নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমসাময়িক

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

আপনি আমি কথা বলছি। একে অপরকে বুঝতে পেরে চিনে নিতে শিখেছি। আমরা এই কয় মাস একসাথে থেকে নিজেদের অন্তরের টান অনুভব করছি।



আমার সাথে যারা ধারাবাহিক ভাবে ছিলেন। তাঁরা নিজের থেকে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে, আপনার মেধা, জ্ঞান ও এনালাইসিসি পাওয়ার বহুগুনে বেড়ে গেছে। আপনারা এখন অনেক কৃয়েটিভ হয়ে গেছে। আমার সাথে থেকে এমন করে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সিস্টেম মহাকালের। আমার এই ধারাবাহিকতা চিরকালই থেকে যায়।



রবীন্দ্রনাথ যখন বাংলার আকাশে সুর্য হয়ে ওঠার মতো চেষ্টায় রত ছিলেন। ঠিক তখন বঙ্কীম, রামমোহন, মধুসুধন সহ অনেক স্টার ছিলেন। তাঁদের ঐ প্রভাব বলয় ভেঙে কেউ আসতে পারে তা ছিলো কল্পনাতিত। তারপরও গুরুদেব রবীন্দ্র তার আপন মহিমায় বিশ্ব মানুষের জয় করে নিয়েছেন।



যাই হোক প্রসংগে আসি, স্মরন করে দেখুন একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান। একটি ওয়ালক্লোথ দিয়ে টেবিল সাজানো হয়েছে। টেবিলের উপ ফুলদানি। কয়েকজন মানুষ খুব আনন্দ কম্প সুরে কথা বলছেন। জ্বি! আমি বিটিভিতে প্রচারিত একসময়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের কথা বলছি। সেই আলোচনা অনুষ্ঠান প্রাইভেট চ্যানেলে এসে টক শো হয়ে গেছে। বিশাল বিশাল স্পন্সর জুটছে। কেনো? কার কথা প্রচার করানোর জন্য আর কার কথা অপপ্রচার করানোর উদ্দ্যেশ্যে?



আমাদের মিডিয়ার ভুল নীতি, প্রফেশনালিজমের অভাব, আর বেশি চালাকির জন্য আজকের এই দশা। মিডিয়া আজ অন্যের গোলাম হয়ে, শিকল পড়ে, সেই শিকল দেখিয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসছেন।



বর্তমানকে অবহেলা করে কখনই ভবিষ্যতকে নিজের করে নেয়া যায় না। বর্তমানকে চিরন্তনের সুন্দর রেখায় গেঁথে নিতে জানতে হয়। সেই সুন্দর বর্তমান চিরন্তনের সুতোর উপর বর্ণময় ফুল হয়ে মালা তৈরি করে নেয়। আজ যে কাজ করা হচ্ছে তা না পাড়ছে অতীতকে বুঝতে, না পারছে ভবিষ্যত বুঝতে আর সেই সাথে চামচামির সুরে প্রশ্ন করছেন, “দাদা চিরন্তন আবার কি জিনিস?”



বন্ধু! আমাদের এখনও উনবিংশ শতাব্দির কারও কারও দান নিয়ে জীবন পাড় করতে হয়। সেই গোল্ডেন মুহূর্ত সেখানেই থাক। আমরা আমাদের প্লাটিনাম দ্বারা সেই গোল্ডকেও সুন্দর করে তুলবো আর নিজেদেরও ধন্য করে দেবো।



বন্ধু! পত্রিকার কলাম গুলো খেয়াল করে দেখেছেন? মিথ্যের ফুলঝুড়িতে ভরা। ভাড়া খাটা কলামিস্টের আজ বাংলার মাটিতে অভাব নাই। ভাড়া খাটা টক-শোর প্রশ্নবিদ্ধ বক্তার অভাব নেই। লাথি দিয়ে ফেলে দিন। ঐ সব শিক্ষিত নামের মুর্খ শয়তানদের। ওরা বাঙালী নামের কলঙ্ক। ওরা আমাদের সোনার দেশের সাধারন মানুষদের সাথে নিয়মিত বেঈমানী করছে। ওরা বাঙালী না। ওরা ননবাঙালী, রংচং মার্কা একদল দুষ্ট দালাল।

বন্ধু! কখনও কি এমন কোনো পত্রিকার কলাম এসেছে, যেখানে সব কলামিস্টকে নিয়ে আলোচনা-সমালচনা হচ্ছে। আমরা সবসময় জীবনের থেকে মৃত্যুকে বেশী দামি বলে ভাবি। তাইতো মরা মানুষদের জন্য এতো দরদভরা কথাবার্তা। আর ঐ ব্যাটা জীবনে না খেয়ে, শুধুই দিয়ে গেলেন।



নজরুল কে দেখুন, “বর্তমান বিশ্ব সাহিত্য” নামের একটি প্রবন্ধ রেখে গেছেন। তাতে সমসাময়ীক ও যোগ্যদের নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমাদের ঐ সব মানুষগুলোর গায়ে কাউয়ার চামড়া। নিজেরা দস্তাদস্তি করে সব ময়লা করে ফেলে। ময়লা আবর্জনা খেয়ে বাঁচতে চায়। আর যখন টাকা পয়সার ধান্ধা বেড়ে যায়। বা কোনো বিশেষ সুযোগ সুবিধা না পেলে, কাউয়ার মতো হাউকাউ করতেও কোনো দ্বিধা করেনা। যেমন করে কাউয়া তার বাচ্চাদের না পেলে একতা বদ্ধ হয়ে আক্রমনেও পিছপা হয় না। তাদের কাছে টাকা পয়সার ঘাটতি হলো কাকের বাচ্চার মতো। এই কাকের বাচ্চা ইস্যু দিয়ে কি এমন করা যায় বলুন? আমি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হয়েও চুপচাপ থাকি। আপনারা এতটুকু অর্জনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে নিজেদেরকে ছোট করছেন।



বন্ধু! বর্তমান ডি.এম.পি. রেঞ্জের কমিশনার বেনজির আহমেদ অনেক টক-শোতে আসে। অনুষ্ঠানেও আসেন। একদিন টিভির পর্দায় তার আলোচনা দেখতে গিয়ে অবাক হয়ে হাঁ করে তাকিয়ে ছিলাম। একি! ও-মা একি! একি দেখছি! মধ্যরাতে ভরপুর মদ খেয়ে, শাহেশাহ্ এর বেনজির আহমেদ মতো বসে ফিংলিংস নিয়ে জনগনের সাথে কথা বলছে। বহু কষ্টে সেই অনুষ্ঠান আমি উপভোগ করেছিলাম।



বন্ধু! আমার এলাকার সন্তান (বৃহত্তর বরিশাল) গোলাম মাওলা রনিকে আমি ভালোবাসী। সম্মান করি। তার মেধা, জ্ঞান ও বুদ্ধি আগের থেকে অনেক বেশি বেগবান ও অভিজ্ঞ। এদের আটকে রাখা ঠিক না। এদের স্বাধীন ভাবে কথা বলতে দিন। বিষয়ের মধ্য আর ভয়-ডর দিয়ে আটকে রাখবেন না।



আমার আদর্শের সন্তান হিসেবে রনীকে একটি ব্যক্তিগত অনুরোধ করবো। আপনি বর্তমানে যারা যারা কলাম লিখেন বা কলামিষ্ট তাদের নিয়ে লেখুন। এভাবে লিখলে সবার সাথে সবার একটি সুসংস্কৃতি বিরাজ করতে বাধ্য। একে অপরের ভালোদিক গুলোকে গুরুত্ব দিন। আপনারা একটি গোল্ডেন জেনারেশন হয়ে যান।



পত্রিকার সম্পাদকদের কোনো কর্মটাইম নেই। তারা জরুরী সেবা দিয়ে থাকে। সম্পাদকদের টিভি চ্যানেল অতিথি হিসেবে মাঝে মাঝে নিয়ে আসা যেতে পারে। তাই বলে রোজ বছর কভারি অনুষ্ঠান গুলোয় তাদের উপস্থাপনা করতে দেয়া- কোন যুক্তিতে বলে।



আপনারা জানেন আমি সরকারের সাথে চ্যানেলের ব্যাপারে কথা বলেছি। হানিফ ও সিরাজ কে দু’টো চ্যানেল ইত্যাদি ও মাটি ও মানুষ দিতে বলেছি। রনি সাহে টিভি এ্যাঙ্কর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হলে শুধু প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়েই হয় না। এগুলো সহযাত ও চারন অভ্যেস বা গুন। রনির সেই ক্ষমতা আছে। আপনারা তাকে সুযোগ দিন।



মাহামুদুর রহমান মান্না কলাম লেখেন। ঐ কলাম দেখে অনেক কিছু শেখার আছে। আর সেই শিক্ষা হলো কালো হরফ দ্বারা রচিত মিথ্যা কথাগুলো বাদ দিয়ে সত্য খুঁজে বেড় করা। বাচ্চাদের ধাঁধাঁর মতো করে সত্য খুজতে দিয়ে দেখতে হবে। লজ্জ্বা করে না আপনাদের। এই অসাধারণ দেশের সাধারণ মানুষগুলোর সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলতে?



আমরা যদি আমাদের বর্তমানের চালচলন, অগ্রগতি, প্রেম, দেশপ্রেম ও সাফল্য-ব্যার্থতাকে না চিনতে দেই। তাহলে পরবর্তি প্রজম্ন কি করবেন? নিজেরা নিজেদের সমালোচনা করুন। নিজেদের ভালোগুনগুলোকে প্রকাশ করুন। অন্যের ন্যায় অন্যায় মুখ ফুটে বলুন। মনে রাখবেন, আপনি পৃথিবীতে এসে প্রথম যেদিন মুখে বুলি পেয়েছিলেন তা কিন্তু কোনো সরকার আপনাকে দেয় নি। আপনি বাচ্চা ছিলেন, সরকার ও ক্ষমতার লিপ্সা কি বুঝতেন না। তারপরও নিজের কান্না দিয়ে আশেপাশের সবাইকে তেড়ে হেচড়ে বেড়াতেন। ঐ বাচ্চা অবস্থার দাপটের কাছে আজকের ক্ষমতার দাপট খুব বেশি শুন্য ও কষ্টদায়ক। সেই শিশু মনের দাপট ছিলো স্রষ্ট্রার প্রকাশ। আপনারা যদি আপনাদের ঠিক ভাবে প্রকাশই করতে না পাড়েন তাহলে আপনারা কোন প্রেরনায় বেঁচে আছেন? কিসের আশায় আপনি এই পৃথিবীকে বাই জানিয়ে চলে যাবেন। সেই দাপট তৈরি করুন। মন সতেজ রাখুন। শুধু এগিয়ে চলুন। অন্যের প্রসংসার কাজকে প্রসংসা করুন। কোন ভাবেই তেলমাজি স্বভাব চলবে না।



আপনাদের চিরমঙ্গল কামনা করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.