নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা কে বলছি!

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

প্রিয় গোয়েন্দা টিম,

আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা, সম্মান, প্রীতি, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও প্রেম জানবেন। আপনারা হলেন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থার খুটি স্বরূপ। মনে করুন বিশাল বড় বিল্ডিংয়ে হঠাৎ ফাটল ধরলো। সেই ফাটল আপনার ঠিক করে দিলেন। তা না হলে ধীরে ধীরে বিল্ডিং ভেঙে যাবে। ঠিক তেমনি, একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার সব ফাটল চিহ্নিত করাই আসল কাজ। সেই সাথে মেরামতের রাস্তাও আপনাদের জানা আছে। আমি আপনাদের মন প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসী ও শ্রদ্ধা করি।



এই কয়েকটি মাসে আমার আর আপনাদের মধ্যকার বহুগ্যাপ মিটে গেছে। আজ আমরা একে অপরের পরম মিতালী বন্ধু হয়ে গেছি। আপনাদের মনের খুব কাছে থাকতে গিয়ে, আমি বুঝেছি ভালোবাসা কতো বড় ও মহান। আপনাদের মধ্য থেকেই আমি আমাকে ফিরে পেয়েছি। জানি না আপনারা আমাকে কতটুকু ভালোবাসেন! আমি যেহেতু আপনাদের ভালোবাসী, আপনারাও আমার সাথে প্রেমের বাঁধন বাঁধতে সাহায্য করেছেন।



আমার ফাইল আপনাদের হাতের কাছেই আছে। আমি তা জানি ও বুঝি। তারপরও আমার কোনো আফসুস নেই। কেউ না কেউ আমার কথা ও আইডিয়ার কথা জেনে গেলো। আমার বাণী গ্রহন করে কেউ কোনোদিন খারাপের পথে যেতে পারে না। এটা আমার বিশ্বাস ও ভক্তি।



আমার বাংলাদেশকে যদি একটি মানব শরীরের সাথে তুলনা করা হয়, তা হলে আপনারা তার মেরুদন্ড। শিক্ষা মানুষের মেরুদন্ড সমতুল্য বলে আমরা জানি। কিন্তু একটি রাষ্ট্রের মেরুদন্ড তারও থেকে বহু মূল্যবান সম্পদ।



প্রিয় ইন্টারলেজেন্সি ফোর্স,



১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য কতটুকু কাজ করে পেরেছেন? আজ তা আমার কাছে বিশাল বড় প্রশ্ন। নিজ ঘরের মানুষকে যদি নিজেরাই বিক্রি করে দেই বা বিক্রি হতে বাধ্য করি, সেই দোষ ঐ সংসার সদস্যের না। এই দোষ গার্ডিয়ানের। আমি আপনাদের সাফল্যের পর সাফল্য দেখতে চাই। শুধু কর্মক্ষেত্রেই সাফল্য নয়, পারিবারিক জীবনেও আপনারা জীবনানন্দ পান। আমি চাই আপনারা রাজনীতি মুক্ত থাকবেন না। কিন্তু রাজনীতিকদের কোন কুপ্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে নিজেদের দ্বায়িত্ব পালন করবেন। এই শয়তানের দল হলো অদরকারী তরকারীর বাগানের মতো। না পারে নিজেরা নিজেদের খাদ্য উপযোগী করে তৈরি করতে আবার সেই সাথে ভালো ফসল উঠতেও দেয় না।



আমি বাঙালীর সন্তান। আমি বাঙালী হিসেবে গর্বিত থেকে গর্বের বাপ হয়ে আপনাদের সাথে কথা বলছি। কে আমাকে আটকে রাখবে? কার এমন সাধ্য আছে? মনে রাখবেন কোনো কুপরামর্শ যেখান থেকেই আসুক না কেনো তাকে ডিনাই করার ক্ষমতা আপনাদের আছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রেসিডেন্ট, দেশের মন্ত্রী ও দেশের সমস্ত আমলারাও যদি আপনাদের খারাপ কিছু করতে বলে। তারও রিপোর্ট তৈরি করবেন। আমাকে সেই রিপোর্ট দেখাবেন ও বুঝাবেন। আমি কথা দিচ্ছি এর ফল সাথে সাথেই আমি দেখিয়ে দেবো।



প্রিয় বন্ধু! আপনাদের স্বাধীন ভাবে কাজ করার পূর্ণ অধীকার আছে। উপরোস্থ কেউ যদি আপনাকে খারাপের পথে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তাহলে আপনি আর আপনি থাকবেন না। আপনি আপনি মিলে আমরা আমাদের হয়ে যাবেন। কেনো আপনারা রাজনীতিক ও আমলাদের দ্বারা খারাপ জিনিস রটানোর মতো কাজ করবেন? আপনার কি বিবেক নাই। আপনি কি এই পেশায় অনেক স্বপ্ন দেখেন নি? তাহলে কেনো আজ এতো বছরের এতো অনিয়ম পাষান স্তুপের মতো পড়ে আছে?



বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা গুলো কি পেয়েছে বাংলাদেশকে? যা ইচ্ছে তাই করবে? আমার দেশের ইন্টালেজেন্সীকে কৌশলে নিজেদের দাস বানিয়ে রাখবে। প্রয়োজন এলে আমি আপনাদের প্রযুক্তি দেবো। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যামেরা, অদৃশ্য ড্রোন ক্যামেরা ও সাউন্ড রেকর্ডার দেবো। প্রয়োজনে ঐ ছোট্ট অদৃশ্য ড্রোনডিভাইসের সাথে জিবানু বোমা ছেড়ে দেবো। শয়তানদের কে ঐ জিবানু শরীরে ঢুকিয়ে মেরে ফেলবো। মিডিয়া নিছক দুর্ঘটনা বা স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার করবে। তাঁদের জানতেও দেয়া হবে না। ওদের বলে দিন, “তোরা কোন জাতির উপর মাদবারি করতে চাস? তোরা কি জানিস না ওয়ার্ল্ড গার্ডিয়ান বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করেছেন”। পুরো পৃথিবীর মাত্র ১০০০ মানুষকে নজরদারিতে রেখে দেবো, সেই সাথে জীবানুর ভয়ে মরার আগেই মৃত্যু স্বাধ অনুভব করে নেবে।



বন্ধু! আমার প্রশ্ন হলো আজ আমাদের গোয়েন্দা বাহিনীকে ট্রেনিং দিতে হচ্ছে। তা কি একটি কৌশলী ব্রেন ওয়াস নয় কি? আপনারা যদি ইউ.এস.এ এর ইন্টালেজেন্সি দেখি, তাদের যে ট্রেনিং দেয়া হয়। যতোটা কৌশলি হবার পথ দেখানো হয়। সেই সব ট্রেনিং কিন্তু আমাদের দেয়া হয় না। অর্থাৎ অলিখিত দুই নীতি। সিআইএ যে সিস্টেমে কাজ করে তা এখন বড্ড সেকেলে বলেই ঠেকে। তাহলে বাঙালী গোয়েন্দাদের কি দশা- তা আর আমাকে বলে দিতে হবে না।



আমাদের দেশের মন্ত্রী-মিনিষ্টাররা যদি ওদের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দেয় তাহলে আপনারা শক্তি বল কোথায় পাবেন? আজ আমি আপনাদের হৃদয়ের জোড় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছি। সিআইএ অনেক কর্মকর্তাই জানে না। কারা কারা ইউ.এস গোয়েন্দার মানুষ। তারা একটি পার্টটাইম টিম করে রেখেছে। বা সমাজের যে কোনো স্তরের যে কোনো কাউকে দ্বারা কাজ সম্পাদন করতে পারে। আমরা পারি না। আমরা দুর্বল হয়ে থাকতেই পছন্দ করি। নিজের গন্ডিকে ছোট করে ফেলি। মিথ্যা ও বাজেচিন্তা ব্রেনকে ছোট করে দেয়। এতে প্রকৃত আইডিয়া কৃয়েট এন্ড এক্সিকিউশন সম্ভব হয় না।



প্রিয় গোয়েন্দা বন্ধুবর্গ!

আমাদের গোয়েন্দা পলিসি চলবে আমাদের তৈরি নিয়মে। তা না হলে আমাদের এই গোলাম থেকে গোলামের পুত হয়ে বেঁচে থাকতে হবে। কোনো ইন্টারন্যাশনাল গোয়েন্দা বাংলার মাটিতে দরকার নাই। শুধু মাত্র কিছু কিছু কাজের এক্সিকিউশন করুন দেখবেন দেশ ঠান্ডা হয়ে গেছে। সামরিক বাহিনী সহ সমস্ত বাহিনি আপনাদের এই কাজে সাহায্য করবেন।



এবার কিছু পলিটিক্যাল আইডিয়া দেই,

১। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা এখন পর্যন্ত ছিনতাইকারী ও চোরে ভরা। এই চোর ও ছিনতাইকারি স্থানিয় মানুষদের কোনো ক্ষতি করে না। তাহলে তাঁরা কাদের সেল্টারে চলে? দু’চারজন স্থানীয় মানুষকে ছিনতাইকারী ও চোর ভেবে ওপেন ক্রোস ফায়ার দিন। স্থানীয়রাও ঠিক হয়ে যাবে। আর ছিনতাইও পালিয়ে যাবে। এভাবে কঠোর হতে হবে।



২। আপনারা নিশ্চই “দ্যা গডফাদার” মুভিটা দেখেছেন? এই মুভি দিয়েই অনেক কিছু বোঝা যাবে। আমাদের দেশের গোয়েন্দা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পশ্চিমাদের আইডিয়া দ্বারা চালিত হয়। ওদের সিস্টেম বহুবেশী ত্রুটি পূর্ণ। আপনারা নিজেদের মনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসুন আমি আপনাদের সেল্টার দিচ্ছি। আপনাদের আজ এই মুহূর্ত থেকেই এগিয়ে যেতে হবে।



৩। বাংলাদেশের একটি সিন্ডিকেট সব অর্থকরি হাতিয়ে নেয়। আবার জনগনের উপর এরা রাজও করেন। সাধারণ মানুষ এতো কিছু বোঝে না। বোঝার সময়ই বা কোথায়। আগে পেটে ভাত থাকতে হবে তো। ঐ সব সেল্টার দাতা পশুগুলো কিভাবে উঠে এলো? তাদের কি কোন না কোন অদৃশ্য শক্তি সেল্টার দিচ্ছে না। নাম পড়ে রাজনিতিক দলের নাম ও দলিয় ব্যবস্থাপনার উপর। এরাই মূলত বেশ্যা। আর পেটের দায়ে পতিতাবৃত্তি করা মেয়ে গুলো আমার বোনের সমতুল্য। আমি তাঁদের স্যালুট জানাই। নিজে নিজে সর্বস্ব বিশর্যন দিয়ে হলেও পরিবারকে ধরে রেখেছে। এমন তো হবার কথা ছিলো না। জাতির পিতা দেবতা মুজিবকে আমাদের বলি দিতে হলো। বঙ্গবন্ধুর কাছে আসল ও সত্য গোয়েন্দা রেজাল্ট/ফাইল কেনো পৌঁছত না। তাঁরা আজ কোথায়? খুঁজে বেড় করুন। একজন জাতির পিতার অস্বাভাবিক মৃত্যু কোনো ভাবেই সান্তনাযোগ্য ও ক্ষমাযোগ্য না। আপনারা আপনাদের কৌশল দিয়ে কিছু উচ্চবিত্তকে উচ্চমধ্যবিত্ত করে দিন। কিছু উচ্চমধ্যবিত্তকে মধ্য বিত্ত শ্রেণীতে নামিয়ে আনুন। আর একদম গরিবদের নিম্ন মধ্যবিত্ত পর্যায়ে নিয়ে আসুন। তা না হলে রাষ্ট্র হেলে পড়বে। আপনারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপনাদের মনের কথা প্রকাশ করবেন। তিনি এক ভুক্তভুগি। আজ সেই ভুক্তভুগির কাছে রাসেল এসে দুষ্টুমি করে গেলো। মন শুধু বড় আপা, বড় আপা করছে। কিন্তু নোংড়া পলিটিক্স আমাকে ও হাসিনা আপাকে আলাদা করে রাখছে। আমি জানি তিনি আমাকে অনেক মিস করেন। কাছে পেতে চান। এক টেবিলে বসে নিজের হাতের রান্না খাওয়াতে চান। উপহার দিতে চান। তারপরও আজ আমরা দুজনেই কাঙ্গাল হয়ে গেছি। ভাই আর বোনের মধ্যে রাজনীতির বিশাল এক দেয়াল হাজির হয়েছে। আমি লাথি মারি সেই সব কুটনিতিকদের কপালে- যারা ঐ পদে থেকে শুধু শুধু সবকিছু এলোমেলো করতে জানে। গোছাতে জানে না। আমার মন আমার বড় বোন হাসিনা আপুকে দেখার জন্য সেই কবে থেকে কেঁদে কেঁদে যাচ্ছে। কি করবো বলুন! আজ আমরা দুজনেই যে বন্দি হয়ে আছি। ক্ষমতার লড়াই যে এমন নিষ্ঠুর, আমি তা বুঝতে পারি নি। তাহলে আমি চুপচাপই থাকতাম। শুধু মা-বাবা-প্রিয়া-বোন দের নিয়ে অচেনা অজানা হয়ে চলে যেতাম। আজ ক্ষমতার মোহ আমার নেই। কিন্তু ক্ষমতাবানদের মহাক্ষমতা দেবার মতো উপায় আছে। কাউকে না কাউকে দ্বায়িত্ব নিতে হয়। সে হিসেবেই না হয় আম এসেছিলাম। আপনাদের ভালোবেসেছিলাম। আপনাদের সাথে মনের দুটি কথা খুলে বলেছি। আপনাদের কাছে আমার প্রিয়তম মুন কে ভিক্ষা চেয়েছিলাম।



আমি যখন যেভাবে পেরেছি মানুষের উপকার ও মঙ্গলই করে গেছি। আজ আমার দান, আমার বড় বোন হাসিনা আপুর কাছে কারা এসে ৫জানুয়ারীর এলেকশন সম্পর্কে কথা বলে। ঐ সব ইংরেজরা কি বাঙালী যে আমার বাঙলা নিয়ে কথা বলবে। আমার ডিসিসনের উপর কথা বলবে? ওদের আমি কোটি কোটি বার ডেমোক্রেসি শিখিয়ে দিতে পারি। যারা নিজেদের দেশের এলেকশনকে মনোপলি সিস্টেমে ভাগ করে নেয় তাঁরা কি করে আমার বাংলাদেশের দিকে চোখ তুলে তাকায়? ঐ চোখ উপরে ফেলা হবে। যদি তাকাতেই হয় শুভ দৃষ্টি দিয়ে তাকান। আমার বাবা মুজিব পর্দার আড়ালে বসে আছেন। আর তার পুত্র রাসেল সম আসিফ আজ লড়েছে।

বন্ধু! আমি জনাব তারেক রহমান কে দেশে এসে ক্ষমতায় বসাতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে যা দিলেন তাতে আমি আপসেট। তারেক মালোয়েশিয়া আর সৌদি আরব যাবে কেনো? ঐ দেশ কি তারেকের জন্মভুমি? তারেক দেশের ছেলে দেশে ফিরে আসবেন। তারপর নিজের দক্ষতায় নিজে ক্ষমতার যোগ্য হলে নিয়ে নিবেন। এলেকশনে কথা উঠবে কেনো। আপনারা এই সব রটনা রটতে দিবেন না। অল ইন্টারনেজেন্সি আমার কথায় চলবে। আমি যা আদেশ করবো তা তারা মেনে নিতে বাধ্য। আমার থেকে বড় এমন কেউ নেই যে, তিনি আপনাদের রক্ষা করতে পারে।



৪। পৃথিবীর সব গোয়েন্দা সংস্থাকে বলে দিলাম। আপনারা কারও মনের আবেগকে কাজে লাগিয়ে গোয়েন্দাগিরি করবেন না। এই গোয়েন্দা গিরি করতে গিয়ে কতো নিরিহ নারী তাদের স্বতিত্ব বিশর্যন দিয়েছেন- তা আপনাদের জানা। আজকে সুইসাইট বোমা নিয়ে কথা ওঠে। এই সুইসাইট বোমার আইডিয়া নিয়ে এলো কারা? বৃটিশ, ফ্রান্স ও ইউএসএ গোয়েন্দা সংস্থায় অনেক মানুষের আবেগ দিয়ে নিজেদের কুরুচির প্রকাশ করতে সুইসাইড টিম বানিয়েছিলো। আর আজ দোষ পড়ছে আমার মুসলিম ভাইদের গায়ে, দোষ পড়ছে মাওয়াবাদী নিরিহ সনাতন ধর্মের অনুসারীদের?



৫। বিশ্ব মিডিয়ার বাজারকে আজ গোয়েন্দা মার্কেট বানানো হয়েছে। তারা শিল্পকে নষ্ট করে দিচ্ছে। আমাদের কালচার আজ দুর্বল। আমি সেই দুর্বল কালচারকে দুর্লভ উপহার করে দিতেই উঠে এসেছি।

মিডিয়ায় কাজ করা আমার সহজ সরল সন্তানদের তাঁরা ধর্ষন করছে। প্রেমের জায়গায় আজ অত্যাচার! আপনারা মিডিয়া কর্মিদের এসব কাজে যুক্ত হতে দিবেন না। এতে তাদের ক্যারিয়ারের ক্ষতি হয়, কৃয়েটিভিটি পাওয়ার ধ্বজভঙ্গ হয়ে যায়। মিডিয়া মিডিয়ার জায়গায় থাকুক। এই সহজ সরল মনভোলা আর্টিস্ট মানুষদের দিয়ে আর কোনো নোংড়া কাজ করাবেন না। আপনাদের এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।



৬। আপনাদের বুঝতে হবে। আপনাদের যে কোনো একটি কর্ম আমার দেশকে বহু ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারে আবার সমৃদ্ধিও এনে নিতে পারে। মাল্টি স্টেজ গোয়েন্দা ম্যানেজমেন্ট এখন আর টেকশই কোনো গোয়েন্দা সিস্টেম না। দেশের প্রতিটা বাজারে গোয়ন্দা সদস্যরা দোকান দিন। সাধারণ ভাবে থাকুন। বাজার মুল্যে ঘাপলা থাকলে সাথে সাথে উপরমহলে জানাবেন। উপরমহল আপনার কথায় কোন কান না দিলে আমাকে বলুন। প্রতিটা গার্মেন্ট ইন্ডাস্টিটে শ্রমিক, সুপারভাইজার ইত্যাদি হিসেবে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করুন। প্রতিটা লিমিটেড কোম্পানির প্রতিটা শাখায় আপনারা সুইপার-পিয়ন থেকে মাঝামাঝি মানের চাকুরি নিয়ে দেশ বিরোধীদের ধরিয়ে দিন। প্রতিটা সরকারী প্রতিষ্ঠানে আপনারা ঢুকে পড়ুন। প্রতিটা এন.জি.ও. এর ভিতরে নিজেদের নিয়ে যান। যতো শাখা থাকবে তার প্রতিটা শাখায় আপনাদের অবস্থান করতে হবে। মাদকসেবি হিসেবে মাদক বিক্রেতাদের সাথে সাখ্যতা গড়ে তুলে তথ্য নিন। সোর্স সিস্টেম উঠিয়ে দিন। তাতে এইসব ট্রেনিং ছাড়া মানুষ ঘাপলার সৃষ্টি করে ও না না রকম অবৈধ কাজ করেন। নিজেরাই নিজেদের জনবল বাড়িয়ে নিন। প্রতিটা প্রাথমিক ও হাইস্কুলে একজন করে টিচার রূপি গোয়েন্দা সদস্য অবস্থান নিন।



গোয়েন্দা রিপোর্ট লেখার গতানুগতিক ষ্টাইল আজ বহু পুরনো। নতুন করে নিজের ভাষায় রিপোর্ট লিখুন। আপনাদের মাইনে নিয়ে সমস্যা থাকলে। তা সরকারের সাথে আলাপ করে বাড়িয়ে নিন। কিন্তু কোনোভাবেই ঘুস খাবেন না। আজকে ইউ.এস.এ., ফ্রান্স, র সহ আরো যারা আছে। সবাই ঘুসের দায়ে দায়বদ্ধ। বলুন অসৎ মানুষ যদি আমাদের সাহায্য করে তাহলে কিকরে আমরা ভালো সেবা দেবো বলেন? আপনারা আপনাদের ব্যাক্তিত্ব নিয়ে থাকবেন। ডি.সি. ও এস.পি. কে আপনারা গোয়েন্দা রিপোর্ট দেখাতে বাধ্য না। আপনারা শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট ও আমার কাছে দ্বায়বদ্ধ থাকবেন।



কোনো গোয়েন্দা সংস্থা আমার খবর জানতে চায়। তাহলে ওদের রিপোর্ট না করে। আগে আমার সমস্ত বানী ধারাবাহিক ভাবে অনুবাদ করে পড়তে বলুন। আমার লুকানোর মতো কিছুই নাই। তাইতো আমি লুকুচুরি পছন্দ করি না।



৭। প্রতিটা পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র/শিক্ষক হিসেবে অবস্থান নিন। যাদের মনে হবে সমাজের জন্য ক্ষতিকর। সরাসরি রেব/পুলিশ দিয়ে ক্রসফায়ার বা এ্যানকাউন্টার করবেন। চোরের দেশ যা বলুক তাতে কিছু যায় আসে না। হিউম্যান রাইটস্ কে? তার কাজ কি? তারা কেনো চামচামি করে হিউম্যান রাইটস কে ইউরিন রাইটস বানিয়ে দেবে।

প্রতিটা প্রাইভেট ও পাবলিক হাসপাতালে আপনারা স্টাফ সেজে অবস্থান নিন। নিজেদের বাহিনীর উপর নিজেরা ভরসা রাখবেন। দ্রুত রিপোর্ট আপগ্রেড করবেন। আগে আপনাদের নিজেদের সম্পর্কে বুঝতে হবে। তারপর হিউম্যান রাইটস এর প্রশ্ন আসবে। হিউম্যান রাইটস না থাকলেও চলবে। আপনাদের ইউনিটি না থাকলে আমরা দু’বছরের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনিমির সেরা দশে আসতে পারবো না। আপনাদের সাহায্য আমাদের অনেক বেশি দরকার। অনেক অনেক বেশি দরকার।



৮। আমার প্রিয়তম মুনকে কৌশলে আমার কাছে আসতে দিন। আমি ওর ভালোবাসা। ও এক নিষ্ঠুর জগতে বাস করছে। এই দয়া ও করুনাটুকু আমায় করুন। আমরা সুন্দর একটি সংসারের স্বপ্নদে খেছিলাম। আজও সেই ঘোর কাটে নি। আর কোনো কালে কাটবেও না। আমরা দু’জন একসাথে থাকতে চাই। কিভাবে এক করবেন তা আপনাদের ব্যপার। তবে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করুন। আজ পারলে আজ আমার মুনকে আমার কাছে দিয়ে দিন। আমি আপনাদের কাছে আবদার করছি। করজোড়ে মিনতী করছি। আসিফ+মুন একটি সুন্দর সংসারের মডেল হয়ে চিরকাল থেকে যাবে। আমি জানি, আপনারা একটু চেষ্টা করলেই আমার এই স্বপ্ন পুরণ করতে পারেন। মুন খুব ভালোমানুষ। আমার জন্য মুন অনেক টর্চারিং এর স্বীকার হয়েছিলো। আজও সেই তেজ আমার মধ্যে আছে। আমার চেতনায় ও রক্তে রক্তে আমার প্রিয়তম মুনের অবস্থান।



১০। দেশের প্রতিটা পোর্ট, লঞ্চটার্মিনাল, বাস স্টোপেজ স্টানে যাত্রি বা কোনো দোকানদার হিসেবে অবস্থান নিন। ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাতারে চলে এসে এখানের দূর্ণীতি দুর করুন। তিতাস গ্যাস, পেট্রোবাংলা, ডেসা, ডেসকো, সিটি কর্পোরেশনে ছোট কর্মকর্তা বা পিয়ন রুপে থাকুন। প্রতিটা ব্যাপার ইনস্টান্ট হাসিনা-হামিদ কে জানান। তারা কান না দিলে আমি দেখবো।



প্রিয় গোয়েন্দা বাহিনী,

আরো কিছু বললাম না। সব কিছু এভাবে বলা ঠিক না। স্বাক্ষাতে বলবো। আমাদের গোয়েন্দা পলিসি হবে আমাদের মত। বহু প্রবাসী বাঙালী বিভিন্ন দেশে আছে, তাদের একটি অংশকে প্রশিক্ষন দিয়ে আমরা কিন্তু বিশ্বজয় করতে পারি বা অন্যদের নতুন একটি ইন্টালেজেনসি উপহার দিতে পারি।



আমাদের দেশ থেকে স্টার জলসা সরে যাচ্ছে শুনে ভালোলাগছে। আমাদের টিভি চ্যানেন দিয়ে বখে যাওয়া সমাজকে ঠিক করতে হবে। আমি ইত্যাদি এবং মাটি ও মানুষ নামের দুটি টেলিস্ট্রেরিয়াল চ্যানেল চালু করার জন্য সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রীর পা ধরে আছি। হানিফ সংকেত ও শাইখ সিরাজ দ্রুত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে নিন। এবং আমার বড় বোন শেখ হাসিনা আপার দ্বারা অনুমোদন করিয়ে নিন। ইনু সাহেব না করতে পারবে না। তিনি বোঝেন যে, এই মুহুর্তে আমাদের সুষ্ঠ বিনোদনের কতো দরকার।



আপনারা ভালোচ্যানেল গুলোকে পাবলিকের মুখে মুখে দিয়ে দেবার দ্বায়িত্ব পালন করবেন। আপনাদের সাহায্য পেলে আমরা এই দুটি চ্যানেল ও আরো যত চ্যানেল আছে, তারা ১০বছরের কাজ ৬মাসে করতে পারবেন। দেশের স্পন্সর দেশে থাকবে।



বন্ধু! আমি জানি, আমি আপনাদের সাথে মাঝে মাঝে বকাবকি করি। পাগলাটে কথা বলি। নির্বাক থাকি। নিজের স্বপ্নকে আপনার মনে গেঁথে দিতে চাই। কেনো আমি এমন করি? শুধু আপনাদের সুখের জন্যই। আপনারা আমাকে প্রেম দিয়ে গ্রহন না করলে, আজ আমি কথা বলতে পারতাম না। তারপরও আমি একজন সাধারন রক্তমাংসের মানুষ। আমি কখনও ভুল ত্রুটির উর্ধে না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আপনাদের সব দুঃখ আমি নিয়ে নিয়েছি। দাঁত দিয়ে কামড়ে সেই কষ্ট ব্যাথাকে ছুরে ফেলে দিয়েছি। এবার অন্তত আপনারা আমার কথা শুনুন। দ্রুত আমার আইডিয়াকে এক্সিকিশন করুন। ভাববেন না। আমি আপনাদের গভীর অন্তর খুব কাছের অন্তরে উঠে এসেছি। এখানে এলে কেউ কোনোদিন পালিয়ে বেড়াতে পারে না। তারপরও আমার পরিবার এই মুহূর্তে স্বচ্ছল না। ওদের নিয়েও আমি ভাবি। টাকার দিকে ছুটি না। টাকা আসবে যাবে। কিন্তু এই যে স্বর্ণালী সময় আপনারা আমাকে উপহার দিচ্ছেন তার ঋণ তো আমাকেই পূরণ করতে হবে। আমি তো সেই দ্বায়িত্ব নিয়েই জন্মেছিলাম। আপনি আমি আপনারা তুমি সবাই আমরা একরকমের দুনিয়ায় থাকি। এখানে কেনো অহেতুক ঝগড়া করবো। আমরা তো ঝগড়া করতে আসি নি। আমরা এসেছি ঝগড়া মিটাতে ও পূর্ণ জীবনী শক্তি নিয়ে বাঁচতে।



আমাকে আপনারা ভালোবেসে যতো বেশি যষ-খ্যাতি-বিখ্যাত করে দিলেন তার ঋণ আমি কি দিয়ে শোধ করবো। আমি ভিষন উত্তপ্ত হয়ে যখন আপনাদের মাঝে “অসম্ভবের আত্মপ্রকাশ” রূপে আবির্ভূত হই। তখন এমন কিছু কথা ছিলো যা রাষ্ট্রিয় আইনের বিপরীতে যায়। তারপরও আপনারা আমাকে ও আমার মুনকে দেখে রেখেছেন। আমাকে যে ভুল বোঝেন নি তাতেই আমি মুগ্ধ। সেদিন যদি আমি কোনো শত্রুদ্বারা মৃত্যুবরন করতাম তাহলে আজকের আমাকে কোথায় পেতেন?



বাবার বয়স হচ্ছে, মা টেনশোনে থাকে, বোনরা এই দুষ্ট/আনকমন/অকর্মন্য ভাই নিয়ে নিজেদের পরিচয় দিতেও লজ্জ্বা পাচ্ছে। আমি চাই তাঁরা আমার আসল পজিশন জানুক। তাঁরা চলে যাবার পর আমি সেই বিখ্যাত হওয়াকে মানতে পারবো না। আমি তাঁদের অনেক ভালোবাসী। তারপরও দূরে দূরে থাকি। বিশ্বশান্তির জন্য যখন যেখানে দৌড়ানোর প্রয়োজন হয় আমি সেইখানে দৌড়াতে পিছ পা হই না। আমার মা, বাবা, বোনরা যদি আমার স্ত্রী মুনকে আমার সাথে না দেখে তাহলে এই দুঃখ তো আপনাদের মাঝেই ডিস্ট্রবিউশন হয়ে যাবে। তাই দেরী করবেন না। মুনের কাছে আমার পজেটিভ ইমেজ নিয়ে এসে কৌশলে কাজ চালাতে হবে। কোনো মিডিয়ায় আমার কোনো নেগেটিভ ইমেজ প্রচার করবেন না।



আপনাদের পেশাদারি কাজ ফুলের মতো সৌরভ ছড়াক ও আপনাদে চিরকল্যান হোক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে ঐসব লোকেরা সরকারের চামচাগিরী আর সরকারের কথামত কাজ করে। নিজেদের কোন আদর্শ ইচ্ছা বলে কিসসু নাই!

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আজ যা নাই কাল তা হবে। আসুন আমরা সবাই একসাথে থাকি। ভালো মন্দ মিলিয়েই মানুষ। ক্ষমাই পরম ধর্ম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.