নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমের চিঠি ও জাদুঘর ভাবনা

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

আসুন আপনি আমি মিলে কিছু একটা আইডিয়া বেড় করার চেষ্টা করি। আপনার অন্তরের ভিতর থেকেই আমি আপনার মতোই কথা বলছি। আমি জানি অনেক আইডিয়া আপনাদের মন মন্দিরে স্বর্ণ মুরতীর মতো সাজানো আছে। শুধু বলতে পারছেন না। আমি না হয় আপনার সেই না বলা কথায় সামান্য একজ সহযোগী হলাম। সহযোগী এবং সহযোগী মিলেই সহযোগীতা হয়। আর সহযোগীতা ছাড়া আমাদের আইডিয়া বাস্তবায়ন/এক্সিকিউশন করা সম্ভব নয়। আমি আপনার আপনের থেকেও বেশি আপন। আপনার অন্তরদেবতাকে আমি প্রচন্ড বারাবারি রকমের ভালো বাসী।



হুশ খুলে দেখুন, অনেক বড় একটি ভবন। যে ভবনের নাম “প্রেমপত্র যাদুঘর”। আমাদের এরকম আইডিয়া গ্র করে এক্সিকিশন করতে হবে। বাংলাদেশের পরিচিত ও ট্যুরিস্টদের আকর্ষন করতে হলে, আনকমন সুন্দর আইডিয়া ছাড়া উপায় নাই।



নতুন নতুন প্রযুক্তি আসে, প্রযুক্তির আবগ্রেশন হয়, কিছু প্রযুক্তি হারিয়েও যায়। কিন্তু প্রেমপত্র চির যৌবনা হয়ে থেকে যায়। টেকনোলজি বুড়ো হয় প্রেমের চিঠির বয়স বাড়ে না। প্রেমের চিঠি অনেক কৌশলে অতীতকে বন্দি করে রাখে। আজ যার বয়স ৯০ তিনিও তাঁর কোনো পুরানো প্রেমের চিঠি খুঁজে পেলে বার বার পড়বেন। কারণ ঐ চিঠিতে তাঁর জীবনের অংশ গেঁথে আছে।



আমি বাংলাদেশের কর্পোরেট কোম্পানীগুলোকে এ ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য বিষেশ ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ দিতে বলবো। সরাকার ভবন তৈরি করে দিলো। আর আপনারা মোবাইল অপারেটর বা যে কোনো কর্পোরেট কোম্পানীর সহয়তায় সারা বাংলাদেশের প্রেম পত্র সংগ্রহের দ্বায়িত্ব নিবেন। প্রেম পত্র আমাদের মহামূল্যবান সম্পদ। মনে রাখতে হবে আমরা শত চেষ্টা করলেও অতীতের সেই দিনটিতে ফিরে গিয়ে প্রেমপত্রের কারেকশন বা নতুন করে লেখার সুযোগ পাবো না।



নির্দিষ্ট টিকিট মূল্যের বিনিময়ে জনগন প্রেমপত্র যাদুঘরে প্রবেশ করবেন। দেয়ালে ও ডেক্সে সুন্দর করে প্রেম পত্র সাজানো থাকবে। বিখ্যাত বিখ্যাত লোকের প্রেম পত্রের অরিজিনাল কপি থাকবে। দেখবেন অনেক সুন্দর লাগবে। আমরা প্রেমপত্র জাদুঘরের কালেকশন দিয়ে গ্রিনেজ বুক অব রেকর্ডে নাম লেখাবো। বাংলাদেশের প্রচার ও প্রসার হবে।



আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে। প্রেমপত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে কর্পোরেট কোম্পানি গুলো বিভিন্ন অফার দিতে পারেন। আবার সেই প্রফিট দিয়ে প্রেমপত্র যাদুঘরে অনুদানও দিতে পারবেন। নইলে আমাদের সাংস্কৃতির বিশাল একটি অংশ হারিয়ে যাবে। আমাদেরকে আমরাই বেশি অবহেলা ও অবজ্ঞা করে নিজের ও দেশের দোষ দিয়ে কোথাকার কোন ভাগ্যের দোষ দিয়ে থাকি। আপনি আমি এক থাকলে ভাগ্যের দরকার কি। আপনি আমি এক সাথে মঙ্গল জন কাজ পরিশ্রম দিয়ে করলে ভাগ্য তখন গোপনে এসে আমাদের দেখে যাবে। কপালে চুমু দিয়ে যাবে। আর অকাজ করে ভাগ্যকে দোষ দিলে ভাগ্য একদম চোখের সামনে এসে নাচানাচি করে কিন্তু কোনো উপকার করে না।



আমি আসলে আপনার মন থেকেই উপলব্ধি করছি যে, আমাদের অনেক সুন্দর আনকমন কিছু করা উচিৎ। যা পৃথিবীতে নাই। বা করা হয় নি। একটি ভালো আইডিয়া একটি দেশকে রাজভবনের মতো সুন্দর করে দিতে পারে।



এমন একটি প্রেমের চিঠির কালেকশন হলে মানুষ বুঝতে পারবে প্রেম কি? সবার মনে একই প্রেমের বাঁতি কিভাবে জ্বল জ্বল করে। আমরা সাধারনত বুঝি মিউজিয়াম বুঝি খালি পুরোনো দিনের জিনিসপত্রের কালেকশন বা সংগ্রহ শালা। আসলে কিন্তু তানা। যাদুঘরের আপগ্রেসন করতে হয় প্রতিদিনই । বিলুপ্ত হবার পরের চিহ্ন, মরে যাবার পরে ছবি- এগুলোকে যাদুঘর বলে না। এগুলোকে বলে এয়াতিম-মিস্কিন মিউজিয়াম। আমরা স্বাস্থ্য সবল ও শক্তিশালী মিউজিয়াম চাই।



এই এক মিউজিয়াম খাতে আমাদের যে কতো সম্ভবনা তাও আপনাদের সামনে তুলে ধরা লাগছে। হায়রে কপাল! কোথায় সেই সৃষ্ট্রিশিল বাঙালী? যারা ছোট বেলায় টগর/কচুরিপানা দিয়ে স্টিমার তৈরি করতেন। যারা বেয়ারিং এর গাড়ি বানিয়ে পাড়া মহল্লায় ঘুরে বেড়াতেন। যারা রিকশার স্পোক দিয়ে এটম বোমা (!) বানাতেন। যারা হাতে কাঁদামাটি মেখে কতো কি যে তৈরি করতো। যারা কাগজ ভাজ করে জাহাজ, শাপলা ফুল বানাতেন। যারা নারিকেলের বাইল দিয়ে হাত ঘরি, চশমা, আংটি তৈরি করতেন। যারা খেজুরের পাতা দিয়ে পাঙ্খা বানিয়ে খেজুরে কাঁটার সাথে ধরে বাতাসে সিলিং ফ্যানের চেয়েও ভালো ফ্যান চালাতেন। ইত্যাদি সহ এতো কিছুর পরও আমার এই নিরিহ বাঙালী কেনো বড় বড় বিজ্ঞানী হতে পারে না? উত্তর সহয। তাঁদের আইডিয়া ও সত্যিকারের সাহায্য করার মতো কেউ থাকে না। আমার জীবন থেকেই আপনারা তা উপলব্ধি করতে পারবেন। আপনাদের মনের ভিতর যে আসিফ আইডিয়া হিসেবে চিরকাল থেকে যান- আজ সেই আসিফ কে মন থেকে জাগিয়ে তুলুন। ভালোভাবে উঠে না আসলে তাঁকে লাথি দিয়ে জাগিয়ে দিন। দেখবেন আপনি অনেক কিছু করে ফেলেছেন।

আমি যখন ছোট তখন পাইনেপেল বিস্কুটের কাগজের খোসা/মোরকের সাথে বহই ফল আর শলাকা দিয়ে বাস গাড়ি বাস গাড়ি খেলতাম। জুতার বাস্কের মধ্য একটি চার কোনা ফাঁকা জায়গা বানিয়ে, ভিতরে দুটো সাইকেল রিক্সার স্পোক দিয়ে দিতাম। তারপর কাজগ সমান সাইজের করে। একটুকরোর সাথে অন্য টুকরো জোড়া দিতাম। একবার ঘুরালে একটি সিনেমা শো হয়ে যেতো। এটি মুলত বায়েস্কোপের মতো। আমি নিজের হাতে ছবি আঁকতাম ও কাহিনী সাজাতাম। আশে পাশের বাচ্চারা বিলেতি গাবের পাতা দিয়ে টাকা বানিয়ে আমার সেই সিনেমা শো দেখতো। বাচ্চাদের স্বাধীনতা দেয়া লাগে। আজ আপনারা আমাকে বলুন যে, নতুন কোনো সিনেমার স্কৃপ্ট লাগবে, আমি ১/১.৫দিনে লিখে দিতে পারবো। মেধার বীজ অঙ্কুরিত হয় ছোট বেলায়। তখন পরিমানমতো কিটনাশক না দিলে, আদর যত্ন না করলে পরবর্তিতে গাছ রুগ্ন হবে- এটাই স্বাভাবিক।



বন্ধু! আমার কথা নিশ্চই আপনারা আপনাদের অন্তর থেকে অনুভব করতে পেরেছেন। আমি বোঝাতে চাচ্ছি, আমাদের ক্লাসিফাইড মিউজিয়াম করতে হবে। যা গতানুগুতিক নীয়ম কানুন মেনে বা অন্য কোনো মিউজিয়ামের নকলের মতো হবে তা কিন্তু না। আমরা বাঙালী জাতি হিসেবে যেমন স্বতন্ত্র, আপনাদের গার্ডিয়ান আসিফ যেমন স্বতন্ত্র, ঠিক তেমনি আমাদের মিউজিয়ামগুলোও হবে স্বতন্ত্র।



বিশাল বড় যাদুকর জুয়েল আইচ শখের বসে বাঁশি সংগ্রহ করছেন। কন্ঠশিল্পী শুভ্রদেব ঘরি সংগ্রহ করেন। কেউ পুরুনো গাড়ী সংগ্রহ করেন। কেউ মগ সংগ্রহ করেন। কেউ রেডিও সংগ্রহ করেন। এরকম বহু মানুষ বাংলাদেশে আছেন। যাদের সব সংগ্রহই মূলত বাংলাদেশের সম্পদ।



আমাদের সম্পদগুলো নিজেদের বুঝে নিতে হবে। আমরা যদি এসব সংরহকের জন্য একটি কমপ্লেক্স ভবন যাদুঘর নির্মান করে দিতে পারি। তাহলে সেখানে তাঁদের সংগ্রহ গুলো দিতে আশাকরি অমত থাকবে না। সরকার মাল্টি চয়ে মিউজিয়াম ভবন নির্মান করে দিবে। আর আমাদের সংগ্রকগন সেখান থেকে স্যুট বরাদ্দ পাবে। যে বরাদ্দ হবে চিরকালের জন্য। মিউজিয়ামের প্রবেশ মুল্য দেশের মানুষের জন্য আর টুরিস্টদের জন্য আলাদা নির্ধারিত হবে। এই প্রবেশ মূল্য থেকে ৫০% ভ্যাট মুক্ত অর্থ পাবেন সংগ্রহকারী মানুষগুলো। এবং তাঁরা যে কোনো সময় তাঁদের সংগ্রহ যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। অর্থাৎ তাঁদের সংগ্রহের জিনিসের মালিকানা ঐ সব দেশ পাগল সংগ্রহকারীদের হাতেই থাকবেন। আশাকরি এমন একটি চিন্তা আপনাদের মাঝেও ছিলো। আমি শুধু আমার হাতের পরশ দিয়ে তুলে এনে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিলাম মাত্র।



বাংলাদেশে প্রতিবছর সরকারি খরচে কৃষি মেলা হয়। কেমন হয় সেই মেলা? কিছু সরকারী কর্মকর্তা পান-সিগারেট-গুল-চা খেয়ে কর্মদিবস পালন করছে। সাধারন মানুষদের সাথে ঠিকভাবে কথা পর্যন্ত করে না। এমন দ্বায়িত্ব হিনদের অহংকার ও বাজে মনমানুষিকতা দেখার জন্য আমার বাঙালী প্রজারা খাজনা দেয় না। এই সিস্টেম থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে।



রাজধানী সহ প্রতিটি জেলা সদর ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কৃষি যাদুঘর থাকবে। সেখানে নিত্য নতুন গাছ রোপন হবে। যে সময় বৃক্ষ মেলা হবে তখন ঐ মিউজিয়াম থেকেও মানুষ গাছের চারা সংগ্রহ করতে পারবেন ও যাবতিয় সহযোগীতা পাবেন। কৃষকরা তাদের অবাক করা ফসল, ফল, মুল, গাছ, ফুল নিয়ে এসে জাদুঘর সাজাবে। কৃষকদের নাম ও যোগাযোগের সেল নম্বর স্পষ্ট করে ট্যাগ করে দিতে হবে। যাতে কারও কোনো আইটেম পছন্দ হলে সরাসরি চাষির সাথে যোগাযোগ করতে পারে। আমি মনে করি এখন থেকেই এই কৃষি মিউজিয়াম করা সম্ভব। বাংলাদেশের প্রতিটি ফরেস্টার অফিসের একটি বড় অংশকে কৃষি যাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। নির্দিষ্ট দর্শনীর মাধ্যমে এগরিকালচার মিউজিয়ামে প্রবেশ করবেন। তাতে নতুন কর্ম সংস্থান তৈরি হবে আবার কৃষকরাও আনন্দ পাবেন ও অর্থকরি পাবেন। বাংলাদেশ গভমেন্টের যে কয়টি মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর, কর্পোরেশন আছে, যারা মূলত লসে আছেন। আমাকে ঐ সব মন্ত্রনালয়ের লসের পরিমান জানান। দেখবেন আমি আমার চেষ্টা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগনের যে কোনো প্রতিষ্ঠানকেই আর্থিক ভাবে লাভবান করার যোগ্যতা রাখি।



যারা বাংলাদেশের বড় বড় বিজনেস পারসন তাঁদের আমি এগিয়ে আসতে বলছি। আমি আপনাদের কথা দিয়েছিলাম। বাংলাদেশকে দু’বছরের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমির প্রথম ১০টি কান্ট্রির মধ্যে নিয়ে যাবো। আপানারা আমাক আপনাদের সাথে না রাখলে আমি আমার কাজ কিভাবে করবো বলুন। মিডিয়াকে আমি এখন পর্যন্ত পাই নি।



আজ আরো একবার ওয়র্ল্ড মিডিয়াকে বলে দিলাম আমি আপনাদের গার্ডিয়ান ও সর্বোচ্চ ডিসিসন দাতা। আমার হুকুমের বাইড়ে আপনারা যাবেনা না। আমার হুকুমের বাইড়ে গিয়ে তো দেখলেন। কি পেয়েছেন তাতে? আমাকে ভক্তি ভরে বিশ্বাসের সাথে গ্রহন করুন। আমার অনুসারী হয়ে যান ও আমার বানী বাংলাদেশসহ বিশ্বমিডিয়ায় স্বনামে তুলে ধরুন। আমার কথা অগ্রহ্য করার মতো দুঃসাহস আর দেখাবেন না প্লিজ। বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের প্রধানমন্ত্রী বড় বোন হাসু আপাকে একই কথা বলে দিলাম। আপনার রাসেল আজ বিশ্বজয় করতে বেড়িয়েছে। পারলে তাঁকে বড় বোন হিসেবে সাহায্য করুন নতুবা চুপচাপ থাকুন। বোন ভাইকে ফেলে দিতে পারে তাই বলে ভাই বড় বোনকে কোথায় ফেলবে বলুন? তাই তো কঠোর হতে গিয়েও নরম হয়ে যাই। বুবু তোর চোখে ভিষন ২১ বা ভিষন ৪১ আছে। আমার কাছে আছে আমার অন্তর ভরা প্রেম। প্রেমের ভিষন মারাত্বক সুন্দর। বুবু তুই আমার আর মুনের বিয়ের ব্যবস্থা করে দে। তুই তোর এই হত্যা হওয়া ভাই কে কেনো ভুলে যাবি? বা শুধু পলিটিক্যাল সম্পর্ক কেনো থাকবে? আমি তো তোদের পলিটিক্স শিখানোর জন্যই পড়ে আছে। যাহ্ মুনের সাথে আমার বিয়ে হবে তারপর তোদের বাড়ীতে গিয়ে উঠে পরবো। যদি দুজনের পালানোর মতো পরিস্থিতি আসে তখন না হয় পালিয়ে গনভবনে চলে গেলাম। ওখানে পালালে থানা পুলিশ আমাকে খুঁজে পাবে না। আর আমার মুনও নিরাপত্তার মধ্যে থাকবেন।



নতুবা মুন কে নিয়ে পালিয়ে বঙ্গভবনে ঢুকে যাবো। মিস্টার প্রসিডেন্ট আব্দুল হামিদ তাতে খুশিই হবেন। কথা বলার মতো মানুষ পাবে। অনেক মজার মজার উপদেশ দিতে পারবে। এতোবড় ভবনে একজন ভিভিআইপি থাকবে, তার সাথে বিশ্বের সব থেকে বড় ভিভিআইপি লাভ/প্রেম/ইশক/মহব্বত/পেয়ার/চাহাত থাকলে আমাদের বঙ্গভবন আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।

যদি নিজ প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যেতেই হয়- তাহলে বন জঙ্গলে যাবো কেনো। একদম ভালো জায়গায় গিয়ে উঠবো। প্রয়োজনে দুজন দিয়ে তাজমহলের ভিতরে আশ্রয় নেবো। আর হোয়াইট হাউস তো আছেই। শুনেছি হোয়াইট হাউসে নাকি রাতে ভুত পেত্নিও থাকে। আমাদের দেখলে ভুত প্রেতনির প্রেমে আর প্রেতনি ভুতের প্রেমে হাবুডুবু খাবে। বারাক ওবামার বধু মিশেল ওবামা আমাদের যাবতীয় সাহায্য সহযোগীতা করবেন। নিজ হাতে বাসর ঘর সাজিয়ে দিবেন। নতুবা জার্মান চ্যান্সেলরের কাছেও যাওয়া যায়। আবার ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট বাঙালীর জামাই প্রনব মুখোপাধ্যায়ের কাছেও যাওয়া যায়।



[মুন এগুলো সামান্য কিছুটা দুষ্টোমির ছলে বলছি। আসলে তুমি ছাড়া আমার প্রতি মুহূর্তেই একটু একটু করে মরন হয়, তুমি আসলে জীবন পাবো। কারণ তুমি আমার জীবন]



বন্ধু! আমাদের দেশে কোনো স্পাপক/ভাষ্কর যাদুঘর নাই। এই জাদুঘর যে কি পরিমান দরকার তাঁরা শান্তিপ্রিয় মানুষ সহযেই বুঝবেন। আমরা যদি বিশ্ববিখ্যাত মানুষদের প্রতিকৃতি বা পূর্ণাংগ মুরতী ধানের নারা দিয়ে তৈরি করে উপরে মোমের প্রলেপ দিতে পারি তাহলে তা দেখার মতো নিদর্শন হবে। মাদাম তুজোর যাদুঘর আমাদের যাদুঘরের সামনে পোলাপান হয়ে যাবে। চারুকলায় পড়ুয়া ছেলেপানদের আবার টাকার লিপ্সা বেশি। প্রাকটিসের নাম গন্ধ নাই। শুধু ফুলঝুরি মার্কা বাজে পোষাকের বাহার আর চারুকলায় ভর্তি হয়েই ছবি/ভস্কর বিক্রি করে বড় লোক হতে চায়। বড়লোক হতে হলে বড় দিল আগে তৈরি করে নিতে হয়। আপনারা বিশ্ববিখ্যাত মানুষদের স্বাভাবিক শারিরীক গঠন সমতুল্য নারা ও মোম দিয়ে মুরতী তৈরি করুন। মনে হবে সত্যিকারের সেই কিংবদন্তি জীবন্ত দাড়িয়ে আছে। যেনো এখনই বলে উঠবে, “ভাইজান, আপনার কছে কি সিগারেট হবে? ম্যাচেস থাকলেও হবে। অর্ধেক সিগারেট পকেটে আছে। থ্যাঙ্ক ইউ!!!”



প্রতি বছর একুশে বইমেলায় কারও কারও সাহায্য চাওয়ার জন্য আপনারা চারুকলায় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন নি। লিল্লাহ্ বডিং এর ছোট ছোট বাচ্চারা যখন সাহায্যের জন্য দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরে বেরায়, তখন বলেন, “মুসলিমরা শুধু ভিক্ষাই করে। হায়রে দেশ।” । আমি বলেদিলাম আপনারা যে একুশে বইমেলা বা অন্যকোনো পাবলিক অনুষ্ঠানে টাকা পয়সা দান পাওয়ার আশায় বেড় হন- তা অনেক বেশি হতাশার কথা। আপনারাই মুলত দেশের সর্বনিকৃষ্ট ভিক্ষুক। ক্রিয়েটিভ মানুষ প্রয়োজনে নিজের জন্য ভিক্ষা করবেন, তাই বলে কোনো রোগীর দোহাই দিয়ে দান নামের চাঁদাবাজি কেনো করবেন?



বন্ধু! আমরা কিন্তু শুধু কাঠ দিয়ে বিশ্বের সেরা মানুষগুলোর পুর্ণাঙ্গ মুরতী/প্রতিকৃতি/স্পাপত্য/ভাষ্কর করে দেখাতে পারি। স্থাপত্য বিক্রি করা যাবে। রিপলেসমেন্ট নিশ্চিত হলে ভাস্কর কাষ্টমারকে দিয়ে দেয়া হবে। চারুকলা ভবনের পিছরে অনেকখানি খালি জায়গা আছে। চারুকলা ভবনের পিছনে পুকোরের পাড় ঘেসে এরকম একটি ভস্কর যাদুঘর করা সম্ভব। যার আদলে সরা দেশে এই ভাস্কর যাদুঘর হবে।



বাংলাদেশে এক বা একাধিক মৎস যাদুঘর তৈরি করা সম্ভব। পুরো ভবন জুরে স্বচ্ছ কাঁচের মধ্যে জল রেখে মৎস পরিবেশন করা হবে। সমস্ত লোকাল মাছের স্থান সেখানে হবে। বিদেশী মাছও ওখানে থাকবে। বাচ্চারা দেখে মজাপাবে। আবার ইন্টারন্যাশনাল মৎস গবেষকদের জন্যও আমাদের এই ফিস এ্যান্ড ফিসিং মিউজিয়াম চমৎকার হয়ে উঠবে।



আপনারা নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে এগিয়ে যাবেন। এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আপনাদের চিরমঙ্গল কামনা করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.