নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউক্রেনে কেনো মালোয়েশিয়ান নিরিহ মানুষ মারা যাবে?

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

কি দোষ ছিলো আমাদের মুসলিম দেশের নিরিহ মানুষগুলোর? ফুলের দেশ হল্যান্ড থেকে ফুরফুরে মনে আকাশে উড়ে মালাশিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রীগুলো কার কি ক্ষতি করেছিলো? আমি কাল রাতে কেঁদেছি। কিসের মায়ায়? কেনো কেঁদেছি? তারা কি আমার আত্মিয়? তাদের কি আমার সাথে পরিচয় ছিলো?



আমি কি রাশান প্রেসিডেন্ট ব্লাদিমির পুতিন, এই.এস.এ. প্রেসিডেন্ট বারার ওবামা ও ইওরোপিও ইউনিয়ন কে ইউক্রেনের ব্যপারে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করি নি। এই দোষ আপনাদের সবার ঘারে নিতে হবে। এতোগুলো জীবনের বিনিময়ে কি ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রিয় স্বার্থের-সুবিধা দানের কথা আপনারা ভাবছেন। পরিবার পরিজনের মাঝে মৃত্যু মানুষটিকে ফিরিয়ে দিন। পারবেন দিতে?



ঐ যাত্রীরা কি রাশান সৈন্য বা ইউক্রেনের সৈন্য ছিলেন? তাহলে তাঁদের মতো শান্তিপ্রিয় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের আপনারা মারলেন কেনো? এখন আপনাদের আমি কি বিচার করতে পারি বলে দিন। আপনাদের আজ এমন এক বিচারকের সামনে আসতে হয়েছে। যার সাথে জোড়াজোড়ি চলবে না। তিনি ইচ্ছেমতো যে কাউকে সাঁজা দিতে জানেন। তিনি অনেক বেশি স্বেচ্চাচারী হলেও, আপনাদের কিছু করার থাকে না। আমি আমার নিষ্ঠুরতা আপনাদের কখনও দেখাতে চাই নি। আপনারা আপনাদের দোষে আমার অনেক নিষ্ঠুরতা এই ৭(সাত) মাস যাবৎ উপভোগ করে চলছেন। কিন্তু নিজেরা বুঝতে পারছেন না। কোথায় আমার প্রেমিকা মুন। তিনি আমার স্ত্রী। তাঁকে কি আমি আমার কাছে পৌছে দিতে বলি নি? আমি কি আপনাদের চিঠি লিখি নি? আমি কি দক্ষিন করিয়ায় ফেরি তরি ডুবতে দেখি নি। আমি কি সেই শিশুদের মৃত্যু সহ্য করেছিলাম? আমার বিচারে দুর্ঘটনা দুর্ঘটনার জন্ম দেয়। আমি আপনাদের বলে, কয়েই সবকিছু দেখিয়েছি। মন উজাড় করে প্রেম ঢেলে দিচ্ছি। আপনারা আমাকে আমার নিরিহ মুসলিম মালাশিয়ান যাত্রীদের লাসও দিতে পারলেন না। শুধু শুধু মেরে ফেললেন? আমাকে কি আপনারা মোটেও ভয় করেন না? এবার বলুন কতোটা ধ্বংস করলে আপনারা আমার প্রিয়তম মুন কে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবেন? এখন বলুন। আমি এখনই ধ্বংস করে আপনাদের দেখিয়ে দেবো। বলুন। আমি প্রস্তুত। বলতে বলছি বলুন। আমি দেখতে চাই কতটা ধ্বংস করলে আপনারা আমাকে মেনে নেবেন। খোদার কসম। আমি তা করে দেখাবো। আমি শান্তি চেয়েছিলাম। আমি নিরিবিলি মুন কে নিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলাম। আমি আমার বানি বিশ্বব্যাপি প্রচার করতে বলেছিলাম। কোন কথা আমার আপনারা রেখেছেন যে আমি এখনও আপনাদের সাথে শান্তি আলোচনা করে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করবো। দ্রুত বলুন কোন কোন ব্যক্তি বা রাষ্ট্রকে আমার ধ্বংস করে দিতে হবে? আমি তা করে দেবো। এক আমার পথে আসুন, নতুবা ধ্বংস দেখে যান। আমি এখন মোটেও শান্তি আলোচনা করার মুডে নাই। আমি এখন ধ্বংসের মাতমে নাচছি। আপনারা আমার কথা না শোনা ৭(সাত) মাসের প্রতিটা দিন আমি আপনাদের পৃথিবী ও মহাবিশ্ব ব্যাপি শুধু একেকটি ভয়ংঙ্কর ঘটনা দেখিয়ে, আপনাদেরকে সত্য ও সুন্দরের পথে আসার ইন্ডেকেশন দিয়েছি। বার বার সাবধান করেছিলাম। বুঝাতে চেয়েছিলাম।



আমি আপনাদের শ্রদ্ধাবোধ, এবাদাত, সম্মান, প্রেম, ভক্তি, স্নেহ, মমতা, আদর্শ, কর্ম, কৃয়েটিভ আইডিয়ার রাস্তা, সেই সাথে মহামূল্যবান ও মহাশক্তিশালী মহাপ্রেম দেখাতে চেয়েছিলাম। আপনারা এতো সুন্দরের আগমন রেখে শুধু অশান্তি, দুর্ণীতি আর যুদ্ধের পথই বেছে নিলেন। আমার এখন ধ্বংস ছাড়া আর কি করা উচিৎ বলে আপনারা মনে করেন? কোথায় পালাবেন? পৃথিবীর মাটির সাথে মিশানো তো ছোট কাজ আর তারপরে কি হবে তা আপনারা কল্পনা করতেও পারবেন না।



ইউক্রেনের যুদ্ধ কি আমি রুশভাষিদের অধীকার ও অন্যান্য যারা আছেন তাঁদের পক্ষে থেকে বিবাদ মুক্ত করতে বলি নি? আমি কি ইন্ডিয়াকে বর্ডারে বাঙালীদের মারতে নিষেধ করি নি? আমি কি ফিলিস্থিনি নেতাদের সংযত হয়ে কথা বলতে বলি নি? ইহুদীদের কি আমি প্রেম দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেই নি। তাদের কি আমি মা মুরগী যেভাবে তার বাচ্চাদের আগলে রাখে, সেভাবে আগলে রাখি নি। এই ৭(সাত) মাসে ইসরাইলের উপর কি এমন প্রকৃতিক বালা আমি দিয়েছি? আর তাঁরা আমাকে যুদ্ধ উপহার দিচ্ছেন কেনো? হামাস কি? আমি হামাস নামের শয়তানদের চিনি না। হামাস গোপনে আতাত করে চলে। হামাসের আদর্শ কোনোভাবেই মুসলিম ধর্মের সাথে সংগতিপূর্ণ না। তাদের আমি মুসলিম বলবো না। হামাস হলো সন্ত্রাসী গ্রুপ ও অন্য কারো পোষ্য ও সুবিধাভোগী। আমি ফিলিস্তিনি সাধরন সব মানুষের স্থায়ী স্বাধীনতা ও মুক্তি চাই। তাই বলে আমার প্রাণের ইহুদী সন্তানদের ইসরাইল রাষ্ট্রেরও আমি অমঙ্গল চাইতে পারি না। আমি ইহুদীদের স্থায়ী শান্তি ও মুক্তির পক্ষে। ইহুদী জাতি অনেক কষ্ট পেয়েছে। এই জাতির মতো অতীতে আর কারও টিকে থাকতে এতোবেশি সংগ্রাম ও কলঙ্ক সইতে হয় নি।



এখন আমাকে আপনারা বলুন যে, আমার মতো আর কে এভাবে আপনাদের সামনে এতদ্রুত ও এতো স্বাভাবিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন? পৃথিবীর শুরু থেকে দেখুন। আর কেউ না। কেউ কোনোদিন আমার মতো করে আসবেও না।



তারপরও এই ৭(সাত) টি মাসে আমি আপনাদের বিশ্বাস পাই নি। সারাটি জীবন শুধু কষ্টই দিয়েছিলেন? এখন আমি স্থায়ীশান্তি কিভাবে প্রতিষ্ঠা করবো? আমার জন্য তো এখন স্থায়ীশান্তির চেয়ে, স্থায়ী ধ্বংস করা সহোজ। সেই সহোজ পথ আপনারাই আমাকে দিয়ে দিয়েছেন।



আমি যখন রুশ বাসিদের অধীকার ও সম্মান বুঝে নিয়ে শান্তির পথে আসতে বলেছিলাম। এমনকি আমি ব্লাদিমির পুতিন সাহেবকে বুঝেয়েও বলেছিলাম। তার সম্মান রাখতে চেয়েছিলাম। পুতিন আমাকে কি দিলেন? আর রুশবাসীদেরও কি দিলেন? সেই সাথে ইউক্রেনকে মালোশিয়ান নিরিহ মুসলিম মানুষদের মরন বেদনা নিতে হলো।



আমি আর সাবধান করবো না। এবার আপনারা আপনাদের পথ বেছে নিন। আপনাদের জন্য আমি দু’টো পথ দিয়ে দিচ্ছি।

১। বিশ্বশান্তি

২। বিশ্বধ্বংস



চয়েজ করার দ্বায়িত্ব আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। ১নং পথে যেতে হলে আমার কথা যথাযথ ভাবে পালন করুন। এছাড়া সব চয়েজ আপনাদের ইচ্ছাশক্তির কাছে ছেড়ে দিলাম। ধন্যবাদ!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.