নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্যের কিছু বিকল্প উপায়

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

বাংলাদেশের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, মৎস অধিদপ্তর, পশু পালন কর্মসূচি ল্যাংড়া খোড়া হয়ে কাজ করছে। এরা আমলা পলিটিক্সে ও অফিস ফাঁকিতে ব্যাস্ত। সেই সাথে অসৎ ইনকামের সোর্সের আবিস্কারক হতে হতে জীবন চলে যাচ্ছে। তবুও লিপ্সা পুরণ হচ্ছে না। এই সব জানোয়ারদের মৎস বানিয়ে নদী-সাগরে ছুড়ে ফেলা উচিৎ। এই সব জানোয়ারদের মুরগির খোপে ঢুকিয়ে রাখা উচিৎ। এই সব জানোয়ারদের সুন্দর বনে বাঘের সামনে ছাগল স্বরূপ দাঁড় করিয়ে দেয়া উচিৎ। আমি তাই করবো।



তাকিয়ে দেখুন, বাংলাদেশে কত কত সরকারি অফিস এরিয়ার অনেক জায়গা বিনা কাজে পড়ে আছে। বাংলাদেশে খাদ্য গোডাউন কতগুলো? এই সব গোডাউন এরিয়া থেকে কতো কর্মচারী-কর্মকর্তা প্রতিদিনই চুরি করছে। গোডাউন এরিয়ায় ঢুকে দেখুন কতো খাদ্য, গোডাউন কম্পাউন্ডের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। খাদ্য গোডাউনের কোয়ার্টারে যারা থাকে- তারা আত্মিয় স্বজনদের সরকারি সম্পদ বিলাতে বিলাতে জীবন পার করে দিচ্ছে। সেই সাথে নগদ অর্থও কামাচ্ছে।



গোডাউন কম্পাউন্ডে যখন কার্গো বা ট্রাক থেকে খাদ্যের বস্তা লোড করা হয়। তখন লেবারদের হাতে কিছু কাঠি তুলে দেয়া হয়। লেবার মাথায় বস্তা নিয়ে যায় আর হাতের একেকটি লাঠি হিসেব রাখা সরকারী খাদ্য দপ্তরের কর্মচারির হাতে দিয়ে যায়। এরপর কাঠি কমবেশি দেখিয়ে হিসাব রাখা হয়। সেই সাথে কলম চুরি তো আছেই। বাংলাদেশের প্রতিটা এসিল্যান্ড শুয়ারের খাবারের মতোও পবিত্র না। তারা সব ঘুসখোর, বদমাস ও চোর। জনগনের সম্পদ চুরির টাকায় দিন চালাচ্ছে। আর গরিবদের উপর অত্যাচার করছেন।



বন্ধু! এই গোডাউন কম্পাউন্ড এরিয়ার মধ্যে যদি মুরগী ও গবাধি পশু পালন করা যায়। তাহলে এই সব প্রাণীর খাদ্য গোডাউন কম্পাউন্ডের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া খাদ্য শস্য দিয়েই মিটানো সম্ভব। এগুলো পশু ও পাখি পালন করাতে হবে সরকারী চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দিয়ে। এরা অফিস টাইমের বাইড়ে এই সব কাজ করবেন। একটি জেলায় বা উপজেলায় মোট কতজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থাকে? তারা এই কাজ করবেন নিজ ইচ্ছায়। আর পশু ও পাখি দিবে সরকারী খরচে জনগনের টাকায়। এগুলো ন্যায্য দামে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বিক্রয় করা হবে। তাদের আমিষ ঘাটতি কমবে (যারা এখনও ভুড়িহীন ও ঘুস বঞ্চিত আছেন)।



আর প্রতিটা খাদ্য গোডাউনের হিসাব হবে ডিজিটাল সিস্টেমে। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে বাংলাদেশের খাদ্য মজুদের পরিমান নিয়মিত প্রতিদিন আপডেট হবে। কাঠির জায়গায় থাকবে ইন্টারনেট সমৃদ্ধ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। প্রতিটা বস্তায় কতো কে.জী./কুইন্টাল/টন খাদ্য দ্রব্য থাকে তা বস্তা/টিন/ড্রামের গয়ে স্পষ্ট ভাবে লেখা থাকতে হবে, সাথে সাথে মেপে দেখতে হবে ও ডাটাবেইজে এ্যান্টি করতে হবে। দু’এক কেজী কম বেশি হলে তাও এ্যান্ট্রি করতে হবে। পরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। ড্রাম, কাতি, টিন, এ্যলুমিনিয়ামের বোতল চুরি করে বিক্রি করে দেয়া যাবে না। যে সব ড্রাম কাজে লাগবে না। তা লট আকারে বিক্রি করে কয় টাকা সরকারী কোষাগারে আসে? তার থেকে ওগুলো ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা /কর্মচারি দের মাঝে হিসাব করে দেয়া যেতে পারে। তারা বাসায় খাদ্য, চাল-ডাল মজুদ করে রাখতে পারবে বা বেশি করে কিনে রাখতে পারবেন। সেনাবাহিনির ভিতরেও একই সিস্টেম হবে। এভাবে এগোলে আমরা অতিদ্রুত সমস্ত সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের রেশন দিতে পারবো। আর সেই রেশনের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, চিনির সাথে সাথে মাছ, মাংস, হাঁস, মুরগি, কোয়েল পাখি ও ডিমও দিতে পারবো। কিংবা কমদামে কেনার ব্যবস্থা দিতে পারবো। স্থানীয় বাজার গুলোর উপর প্রভাব ও লোড কম পড়ায় ও খাদ্য উৎপাদন বেড়ে যাবার ফলে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য সব সময় কম হবে। আমার বাঙালীর টেনশন কমবে। তাদের খাবারের সময় এতো বেশি হিসাব-নিকাষ করতে হবে না।



বাংলাদেশের জেলা-উপজেলার সব পাবলিক হেলথ অফিস কম্পাউন্ড এরিয়া দেখুন। কতো জায়গা পড়ে আছে। বাংলাদেশের সমস্ত জায়গার সমস্ত কোয়ার্টার গুলোর এরিয়ার দিকে একবার নজর দিন। দেখুন ছোট-বড় মাঠ সহ কতো জায়গা পড়ে আছে। সেই সাথে ছাদ তো আছেই। সরকারী খরচে প্রথম কিস্তি পশু, পাখি বা ডিম দেয়া হবে। তারপরও একেকটি কোয়ার্টার থেকে একেকটি কমিউনিটি ঠিক করে দেয়া হবে। যারা পরিচর্যা, হিসাব নিকাশ ও ন্যায্য মুল্যে সবার মাঝে বিক্রয় করবেন। খাদ্য মন্ত্রনালয় কিছু এনেসপেকটর নিয়োগ দিবে। তারা নিয়মিত সিরিয়াসলি তদারকি করবেন ও কর্মকর্তাদের হাতে রিপোর্ট পেশ করবেন। আমাদের বুঝতে হবে প্রতিটা কোয়ার্টারে মানুষ এমন ভাবে বাস করে যেনো বন্দি অবস্থায় আছে। এগুলো হয়েছিলো নির্মানের প্লান ত্রুটির কারণে। অফিস টাইমের পর ও মা, বোন, স্ত্রী, সন্তান, পরিজন নিয়ে তারা কোনো রকমের দিন পার করছেন। দিনে দিনে মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ছেন। রোগে-শোকে ভুগছেন।



তাদের জন্য এই কাজগুলো হবে মহা এক উপহার ও সুযোগ। যাতে তারা বাড়তি ইনকাম পাবে। সবজি চাষও হবে। কিন্তু সবকিছুর স্পষ্ট হিসাব থাকবে। প্রতিটা কমিউনিটিকে রেজিস্ট্রার্ড করে রেজিস্টার্ড নম্বর দিয়ে দেয়া হবে। এসব কমিউনিটি প্রতক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে রাজনীতিক কোনো আন্দোলন করতে পারবেন না। মনে মনে দল করলে অসুবিধা নাই।



তাকিয়ে দেখুন বাংলাদেশে কতোগুলি সরকারী পুকুর আছে। আর সেই সব পুকুরে মাদবারি করছে কারা? কয় টাকায় ও কাদের কাছে পুকুর নিজ দিয়ে, পুকুর চুরি করা হচ্ছে। প্রতিটা পুকুর সরকারী চাকুরীজীবীদের মধ্য থেকে কমিউনিটি নির্ধারন করে। লিজ নয় মাছের পোনার ব্যবস্থা করা হবে। মাছের খাদ্যের ব্যায় তারা নিজেরা বহন করবে। ন্যায্য দামে মাছ বিক্রি করবে আর সরকারকে লাভের ৫০% টাকা প্রদান করবেন। এদের তদারকির জন্য বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হবে। যারা অফিস টাইমের বাইড়ে এই সব দেখাশুনা করবেন ও আলাদা অর্থ নিয়ে নিবেন। সরকারী যেসব বড় ও বিখ্যাত পুকুর আছে। সেগুলোতে যে বড়শির টিকিট বিক্রি করা হয়। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় ও কার পকেটে যায়? বড়শি খেলার টিকিট পোস্ট অফিসের নির্দিষ্ট বন্ডের মাধ্যমে কিনতে হবে। নিয়মিত এই সব পুকুরের পরিচর্যা করতে হবে। এবং জাতীয় উৎসবের দিন গুলোতে বড়শি বাওয়ার টিকিট দিয়ে মাছ ধরা যাবে। নির্দিষ্ট টিম তাদের পর্যবেক্ষন করবেন। যাতে একটি টিকেটে অতিরিক্ত বড়শির ছিপ বা টিকিট ছাড়া কোনো প্রভাবশালী প্রভাব খাটাতে না পারেন।



বন্ধু! আমাদের এতোগুলো অভ্যন্তরিন উৎস অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। তা দিয়ে নিজেরা কেনো, পুরো ইন্ডিয়াকেও ক্ষুধা মুক্ত করা সম্ভব। বাজারে পন্যের দাম কমানো যায়। নেতা মন্ত্রীদের ব্রেন আজ কর্মসূচি ও কৃমিনালির কারখানা হয়ে গেছে। তাইতো ভালো আইডিয়া দৌড়ে পালিয়ে কোথায় যেনো সরে গিয়েছিলো। আমার মুনের ভালোবাসা সেই সব আইডিয়াকে ধরে নিয়ে আসছে। আপনারাও ভালোবাসা নিয়ে নিজেদের জন্যই করুন। দেখবেন বায়ান্ন সালের শহিদ বরকতের কথা ভুলে গিয়ে বরকতের পর বরকত পাবেন। জীবনী শক্তি পাবেন।



বন্ধু! আপনারা এগিয়ে যান। আমি আপনাদের সাথে আছি। আমি আপনাদের একদিনের সংগী নই। আপনাদের সাথে আমি চিরকালই আছি। আপনাদের মনেই আমার বাস।



এই সব ব্যাপারে মিডিয়া ও স্থানীয় জনতার বিশাল ভূমিকা আছে। অনেক জায়গার স্থানীয়রা সরকারী কোয়র্টার বাসীদের পর ভাবে ও তাদের সাথে অন্যায্য আচরন করে। পুলিশ ও আইন শৃখলা বাহিনীকে বাংলাদেশের প্রতিটা সরকারী, আধা সরকারী ও বেসরকারি কোয়ার্টার গুলোতে শারসী অভিযান চালিয়ে দেখতে হবে কারা এই সব কাজ করে। এমনকি সরকারী কোয়ার্টার এলাকা অনেক ক্ষেত্রেই বেশি অপরাধ প্রবন হয়ে যায়। চুরি-ছিনতাই নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঐ সব গুন্ডাপান্ডাদের সাথে যদি কোনো এম.পি. মন্ত্রীদের সরাসরি যোগসাযোস পাওয়া যায়। তাহলে তাঁদের ধরে ক্রোসফায়ার ও এনকাউন্টার করুন। সেই ক্রোসফায়ার ও এনকাউনটার হবে সংশ্লিষ্ট সরকারি কম্পাউন্ডের মধ্যে। কোন রাষ্ট্র যদি কিছু বলে আমি তা দেখবো। লাদেন যদি বিচার বহির্ভুত ভাবে হত্যা হতে পারে তাহলে ছিনতাইকারীদের গডফাদার ও জনশান্তি বিনষ্টকারীদের গডফাদারদের ক্রোস ফায়ার দেয়া যাবে না কোন আইনে? সেই আইন আমি কোনোদিনও মানি নি। আমি আগেও যেমন আইনের উর্ধে ছিলাম, এখনও আছি ও চিরকাল থাকবো। কেউ কিছু আমাকে করতে পারবেন না। কারণ আমার কাছে আমার প্রিয়তম মুনের প্রেম আছে। আমি প্রেমিক আমি আইনের উর্ধে থাকি। আমি প্রেম ছাড়া কোনো কিছুর কাছে আটকে থাকি না।



আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা ও প্রেম জানাচ্ছি। আপনাদের সমৃদ্ধি আসবেই। আমার এই আইডিয়া শুধু বাঙালী জাতির জন্যই না। আমার সবকিছু সবমানুষেরই জন্য। আমি সব মানুষের সর্বোচ্চ মঙ্গল কামনা করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.