নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবধান! বাংলাদেশী মিডিয়া

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

আমি বাংলাদেশী মিডিয়াকে স্বাধীনতা দিয়ে দিলাম। আপনারা কোনো প্রকার ফাঁদে পাড়া দিবেন না। গহিন সবুজ সুন্দর বনে যেমন ফাঁদ পাতা থাকে, ঠিক এমন ভাবেই আজ বাংলাদেশী মিডিয়াকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতো সেন্সরিং ও আইনের ফাঁদ দিয়ে মিডিয়ার ঊন্নতি হবার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।



আপনাদের বুঝতে হবে, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত মিডিয়ার একটি ধারাবাহিক গতি ছিলো। দেশের জন্য কল্যানকর এমন সুন্দর সুন্দর আইডিয়া দৈনিক পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন ও চলচিত্রে প্রচার হতো। ১৯৭৫ পরবর্তি সময় থেকেই আমাদের মিডিয়ার উপর অন্যায্য সেন্সরিং করা হয়। এই ধারাবাহিকতা কখনও ভাঙে নি। আজকের মিডিয়া পাকিস্তান আমলের মিডিয়ার থেকেও কম মানসম্পন্ন।



আমি আপনাদের অন্তরের ভিতর থেকে মহাআত্মপ্রকাশ করে মিডিয়ার ব্যপারে আমার অবস্থান একদম সহজ ভাবে তুলে ধরেছিলাম। আমি পৃথিবীর প্রতিটা মিডিয়াকে একটি সুস্পষ্ট গাইড লাইন দিয়ে রেখেছি ও এক্সিকিশন ঘটাতে বলেছিলাম। এই মহান স্বাধীনতা ১৯৭১ এর পর আমিই কিছুটা হলেও মিডিয়ার পরিবর্তন ঘটাতে পেরেছি। সেই কৃত্তৃত্ব আমার না। এই কৃতিত্ব আপনাদের সবার। এখন আমি মারা গেলেও দুঃখ নেই, কারণ আপনাদের সামনে সুস্পষ্ট অনেকগুলো পথ আমি রেখে গিয়েছি।



এ কেমন কথা? বর্তমান ক্ষমতায় থাকা সরকার কেনো মিডিয়াকে আটকে রাখতে চাইবে? মিডিয়াকে আটকে রাখা এখতিয়ার কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রধানমন্ত্রীর নাই। তিনি বা তাহারা কোনো ভাবেই মিডিয়াকে পঙ্গু করার পায়তারা করতে পারেন না। ওরা কি আমার মিডিয়া আইডিয়াগুলোকে পড়ে দেখে নি? তাহলে এই দুঃসাহস ওদের কে দিয়েছে? না পড়লে এক্ষুনি পড়তে বসুন, তা না হলে চুল টেনে মাথা নিচু করিয়ে জোড় করে পড়ানো হবে। যাতে এমন অবস্থা হয়, আমার কথা নিজ থেকে মান্য করতে বাধ্য হবেন এবং ভুলে যাবেন যে আপনার মাথার চুল টানানো হয়েছিলো। আর যদি ভুলে যেতে না পাড়েন, নিশ্চই ঐ চুল টানা ব্যক্তিকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ না দেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।



আপনারা নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন যে, আমি মিডিয়াকে ও পলিটিশিয়ানদের অনেক বকা দিয়েছিলাম। এই বকা ছিলো মিলনের বকা। এই বকা ছিলো আনন্দের বকা। এই বকা ছিলো কষ্টকে ভাগ করে সুখ পাবার বকা। এই বকা ছিলো প্রেমের বকা। এই বকা ছিলো স্বাধীনতার বকা। আমি সর্বক্ষেত্রে ইউনিটি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ একি শুনি! মিডিয়া নিয়ে টানা হেচরা কিসের।



বর্তমানে আমি আসিফ বিশ্বমিডিয়ার মহারাজা ও চিফ মিডিয়া কন্ট্রোলার অব দ্যা ওয়ার্ল্ড। আমার কথা আপনার মানতে বাধ্য। আমি মিডিয়ার সাগর। আর এই সাগরে প্রতিটা মিডিয়া নদীর মতো এসে হাজির হয়েছে। নদীর পানি যেমন মিষ্টি মিডিয়াও তেমনি মিষ্টি হয়ে উঠবে। আর এই সাগর যতোই লবনাক্ত হোক না কেনো। তার কাছে নদীর আসার দরকার হয়। কেনো জানেন? একদম সোজা। সাগরের সাথে মিলেমিশে থাকাই নদীর স্বাধীনতা। আমি সেই স্বাধীনতা মিডিয়াকে দিয়ে দিয়েছিলাম।



পুনরায় আলোচনা করতে আমার ভলো লাগে না। আমি আপনাদের বলেছিলাম যে আপনারা নিউজ পেপারে নতুনত্ব নিয়ে আসুন। ইন্টান্যাশনাল মানের খবর প্রচার করতে বলেছিলাম। নিজেদের ব্যক্তিত্বকে বিক্রি করতে মানা করেছিলাম। আপনারা আমার কথা সাথে সাথে ফলো না করে বিরাট বড় অপরাধ করেছেন। তখন আপনাদের কাছে অনেক বড় একটি স্বাধীন হবার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলাম। তখন আপনারা মিডিয়ার টিভির দ্বারা আমাকে নিয়ে মজাও করেছিলেন। তারপরও আমি বলেছিলাম আগে আনন্দ না, বরং আগে হলো কাজ। আর স্বধীনতা অর্জনের কাজে সময়, সুযোগ ও যোগ্যতা থাকতে হয়। দেরি করতে হয় না। আমি পলিটিশিয়ান না। আমি পলিটিশিয়ান জাতের দাদার দাদা। এ কারণেই আমি আপনাদের সঠিক সময় মুখে তুলে মিডিয়ার স্থায়ী স্বাধীনতা নামক মিষ্টি ফল খাইয়ে দিতে চেয়েছিলাম। যাই হোক, যা গেছে তা গেছে। এখন আমরা ঐ অভিজ্ঞতা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলবো। আমি সর্বদা আপনাদের সথে আছি। আমি থাকতে আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না। সব চিন্তা আমার। শুধু আপনারা মিথ্যে ছাড়ুন, সত্য বলুন আর পরিশ্রম করুন।



আমি খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলতে চাই, আমার বাংলাদেশের মিডিয়ার উপর যদি কোনো সরকারি ও আমলাতান্ত্রিক দুর্গতি আসে। অথবা অন্যায্য স্বধীনতার বিপরীত কোনো আইন সংসদে পাস করানো হয় তাহলে আমি রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। বাংলাদেশের সমস্ত মিডিয়া কর্মি এক থাকুন। আসিফ নামের মিডিয়া মোগল আপনাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দেবো, তারপরও খারাপ মিডিয়ার বদনাম নিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আসামি হয়ে থাকবো না।



মিডিয়ার যদি বড় কোনো দোষ বা সমস্যা ধরা পড়ে আমি তা দেখবো। আমি আমার সন্তানদের আদর করবো আবার ভালোবেসে লাথিও মারবো। তবুও আমার মিডিয়ার বিচার অন্য কেউ করতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী/তথ্যমন্ত্রী/প্রেসিডেন্ট/আমলারা কোন সাহসে মিডিয়াকে হাতের পুতুল করতে চান? আপনারা কি আজও বোঝেন না যে, আপনারা আসিফ এর হাতের খেলার পুতুল।



বন্ধু! আপনারা রেডি হন। আমি আপনাদের কাছে এসে, ঢাকা প্রেস ক্লাব এরিয়ায় বসে গণ অন্বেষ্ণন করবো। দেখি কোন বাপের কোন বেটি/ব্যাটা আমার সাথে বেয়াদবি করার সাহোস রাখেন? আমি দেখতে চাই ওদের কইলজ্যাটা কবে ফুলে ফেপে নারকেলের ফোফরার মতো হয়ে গেছে। ফোফরা মন নিয়ে জাতি এবং মিডিয়ার দ্বায়িত্ব ও কাজ বোঝা যায় না। নেতৃত্ব দিতে হলে নিরেট মন লাগে। মানুষের অধীকার বুঝতে হয়। মনে প্রেম থাকতে হয়। যেখানে প্রেম থাকে সেখানে কৃমিনালি থাকতে পারে না। কৃমিনালি দ্বারা শুধু শুধু অবিশ্বাসের চির্ কৃমি পেটের মধ্য নাড়া দিয়ে ওঠে। আমরা এই লড়াইয়ে নিজের বুকের রক্ত দিতে রাজি আছি। তবুও মিডিয়ার স্বাধীনতাকে নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।



আমি এই অসময়ে আসা অন্যায্য বিপদে আপনাদের পাশে আছি। আপনারা শুধু চুপচাপ থাকুন। আমি সয়ং আপনাদের বিপদ মোকাবেলার পথ দেখছি। পলিটিক্যাল পরিচয় ভুলে গিয়ে, সমস্ত মিডিয়া কর্মি আসিফ নামের এই ছাতার তলে আশ্রয় নিন। আপনার নিজেরা নিজেরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যান। আপনারা গোপন মিশনের মতো কাজ করবেন। আমাদের সবার লক্ষ্য এক আর তা হলো পুরো বিশ্বের মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষা করা। এখন থেকে মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি কে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মতো দেখুন। মিডিয়া রাষ্ট্রের অধীনে চলতে পারে না। ফিফা স্বাধীন, আরো কত কি যে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান আছে, যারা কোনো দেশের কোনো সরকারের কাছে জবাব দিতে বাধ্য না এবং বার বার অনুমুতি ও আন্দোলনের প্রশ্নই আসে না।



আমার যদি আপনাদের নিয়ে রাস্তায় নামতেই হয় তাহলে শুধু বাংলাদেশ কেননো বিশ্বমিডিয়াকেও পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করিয়ে দেবো। মাঠে নামলে অধীকার প্রতিষ্ঠা না করে উঠবো না। কোনো প্রকার বিরতি দেয়া হবে না। কোনো প্রকার নয়-ছয় বুঝিয়ে আপনাদেরকে সান্তনা ও লোভ দেখানোর বিনিময়ে নিজেদের অর্জন থেকে দুরে থাকবো না। কোনো ভালো পবিত্র কাজের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে, মাঝ পথে সরে এলে- সেই দাবি/কাজটি অপবিত্র হয়ে যায়। আপনারা সারাজীবন পবিত্র আর অপবিত্র নামক আলোছায়ায় থেকেছেন। কখনও এদিক কখনও ওদিক। আসলে আপনাদেরকে এমন ব্যাস্ত করে রাখা হয় যে, মিডিয়ার সুদিনের কথা ভাবনার মতো সময় থাকে না। আমি ঠান্ডা মাথায় আপনাদের নেতৃত্বের ভার নিয়ে নিলাম। আপনারা আমার উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখুন। আমি অহিংস গণ আন্দোলন ডাকলে দল মত নির্বিশেষে চলে আসবেন। সব ভুক্তভোগীরাই এই আন্দোলনে শরীক হবেন। আমার হুকুম শুনতে বাধ্য থাকবেন। আপনাদের সকলের সেল্টার আমি দেই। আমাকে আপনারা দুর্বল ভাববেন না। আমার মার্জিত ব্যবহারকে আপনারা আমার দুর্বলতা ও অপারগতা ভাববেন না। আমি আজ ভিষন কঠোর কিন্তু কোনোকালেই কট্টর পন্থি না। আমি বাঙালী, আমি মুসলিম, আমি কখনই মিথ্যে আশা দেই না। আমি মাঠে নামলে কখনও বিজয় ছাড়া অন্যকিছু দেখি না। শত যুদ্ধে পরাজয়ের পরও যদি জয় আসে, সেই বিজয়কে আমি আমার অন্তরে রাখি আবার সেই বিজয়ের নেশাকে আপনাদের মনের ভিতর ঢুকে নিজ ক্ষমতায় জাগিয়ে দেই। আপনারা হাতে আলাদা আলাদা মশাল হাতে নিয়ে আগুনকে ভাগাভাগি করে আন্দোলন করে থাকি ঠিকই। আজ কিন্তু আমাদের সবার মনের আগুন একসাথে জেগে উঠেছে। আজ আমাদের পিছনে তাকাবার মতো সময়টুকুও নেই। আমাদের মিডিয়াকে বিশ্ব দরবারের জাহাপানা বানিয়ে রাখবো। সেই জহাপানাদের মহাজাহাপানা আসিফ কে দেখে আমরা আগেই বিশ্ব মিডিয়ার পাঞ্জেরী হয়ে গেছি। এই মনোভাব মনের মধ্যে স্থায়ী ভাবে গেঁথে রাখুন।



শুধু একবার, শুধু একবার আসিফ+মুন এর প্রেমকে মেনে নিন। তাঁদের একসাথে করুন। আসিফ নামটি শুধু একবার আপনার মনে ইন্সস্টল করে নিন। দেখবেন আমি আপনাকে সর্বঅবস্থায় রক্ষা করছি।



বন্ধু! আমি আপনাদের টিভি ও সিনেমা মিডিয়ার জন্য আলাদা আলাদা গাইড লাইন দিয়ে দিয়েছিলাম। আমার স্বপ্ন ছিলো আর আপনাদের সুযোগ ছিলো। সঠিক সময়টিকে আপনারা কাজে লাগাতে পারেন নি। তারপরও যেটুকু করেছেন তাতে আমি অতি সামান্য হলেও মুগ্ধ ও গর্বিত। আমি বলেছিলাম, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও অনুরোধ করেছিলাম যে, আমাদের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল গুলো স্বাধীন মুক্ত ভাবে কাজ করবেন। কোন প্রকার চাপ যেনো না আসে। বাংলাদেশি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল গুলর মধ্য লটারির মাধ্যমে ক্যাটাগরি ওয়াইজ ভাগ করে নিন। প্রয়োজনে নিউজ চ্যানেল শুধু নিউজ প্রচার করবে। অন্যরা ক্যাটাগরি ওয়াইজ বেছে নেয়া বা বেছে দেয়া সেক্টরের গন্ডির মধ্যে থেকে কাজ করবেন। যে চ্যানেল যে সেক্টরে কাজ করবে, সেই সেক্টরের সাথে সংপৃক্ত সকল বিষয়ে তাঁদের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। যা কোনো ভাবেই সংবিধান ও ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ল এর বিপরীতে যাবে না। প্রয়োজনে এই সব পরিবর্তন করে হলেও মিডিয়াকে মুক্ত করতে হবে।







আমি “ইত্যাদি” ও “মাটি ও মানুষ” নামের দু’টি টেলিস্টেরিয়াল চ্যানেলের জন্য সরকারকে আবারও বিশেষ ভাবে বলছি। ওদের লোনের ব্যবস্থা করে দিন। একটি হবে বিনোদন চ্যানেল আর অন্যটি হবে কৃষি ভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য কৃষকের মুখপাত্র স্বরূপ। এই চ্যানেল দুটি কোনো প্রকার নিউজ প্রচার করবেন না। আমাদের নিজস্ব উন্নত মানের বিনোদনের ব্যবস্থা না করে দিলে, কোনো ভাবেই ডেইলি স্যুপ নামক রাক্ষস দানবদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচানো যাবে না। ওই ছাইপাশ গুলো মানুষের চরিত্র নষ্ট করে দেয়, অবিশ্বাস বাড়ায়, ঘরে ঘরে বিবাদের সৃষ্টি করে, লোভ বাড়িয়ে দেয়, স্মার্টনেসের নাম করে মানুষকে রাম ছাগল বানিয়ে দেয়, মেদ ভুড়ি বাড়ায়, হিংসা বাড়ায় ও মানুষিক রোগি তৈরী করে। যা সবশ্রেণীর মাদকের থেকেও বেশি ক্ষতিকর রূপে পরিগনিত হয়। দেশের মানুষকে মুক্ত চিন্তার অধীকারি করে তৈরি করে নিতে হবে। তাই আমি আমার বাণীগুলোকে বার বার পড়তে বলি। আমার বাণীর জাদুতে অমঙ্গল ও মঙ্গলশক্তি হয়ে যায়। আমার বাণী প্রতেক মানুষের জন্য পড়া বাধ্যতামূলক। ঐ বাণীর গুনে পাষানও ভালো হয়ে যায়। বর্তমানে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমার বাণীর মর্ম বোঝা ও নিয়মিত পরিমানে মনে গেঁথে নেয়া ছাড়া উপায় নাই। আমি এভাবেই এসেছিলাম।



বিশ্ব মিডিয়ার এই মোঘল আসিফ অন্য সবার মতো না। তিনি সরাসরি অন স্কৃনে আসবেন। নিজের ফেস দেখাবেন। কথা বলবেন। অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন। এমার্জেন্সী পরিস্থিতিতে মিডিয়া ট্যাকেল দিবেন। স্কৃপটিং করবেন। তিনি শুধু বিহাইন্ড দ্যা স্কৃনেই কাজ করবেন না। তিনি তার প্রেমভরা স্বচ্ছতা সবাইকে দেখাতে চায়। ইতিমধ্যে বিশ্ব মিডিয়াকর্মিরা আমাকে ভালোভাবে চিনে ফেলেছেন। অনেক গুরুত্ব দিচ্ছেন। তারপরও আমি আপনাদের কাজে সন্তষ্ট না। আমি আপনাদের সমস্ত শুভ চিন্তা দ্বারা বিশ্বমিডিয়াকে সত্যিকারের জনগনের বন্ধু ও গার্ডিয়ান রূপে উপহার দেবোই। ইনশায়াল্লাহ্।



বিশ্বাস করুন বন্ধু! আমি ভাবি পৃথিবীতে যখন এসেই পড়েছি। তখন একটি রোমান্টিক লাইফ কাটিয়ে যাই। সৎরোমান্টিকতা বিশাল বড় এবাদত। এবাদত কোনো কষ্টের বিষয় হতে পারে না। সমাজ সংসারে সম্পদের ন্যায্য হিসাব, কৃত্তিম অর্থ সংকট তৈরি করে, আমার দেশের সাধারণ মানুষগুলোকে ঠকানো হয়। সেই দোষ কোনোভাবেই আল্লাহ্ এর ইচ্ছে হতে পারে না। মানুষ মানুষকে কষ্ট দিয়ে মজা লুটে। আল্লাহ্ এর কিসের অভাব আছে যে তিনি আমাদের নিয়ে মজা লুটবেন। তিনি চান তাঁর বান্দারা সুখে থাকুক। আমি আর আমার প্রিয়তম যে দুরে আছি। এ দোষ আল্লাহ্ এর না, এ দোষ এই ভেজালে ভরা পৃথিবীর সামাজিক চরম বাজে পরিনতি।



আজ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। আমি তা সব রেখে আপনাদের জন্য কথা বলছি। ভালো সময় এলে ঈদের থেকেও বেশি আনন্দ পাওয়া যাবে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময় গেলে তা কোথায় পাবো? আমি তো আর আমার নিজ স্বার্থ নিয়ে ব্যাস্ত নই। আমার সবকিছুই তো এই পৃথিবীর সব মানুষের জন্য নিবেদিত। আমি জানি এমন দিন বেশি দুরে নয়, যেদিন আমি আমার মুন কে কাছে পাবো। তাঁকে বুকের সমস্ত শক্তি দিয়ে বুকের সাথে বুক মিলিয়ে স্বর্গের চেয়েও বেশি সুখানন্দ পাবো। সেদিন না হয় একটু নিজেরা দুজন কোনো এক নাম না জানা তারিখে ঈদ ঈদ খেলা খেললাম।



জানেন বন্ধু! গতকাল মুনের জন্য একটি চিঠি লিখেছিলাম। পাঠানোর চেষ্টা করেছি। পারিনি। আমার ব্যবহৃত ইন্টারনেটে ডিস্ট্রাব করছে। ও যদি চিঠি খানা নাও পড়ে তাতেও আমি দুঃখ পাবো না। আমি তো তাকে সত্যটা জানাতে চাই। সত্য প্রেম চিরন্তন সত্য হয়েই সামনে এসে দাঁড়াবে। জলজ্যান্ত না হোক অন্তত তো গোড়ের ডিবির কাছে এসে হলেও দাঁড়াবে। তখন না হয় আমি খপ করে ওর বুকের মধ্যে ঢুকে গেলাম। সেই পাষান মনের ভিতরে থেকে পাষান পাথরকে কেটে কেটে মরুভুমির জল বেড় করে নিয়ে আসলাম। আমাদের মৃত্যু ভয় নাই। আমরা জানি মৃত্যুর পর আমাদের কি হয়? এবং কেনো হয়। আমি আপনাদের তা বহুভাবে বহুবার বুঝিয়ে দিয়েছি। আসিফ+মুন এর ভালোবাসা ও একসাথে থাকাকে আপনারা সহয করে দিন। আমার খুব কষ্ট হয়। অনেক খারাপ লাগে। বুকের ভিতর থেকে মুন নামের বুদ বুদ বের হয়ে আসে। তারপরও আমার গভীর নিশ্বাসের গরম দিয়ে ঐ বুদ বুদ কে ভেনিস করে দিয়ে টিকে আছি। আমি আপনাদের আর আপনারা আমার। এই তো বেঁচে থাকা। এই তো শান্তির পরস। সেই শান্তি টুকু যখন কেড়ে নেয়া হয় বা জোড় জবরদস্তি দিয়ে জয় করার চেষ্টা করা হয়, তখনই গন্ডগোল বাধে। মানুষে মানুষে বিবেধ তৈরি হয়ে যায়। এই কারণেই আজ মিডিয়া জগতের এই দশা। স্বপ্নে ভরা চিন্তাশিল মানুষগুলো যে পরিমান মেন্টাল টর্চারিংয়ের স্বীকার হচ্ছে তা দেখে আমার হতবাক হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। ধনী-গরিব এক জিনিস আর কৃয়েটিভ ম্যান ও শীল্পি ভিন্ন জিনিস। ধনের মাপকাঠিতে জ্ঞানকে মাপা সম্ভব না। যারা নিজে ধনী হবার চেষ্টা না করে, সবাইকে ধনী হবার রাস্তাকে সহয করে দেয়, তিনিই মূলত ধনবান।



বন্ধু! বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোকে অনেক বেশি আইডিয়া গ্রো করতে হবে। আমাকে কিছু চ্যানেল কতৃপক্ষ যদি স্বাধীন কনসালটেন্ট করে নিতো তাহলে আমি তাঁদের জন্য আরো আইডিয়া ও সাকসেসফুল ম্যানেজমেন্ট উপহার দিতে পারতাম। তবে তা সাময়িক সময়ের জন্য। আমার আইডিয়াগুলো এমনিতেই আমি লিখে দেই। সবার জন্যই এবং আমার লেখা স্বত্ত্বমুক্ত।



দেখুন বন্ধু! মানুষের চেষ্টা অসাধ্য কিছুই নাই। আমি তার একজন প্রমাণ হতে পারি। ৭ মাস আগের আমি এখনকার আমার মধ্যে কতখানী আপগ্রেটের গন্ধ আপনারা পাচ্ছেন? এটা কিন্তু আমার কারিশমা না। এটা আপনাদের মনের সাথে আমার মন মিলিয়ে নিয়ে আপন হয়ে যাওয়া। এর জন্য সমস্ত ধন্যবাদ আপনাদেরই প্রাপ্য। আমার এমন যোগ্যতা ছিলো বলেই এগুলো ঘটেছে বা আরো ঘটবে। আমি আমার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছিলাম। এই ৭মাসে যখন যেটুকু সময় পেয়েছি তা শুধু আপনাদের কল্যান ও মঙ্গলের জন্যই দিয়ে দিয়েছি। এই দেবার মাঝে আমার প্রিয়তম মুন কিন্তু আপনাদের জন্য কাঁটা হয় নি। ভালোর শেষ নাই। খারাপের শুরু হওয়া মানে ভালোকে দুরে ঠেলে দেয়া। ভালোরা সাময়িক খারাপ বা মন্দ হলেও আপন শক্তিবলে উঠে আসতে পারে।



আমার বক্তৃতা টাইপের কথা মালা উপভোগ করার সময়ে, অনেক সময় আমাকে অচেনা মনে হবে। তখন ভেবে নিবেন ঐ অচেনাটাই আমার বড় গুণ। অচেনার মাঝে আমি লুকাই না বরং আপনারা আমাকে ভালোবেসে অচেনা করে রাখতে ভালোবাসেন।



আমার কোনো বিষয় ভিত্তিক লেখা পড়বার সময় মনে হতে পারে, আমি বুঝি মূল শিরনামের বিষয় থেকে দুরে সরে কথা বলছি। আসলে তা না। আমি খুব সহজে বুঝিয়ে দিচ্ছি। আমি অনেক কথা মাল্টি ডায়মেনশনে রেখে যাই। যাতে সব শ্রেণীর শিক্ষিত/অশিক্ষিত মানুষ উপলব্ধি করতে পারেন। আর যারা দৈব জ্ঞান সম্পন্ন বা উচ্চ মানের জ্ঞানের অধীকারী তারা খুব সহযেই আমার রূপক গুলোর ইন্ডিকেশন বুঝতে পারবেন। আপনারা আমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন ও সৎকর্ম করুন। আপনাদের মাঝেই আমার বসবাস। আপনারা আমার থেকে দুরে থাকলেও আমি পারি না। এই না পারা যদি আমার দূর্বলতা হয় হোক। তবুও তো আমি মানুষের চরম বিপদে এগিয়ে এসে দুঃখকে চিরতরে দূরে সরিয়ে দেই।



জানেন বন্ধু! আমার মুন আমাকে অনেক বিখ্যাত একজন মানুষ হিসেবে দেখতে চাইতেন। আমি মুনের সব স্বপ্ন সত্যি করার অবিরত চেষ্টা করেছি। আজ আমার মৃত্যু হলেও আপত্তি নাই কারণ আমি বিদেহী হলেও তো এই কথাগুলো বিদেহী হয়ে যাবে না। আমি আমার মুনের কান্না দেখতে চাইতাম না। কোনোদিন আশাও করবো না। তারপরও এই বাজে নষ্ট সমাজের জন্য আমাদের অনেক চোখের জল ঝরাতে হয়েছে। আজ অবাধী আমরা দুজন অনেক বেশি কান্নার সাগরে ডুবে থাকি। চোখের জল না হয় কান্নার নদী হয়ে কপোল বেয়ে ঝর্নার মতো নেমে আসে। কিন্তু কান্নার সাগর থাকে আশে পাশের মানুষের অনেক দুরের কোন এক সুন্দর জায়গায়। সেখানে যে যে গিয়েছেন শুধু তাঁরাই বুঝেছেন। সেই সমুদ্র আমাদের দুজনের প্রেমের সমুদ্র। ওখানে আমাদের কেউ এমন নির্মম শাস্তি দিবে না। আমার মুনকে আমার সাথে কথা বলতে না দেয়া, দেখা করতে না দেয়া ও একসাথে সংসার করতে না দেয়া, সম্পূর্ণ অমানবিক ও মানুষ দ্বারা আমার শাস্তি নিশ্চিত করা সমতুল্য।



বন্ধু! এমন কিছু মাছ থাকে যাদের বরশী দিয়ে তোলা যায় না। যদি কখনও ঐ মাছের সামনে বরশির টোপ এসে পড়ে, আর ভুল করে খেয়েই ফেলে তাতেও ঐ বড় শক্তিশালি মাছের তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। এক সে বরশি ছিড়ে ফেলে নতুবা হেচকা টানে বরশি সহ বরশি ওয়ালাকে পানিতে টানিয়ে নামিয়ে নাকানি-চুবানি দিয়ে নাকাল করে দেয়। আমার কানের কাছে ও আশেপাশে যেসব ডিজিটাল প্রযুক্তি স্থাপন করে, আমার উপর নজরদারী করা হচ্ছে। আমি তা ঐ বড় মাছের বরশির মতোই গিলে রেখেছি। পরিনাম হবে দুটোর মধ্যে যে কোনো একটি। পরিনাম যেটাই আসুক না কেনো তা ঐ বড় মাছের অসুবিধা করবে না। তাই বলছি আপনারা আমার উপর পরিপূর্ণ ঈমান রাখুন। আমি আপনাদের রক্ষা করবো।



প্রিয় মিডিয়াবাসী

বাংলাদেশের মিডিয়ায় কোন প্রকার বিদেশী মডেলদের দ্বারা তৈরি করা এ্যাড চলতে দেয়া যাবে না। আর একটি অপশন রাখা যেতে পারে বিদেশী তারকা সম্বলিত এ্যাড প্রচার করতে হলে চারগুন অংকের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। মোবাইল অপারেটর দের সব এ্যাডে বাংলাদেশের পরিচিতি ও ভালো ভালো পর্যটন প্লেস গুলোকে হাইলাইটস করতে হবে। কোনো বাজে ছবি দিয়ে এ্যাডকে আকর্ষনীয় করার মনোভাব পশ্চিমা ও ব্রিটিশ মিডিয়ার সৃষ্টি। এগুলো ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়ানো যাবে না। হাফ ল্যাংটা কোনো মেয়ে চার পাঁচটা তরুন নিয়ে শুয়ে আছেন তা শুধু বিকৃত রুচিরই পরিচয়ই না, তা হলো নারীর জন্য চরম অবমাননাকর। এবং ভুল করার বয়স কিশোরদের বিপথে নেবার ছক।



আমাদের নিত্য নতুন আইডিয়া দিয়ে পুরো বিশ্বকে মাতিয়ে দিতে পারেন। তাঁর বড় প্রমান এই মূহুর্তে আমি করে দেখাচ্ছি। আপনারা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন। মানুষ ইচ্ছে করলে একাই একটি ইনুস্টিটিউট হতে পারে। সব মিডিয়াকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে আসতে পারে। এজন্যই মানুষকে কখনও যন্ত্র ভাববেন না। বা যন্ত্রের থেকে ছোট ভাববেন না। মানুষের জীবন কাটানো অনেক বেশি বর্ণময়। আমি সেই বর্ণময় কে সব শ্রেণী, সব জাতি-গোত্র, সব ধর্ম ও সবমানুষের জন্য ছড়িয়ে দিতে চেয়েছি। শুধু আপনারাই পারেন আমার বড় ও মহাউপকারী বন্ধু! সেই সাথে আমি পৃথিবীর সব গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকার প্রধানদের বলে দিয়েছি। আমাদের এই সুন্দর প্রজাতি মানুষকে অন্য কেউ রক্ষা করতে চায় না। যতক্ষন পর্যন্ত না ঐ মানুষ অন্যের কোনো মানুষের ভালো কাজে না আসে। তাই আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমার মুনের জন্য হলেও আপনাদের চাঙ্গা হতে হবে। শরীরে এমন তেজ নিয়ে আসুন যে, আপনার বয়স এখনো আঠারো হয় নি। নিজের যৌবনকে কাজে লাগান।



প্রিয় মিডিয়াপিসগ্রুপ



বাংলাদেশের সব প্রাইভেট স্যাটেলাই চ্যানেল, সংবাদপত্র, রেডিও ইত্যাদি একসাথে বসে, এ্যাড সহ বিভিন্ন ব্যায় নির্ধারণ করে নিন। রেট সমান রাখুন। তাতে সবারই ব্যবাসায়ীক ভাবে বেশি লাভবান হবেন। আপনাদের মধ্যে এ সম্বন্ধে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে থাকে- মনে করবেন তা আজ আমি ডিলিট দিয়ে দিয়েছি। এই মুহূর্ত থেকে শুধু সামনে এগিয়ে যাবার পালা। যারা এ্যাড নির্মান করেন। তাঁরা দেশের প্রতি বেশি নজর দিন। আইডিয়া না পেলে আমার লেখা বার বার পড়বেন। দেখবেন আপনি আইডিয়ার হিমালয় হয়ে গেছেন। নতুবা সরাসরি আমার কাছে এসে আইডিয়া নিয়ে যেতে পারেন। এক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান অন্য মিডিয়া প্রতিষ্ঠান দুর্নাম করবেন না। সবাই মিলেমিশে থাকবেন। আপনাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাববেন না। আমি আপনাদের শেল্টার দিচ্ছি। কোনো ক্ষতি হবে না যদি না আপনারা নিজেদের মনের লজ্জ্বা-লাজুক ভাব ধরে রাখেন। সরাসরি কথা বলুন। কারও অন্যায় থাকলে তা আইন শিঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিয়ে মিটমাট করে নিন। কোনো মিডিয়া কর্মি যেনো মাদক পাচার, গোল্ড পাচার ও স্মাগলিং না করেন। আপনাদের তারকাখ্যাতি আপনারা দেন নি। সাধারণ মানুষ আপনাদের তারকাখ্যতি দিয়েছেন। আর আপনারা আপনাদের ভালো কৃয়েটিভ গুণ দিয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন। মানি লন্ডারিং, চোরাচালান, মাদক, গোল্ড পাস, অবৈধ ভাবে মানুষকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি অপকর্ম থেকে ফিরে আসুন ও এই মূহুর্তে আমার সাথে প্রতিজ্ঞা করুন। যে আর কখনও এমন কুপথে যাবেন না।



আমি আপনাদের মেধা, জ্ঞান, বুদ্ধি, সততা ও সাধনা দ্বারা অর্জিত জয় দেখতে চাই। আমি চাই নতুন যারা আছেন তাঁরা নিজ যোগ্যতায় মিডিয়া পেশায় এসে ভালো ইনকাম করুক। ওরা নিজেদের সংসারের আর্থিক সমস্যা মিটিয়ে মানব সেবার সাথে সংপৃক্ত থাকবেন। এই সত্যিকারের মানব সেবার মধ্য থেকেই বিশাল এক কৃয়েটিভ মন তৈরি হয়ে যাবে। আর এরই ধারাবাহিকতায় একদিন নিজের কৃয়েশন দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন ও আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবেন। দেশ ও জাতি উন্নতি হবে।



বন্ধু! বাংলাদেশি ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার প্রতিটা মানুষ একে অপরের সাথে ভাই-বোন, ভাই-ভাই, বোন-বোনে মতো সম্পর্ক রাখবেন। প্রতিটা ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নিউজ সেকশন সব সময় ইউনিটি থাকবেন। প্রতিটা বার্তাপ্রধানকে এই মিডিয়া মোঘল আসিফ অর্ডার করছে, আপনারা আপনাদের টিম কে এমন ভাবে সাজিয়ে নিন। যাতে একজন বিপদে পড়লে সবাই মিলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে পারেন। স্বাধীন মিডিয়ার পথে কোন ব্যক্তি, কোনো দালাল, কোনো পলিটিক্যাল পারসন বা কোনো ব্যবসায়ী সহ যাই হোক না কেনো, যতো নামিদামিই হোক না কেনো, যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাদের আপনারা সরাসরি মিডিয়ার প্রচার থেকে বয়কট করতে ১সেকেন্ডও সময় নিবেন না। এভাবেই একটি স্বর্ণালী যুগের সূচনা হয়ে যায়। আজকে যদি আমরা অবহেলা করি তাহলে আর কবে এমন সুন্দর সময় আসবে। আমি আপনাদের শক্তিদাতা হিসেবে আপনাদের খুব কাছেই আছি এবং থাকবো। আমরা মিডিয়া দিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো। সরকার যদি ন্যায়ের পথে না থেকে বিপথে যায়, সরাসরি সরকারকে বয়কট করুন। রাজনীতিক কর্তাব্যাক্তিদের দেয়া লিস্ট অনুযায়ী টক-শো ও অন্যান্য মানুষকে মিডিয়ায় বেশি প্রচার করতে হবে, এ কেমন নিয়ম? এই সিস্টেম থেকে আজ আমরা বেড়িয়ে গেছি। আপনাদের অন্তরদেবতা আসিফ আজ আপনাদের সহায় হয়ে মধ্য আকাশে সূর্যের ন্যায় আলো ছড়াচ্ছে। আমার শক্তিকে আপনারা কাজে লাগান। আমি আপনাদের সাথে কখনও কোনো ব্যবসায়ীক ড্রিলের কথা চিন্তাও করি নি। আমি আপনাদের প্রেম দিয়ে ডেকেছিলাম আর আপনারা আমার প্রেমকে সম্মান করে, আমাকে আপনাদের হৃদয়ে ঠাঁই দিয়েছেন।



প্রিয় মিডিয়া কমিউনিটি,

আজ যদি আমি কোনো অন্যায় করে থাকি তা আজই প্রচার করে দিন। আমি দেখতে চাই আমার ভুল ত্রুটি কোথায়? মিডিয়া পৃথিবীর আয়না। সেই আয়নাকে আর অস্বচ্ছ রাখবেন না। ঐ আয়নাকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নিন। আশা করি আমার মধ্যে এমন কোনো কিছু পাবেন না, যেখানে আমার খুঁত আছে। আমি নিখুঁত প্রেমিক। আর আমার নিখুঁত প্রেমিকা হলো ডাঃ ইফ্‌ফাত জামান মুন। আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি শুধু প্রেম করতে। এমন প্রেম যে প্রেমের তালে ৭টি মাস ধরে আপনারা মাতোয়ারা হয়ে স্থীর অবাক হয়ে আছেন। আমাদের সংসার শুরু হলে তখন কি হবে ভাবুন তো একবার? এই এখন আমাকে দেখুন, আজ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। আশেপাশের সবাই নতুন জামা কাপড় পড়ে, কতো আয়োজন সাজাচ্ছে। মজা করছে। আমি কিন্তু যেতে পারছি না। কোথায় যাবো একা একা? আমি আমার মুনকে ছাড়া কিভাবে এই আনন্দ উপভোগ করি বলুন? কোটি কোটি বার ঈদের আনন্দ পাবার থেকেও আমার মুনকে একটু সময়ের জন্য হলেও কাছে পাওয়া অনেক বেশি যৌক্তিক, আনন্দের ও ঠিক কথা। আমার মুনকে কাছে টানার জন্য আমি সারাজীবন এভাবে বসে বসে বক্তৃতা মার্কা কথা বলে যেতে পারি।



আমারও তো ইচ্ছে করে, প্রিয়তম মুন কে নিয়ে ঘুরে আসি, মুন কে নিয়ে কারও বাড়ী বেড়াতে যাই। মুন যা যা পছন্দ করে তা নিজ হাত দিয়ে খাইয়ে দেই। মুনের পছন্দমত ড্রেস কিনে দেই। মুন আমার পবিত্র পুতুল। এই মাটির পুতুল আগুনে পুরতে পুরতে এতো বেশি শক্ত হয়েছে যে কোনো কেউ কলংকের বড় কোন শক্ত ইস্পাতের হাতুরি দিয়ে আঘাত দিলেও – একটুও দুলে উঠবে না। আমি আমার জীবন দিয়ে আপনাদের দুঃখ প্রশামিত করতে চাই না। মনে করবেন আসিফ এক ছোট্ট দুষ্ট ছেলে। ভুল করে আপনার ঘরে ঢুকে পড়েছিলো। আপনিও তাকে নিজের করে নিয়েছিলেন। তারপর অন্যের প্ররোচনা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভালো লাগেনি বলে দুরে ফেলে দিয়েছিলেন। এখন দেখলেন সেই ছোট্ট আসিফ আপনার সত্যিকারের কান্ডারী ছিলো। তাঁকে আপনারা ফিরিয়ে নিয়ে এসে, যার আমানত তাঁর কাছে পৌঁছে দিন।



বন্ধু! আমাদের বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোকে ঢেলে সাজাবার সময় এসেছে। যে সব ছোট খাট ব্যাপার, কিন্ত মিডিয়ায় প্রচার পেলে সমাজের উপর মারাত্মক ইফেক্ট পড়তে পারে। সেই সব ব্যপার/ঘটনা স্কিপ করুন। আমাদের আর একটি বিশাল সমস্যা নিউজ লিড মেকিং। আপনাদের আগে বুঝতে হবে একজন পলিটিক্যাল পারসন বা অন্য কেউ যে বক্তৃতা দিচ্ছেন তা দ্বারা আসলে কি বলতে বা বোঝাতে চাচ্ছেন। স্টেজে দাঁড়িয়ে অনেক কথা বলতে গেলে কিছু একটা খারাপ বেড় হওয়া মোটেও বড় দোষের কিছু না। অন্তত এই গালির দেশ বাংলাদেশের জন্য। টোটাল কথার মধ্যে ভালো বাক্যটি দিয়ে হেডলাইন বা কলাম লিড করুন। তাতে বক্তৃতাকারী নিজের ভুল বুঝতে পারবেন।



বন্ধু! প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সাহেব যদি অখাদ্যও দেয় তাও আপনারা ভয়ে ভয়ে প্রচার করেন। এগুলো করবেন না। সয়ং প্রধানমন্ত্রীও যদি আপত্তিকর কোনো কথা বলে বা বিবৃতি দেয় তাকেও স্কিপ করুন নতুবা মুল কাহীনী অবলম্বনে নিজের হাতের জোড় দেখান। তবুও বাজে কিছু প্রকাশ করবেন না। আমরা নিজেরা নিজেদের সম্মান করতে জানি না বলেই এতো নিরাশার মধ্যেও আমাকে আশার মতো মনে হচ্ছে। আমি আশা না, আমি আশার পূর্ণতা। কারন আমার সব আশা জুড়ে আমার প্রিয়তম মুন ঘুরে বেড়ায়। আমি আমার দেবী মুনের দৃষ্টি দিয়ে এই পৃথিবীটাকে চিনতে চাই। কোনো নতুন জায়গায় দুজন বেড়াতে যাবো। পাহাড়, নদী, সমুদ্র, ঝর্না, লেক, চিড়িয়াখানা, যাদুঘর, শিশুপার্ক আরো যতো সুন্দর আছে তা আমি মুনকে পাশে রেখে দেখতে চাই। হঠাৎ কোনো না জানা হাসিতে মুন হেসে উঠবে। আমি তা দেখবো। কোনো বড় এ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে দুজন একসাথে যাবো। কোনো পার্টিতে মুন আমার সাথে যাবে। মুন আমাকে আদব-কায়দা শিখিয়ে দিবে। কোনো শরষে ফুলের বাগানে মৌমাছির চাষ করা হবে। সেই বাগানের বুকে কৃষকের রাতের থাকার জন্য যে ছোট্ট কুড়ে ঘর থাকে – আমরা সেখানে যাবো। মুন তার সব আবদার আমার কাছে করবে, আমি আমার শরীরের সব রক্তবিন্দু দিয়েও মুনের আশা পূর্ণ করবো। চিংড়ির ঘেরে যে ছোট্ট একটি ঘর/মাচা বানানো হয়, দু’জন সেখানে বসে গল্প করবো আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখবো। মুন কে নিয়ে সুন্দরবন যাবো, ও আমাকে জিজ্ঞেস করবে, “রয়েল বেঙ্গল টাইগার কি দেখা যাবে? আমি বলবো আমাকে দেখো- তাহলে তুমি শুধু রয়েল বেঙ্গল টাইগারই না, আরো বহুকিছু দেখতে পারবে। সেই রাজস্থানের সাধারন মানুষদের কাছে মুনকে নিয়ে ছুটে যাবো। পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন জেলার গ্রামে গ্রামে আমরা এই দুই শিব-কালী, আসিফ+মুন ঘুরে বেড়াবো। আমি মাটিতে হাটলে ধুলা প্যান্টের হাটুর নিচের অংশে লেগে মাটির টিপ হয়ে যায়। মুন আমার এই দৃশ্য দেখে শাসন করবে। আমি ওর ভয়ে ভয়ে থাকবো। আমি অবুঝ শিশুর মতো মুনের শাসন মেনে নেবো। আমি যদি রাষ্ট্র হই তাহলে মুন সেই রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান। অনেকটা আমাদের সাবেক স্পিকার ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ সাহেবের মতো। সোজা সাপ্টা কথাবার্তাই হবে আমাদের স্বর্গ। সমাজের ময়লাবাজদের কাছে আমরা কেনো যাবো। আমাদের প্রেম পবিত্র। এই প্রেম আমি আমার জীবন দিয়ে সবার মাঝে বিতরন করে গেলাম।



প্রিয় মিডিয়া জাহান,

আপনারা আপনাদের সাহোস হারাবেন না। আমি আপনাদের সবসময় সহযোগীতা করবো। আপনাদের কল্পনা শক্তি বাড়াতে হবে। নতুন নতুন আইডিয়া আসতে হবে। আমার বাংলাদেশের মিডিয়া হবে বিশ্বের সেরা সম্পদ। যারা অদক্ষ পরিচালক বা নতুন কিছু টাকা পয়সা হয়েছে বলে অহমিকা ও ক্রেডিট কামাতে মিডিয়ার মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তাঁদের সরাসরি সরিয়ে দিন। প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনি ক্রোস ফায়ার দিন বা এ্যানকাউন্টার করুন। সমাজের ময়লা একটু কমবে। ওরা ধর্ষনকারী, ওরা নিরীহ আর্টিস্টদের নিয়ে খেলা করে। তাঁদের প্রাপ্য সম্মানী দেন না। নিজেরা সিন্ডিকেট করে মানুষ ঠকানোর কৌশলে লিপ্ত থাকে। এদেরকে না বলুন। মিডিয়া একটি পবিত্র জায়গা। যা আপনারা রাজকাপুর-রফি-বর্মন-উত্তম-সূচিত্রা সহ অনেক কে দিয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন। আজ সেই মহান মানুষগুলো বিদেহী তারপরও আমাদের প্রেরনা জোগায়। আমরা শুধু তাঁদের সুনাম ও বিখ্যাত রূপটিই দেখি, বোঝার চেষ্টা করি না যে তাঁরা কতো বেশি কষ্ট করে এই অর্জনটুকু আমাদের জন্য রেখে গেছে। আমাদের দেশে যারা হবেন মিডিয়ার কিংবদন্তি তারা হয়ে যান ভিক্ষুক। শেষ জীবনের গোধুলী বেলায় চিকিৎসার জন্য আর্থীক সাহায্য কামনার রেওয়াজ হয়ে গেছে। আর কোনো কর্পোরেট কম্পানির অংশের মিডিয়া হলে তো কথাই না। রোগে একটু পাশে সাহায্য করার ভান করে। জোড় করে চিন্তাশিলতাকে গন্ডির মধ্যে বেধে রাখছে। এটা খুব বেশি দুঃখজনক।



প্রিয় মিডিয়া বর্গ,

আমি আপনাদের দুঃখে দুঃখি- যদি সেটা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য আসে, নতুবা না। কিছু ব্যাক্তিভুলের খেসারত এতো মানুষ কেনো নেবে। আপনারা নিশ্চই আমার সাথে এই কয় মাস থেকে জীবন রহস্য ও সৃষ্টি রহস্য বুঝতে পেরেছেন। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। দেখুন বর্তমান আওয়ামীলিগের মন্ত্রী আমার বরিশালের সন্তান জাহাঙ্গীর কবির নানকের একমাত্র সন্তানের গাড়ির সামনের চাকা কেনো হঠাৎ খুলে যাবে আর ঐ খানেই মৃত্যু নিশ্চিত হবে। এখন যদি কেউ নানককে বলে আপনার পোস্ট, পজিশন, অর্থকরি সব দিন আমি আপনার সন্তানকে ফিরিয়ে দেবো, তিনি তাতেই রাজী হবে। সালমান এফ. রহমান (সাদা দরবেশ নামের গুন্ডা) এর একমাত্র মেয়ে কেনো ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে। যেমন করে শেয়ার মার্কেটে মানুষ অর্থশুন্য ও প্রতারিত হয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। বড় বড় লিডার নামে খ্যাত তাদের কেনো বাচ্চা হয় না? পালক বাচ্চা দিয়ে কেনো জীবন কাটাতে হয়? প্রথম আলো পত্রিকার কোম্পানী ট্রান্সকম এর চেয়ারম্যানের একমাত্র মেয়ে কেনো ধর্ষিতা হয়ে অসময়ে চলে যাবে। আমি এমন উদাহরন হাজার হাজার দিতে পারি। সব কি মিরাকল! তাহলে আমরা আছি কেনো?



আপনার সাথে যদি আমি এমন করি আপনি আমাকে কি করতে পারবেন? সুতারং সাবধান। যাদের নাম এই মাত্র আমি নিলাম। তারা সবাই আমার প্রিয়জন ও বাবার মতো সম্মান পাবার যোগ্য। তেমন দু’জন হলেন এরশাদ ও আমির হোসেন আমু। আশা করি আমাকে দেখে তাঁরা তাঁদের না পাওয়াগুলোকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিবেন। দেলোয়ার হোসেন সাইদীর সামনে বসে যখন পুত্র মারা গেলেন- সেদিন সাইদীর মৃত্যুদন্ডের চেয়েও বড় সাঁজা হয়ে গেছে। লোকটাকে মাফ করে দিয়ে আমাদের সামনে নিয়ে আসলে কি হয়? তাঁদের এক্সপ্রিয়েন্স থেকে সাধারণ মানুষ শিক্ষা নিবে।



দেখুন বন্ধু! আমাকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। আমি আমার মুনকে আমার কাছে ভদ্রভাবে ফেরত দিতে বলছি। আমি কি কি ঘটাতে পারি তা অবশ্যই আপনাদের জানা হয়ে গেছে। দয়াকরে নিজেদের ভুলকে আর প্রশমিত করবেন না। আমি একটি কালি মন্দির ফেরত চেয়েছি আর আপনারা আমার মাথা ফাটিয়ে দিলেন? এতো বছর পর যখন প্রিয়তম মুনের ১টি ছবি ফেসবুক খুঁজে বেড় করলাম। সেই একমাত্র ছবিতে মুন জিহ্বা বেড় করা কেনো? মিলিয়ে দেখুন সায়েন্স ধর্ম বা অন্য যে কোনো কিছু দিয়ে। তাতে অযথা আপনাদের সময় নষ্ট হবে আবার সেই সাথে আমার দেয়া কোনো খারাপ উদাহরন আপনাদের জীবন দিয়েই আমি দ্রুত দেখিয়ে দেবো। তখন কিন্তু হারিয়ে যাওয়া পরম প্রিয়কে আর ফিরে পাবেন না। বলে দিলাম। দয়া করে আমাকে আমার মুনের সাথে থাকতে দিন। আমিক অবাক হই এতো কিছু দেখানোর পড়েও আপনারা আমার সাথে নিয়মিত বেয়াদবি করে যাচ্ছেন। আশাকরি বেয়াদব এর বে টা কেটে ফেলে বেতাল পরিস্থিতির দিকে যাবার আগেই আদব হয়ে আমাকে আদাব জানাতে পারবেন।



প্রিয় মিডিয়া শিবির,

আমাদের বাংলাদেশের এফ.এম. রেডিও গুলোর অবস্থা দেখেছেন। ব্যাঙের ছাতার মতো এফ.এম. রেডিও আসছে। আর এই রেডিওতে কিছু ছাগল পাগল জাকি বসে থাকে। যাদের না আছে মুরুব্বি জ্ঞান, না আছে সেন্স অব হিউমার, না আসে কমনসেন্স, না আছে ভাষাজ্ঞান, না আছে দেশ প্রেম। এই রোজার মধ্যে আমি অসুস্থ অবস্থায় শখ করে একটু এফ.এম. রেডিও শুনলাম। একজন পুরুষ জাকি আর একজন পুরুষ জাকি আলাপ আলোচনা করছে আর গান বাজনা শোনাচ্ছে। তাদের মুখে বার বার ডায়ালোগ শুনলাম। একজন অন্যজনকে বলছে তোমার লিংগে সমস্যা আছে। একবার দুবার না বেশ কয়েক বার এই কথা বলে আর অন্য জাকি বেশ আনন্দের সাথে প্রতিবাদ করে। এরপর এলেন এক মেয়ে এ্যাঙ্কর। আরো আলাপ আলোচনা। যা কোনোভাবেই সমাজের উপকার করতে পারে না। ধরুন ঐ সময়ে কোনো এক ছাত্র বা অন্যকেউ কোন যানজটে বসে এফ.এম. রেডিও শুনছেন। তাঁরা কি ধিরে ধিরে ওই ছাগল মার্কা ও কুরুচিপুর্ন স্বভাব থেকে প্রভবিত হচ্ছে না? রাষ্ট্র কি করে? এফ.এম. রেডিওকে সেন্সর করুন। তাদের উপর চাপ দিন। তাদের আগে মুরুব্বিজ্ঞান, কালচার ও সত্যিকারের প্রেমের অনুভুতি বুঝতে দিন। নতুবা আজকে যারা ওদের কথায় ছাগল মার্কা স্মার্ট হয়ে উঠছে তারাই দেশের বোঝা হয়ে একসময় আমাদের মাথায় চরে বসবে। আমি আপনাদের সবকিছু খোলাখুলি ভাবে বলি ও অর্ডার দেই। কেনো আপনারা আমার ডিসিসনকে তাড়াতাড়ি এক্সিকিশন করেন না। এই পথের বাঁধা কে? আমি তাকে দেখতে চাই। আমি চাই সেই ডিসিসন দাতা কতো শক্তিশালী অসুর। আমার প্রিয়তম মুন এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করেছে। এই পৃথিবী আমার শ্বসুর বাড়ী। আমরা শশুর বাড়ীতে অসুর থাকতে পারবে না। এই অশুর গুলাকে সরাতে আমার শ্যালক, শ্যালিকা আর শস্বুর বাড়ীর কুটুমই যথেষ্ট।



প্রিয় মিডিয়া কর্মি,

আসুন আমরা সামনের দিকে এগিয় যাই। পিছনের সব ভুলত্রুটি ভুলে গিয়ে আমার নেত্রীত্বে বিশ্বমিডিয়া চলবে। এখন থেকে আমি যা বলবো আপনারা তা শুনতে বাধ্য থাকবেন। আমি বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছি বলে শুধু বাংলাদেশীই না। আমি বিশ্বের সব মানুষের স্বাধীনতা ও সফলতার জন্য উদয় হয়েছিলাম। এই আবির্ভাব যারা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের উপর আমার কোনো ক্ষোভ নাই। কারণ আজই সব দিন শেষ হয়ে যায় নি। আজকের দিনটা আগামী কালের জন্য অপেক্ষা করে আছে। আমিও আপনাদের জন্য বহু অপেক্ষা নামের চেষ্টা করেছি। আমার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই আপনাদের জন্য কাজ করেছি। অন্যদের দুঃখ কষ্ট দেখে নিজের অভিজ্ঞতা বানিয়েছি ও সমাধানের পথ দিয়ে যাচ্ছি। আজকেও যদি আমার অনুসারীরা আমার অবাধ্য হয়ে কাজ করে, তাহলে তাঁর থেকে বড় অশান্তি আর কিছু হতে পারে না।



আমি বীর, কিন্ত আমি তরবারি বা কোনো মানুষ মারার অস্ত্র নিয়ে আপনাদের শাসন ভার নেই নি। আমি আমার বিদ্যা, মেধা, জ্ঞান, সততা, বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ও প্রেম দিয়ে আমার অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিলাম। আমি জন্মের সময় অস্ত্র হাতে নিয়ে জন্মাই নি। দুনিয়ায় এসে অস্ত্র নামের মানবতা বিরোধী কৌশলের প্রকাশ দেখলাম। তাই আমি অস্ত্রকে ভয় পাই না। আমি ভয় পাই মন্দ মনের বা বিকৃত চিন্তাধারার মানুষগুলোকে। তাই বলে আমি ঐ সব মন্দ মানুষদের কোন ক্ষতি চাইনা বরং তাঁদের মেন্টালিটিকে সার্ফ ও ওয়েল সেইভ করার জন্যই আমার এই পথ চলা। আমি এতোদিন ধরে আপনাদের সাথে লিখে লিখে যোগাযোগ রাখছি, গানে গানে যোগাযোগ রাখছি। তা দেখেও কি আপনারা বুঝবেন না যে, মানুষকে কখনও মন্দ কাজ করতে হয় না। কোনো অবস্থাতেই না। আমার চলার ছন্দে কি আপনাদের মন আমার অন্তরের কাছে এসে মিশে যায় নি? অবশ্যই আপনার অন্তরে আমি সবসময় থাকি। আমাকে আপনারা ভুল বুঝবেন না। আমার মুন কে আমার কাছে দ্রুত পৌছে দিন। আমি আপনাদের দেখাবো একটি আদর্শ সংসার ও দাম্পত্য জীবন কতো মধুর ও মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। আমি মুক্তিদাতা, আপনারা আপনাদের মুক্তির জন্য চেষ্টা করুন।



করুনাময় ঈশ্বরের সাথে সাথে আসিফ+মুন এর নাম স্মরন রেখে এবাদাত করুন। আমি আপনাদের মুক্তি দেবো। এক কথা আমার বার বার বলতে ভালোলাগে না। তাইতো লিখি। তারপরও আপনাদের চিরমঙ্গলের জন্য আমি নিবেদিত আছি ও থাকবো।



আমাদের মিডিয়া আমরা নিজেদের মতো সাজাবো। কোন সমস্যায় পড়লে আমাকে জানাবেন। মিডিয়া কর্মিরা এই সময় থেকেই চিন্তা করতে শিখুন যে, পুরো বিশ্বমিডিয়া কন্ট্রোলার আপনাদের উপরে বসে আছেন। আপনাদের কাজকে তিনি খুব সহজেই অবজার্ভ করতে পারে। আপনারা এগিয়ে যান।



আবারও বলছি প্রয়োজন হলে আমি রাস্তায় নেমে গণ অন্বেষন করে, নিজে মারা গিয়ে হলেও মিডিয়ার উপরে কারও চাকু চালাতে দেবো না। কেউ যদি থাকেন যে, এই রয়েল বেঙ্গল টাইগার আসিফ ও রয়েল বেঙ্গলী টাইগারী মুনের সামনে এসে কথা বলা সাহোস আছে। তাহলে চলে আসুন। আমি দেখতে চাই সেই বুকের পাটা কার আছে। আমি চির দুর্যয়। আমি চির অমর। আমরা চির যৌবন প্রাপ্ত হয়েই আপনাদের মাঝে বেঁচে থেকে আপনাদের উপকার করে যাই।



বন্ধু! আপনাদের যার মনে যা ভয় আছে তা আজ আমাকে দিয়ে দিন। নিজে অভয় হয়ে যান। কি করা লাগে আমি দেখছি। আমি ফালতু কথার ফুলঝুড়ি নিয়ে আপনাদের কাছে আসি নি। আমি চিরন্তনের মহাশক্তি নিয়ে এসেছি। চাঁদ-সুর্য আমার পায়ের নিচে থাকে। আমি আমাদের মানুষদের মানবতাকে ঊর্ধে তুলে ধরার জন্য যা খুশি তাই করতে পারি। অন্যগ্রহের কোন ডাকাতও যদি কোনোদিন আসে, আমি তাঁদের চিন্তা করতে হবে যে, তাঁরা আসিফ এর গ্রহের দিকে আসার দুঃসাহোস করেছিলো। পৃথিবীর সব মানুষ শান্তি প্রিয় হয়ে যান। আপনাদের গার্ডিয়ান আসিফ একাই আপনাদের যে কোনো দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে সক্ষম।



বন্ধু! সকল পরিস্থিতিতে নিজেদের মেজাজ শান্ত রাখবেন। মনে রাখবেন সৃষ্টিকর্তা আপনার ব্যাপারে সব সময় জ্ঞাতো থাকে। অহেতুক কেন আপনার বাজে বুলি ঈশ্বরকে শোনাবেন? মহান ঈশ্বর আপনার মুখ ও অন্তরের মিষ্টি বুলিকে সম্মানের সাথে দেখে এবং তিনি তাঁর কথা রাখেন। আমার দ্বায়িত্ব আমি মহান ঈশ্বরের নাম জপে নিজ থেকেই নিয়ে নিতে শিখেছি। এজন্যই তো আপনারা মাঝে মাঝে আমার ভাব ও ভাষায় অবাক হয়ে যান। যেনো কেউ কান্না ও হাসির মাঝামাঝি এসে কথা বলছেন। যিনি তাঁর সুখ আর দুঃখ দুটকেই আপন যত্নে গ্রহন করতে জানেন, তাঁর তখন শুধু আনন্দ সঙ্গি হয়ে ওঠে। এজন্যই এমন মনে হয়। আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আরো বেশি আপনের থেকে আপন করে দিয়েছে।



ও-মা! চিন্তা করে দেখুন, কতো বড় বাজে সাহোস? আমার বাংলাদেশের মিডিয়াকে গোলাম বানানোর পায়তারা করা হচ্ছে? ওদের মনে কি একটু ভয়-ডরও নাই? আশাকরি এই কুচিন্তার মানুষগুলো নিজেদের শুধরে নিবেন। আজ দেখুন ইউ.এস.এ., বৃটিশ, রাশান, চাইনিজ সহ প্রথম শ্রেনীর দেশ গুলোর মিডিয়াগুলোকে। তারা কি আজও স্বাধীন ও মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারছে। মিডিয়াকে নিজেদের হাতের অস্ত্র বানিয়ে রেখেছিল কারা? তাদের হাতের অস্ত্র আমি ছিনিয়ে নিয়ে নিলাম। তারপর পায়ের নিচে ঐ অস্ত্র ফেলে চিরতরে নষ্ট করে দিলাম। আমার অন্তর হবে সমস্ত মিডিয়ার ভাষা। কারণ আমার অন্তর আমি সবার জন্য খুলে দিয়েছি। আমার অন্তরকে আমি দিবানিশি আপনাদের মাঝে পরিবেশন করে যাচ্ছি। এরকম ব্রতি আজ সব মিডিয়া কর্মির হতে হবে।



আমি এই ৭(সাত) মাস আপনাদের সাথে রেখে এমন ভাবে সব গুছিয়ে নিয়েছি যে, আমার কথা সব আদেশ হয়ে গেছে। আমি চিরসুন্দরই শুধু নই আমি চিরভয়ংকরও। আমি খোদার বুকে লাথি মেরে তাঁর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। আর মানুষ কিনা আমার নিয়মের বাইড়ে যেতে চায়? এই পৃথিবী ও গ্রহরাজী আমার সিস্টেমে চলবে। আমি যা বলবো তাই হবে। আমি এই পৃথিবী গ্রহের প্রধান প্রতিনিধি। এসব রাষ্ট্রিয় ব্যাপার আমার কাছে পানি ভাত। তারপরও আমি আপনাদের প্রেমে পড়ে দুর্বল হয়ে গেছি। মন শুধু প্রিয়তমা মুনকে ভালো অবস্থায় দেখতে চায়। আমার মুনের দিকে যারা চোখ তুলে তাকাবে তাদেরও আমি ভ্যানিশ করে দেবো।



আজ কোথায় সেই আমার মিথ্যে বউ। যে অসভ্য আমাকে আমার মায়ের জন্য গালাগালি করেছিল। আমার বাবা-মা-বোন নিয়ে বাজে কথা বলেছে। গালাগালির পর গালাগালি উপহার দিয়েছিলো। মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছিলো। দেখুন ঐ কুলঙ্গারের অবস্থা। ওর মায়ের বন ক্যানসার। পারলে গালাগালি দিয়ে ক্যানসার নিরাময় করুক। আমার সব খেলা আপনাদের বুঝতে নাই। শুধু ভাববেন আমি পৃথিবীর সব মানুষের আকাশের মতো বিশাল ছাতা হয়ে আছি। আমি আপনাদের গার্ডিয়ান। যা করার আমি করবো। আপনারা শুধু নিশ্চিন্তে সত্য প্রচার করতে থাকুন। মানুষের সত্যিকারের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য নিজেদের নিয়জিত রাখুন।



আমি দেখতে চাই আল্লাহ্ এর কাছে কতোখানি রহমত আছে। আমি সেই রহমত ছিনিয়ে টেনে নিয়ে আসবো। যাতে আমার পৃথিবীর মানুষের কপালে এতো দুঃখ/কষ্ট/জ্বালা না নিতে হয়। আমি জানি বন্ধু! আমাদের সৃষ্টিকর্তার ভান্ডারের রহমত অফুরন্ত ও ইনফেনিটি। তাঁর থেকে সামান্য থেকে অতিসামান্য রহমত নিয়ে আসতে পারলেই আমরা চিরসুখি হতে পারি। আসিফ+মুন এর প্রেম থেকে আপনারা শিখে নিন প্রেম কাকে বলে। আজ পৃথিবীর কোনো মজনুই তার লাইলিকে চিনে নিতে ভুল করবেন না। সকল সিরি তার ফরহাদের কাছে যাবে। সকল সীতা নিজেদের বন্দি মনে না করে রামের অপেক্ষায় থাকবেন। আর রাবনের রাজভবনে বন্দি থেকে উপর তালার জানালা দিয়ে রাম ও রামভক্ত হনুমান বাহিনীর যুদ্ধ দেখবেন। আপনার রাম আসবেই। কারন সীতার প্রেমে কোনো খাঁদ ছিলো না। ঠিক একই ভাবে আসিফ+মুন এর প্রেমে কোনো খাঁদ ছিলো না। এতটুকু নিখাঁদ কে আমরা এতো মানুষ মিলে কেনো রক্ষা করতে পারবো না?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.