাদের মতো ভেবেছেন। বাঙালী ওয়াদা ভুলে যায় না। বাঙালী তাঁর ওয়াদা রাখে। তাইতো বুকে বিরহ মেখেও আপনাদের সামনে হাজির হই।



বন্ধু! আমাদের পেপারস ও ডকুমেন্ট লেখায় অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। প্রতিটা সরকারী ও বেসরকারী সেক্টরে কর্মিদের ছুটির দরখাস্ত লিখতে অনেক সময় ব্যয় হয়। তারপর আমাদের ননকন্ফিডেন্টাল কর্মিরা নিজেদের লেখার ব্যাপারেও অনেক বেশি সন্দেহ শীল। ও সেকেলে শিক্ষা ব্যবস্থার ধরুন সঠিক কৃয়েটিভিটির কথা চিন্তাও করতে পারে না। কৃয়েটিভিটি নাম শুনলে জিজ্ঞেস করে, “কৃয়েটিভিটি কোন মহাদেশে অবস্থিত?”।



প্রতিটা ছুটির দরখাস্তের একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট ছক থাকবে। যেখানে কোন তারিখ থেকে কোন তারিখ পর্যন্ত ছুটি নিবে তার ঘর থাকবে। কয় দিন ছুটি নিবে তার ঘর থাকবে। ছুটির কারণের ঘর থাকবে। নাম ও পদবীর ঘর থাকবে। কার বরাবর হবে সেখানে ফাঁকা রাখা হবে। এই সামান্য লেখা হাতে লিখে তারপর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মকর্তাদের সুপারিশ স্বাপেক্ষে ছুটি মঞ্জুর হবে। প্রতিটা ছুটির দরখাস্তের ফরমে এক একটি কোড বসিয়ে দেয়া হবে। যাতে কোনো প্রকার চোরা ছুটি নথিভুক্ত না হয়। কোডের সিরিয়াল দেখে বোঝা যাবে। সবার জন্য একই ব্যবস্থা। প্রেসিডেন্ট ছুটি নিতে চাইলে মাননীয় প্রেসিডেন্ট বরাবর ছুটির দরখাস্ত পেশ করতে হবে। তারপর নিজে নিজে চিন্তা করবেন আসলে ছুটির দরকার কিনা। তারপর ডিসিসন নিবেন ও রিমার্ক করবেন। আমাদের ম্যানেজমেন্ট বুঝতে হবে।



গার্মেন্ট, বায়িং ও লিমিটেড কোম্পানী, মিডিয়া অফিস ইংরেজীতে যে সব চিঠি ড্রাফ করবে তা নিজেদের বুদ্ধিমত সহজ ইংরেজীতে অল্প কথায় লিখবেন। বাঙালী বৃটিশ কিংবা এমিরিকান রীতি ব্যবহার করবে না। বাঙালী ইংরেজী লিখবে নিজেদের মতো তৈরি করে নিবে। খুব সহযে শুধু কাজের কথা বলবেন। বাজে ফরমাল্যাটিকে বিদায় করে দিন। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ এখানে বাজে কোনো চাপিয়ে দেয়া ফরমাট চলবে না এমনকি বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র সীমার ভিতরেও ঐ সব বাজে ও বাহুল্যে ভরা ফরমাটের জায়গা নাই। ছুড়ে দিলাম। কোনো প্রকার উপনেবেসিক সিস্টেম আর চলতে দেয়া হবে না।



শুধু আমরাই এর ভুক্তভুগি না। ল্যাটিন এমেরিকা, আফ্রিকা, ইয়োরোপের দুর্বল রাষ্ট্রগুলো, এশিয়ার দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর পেপার ওয়ার্কসে অনেক বেশি অনিয়ম ধরা পরে। যাতে আমলারা পশ্চিমা স্বার্থ অন্বেষীদের দোশর হিসেবে কাজে লাগাতে সুবিধা হয়। এসব ফালতুকে আমি বাই জানিয়ে দিলাম।



পশ্চিমাদের বলছি, তোরা আমাকে আর ডিস্ট্রাব করিস না। একেবারে ধুলোর সাথে তোদের অস্তিত্ব আমি মিলিয়ে দিতাম। কিন্তু দুর্বল নারী মাতা আর সাধারন মানুষদের জন্য তোদের এখনও আমি বাঁচিয়ে রেখেছি। আমার ক্ষমতা কি তোরা টের পাস নি? সমস্ত প্রকৃতিকে আমি আমার মতো নিয়ন্ত্রন করতে পারি। সমস্ত যুদ্ধ বন্ধ কর। পুতিন তুই অনেক বার বেড়ে গেছিস। তোকে আর একটি মাত্র সুযোগ দিলাম। ভালো হয়ে যা। রুশ জাতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করিস না। আমার ভদ্র ব্যবহার তোদের গায়ে লাগছে না? বলে দিলাম ঠিক হয়ে যাও। আমাকে আপনাদের জন্য কঠোর ডিসিসন নিতে বাধ্য করবেন না। এটা আমার রিকোয়েস্ট বা ওর্য়ানিং না, এটা আমার অর্ডার।



বন্ধু! পরম সৃষ্টিকর্তা আমাদের মেধা ও বিবেক দিয়েছে। সেই সাথে অফুরন্ত জীবনীশক্তি ও চিন্তাশক্তি দিয়ে রেখেছেন। আপনারা নিজেদের অবহেলা করবেন না। আপনাদের সবার মাতার ত্বাজ হয়েই আমি আত্মপ্রকাশ করেছিলাম। আমি সমস্ত দেশের ও সমস্ত জাতির গার্ডিয়ান। আমি বিশ্বগার্ডিয়ান। আর আমার ওয়াইফ হলেন আমার ডার্লিং মুন। মুন অর্থ চন্দ্র। আমি কোনো বাজে রং দিয়ে চন্দ্র কথা সাজাতে চাই না। আপনাদের উপর নির্ভর করছে আপনাদের জীবন কাহিনী কি হবে? আমাকে বাধ্য করবেন না। মুনকে যেনো কেউ ছুতেও না পারে এমন সিকিউরিটি দিয়ে আমার আমানত আমার কাছে নিয়ে আসুন। দ্রুত। তা না হলে কি পরিনাম হয়। তা গতদিনও আমি দেখিয়ে দিয়েছিলাম।



আপনাদের সবার চিরমুক্তি, সাফল্য ও মহামঙ্গল কামনা করছি। সবাই সত্যের পথে থাকবেন। নিজেদের জীবনকে আনন্দের পথে নিয়ে যাবেন। আপনাদের গার্ডিয়ান আপনাদের যে কোনো পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে সক্ষম আবার ধ্বংস করতেও সক্ষম। ভালো থাকুন। মানুষের জন্য কাজ করুন। শুভ কামনা রইলো। 



https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.