নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুন তুমি চলে এসো!

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

মুন! কায়েস মজনু হয়েগিয়েছিলো। (মজনু অর্থ পাগল) । মরুভুমির গরম বালিতে গড়াগড়ি করে কাতরানোর পরও মজনু তার লাইলীকে ভুলে যায় নি। বরং লাইলির প্রেম মজনুকে রক্ষাকবচের মতো সেইভ করেছিলো।



আমি মরুভুমির মধ্যে গড়াগড়ি করতে জানি না। কোনোদিন নিজচোখে মরুভূমি দেখিও নি। তাই আমি এই লেখার গাড়ি চালিয়ে তোমাকে আমার কাছে টেনে নিয়ে আসতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঐ তো সেদিন অসুস্থ হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকলাম, আর ভেবেছি আইউব নবী সাহেবের কথা। তিনি ১৮বছর রোগের কষ্ট সয়েছেন তারপরও রহিমা বিবিকে ভুলে যায় নি। আমি দশ বছর ধরে তোমাকে কাছে ডাকছি আর চন্ডিদাস বাবু ১২বছর বরশি পেতে ছিলো। ব্যাস রজকিনি বুঝতে পারলেন, পৃথিবীতে মানুষের সবথেকে বড় পরিচয় মানুষ প্রেম করতে জানে।



আমার মতোই অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যে থেকে নজরুল লিখে গেছেন, গানও রেখে গেছে। যাকে নিয়ে এতো আয়োজন সেই নার্গিস (সৈয়দা খাতুন) ১৪বছর পর নজরুলের কাছে চিঠি লিখেছিলো। আমি ওরকম কোনো ট্রাজিটি চাই না বলেই, তোমার নাম উল্লেখ করে দিয়েছি। তুমি কখনও মরবে না জান। তোমাকে আমি অমর করে দিলাম। বেহুলার কান্না পুরো দেবোলোকে আগুন ছড়িয়েছিলো। তারপরও বেহুলা তার প্রেম থেকে বিচ্যুত হবার চেষ্টা পর্যন্ত করে নি। প্রিয় মানুষ দুরে থাকলে ও পাওয়ার মতো পরিস্থিতি চোখের সামনে থাকলে তাতে প্রেমের টান বহুগুন বেড়ে যায়।



অনেকে ভাবেন, বিরহ বুঝি একচেটিয়া হয়। আসলে দু’জনের ভালোবাসার কম্বিডেশন ঠিক না হলে, সেটা বিরহ না।



মুন! আমাদের সামনে এই এতো কষ্টের বিরহ এসেছিলো মিলনের জন্য। দু’জন দু’জনকে প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেও কেনো অহেতুক বিরহ নামের হয়রানির মধ্যে ডুবে থাকবো। আসো মুন এবার আমরা মিলন করি। দু’জনে মিলে মিতায় মিতালী হয়ে যাই। এই মিতালীর মিনতী নিয়ে অন্যরাও আশাবান হয়ে যাবে। সেই মহামিলন পৃথিবীর বুকে সবসময় থেকে যাবে। সবাই আমাদের দু’জনকে ভালোবাসে মুন। তাঁরা চায় তুমি আমি এক হই। যে কোনো মুল্যে আমাদের এক থাকতে হবে। মানব শরীরে মানুষ কতোদিন বাঁচে? আমি তোমাকে এক মুহূর্তের জন্যও মিস করতে চাই না।



কৃষ্ণ যেমন রাধার জন্য বাসি বাঁজাতেন ঠিক তেমনি আমি সবার সাথে লেখার ছন্দ দিল মাতোয়ারা করে রেখেছি। তোমার আমার প্রেমে আমরা সবাই আত্মহারা। স্কুল জীবনে বড় কোনো ছুটি পেলে বাচ্চারা যেমন মজা পায়। ঠিক তেমনি আজ ছেলে-বুড়ো-যুবক সহ সবাই আমাদের প্রেম দেখে একই নৃত্যভঙ্গিতে মজে উঠেছেন।



আমাদের প্রেম বিশ্বের সেরা প্রেম। তোমার আমার প্রেমকাহিনীতে সব ধরনের ব্যাপার আছে। বিরহ আছে, মিলন আছে, ত্যাগ আছে, সাহায্য আছে, করুনা আছে, ক্ষমা আছে, তাকওয়া আছে, ভুলবোঝাবুঝি আছে, রাগ আছে, অভিমান আছে, টেকনোলজি আছে, এ্যাকশন আছে, সাহিত্য আছে, রাজনীতি আছে, মিডিয়ার সুনজর আছে, গোয়েন্দাদের দৌড়াদৌড়ি আছে, প্রধানমন্ত্রীর টেনশন আছে এছাড়া সব অনুভুতিই আমাদের প্রেমকাহিনীকে চির মহান করে দিয়েছে। শুধু মাত্র দুটি জিনিস আমাদের প্রেমে নাই আর তা হল মিথ্যে ও অবিশ্বাস। প্রেমের বিচি হলো বিশ্বাস। বিচি রোগা হলে উদ্ভিদ রোগা ও দুর্বল হয়ে জন্মায়। তোমাকে বুকের মধ্যে নিয়েই আমার জীবন।



মনে আছে মুন? প্রথম যেদিন তোমাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। তুমি আবেগে আত্মহারা হয়ে আমার গালে চুমু দিতে থাকলে। আমার গালে লাল লিপিস্টিকের রং ফুটে উঠলো। তুমি আহারে! বলে তোমার ওরনা দিয়ে লাল দাগ মুছিয়ে দিলে। তোমার সাথে যখন ঐ বারেক সাহেবের রুমের পিছনে দেখা হতো। দুজন নিরিবিলি। নাকে নাকে ঘসা দিতাম। দু’জনে নাক ঘসে আনন্দ পেতাম। জানো মুন তুমি যখন আমার হাত ছেড়ে চলে যেতে, আমি ঐ দিন রাতের খাবার খাবার আগে হাত ধুতে পারতাম না। তোমার হাতের ছোঁয়া হাতে রেখে দিতাম। আমি তোমাকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি মুন।



তুমি বাম পাশে সিঁথি কেটে চুল আচরাতে। আমি আনন্দচিত্তে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। তোমার জোড়া ভুরু নাচিয়ে মাঝে মাঝে কথা বলতে। এমন চোখ কি আর কারও আছে মুন? বিশ্বাস করো মুন আমি নিষ্পাপ ও নিঃকলঙ্ক। আমি তোমার স্থানে কোনোদিন কাউকে বসাতে চাই নি। সবাই কে সত্য কথা বলেছি যে, আমার এক মহারাণী-ম্যামসাহেব আছেন।



সেই ভান্ডারিয়া ব্রিজের গোড়ায় তুমি আসলে। সাথে বইপুস্তক। আমি তোমার হাতে কার্ড তুলে দিলাম। বার বার পিছনে তাকিয়ে তুমি আমাকে দেখতে ছিলে। আর একদিন অমৃত্য লাল দে কলেজে তোমার সাথে দেখা করে কোথাও কাজ ছিলো বলে চলে যাচ্ছি। আর দেখতে পেলাম তোমার চোখ টলমল করছে। আমাকে দুরে রাখার কষ্ট যে এতো, তা আমি সেদিন বুঝিনি। আজ নিজের জীবন থেকে নিজে বুঝে ফেলেছি জান!



সবাই বলে পিছনের দিন বুঝি আর কোনো দিন আসে না। কে বলছে আসে না? দেখো আমি তেমনই আছি। কখনও বদলাই নি। শুধু এই নষ্ট সমাজ ব্যবস্থা আর কম মেধাসম্পন্ন গার্ডিয়ানদের কারণে আজ আমি তোমার প্রেম বঞ্চিত ও নির্বাসিত।



জানো মুন! সার্টিফিকেট/প্রফেশন/ইকোনিমিক্যাল সলভেন্সি দিয়ে মানুষের স্টেজ নির্ধারন করা ঠিক না। মানুষের ষ্টাটাস হবে সত্য জ্ঞানের প্রেমের সমন্বয়ে। যে প্রেম করেন সে কখনও বিশ্বাস ভঙ্গ করতে পারে না।



যেদিন তুমি আমি সারারাত একসাথে ছিলাম। তোমার সাথে আমার মহামিলন হলো। সেই রাতের প্রতিটি মুহূর্ত আমার অন্তরে গেঁথে আছে। দুজন দুজনের কতো কাছে। তোমার চোখের দিকে চোখ দিয়ে তোমাকে দেখা আর দুটি শরীর ও মন একে বারে মিশে যাওয়া। এর থেকে বড় আনন্দ একটি মানুষের আর কি থাকতে পারে। তুমিই আমার পৃথিবী।



একদিন তুমি মোবাই্ল ফোনে কান্না করতে করতে মোবাইলের সিগনালকেও ভিজিয়ে দিয়েছিলে। সে কি কান্না! কেনো কান্না করেছিলে ঐ দিন? সেদিন দুপুরেও আমার সাথে তোমার দেখা ও জড়াজড়ি হয়েছিলো। তারপরও তুমি সন্ধ্যায় কেঁদে কেঁদে আমার অপুর্ণতাকে প্রকাশ করলে। কেনো মুন কেনো? সেই মুন কখনও হারায় না। সেই মুন আর আজকের এই সময়ের মুন এক। শুধু শুধু কিছুদিন নষ্ট হয়েছে।



একদিন তোমার ফুফু বাড়ী (কাজী বাড়ি) থেকে তুমি খালের পাড়ের রাস্তা দিয়ে হেটে আসছিলে। তোমার কোলে তোমার ছোট ভাই পিচ্চি রিয়াদ। তুমি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মনের সব আকুতি মিনতী দিয়ে তোমার বাসায় যেতে বললে। সেদিন তোমার চোখ কোন দুঃখে ছল ছল করেছিলো?



আমি একদিন তোমায় বলেছিলাম আমার ইনকাম মাসে ৫০০টাকা। তুমি সেই কথাকে কোনো গুরুত্বই দিলে না বরং বললে টাকা পয়সা কোন কিছুই না। এই তো সেদিনও আমাকে তুমি ফোনে বললে, “টাকা পয়সাই কি সব কিছু।” আমি বলেছিলাম না টাকা পয়সা কিছু না। আজ আমি তার প্রমান তোমাকে দেখিয়ে দিলাম। শুধু তুমি না, পুরোবিশ্ব আজ জেনে গেছে আসিফ+মুন অর্থের রোবট না। তাঁরা মানুষ। তারা প্রমিক-প্রেমিকা। তারা খোকা-খুকি। তারা বালক-বালিকা। সব লিঙ্গান্তরের মধ্যেও আমরা আছি মুন। আমি ভগবান আর তুমি ভগবতী, আমি নারায়ন তুমি নারায়ণী, আমি ঈশ্বর তুমি ঈশ্বরী।



এমন কোনো জায়গা আমাকে তুমি দেখাতে পারবে না। যেখানে আমি আমার প্রেমের ছোঁয়া তোমার মাঝে সবখানে পৌছে দিয়েছি। তোমার সমস্ত শরীরে আমার কিস দেয়া আছে। এই কিস আমি তোমার রক্ষাকবজ বলে উপহার রেখে দিয়েছিলাম।



মুন! তুমি বুঝতে চেষ্টা করছো না যে, তোমার আমার জাত, অন্যসব মানুষদের থেকে অনেক বেশি ভিন্ন। তুমি ঐ পরিবেশে থেকো না। তুমি আমার কাছ আসো। আমি তোমার সকল ইচ্ছা পূর্ণ করবো। তবুও তুমি দুরে থেকো না।



মানুষের একটি বাজে স্বভাব হলো তারা আশেপাশের মানুষের কান কথা থেকে অন্যকে বিচার করতে চায়। নিজের বিচার করতে হয় নিজের।



আমাকে যে যা বলে বলুক। যে যা করে করুক। আমি তো সত্য বলছি। আমি তো আমার মনের আসল ইচ্ছাকে লুকিয়ে রাখি নি। পৃথিবীর সবমানুষদের জন্য যদি আমি চিন্তা করতে পারি। ওরা সবাই মিলে তোমার আমার প্রেমের বেদি সাজিয়ে দিবে না কেনো?



আমি না হয় কিছু একটা লিখে তোমাকে মনের ভাব জানাচ্ছি বা এতোদিন পরে তুমি আমায় সুযোগ দিলে। যাদের হৃদয়ে আমার থেকেও বেশি কষ্ট আছে, কিন্তু কোনোদিনও কাউকে বলতে পারে নি। তাদের জন্য আমার ভিষন-মেলা কষ্ট হয়।



মুন! আমায় দিয়েই তুমি আমায় জানো। আমি কখনও অসুস্থ মনমানুষিকতার সেক্সের পক্ষে না। পারিবারিক চাপে আমার বিয়ে করতে হয়েছিলো। চাপের জিনিস পাপ বাড়ায়। তাই আমি ওদেরকে অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি। তাও দুই বছরের বেশি হলো। দেখা হয়েছে মাত্র ৮ থেকে ১০ রাত। তার মধ্যও অনেকদিন আমি সারারাত উল্টো মুখ করে শুয়ে শুরে অন্তরে মুন নামের জপ করেছিলাম। তোমার কথা ভেবেছি আর চোখের পানি ফেলেছি। স্রষ্টাকে রাগের জোড়ে বলেছিলাম তুমি এমন করলে কেনো? তিনি আমার সব কেনোর জবাব দিয়ে দেয়। আমার সব লেখা পড়ে দেখো তোমার প্রতিটা উত্তর আমি দিয়ে রেখেছিলাম। আমি পরকিয়ায় বিশ্বাসী না। আমি চাইনা এখন আর তোমার সাথে গোপনে গোপনে প্রেম করি। এখন চাই তুমি আমাকে তোমার চরনে স্বামী হিসেবে গ্রহন করবে। আমার কাছে ছুটে আসবে বা আমাকে তোমার সাথে দেখা করতে বলবে। আমি কখনও কোনোদিন তোমাকে জোড় করি নি। কোনোদিনও করবো না।



মুন! তুমি ফিরে এসো।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.