নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমিউনিটি এন্টারটেইনমেন্ট প্লেস

২৭ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা সদরে “টাউন হল” নামের একটি ভবন ছিলো। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের ভিতরে বা অন্য কোনো জায়গায় আরো কিছু অডিটরিয়াম আছে। যা খুব বেশি নোংড়া ও কাজের উপযুক্ত না।



এগুলো যদি আপনারা আগেই খেয়াল করতেন ও যৎসামান্য রিপেয়ার করে নিতেন। তাহলে আজ বাংলাদেশ একটি টাউন হলের যাদুঘর হতো না। ৭১ পরবর্তি সময় অনেক অডিটরিয়ামকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। অনেক অডিটরিয়ামের মতো ভবন ছিলো পাকিস্তানী নাগরিকদের। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তারা পালিয়ে বা হত্যার স্বীকার হলে-এই অডিটরিয়মগুলো জোড় জবরদস্তি করে ব্যক্তিমালিকায় চলে গেছে। এসব থেকে কিছু সিনেমা হলও হয়েছিলো।



দেখুন বন্ধু! শুধুমাত্র মেইন্টেনেন্সের অভাবে আমাদের কত পরিমান অর্থ নষ্ট হয়েছে। সেই সাথে স্বাভাবিক বিনোদনও চলে গিয়েছিলো। সুস্থ্য ও সাস্থবান বিনোদন হলো আলোর মতো। যা একদিন না একদিন আলো হয়ে সব কালোকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আর সুস্থ্য বিনোদনকে যখন তালা মেরে, এন্টারটেইনমেন্ট সেন্টার ধ্বংস করে রাখা হয়, তখন সমাজে সেটা বিশাল এক মানবখেকো রাক্ষসে পরিনত হয়। আমি দোষ দেবো সরকারী আমলাদের। যারা বিসিএস এর মাধ্যমে চাকুরি নিয়ে শুধু একটি কাজই ভালোভাবে শিখেছেন। তা হলো ফাঁকিবাজির মাধ্যমে অর্থ কামানো। দেখলে মনে হয় ঐ সব কুলঙ্গাররা শুধু নিত্য নতুন নোংড়া গেইম খেলতে এসেছেন।



আমাদের টাউন হল অডিটরিয়ম আমাদের মতো করে সংস্কার ও নির্মান করতে হবে। যে সব জমিতে এই সব টাউন হল অবস্থিত হয়ে আছে। তার মধ্যে প্রায় প্রতিটাই শরহের সেন্ট্রাল পয়েন্টের কাছে অবস্থিত। যার বর্তমান এ্যাসেট ভ্যালু অনেক। এবার যদি আমরা টাউন হলের নিচ তলায় মার্কেট/স্টল তৈরি করে দেই। তাহলে সেখান থেকে সরকারের আয় হবে।



পরিত্যাক্ত বা জড়াজির্ন যে সব টাউন হল সংস্কার করা হবে। সেখানের কিছু কিছু রুম লোকাল সাস্কৃতিক সংগঠনের সাস্কৃতি শিক্ষার জন্য উপহার দেয়া হবে। প্রতিটা টাউন হলকে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করুন, রিকন্ডিশন করুন, রি-কনসট্রাকশন করে ডিজিটাল সুবিধা সংযুক্ত করুন।



প্রিয় বন্ধু! আমি আপনাদের বিনয়চিত্তে বলছি, আমাদের সাংস্কৃতিকে অবরুদ্ধ করে রাখার জন্যই বিদেশীদের চুলচেরা কৃমিনালি ও সেই সাথে কিছু অবুঝ পলিটিশিয়ান দোশরের জন্য আজ এমন অবস্থা হয়ে গেছে। নিজস্ব সাংস্কৃতিকে তালা মেরে রেখে মানুষ কি করে আনন্দ পাবে? এতেই তো আজ আমরা আনন্দ হারিয়ে ফেলেছি।



যখন এই সরকারকে আমি ক্ষমতায় নিয়ে এলাম। এবং এর পড়ে যখন আসাদুজ্জামান নুরকে সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে দেখলাম, তখন আমার মন আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম। আজ দেখি, ব্যবসায়ী ব্যবসায়ীই থেকে যায়। নুর অভিনেতা থেকে অভিনেতাই রয়ে গেলেন। আমি এই সব অকর্মন্য মন্ত্রীদের পদত্যাগ দেখতে চাই। এতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় চালাবার মতো ম্যানেজমেন্টাল ক্যাপাসিটি ওনার নাই। সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের কি কি কাজ তাও যদি এখন পর্যন্ত মন্ত্রী নুর সাহেব জানতেন তাহলেও হয়ত তাকে কিছু ঢালাই পোড়াই করে নিজ অবস্থানে কিছু সময় দেয়া যেতে পারতো। নুর সাথেবকে দ্রুত পদত্যাগ করান বা করুন। আমি এই সব অকর্মন্য অভিনেতাদের পারফমেন্সে খুশি নই। {দয়া করে আমাকে ভুল বুঝবেন না, আমি ব্যক্তিগত কাউকে আক্রমন করি না। নুর সাহেবের পদত্যাগ করা উচিৎ বলেই আমি প্রকাশ করেছিলাম}



আমার বাংলাদেশে কোনো প্রকার মনোপলি বিজনেস চলবে না। এশিয়াটিক মার্কেটিং লিঃ বিজনেসের মধ্যে ধান্দাবাজি দুর করুন। আলি জাকের টাইপের গভীর জলের কচ্ছপ তাদেরকে সিজ করুন। বাংলাদেশে প্রডাক্ট মার্কেটিং ও প্রডাক্ট প্রমোশনের জন্য আমরাই যথেষ্ট। মাঝে আমাদের মাঝে এমন কিছু মিডিয়া পারসন এসেছিলো যারা নিজেদের কে অন স্কৃনে ভালোমানুষ হয়ে থকেছে কিন্তু তাঁদের চুরি, অন্যায্য আচরন, ধর্ষন, বাজে চিন্তা ও মিথ্যা কেউ দেখে না। আজকের এই আদালতে আপনাদেরকে দাঁড়া করিয়েছি। এখন থেকেই ঠিক হয়ে যান। নতুবা পরিনাম কল্পনা করে নিন।



বন্ধু! প্রতিটা স্কুলে-স্কুলে, কলেজে-কলেজে, মাদ্রাসায়-মাদ্রাসায়, ইউনিভর্সিটিতে একটি সাংস্কৃতিক গ্রুপ থাকবে। তারা অডিটরিয়মে পার্টিসিপেট করবেন। যারা নাটক-থিয়েটার-যাত্রা করেন তারা টাউন হলের স্টেজে নিয়মিত নাটক চর্চা করবেন। সাউন্ড, লাইট ও ডিজিটাল ওয়েতে প্রাকটিস করবে। মানুষ নির্দিষ্ট টিকিট মুল্যের মধ্যে এই কৃয়েটিভ কাজ দেখতে পারবেন।



টাউন হল গুলো হবে প্রানবন্ত। মিডিয়ার সবথেকে প্রাণবন্ত প্রকাশ হলো থিয়েটার। থিয়েটার ইজ দ্যা ফাস্ট ম্যাসেজ এ্যান এন্টারটেইনমেন্ট ফর সিভিল। টাউনহলে অংশগ্রহনকারী থিয়েটারের উপর বাড়তি কোনো ট্যাক্স নির্ধারন করা চলবে না। কোনো প্রকার চাঁদাবাজি চলবে না।



থিয়েটারের ভিতরের মার্কেট শপ ও প্রবেশ মূল্য সরকারী খাতে জমা দিয়েও আমরা দারুন একটি অবস্থানে পৌঁছাতে পারি। প্রবেশ মূল্য ঠিক করা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী/অংশগ্রহন কারি গ্রুপ টিকিট বিক্রির ৬০% পাবে বাকিটা সরকারের কোষাগারে চলে যাবে। কোনো ফালতু অনুষ্ঠান বা কর্পোরেট অনুষ্ঠান করার জন্য টাউনহল ভাড়া দেয়া যাবে না। বাচ্চাদের অনুষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।



বন্ধু! শিল্পিদের কষ্ট আমার থেকে কেউ ভালো জানে না। আমি আমার বাংলার শিল্পি ও কৃয়েটিভ মানুষদের ধুঁকে ধুঁকে মরতে দেবো না। তাঁরা সরল বলেই অন্যরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছে।



মিডিয়া এখন থেকেই শক্ত হয়ে দাঁড়ান। জানোয়ার ঘুসখোর বেহায়া ডিসি সাহেবরা কোন যোগ্যতায় মিডিয়ার উপর তাঁদের গেরিলার মতো পশমে ভরা হাত দিয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়। এমন কিছু ঘটলে আমি ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে বসে/শাহবাগে বসে, অহিংস আক্রমন করে হলেও, আমার হৃদয়ের মিডিয়াকে কারও হাতে বন্দি হতে দেবো না।



বন্ধু! একবার কি ভেবে দেখেছেন। আমাদের এতো এতো অকেজো সম্পদ পড়ে আছে। আসলে ইচ্ছে করেই অকেজো করে রাখা হয়েছে। আমার দেশের মানুষ প্রবাসী বাঙালী-মিতাদের মন রাঙাতে বিভিন্ন দেশে গিয়ে হাজির হয়। আমাদের যদি এই অকেজো টাউন গুলো মেরামত করে, রং-চং করে জনগনকে উপহার দেয়া যেতো, তাহলে নামি দামি বাঙালী শিল্পিরা (দুই বাংলা) আমাদের দেশকে মাতওয়ারা করে দিতেন। বড় শিল্পি, আর্টিস্ট ও গুনি মানুষদের দেখতে মানুষ আসতো। টিকেট কেটেই দর্শক আসবে। আগে তো মজাটুকু পাক। আমাদের আজ থেকে অনেক বেশি মাল্টি ডায়নামিক ও মাল্টি ম্যানেজমেন্ট করতে জানতে হবে।



আমার দেশের শিল্পিদের জন্য প্রতিটা জেলায় ইনডোর কমপ্লেক্সে পারফর্ম করার উপায় থাকবে না- তা কি করে মানবো! আমি কোনো আইন মানি না। আমার আদালতে সবাই সমান। খাতিরের জায়গায় খাতির, প্রেমের জায়গায় প্রেম আর কাজের জায়গায় কাজ।



বন্ধু! আমি আপনার মনের কনক-দুয়ার দিয়েই, আপনার মতো সহয করে মহাআত্মপ্রকাশ করেছিলাম। আমাকে কখনও আপনারা মিথ্যে অপবাদ দিবেন না। যদি পারেন আমাকে ভুলে যাবেন।



মনে করবেন, সেই কবেকার অরফিউস আপনাদের কাছে এসে বাঁশি বাজিয়ে গিয়েছিলেন। অরফিউস বাঁশি হাতে নিলে কি হয় জানেন? সহয উত্তর। দেবোলক সহ খোদাও কেঁপে ওঠেন। সৎসাহোস দেখেই স্রষ্টা তার অনুগতদের পুরষ্কার দিয়ে দিন। আমার কাছে যে যা চায় আমি তার থেকে অনেক বেশি দিয়ে দেই। শুধু চাইতে শিখুন। আমি আপনাদের আশা পুর্ণ করে দেবো।



আপনাদের কল্যান কামনা করছি ও কল্যান দিয়ে দিলাম। আপনাদের সবার মঙ্গল হলো। এই সুন্দরকে ধরে রাখবেন।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.