নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

আমি দু’পক্ষকেই আজ আহব্বান করবো, আপনারা যুদ্ধ বন্ধ করে দিন। এই যুদ্ধের জন্য আমি এককভাবে কখনই ইসরাইলকে দোষারোপ করতে পারি না। ইহুদীরা তাঁদের অস্তিত্ব রাখার জন্যই এই যুদ্ধে অংশগ্রহনে বাধ্য হয়েছে।



সবকিছুরই সুন্দর ও সহজ সমাধানের পরিসমাপ্তি থেকে যায়। কি করলেন জাতিসংগের মহাসচিব সাহেব এসে? তিনি কি যুদ্ধ থামাতে পেরেছেন? বান কি মুন সাহেব কি ঐ জাতিসংঘের মহাসচিবের আসনে বসার যোগ্য। বান কি মুন সাহেব আপনি আপনার পদ থেকে পদত্যাগ করুন। আমি আর কোনো অযোগ্য লোককে বড় চেয়ার দখল করে বসে থাকাকে সমর্থন করি না।



যখন আপনার দেশ দক্ষিন করিয়ায় আমি ফেরি ডুবিয়ে দিয়েছিলাম, সেই দিনই আপনার বোঝা উচিত ছিলো- এই আসিফ কে? এবং কোথা থেকে আসিফ আপনাদের সাথে কথা বলে?



আজ সময় এসেছে ইসরাইল ও প্যালেস্টাইনের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এখনই সময় এসেছে।



কোনো পক্ষ যুদ্ধ বিরতির দিকে যাবেন না। এই যুদ্ধের মধ্য থেকে মুক্তির স্বাধীন সুবাস ফুল আমি আপনাদের দিয়ে দেবো। গণ মাধ্যমগুলো প্যালেস্টাইনের এতো বেশি মারাত্নক ছবি ও আবেগী কথা কম প্রচার করুন। ইসরাইলকে এতোখানি নেগেটিভ আকারে কেনো মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়? তাহলে ইসরাইলে কি অমানুষ বাস করে? এই সমৃদ্ধ শালী ও ঐতিহ্যবাহি বনিইসরাইল জাত বিশ্ব মানবতা প্রতিষ্ঠায় সমান অংশিদার। অহেতুক না বুঝেই আপনারা ইউ.এস.এ. এর পতাকা আর ইসরাইলের পতাকা পোড়ানো শুরু করলেন। এর পিছনে কি এমন যুক্তি আপনারা খুঁজে পান।



আমার প্রাণ প্রিয় ইহুদী জাতির সাথে সবথেকে বড় বেইমানীটা করেছেন ইউ.এস.এ. ও ব্রিটেন। বিশেষ করে চার্চিল। মুসলিনি যা করেছে তা ধরা পরে গেছে। কিন্তু ট্রুম্যান ও চার্চিল ইহুদীদের যে পলিসিতে শাসন করে চলছে তা আসলেই খুব ভয়াভয় পর্যায়ে পড়ে। তবে এবার আমি ইউ.এস.এ. ও জাতিসংঘের উপর কিছুটা খুশি যে, আমি বলামাত্র তারা সবটুকু চেষ্টা দিয়ে যু্দ্ধ থামাবার চেষ্টা করেছিলো। আপনারা কি এখনও বোঝেন না যে হামাস একটি জঙ্গি বাহিনী। আর হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে কারা? আসলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্লাদিমির পুতিন খুব বেশি ঝামেলা বাধাচ্ছেন। আমি বার বার সাবধান করা স্বত্ত্বেও পুতিনের দ্বারা আশানরুপ ফল পাচ্ছি না।



বাংলাদেশে বসে আমার খুব খরাপ লাগে, যখন দেখি সবাই একচেটিয়া ইসরাইলের জনগন-সৌন্য ও ইহুদীদের বিরুদ্ধে মারাত্বক মারাত্বক বাজে কথা বলেন। ইহুদিদের সম্পর্কে না জেনে এতো অপবাদ কেনো দেয়া হবে? ঈসরাইল পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের জন্যই একটি বিশাল বড় তির্থস্থান। এখানে যে সব মহামানবদের চরন পড়েছিলো তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও মানুষ পুরোপুরি পরিস্কার ভাবে অবগত না।



আচ্ছা বলুন তো দেখি। ইহুদি জানকে কে বানিয়েছেন। আমার সৃষ্ট্রিকর্তা আর ইহুদিদের সৃষ্ট্রিকর্তা কি আলাদা। ঈশ্বর আজাজিল ফেরেশতাকে মন্দ শক্তি হিসেবে আমাদের কছে দিয়ে দিয়েছেন। খোদার কথা আজাজিল শোনেন নি বলে।



আমরা মানুষ হয়ে অন্য মানুষকে কখনও শয়তান বা কাফের বলে গন্য করতে পারি না। এমনকি বাজে নাম ধরে ডাকতেও পারি না। যারা ইসরাইল নিয়ে বেশি সমালোচনা করে তাঁদের আমি আর একবার অনুরোধ করবো। আগে আপনারা আসল ইতিহাস জানুন। ধর্মের মর্মবানী উপলব্দি করুন। দেখবেন এরপর আপনি শত চাইলেও কারও বিরুদ্ধে কাফের বা মন্দ গালি ব্যবহার করতে পারবেন না।



মানব জাতি যে গালিটা অন্যকে দিতে পছন্দ করে। সেই গালিটাই আবার সেই গালি দেয়া মানুষটির কাছে পুনরায় চলে আসে। এটা খুভ স্বাভবিক নিয়ম। আমি আগেই বলেছিলাম সব মানুষের মন ও কর্মফল আপনারা নিউটনের ক্রিয়ার বিপরিত প্রতিক্রিয়া ও আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব দিয়ে সহজে বুঝতে পারবেন। এই সুত্র দুটো মানুষের মনের ক্ষেত্রে ১০০% প্রমানিত সত্য কথা।



ইসরাইল ও ইহুদি জাতিকে বিনা দোষে গালি দেয়া মানে নিজের ঘরের উপর একই রকম গালি খাবার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা। গালি দিয়ে কোনো কিছুকে ধ্বংস করা যায় ঠিকই। কিন্তু গালি দিয়ে কখনও প্রেম ও শান্তি আসে না। গালাগালি সবসময় ডিস্ট্রাকটিভ। আমি আমার অনুসারীদের বলবো, আপনারা গালি দেবার অভ্যেস পরিহার করুন।



প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও ইন্টারনেট মিডিয়াকে আমি সরাসরি আদেশ প্রদান করছি আপনারা গালিগুলো স্কিপ করার ব্যবস্থা নিন। মিডিয়ায় শুধু ভালো ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন। তাতে আমাদের ছোট্ট পৃথিবীর মাত্র ৭শ কোটি মানুষের কপালে শান্তি নেমে আসবে। মাত্র ৭শ কোটি মানুষ যদি আপনারা ঠিকমত ম্যানেজম্যান্ট করতে না পারেন, তাহলে আপনারা কিভাবে পরজন্মে স্বর্গ পাবার আশা করেন? আমি মিডিয়ার ভিতরের সমস্ত মিথ্যেকে না বলার জন্য স্পষ্ট আদেশ প্রদান করলাম।



যাই হোক, আজ আমরা ইসরাইলবাসী ও ইহুদিদের আমাদের মতোই একেকজন রক্ত মাংসের মানুষ হিসেবে গ্রহন করে নেবো। ইহুদি জাতি সারজীবন সুখে শান্তিতে বসবাস করুক এই দোয়া আমি দিয়ে গেলাম। মুসার সন্তানেরা কখনও খারাপ হতে পারে না।



মুসার সন্তানদের অন্তরেই মুসা থাকতে জানেন। তাইতো আমি আপনাদের কতো আপন হয়ে গেছি। কার আমি বিশ্বাস করি মুসা কখনও মারা যান নি। তিনি অনন্ত ও চিরসুখি অগ্রিপুরুষ। মুসাকে মন দিয়ে ডাকুন দেখবেন তিনি আপনাকে তার গুন গুলো দিয়ে দিবেন। এবং আপনি নিজেও বহু কিছু করতে সক্ষম হবেন। মুসা সাধন খুব পাওয়ারফুল সাধনা। ইহুদিদের জন্য মুসার গুনাবলি নিজেদের মধ্যে সত্যিকার অর্থে অর্জন না করা ছাড়া ইহুদিদের এমন দোষ মাথায় নিতে হবে।



বর্তমানের মুসলিম বিশ্বের একজন আইকন ডাঃ জাকির নায়েক সাহেব তোতলা ছিলেন। তার তোতলামি দুর হয়েছে কোরানে উল্লেখিত মুসার জন্য নাজিল হওয়া একটি দোয়া পরে। জাকির তার প্রতিটা লেকচার ঐ দোয়াটি পড়ে শুরু করেন। মোহাম্মদ কখনও ইহুদীদের সাথে দন্দে জড়াতে চায় নি। ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের বেশী ঝগড়া ও অবিস্বাস জন্ম নেয়া শুরু করে ওমর এর খেলাফতের সময় থেকে। তারপর উমাইয়া ও আব্বাসি রাজত্ব কালে ইহুদিদের উপর একচেটিয়া খারাপ ব্যবহার ও অন্যায্য আচরন করা হয়েছিলো। যার জন্য সকল শান্তি প্রিয় মুসলিমদের পক্ষ থেকে আমি ইহুদিদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মুসলিম ধর্ম ক্ষমার ধর্ম। মুসলিম ধর্ম সহজে শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্ম। মুসলিম ধর্ম কখনও কাউকে আক্রমনের পথে যেতে বলে না। মুসলিম ধর্ম আত্মসুদ্ধির ধর্ম।



শুধু নামধারী নকল আল্লাহ্ এর পুজারিদের দিয়ে ইসলাম ধর্মকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। ধর্ম কখনই একটি পরিবারের মতো না। ধর্ম হলো একে অন্যে মিলেমিশে থেকে সম্মুখ সৎকর্ম করে চলা।



আমি ইসরাইলের পূর্ণ স্বাধিনতা চাই। ইসরাইল স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত কোনো যুদ্ধ বিরতি নামের শর্তের মধ্যে যাবেন না।



আমি অবশ্যই ইসরাইলের জনগনের শান্তি দিয়ে দেবো। সেই সাতে হামাস মুক্ত প্যালেস্টাইকেও আমি স্বাধিনতা ও শান্তি দিয়ে দেবো। হামাস কখনই মুসলিম না। তারা নকল আল্লাহ্ কে মেনে আশান্তির পথে হেঁটে চলছে।



বাংলাদেশ সরকার কে আবারও বলছি আমি, আমার প্রিয়তম মুন ও আমাদের পরিবারকে আপনারা নিরাপত্তা দিন। আমাকে কেউ এখন অন্যায় ভাবে মেরে ফেললে- তার খেসারত পুরো পৃথিবীকে দিতে হবে। আমি আপনাদের সুখের জন্যই এই নিরাপত্তা দাবি করে আসছি।



আপনাদের সবাইকে আমি মঙ্গলবার্তা জানাচ্ছি। নিজেরা নিজেদের মধ্যে কলহ বিবাদ সৃষ্টি করবেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.