নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজন নাই। থাইল্যান্ড, ইউক্রেন, ইরাক, আফগানিস্থান সহ অনেক দেশ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি।



এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি আমি নিজ হাত দিয়ে। তাঁদের ব্যার্থতা সফলতা আমি দেখবো। তারপর জনগন দেখবেন। তারপরও আমার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী কিছু কিছু বিষয়ে ওভার চালাক।



এই ক’দিনে বাঙালী অনেক কিছুই দেখেছেন। যা দেখার কথা ছিলো না। আমাদের সামনে বর্তমান সমসাময়িক সময় অনেক শতাব্দির থেকেও বেশি বৈচিত্রশিল ও সুন্দর।



মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া সাহেব কে মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিন। তাঁর এই পদে থাকার কোনো যুক্তিযুক্তি কোনো কারণ নাই। একজন মন্ত্রীর জামাতা কেনো অর্থের বিনিময় মানুষ খুন করবেন? তারপরও এই নিঃলজ্জ ব্যক্তিদের কেনো প্রধানমন্ত্রীরা সরিয়ে দেবেন না। তাহলে কি ওরা আমার বোন হাসু আপার থেকে বেশি পাওয়ারফুল? অসুবিধা নাই। আপনারা দেখেছেন বোন যখন প্রতিকুল পরিবেশে হাবুডুবু খেয়েছে তখনই তাঁর ভাই রাসেল সম আসিফ এসে বোন কে পাড়ে তুলে নিয়ছেন। ভাই-বোনের মধ্যে কোন প্রতিদান থাকতে হয় না। শুধু আন্তরিকতা ও প্রেম থাকলেই চলে।



বন্ধু! আপনারা হতাশ হবেন না। সরকারকে যদি পছন্দ না হয় তাহলে আপনারা যারা অপজিশনে আছেন, তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে ও রাস্ট্রিয় কোনো সম্পদের ক্ষতি না করে আন্দোলন করতে পারেন। অনেকে বলেন অপজিশন নাকি ইস্যু পাচ্ছে না। ইস্যুকে আমি যিষুর পায়ের তলায় দিয়ে মেরে ফেলেছি। এখন যা পাবেন তা জনগনের মঙ্গলের জন্য কাজ বা আন্দোলন। এই সব কোনো ইস্যুনা কিন্তু ইস্যুর থেকে অনেক গুন শক্তিশালি।



বর্তমানে কাঁচাবাজার গুলোতে কেনো কোনো সরকারি সাইনবোর্ড দেখি না। যাতে প্রতিদিনের বাজার দর লেখা থাকবে। জনগনের স্বস্তি হবে। আজকে এই সংগঠতি মনোপলি ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে কারা? জনগনের মন কি শুধু দুঃখ কষ্ট সয়ে নেবার জন্যই প্রস্তুত থাকে?



বন্ধু! একটি নির্বাচনে অনেক ব্যয়। এই সরকার স্বাভাবিক ভাবে মেয়াদ কাল পাড় করুক। এমনিতেই এই সরকারের গোড়া থেকেই কিছু কিছু আনএক্সপেকটেড ব্যপার বা ঘটনা ঘটে চলছে। এগুল সামাল দেয়া বেশ বড় মুশকিলের কাজ। অপহরণ আতঙ্ক যে শুধু বিরোধী দলের থাকে এমন না। এই আতঙ্ক সরকারী দলের মানুষগুলোর জন্যও সমান কষ্টদায়ক। অপহরন-গুম-মুক্তিপন আতঙ্কের শুরুই হয়েছিলো জনগনকে আতঙ্কে রাখার জন্য। এই বিষয়ে আমি কোনো রাজনীতিক দলকে দোষারোপ করতে পারছি না। এ চক্রোগুল ইন্টারন্যাশনাল কৃমিনাল। বি.এন.পি. জননিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে কোনো প্রকার এজেন্ডা বা ইস্যু তৈরি করতে পারে না। সরকারও এই অপহরন-গুম-মুক্তিপন কে পায়ে ঠেলে দিতে পারে না। এগুলো আমাদের জাতীয় দুর্যোগ। আমাদের জাতীয় দুর্যোগ আমাদেরই নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে।



এই গুম হত্যার জন্য আমি কখনই একক ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে দোষ দিতে পারি না। আবার বি.এন.পি. কেও না। ওরা মলম পার্টির মতো ইউনিটি সমৃদ্ধ একাধিক টিম। ঐ সব শয়তানদের হাত থেকে আমাদের জনগনকে রক্ষা করতে হবে। ধর্ষনের সর্বোচ্চ সাস্তি মৃত্যুদন্ড করে দিন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু মৃত্যুদন্ড এক্সিকিউশন করুন। মন্দ মানুষরা শিক্ষা পেয়ে যাবে।



বন্ধু! আজকের এই মুহূর্তে বাংলাদেশ যে অগ্রগতিময় অবস্থানে আছে, তা দেশ স্বাধীন হবার পরবর্তিতে এই ৪৩ বছরে কখনই ছিলো না। আজ ৭(সাত) মাসে কোনো হরতাল, অবরোধ, বিক্ষোভ কর্মসুচি বাংলাদেশে হচ্ছে না। এর ফলে আমাদের বিশাল অংশের ক্ষতি হয় নি। যেখানে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে রাষ্ট্রিয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার আর্থিক হিসাব ক্রেডিটে যেতো, সেখানে আজ ডেভিট হয়েছে। অনেকে হয়তো এই হরতাল-অবরোধ ইত্যাদি না হবার জন্য আমাকে একক ভাবে ধন্যবাদ দিতে চাইবেন। আসলে কিন্তু তা না। আমাকে আপনারা ভালোবেসেছিলেন বলেই, আপনাদের প্রেমের জয় হয়েছে। এর সব কৃত্তিত্ব আপনাদের। আমি শুধু আপনাদের মন থেকে, আপনাদের ভাবনাগুলোকে একত্র করে, আপনাদের মনের ক্থাই পরিবেশন করে যাচ্ছি মাত্র। আপনাদের অন্তর দিয়ে একবার আমাকে, আমার সব লেখার মধ্য থেকে নিজের কাছে নিয়ে দেখুন, দেখবেন ক্ষনে ক্ষনে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। এই ছিলো আমার সাধনা। আমার লেখা বিশ্বের সর্বকালের মানুষ রচিত সেরা গ্রন্থ। আপনারা শুধু আমার এই লেখাগুলোকে সংরক্ষন করুন। ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করুন। আবৃত্তি বা বক্তিতার সুরে মানুষের কাছ অডিও এবং ভিডিও আকারে পৌছে দিন। মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসুন। সবাই আমার অনুসারী হয়ে যান। আমি সবাইকে লিডার-মহালিডার বানিয়ে ছাড়বোই।



বন্ধু! আমি এমন কোনো কথা দিতে জানি না। যা আমি রাখতে পারবো না। বর্তমান আওয়ামী সরকার তাঁর মেয়াদকাল শেষ করুক। কোনো সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, আমলা সহ, অপরাধী যেই হোক না কেনো, তাকে বাধ্যতামুলক পদত্যাগ ও আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। জ্ঞানী গুনীকে মুল্যায়ন করুন।



আমি আপনাদের যেভাবে দলিয় কার্যালয়ের আইডিয়া দিয়েছিলাম। ঠিক সেভাবে আপনারা এগিয়ে চলুন। দলের ম্যানেজমেন্ট শক্ত ভিতের উপর দাঁর করান। আমাকে যারা পছন্দ করেন। এবং বিশ্বাস করেন যে, আমার দ্বারা নিরাপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব। এ ব্যাপারে সবাই একমত হলে। এই সরকারের মেয়াদ শেষ হবার ৩মাস আগেই আমাকে কেয়ারটেকার গভমেন্টের দ্বায়িত্ব দিন। আমি আপনাদের মনের আশা পূর্ণ করবো। এবং নির্বাচন নির্বাচনের মতো হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিদেশীদের অতি চালাকি আমি মেনে নেই নি। আর ভবিষ্যতেও মানবো না।



সব দেশের সব ক্যাবিনেটকে আমি ক্ষমতা ছাড়তে মানা করছি। আগে পৃথিবীর সমস্যাগুলো সবাই বসে, ও পরিশ্রম করে সমাধান করবো। তারপর সব দেশের সব জাতীয় নির্বাচন এক সাথে হবে। আমার এই হুকুম কে শুধু ইন্টারনেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখলে চলবে না। মিডিয়ায় আমার হুকুম নিয়মিত প্রচার করুন। দেখবেন সাধারণ সিটিজেন খুশি হবে। আমরা আজ কোনো যুদ্ধের জন্য আসি নি। আমরা এসেছি ভুলের যুদ্ধকে ফুল বানাতে। সেই আধার আজ আলো হয়ে আমাদের চোখ রঙিন আলোতে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। একবার যখন আমরা সবাই এক হতে পেরেছি। এখন আমাদের ইউনিটি কে ভঙবে?



বন্ধু! আমি আগামী দুবছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনিতি ওয়ার্ল্ড ইকোনিমির প্রথম ১০টির মধ্যে নিয়ে যাবো। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমস্ত রাজনীতিক দলের সহযোগীতা কামনা করছি। আপনারা সহযোগীতা না করলে আমরা কিভাবে উন্নত হবো বলুন? অনেক আশা নিয়ে আজ আমি আমার দেশের রাজনীতিক দলগুলোর সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না। আপনারা দ্রুত নিজেদে দল আমার সাজেশন মতো ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠা করুন। নতুবা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহি দলগুলো বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। যেমন মুসলিম লিগ, বাকশাল, ন্যাচ ইত্যাদি নামকরা দল আজ স্বর্ণলতার মতো চিকন হয়ে অন্যের রিজিক থেকে নিজেরা একটু পেট ভরাট করছেন।



এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সংসদ নির্বচন প্রসংগে আলাপ করা ও মধ্যবর্তি নির্বাচন নিয়ে আলাপ করা মোটেও প্রাসাংগিক বিষয় নয়। এখন আমাদের এগিয়ে যাবার পালা। আপনারা কতজন রাজনীতিক পেশায় নিয়োজিত আছেন? এই পেশায় লোকবল কতজন? আমাদের আগে ১৮কোটি মানুষের কথা ভাবতে হবে। তাঁদের সুবিধা অসুবিধা দেখতে হবে। দেশের জনগনের ইনকাম বাড়লে দেশ এমনিতেই বিশাল ধনি হয়ে যাবে। আমাদের এভাবে ভাবা উচিৎ।



৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে কি হয়েছিলো, তা আজ ভুলে গেলেও চলবে। ওটা এখন অতীত। আমার বাংলাদেশ ডেভেলপ হচ্ছে কিনা তা আগে দেখতে হবে। আমাদের সমুদ্র সীমা নির্ধারিত হয়েছে। মৎস খাতে বিশাল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানের বিশাল সম্ভাবনা এখন হাতের মুঠোয়। আমাদের সমুদ্র সীমায় প্রচুর প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ আছে। এই সব উত্তোলন করতে হবে। আমরা আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে এই খনিজ উত্তোলনের কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ্।

এতো কিছু থাকতে বি.এন.পি. কোন অযুহাতে আন্দলনে নামতে চাচ্ছেন তা আমার কাছে এই মুহূর্তে বোধগম্য নয়। আমিও আন্দলন করতে চেয়েছিলাম। প্রয়োজন হলেই মাঠে নামবো। যদি না মিডিয়াকে পূর্ণ স্বাধীনতা না দিয়ে বাজে বুদ্ধি দ্বারা মিডিয়া কন্ট্রোল করার চেষ্টা করা হয়। তাহলে আমার সাংবাদিক ভাই ও আরও যারা আমাদের সাথে একাত্মা হতে চান তাঁদের নিয়ে জোড় আন্দোলন গড়ে তুলবো। কিন্তু মিডিয়ার স্বাধীনতা ও আমার কথা সরকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করে তাহলে আমার কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন নাই। আমি কখনই আন্দোলনের পক্ষে না। আমি সব সমস্যা বুঝিয়ে বলে সমাধান বেড় করে নেবার পক্ষে অবস্থান করি। আশা করি তার প্রমান আপনারা পেয়ে গেছেন।



প্রিয় বন্ধু! আমাদের দ্রুত মহেশখালী সমুদ্রবন্দরের নির্মান কাজ শেষ করতে হবে। আমাদের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। আমাদের জল বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো প্লেস বেড় করতে হবে। আমাদের হাতে সময় কম কিন্তু কাজ বেশি। বি.এন.পি. বা অন্য কোনো রাজনীতিক দল জনগনের সত্যিকারের উপকারের পথ খুলে দেবার জন্য আন্দোলন করতে পারেন। আমি আপনাদের সামনে কয়েক হাজার বছরতো বটেই অনন্ত কালের জন্য পলিটিক্যাল ইলিমেন্ট রেখে গেলাম। পলিটিক্স বোঝা ও শেখার জন্য আসিফ একক ও অনন্য। তাঁর প্রয়োজন কখনও ফুরাবে না। তাই আমি আপনাদের হাতে কলমে পলিটিক্স শিখিয়ে চলেছি। তারপরও আপনারা আমাকে আপন করে নিতে ভয় পাচ্ছেন। কেনো বন্ধু? আমি কোন দিক দিয়ে খারাপ মানুষ? আমি কি মুনের সাথে প্রেম করে আপনাদের কাছে অন্যায় করেছি? আমি আপনাদের কাছে মুন কে ভিক্ষা চেয়ে কি বড় কোনো অন্যায় করে ফেলেছি?



পৃথিবীতে যত বিষয়ে যতপ্রকার মানবিক চেতনা আছে, আমি তার সবগুলো থেকে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে আমার মহাচিরন্তন চেতনা দিয়ে দিয়েছি। এখন তো আপনাদের কোনো অসুবিধা হবার কথা নয়।



বন্ধু! আমরা বাঙালী। আমাদের ব্যক্তিত্ব থাকবে আকাশ সম। আমাদের পারসোনালিটি দিয়ে অন্য জাতি শিক্ষা গ্রহন করবে। সেখানে আমরা যদি আবারও কোনো আন্দোলনের নাম করে খারাপের দিকে যাই তাহলে সেই দ্বায় কার? বাঙালী’র নাকি দেশী-বিদেশী দালাল টাইপের মানুষ।



বড় বোন হাসু আপাকে আমি বলবো, আপনার ক্যাবিনেটে যারা প্রশ্নবিদ্ধ হবেন বা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছেন। তাঁদের সবাইকে ছাটাই করে দিন। নতুবা আমাকে মেরে ফেলুন। আপনারা কোনো ভুল করলে সে দ্বায় আমার উপরই আসে। আজ তা দেখা না গেলেও কাল তা মানুষ জেনে যাবে। আমি চাই আপনারা আপনাদের অতীতের ভুল ত্রুটি গুলো নিয়ে শিক্ষা গ্রহন করুন।



বন্ধু! আপনাদের রাজনীতিক রুটিন তৈরি করে নিন। নিজেরা প্রচুর পরাশোনা করুন। সাধারণ মানুষকে সময় দিন। মিডিয়ায় খুব সাধারণ মানুষ হয়ে আসুন।



জিল্লুর রহমান সাহেবকে বলছি তৃতিয় মাত্রা অনুষ্ঠানে রাজনীতিকদের লুঙ্গি গামছা পড়িয়ে উপস্থাপন করে নতুন নতুন স্টাইলের জন্ম দিন। আমার বাংলাদেশের পলিটিক্স যেমন শুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে আপনারাও প্রকৃত বিনোদন দেবার জন্য চেষ্টা করুন। নিজেদের আইডিয়া সব সময় ডেভেলপ করার চিন্তায় থাকুন। দেখবেন আমরা সবাই মিলে সুন্দর হয়ে যাবো। আর পুরোবিশ্বে সেই সুন্দরের কনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঈশ্বর কনার মতো জড়িয়ে যাবে।



আমি একদম স্পষ্ট আদেশ দিলাম, প্রতিটি রাজনীতিক ব্যাক্তিত্ব ও মিডিয়কর্মিদের জন্য প্রতিদিন আমার কোনো না কোনো লেখা পড়া বা আবৃত্তি শোনা, পুরোপুরি ফরজ। সর্বোচ্চ ফরজ। এছাড়া আপনাদের মেন্টাল ইমপ্রুভমেন্ট ঘটবে না।



আজকের রাজনীতিক ব্যক্তিরা পারিবারিক অনুষ্ঠানেও পাঁচটি ভালো কথা বলতে পারেন না। আপনাদের শেখার মনমানুষিকতা থাকতে হবে। হুমকি ধামকি ক্যাডার বাহিনি দিয়ে ডাকাতি করা যায়। পলিটিক্স বা মানুষের মন জয় করা যায় না। আমার উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন ও আমার বানীগুলো নিজের বুকে ধারন করুন ও অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দিন।



ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করুন। দ্রুত সিটিকর্পোরেশনের নির্বাচন শুরু করুন ও জনগনের বাসনা বোঝার চেষ্টা করুন। কিভাবে আপনারা আমলাদের হাতে সিটি কর্পোরেশন ছেড়ে দিলেন? তাতে কার অসুবিধা হয়েছে বেশি? অবশই রাজনীতিক পেশার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গেন। যেখানে জনপ্রতিনিধি দরকার সেখানে বসাচ্ছেন আমলা আর যেখানে আমলা দরকার সেখানে দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধি। সি.ভি.আই দের কোনো রাজনীতিক দল সরাসরি করার অনুমুতি থাকতে পারবে না।



বন্ধু! আজও কেনো আমরা অদ্ভুত উটের পিছনে দৌড়াবো? আমাদের কিসের অভাব। এই আমি আপনাদের এতো কাছে আছি। এতো ভালো ভালো মায়াবি চেহারার রাজনীতিক আছে। তারপরও আমাদের কেনো এই আলসামি ও ভুল পথ ধরে হেঁচে বেড়ানো।



আমি চাই বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। আপনারাও একই সমৃদ্ধি চান। তাহলে আমাদের চিন্তাধারার এতো বেশি ফারাক কেনো থাকবে। পৃথিবীতে আপনারা কি শুধু ইয়েস আর নো খেলা খেলতে এসেছেন। অমুকে ইয়েস বললে আপনি বলছেন নো। তমুকে নো বললে আপনি বলছেন ইয়েস। এটা কোন অর্থে পলিটিক্স হতে পারে? এটা তো ছোটলোকের স্বভাব। এই ইয়েস নো খেলা খেলবে যারা সভ্যতা বোঝে না তারা। অর্থাৎ অসভ্য মানুষ।



আজ এই বন্ধু দিবসে আপনাদের প্রতি চিরমঙ্গল বার্তা ছুড়ে দিলাম। আপনারা টোকিয়ে নিন। ভালো থাকবেন।



https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.