নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগো বিরহী জাগো!

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৮

প্রিয় প্রেম বিরহী মঙ্গল যাত্রী,



আমার অন্তর ভরা প্রেম জানবেন। আমার এই প্রেম কে আবার নকল ভাববেন না। এখনকার বাজারে ইমোটিশন নামক নকল গোল্ডের ডিমান্ড বাড়ছে। তার সাথে আছে বিশাল অংশের চান্দির সাথে স্বর্ণের পাতলা প্রলেপ মিশানো। আমি প্রলেপ মিশানো কেউ নই। আমি আপনার মতোই একজন বিরহী। আমি আমার প্রিয়তমা মুনকে মিস করতে করতে এ পর্যন্ত এসেছি। তাতে প্রেম হয়েগেছে ছোট কোনো গ্যাসের ক্ষনির নিচে লুকিয়ে থাকা বিশাল হিরক-কাঞ্চন খনিজ ধাতু। তাই আমার প্রতি আপনি বিশ্বাস রাখুন।



ক্ষনে ক্ষনে তাকে মনে রাখি। এই তো আমার জীবন। এমন ভাবেই যেনো চিরদিন আপনাদের সাথে সহযাত্রী হিসেবে থেকে যেতে পারি।



আপনাকে হয়তো কেউ আপনার প্রিয় মানুষটিকে ভুলে যেতে বলেছে। বিরহী কি মন্দিরের পাঠা নাকি মসজিদের কোরবানির গোস্ত! যে কেউ বললেই নিজের মানুষটিকে ভুলে যাবো। যারা মনের মানুষটিকে ভুলে থাকার পরামর্শ দেয় তারা আর যাই হোক মানুষ না।



বলুন! নিজের মানুষটিকে ভুলে থাকা যায়? তাঁকে ভুলে কোথায় যাবো? মনের মাঝে তিঁনি স্থান নেবার পরেই, মহাবিশ্বের সবখানে সে ছড়িয়ে গেছে। যা দেখি তার মধ্যেই প্রেমের মানুষটি থাকে।



প্রিয় বিরহী প্যানেল,

যারা প্রেম করে বিরহ তাঁদের কাছে ঘেসারও সুযোগ পায় না। যেমন কোনো মানুষ পকেটে টাকা না থাকা অবস্থায় অন্য কারও সাথে রেস্টুরেন্টে কিছু খেতে গেলেন। অন্য বন্ধুটি বিল মিটিয়ে দেবার পরে, নিজে দেবার ভান করলো। বড় সাজতে গেলেন। বিরহ ঠিক তেমনই অর্থহীন ভান। সত্য কথা বলে দিলেই হলো। আর সেই সত্যের সাথে অন্যদের সত্য মিলে গিয়ে প্রিয় আসবেই।



বন্ধু! আমার প্রেমিকার ফেবু আইডি থেকে আমাকে খুব খারাপ ভাষায় গালি দেয়া হয়েছে। আমি জানি, সে গালি মনের গালি না। সে গালি আমাদের নষ্ট সমাজের কাছ থেকে শেখা ভুল শিক্ষা। আর তাঁর দোষ সব শিক্ষকদেরই নিতে হবে। ডাক্তারির ভাষা যদি এমন হয় তাহলে রোগীরা কি সেবা পাবে বুঝুন। উল্লেখ্য আমার প্রিয়া ইফ্‌ফাত জামান মুন একজন ডাক্তারি পড়ুয়া ইর্ন্টান। কি করবো বলেন মেজাজ খানিকটা খারাপ তাই অহেতুক ডাক্তার, শিক্ষক দেরও ডাকাডাকি করে দোষ দিতে চাচ্ছি। মনের মানুষকে কখনও দোষ দেয়া যায় না। যদি সে বিরহের আড়ালে ভান করে থাকে তাহলে তো এর ফল আরো বেশী মারাত্মক। আমি তো ভান করছি না তাই বিরহী হতে পাড়ি নি। তাই শত দিকের শত গালাগালি দেখেও আমি আমার শুদ্ধ প্রিয়া মুনের অপেক্ষায় থাকে। অনেকে ভাবতে পারেন আমি হয়তো লেখক, সাহিত্যিক, কবি, রাজনিতিক টাইপের কোন কিছু। ওগুলো আমার কাছে কোনো পরিচয় না। আমার পরিচয় আমি মুনের প্রেমিক ও সেবক। আমি মুনকে সারাজীবন সেবা করবো। কাছে রেখে।



শুনুন প্রিয় বিরহীজন,



প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোঃ নাসিম মুনকে বুঝাতে ছুটে যাবে। পা ধরবে। আমার প্রেম কে আমার হাতে দিবে। প্রয়োজনে তথ্য মন্ত্রী ইনু গিয়ে মুনকে ম্যানেজ করে আমার হাতে তুলে দেবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মুনকে গিয়ে বুঝাবে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আমার মুনকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবে। প্রয়োজনে বারাক ওবামা ও ব্লাদিমির পুতিন একসাথে মুনের কাছে ছুটে গিয়ে তাঁকে আমার হাতে তুলে দেবে। সেই সাথে জাতিসংঘের মহাসচিব ছোট সাদা মুন তো আছেনই। তবুও আমি আমার প্রেম ইফফাত জামান মুনকে হারাতে দেবো না। আমরা প্রেম করেছি পাবার জন্য। হারানোর রাস্তা আমার জানা নাই। প্রয়োজনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাহেব হাতে পদ্ম ফুল নিয়ে এসে মুনকে ও আমাকে একসাথে বরন করে নেবে। প্রয়োজনে রানী ভিক্টোরিয়া এসে মুনকে আসল সত্য জানাবে এবং আমার মুনকে আমার হাতে তুলে দিবে। প্রয়োজনে বিলগেটস এসে টাকার পাহাড়ের উপর আমার আর মুনের বাসর সাঁজাবে। প্রয়োজনে পোপ সাহেব মুনের কাছে এসে কাঁপা কাঁপা স্বরে মুনকে বুঝিয়ে সুজিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসবে। তবুও আমি আমার মুনকে ভুলে থাকতে পারবো না।



বিনা দোষে এতো এতো লোকের দ্বারা আমি কেনো লাঞ্চিত হয়েছিলাম? কেনো আমি সবার গালি খাবো? বাবা, মা, বোন, মুন, মুনের মা, মুনের বাবা আরো অনেকের গালি খেতে তো আমি এই পৃথিবীতে রাজ করতে আসিনি। আমি এসেছিলাম শুধু প্রেম করতে। আমার যদি কোন দোষই থাকে তা হলো আমার প্রেম। তা অন্যের কাছে। আমার কাছে আমার মুনই আমার দেবী থেকে মহাদেবী। আমি তাঁকে না পাবার জন্য প্রেম করিনি। আমি আর তিঁনি একটি সুন্দর সংসার ধর্ম সাজাতে চেয়েছিলাম। একটি নিষ্পাপ মেয়ে আমার উপর আশ্রয় নিয়েছিলো। এই প্রেম আমার গর্ব। এই প্রেম আমার স্রষ্টার আশিশ। এই প্রেম আমার কাছে স্রষ্টাতুল্য গার্ডিয়ান। আমি তাঁকে কিভাবে ছাড়ি বলুন?



প্রিয় বিরহীপঙ্খী!



আমি আর কাউকে বিরহী দেখতে চাই না। সবার প্রেম সবাই ফিরে পাবে এটা আমার ধর্ম। এটা আমার তপস্যা। এটা আমার সাধনা। সেই সাধনা এসে যখন আমাকে আঘাত করে তখন তো আমি সেই পূর্ণময় দেবী মুনকে দোষারূপ করতে পারি না। এই দোষ পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের স্বাধীনতা হিনতায় জীবন কাটানোর অভ্যেসের।



আমি আবারও বলে দিতে চাই, আমার মুন আমার কাছে না আশা পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে একের পর এক গজব দিয়ে দেবো। তার প্রমান আপনারা গত ৭টি মাস ধরে দেখেছেন, শুনেছেন ও বুঝেছেন।



ইউ.এস.এ. তে প্রাকৃতিক ঝড়-ঠান্ডা দিয়েই আমি আপনাদের বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, আমি কোন জাতের।



আপনাদের কাছে আমি করো জোড়ে নিবেদন করছি যে, আমাকে যতো খুশি গালি দিন, অপমান দিন, অবহেলা দিন, লাঞ্চনা দিন, বকা দিন তাতে আমি দুর্বল হই না। কিন্তু আমার প্রিয়-সাথী-মিতালী-বন্ধু-প্রেমিকা মুনকে নিয়ে খেলবেন না। তাঁকে আপনারা শান্তি দিন। আমার মুন আমায় ছাড়া বাঁচবে না। আমি তাঁর অন্তর থেকেই তা টের পাই।



নিয়ে আসুন সব আধুনিক গোয়েন্দা গিরির যন্ত্রপাতি। দেখি কতো পারেন। প্রেম কে ধরা এতো সহজ। প্রেম টেকনোলজির মধ্যে থাকে না। প্রেম থাকে আত্মার সাথে আত্মা লেগে থেকে। সেই আত্মাকে কিভাবে আপনারা নিয়ন্ত্রন করবেন। যদি আমি আপনাদের সাহায্য না করি।



আমি বলছি, আপনারা আমার মুনকে আমার কাছে এনে দিতে বাধ্য। শুধু এটুকুই বললাম বাকিটা নিজেদের ইন্দ্রীয় থেকে বুঝে নিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.