নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৃয়েটিভ বাংলাদেশ

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২২

এতো সকালে আমি কার জন্য কথা বলছি? আমি আপনাদের জন্যই কথা বলছি। নাওয়া, খাওয়া, ব্যবসা ও প্রেমে বলি দিয়ে হলেও আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। শুধুমাত্র আমার দেশ ও বিশ্বশান্তির জন্যই আমার এই পথচলা।



বন্ধু! একটি জাতির মুক্তির জন্য কৃয়েটিভ আইডিয়ার কোনো বিকল্প নাই। আমি একটু হলেও পেরেছি। আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য গুলো দেখলে তাঁকে অনেক বেশি অহংকার মুক্ত বলে মনে হচ্ছে। এবং সমসাময়িক তাঁর বানী গুলোর মধ্যে তাকে আগের থেকে অনেক বেশি সাহোসী ও সাবলিল মনে হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নত দেশ হিসেবে গঠন করার জন্য এসবের কোনো তুলনা নাই। প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রতিটা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, মেম্বার অব পার্লামেন্ট ও অন্যান্য আমলাদের কথা মধ্যেও বুদ্ধিদিপ্ত ও সাবলিলক কথা এবং কাজের সাহোস থাকতে হবে।



একটি জাতির উন্নতির সময় একটি গোল্ডেন কৃয়েটিভ জেনারেশন গ্রো করে। বিশ্বের সবজাতির উন্নতির দিকে তাকালে এই একটি জিনিসই আপনাদের চোখে পড়বে।



আজ বাঙালী জাতির দ্রুত ডেভেলপের জন্য মানুষের কৃয়েটিভিটিকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। এই কৃয়েটিভ ব্রেনের আড়ালেই চির সমৃদ্ধ ও উন্নতির বাঁতি জ্বলছে।



প্রাইমারী বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক স্তরে বাধ্যতামূলক ভাবে সংগীত ও ড্রইং সাবজেক্ট অন্তর্ভুক্ত করুন। বয়স্ক শিক্ষার মধ্যেও সংগীত ও ড্রইং বাধ্যতামূলক করে দিন। মিডিয়া কৃটিভিটিকে প্রধান্য দিয়ে আপনাদের রিপোর্ট ও অনুষ্ঠান সাঁজাবেন। কোনো সস্তা মানের সেন্টিমেন্ট দিয়ে আমার প্রাণের বাঙালী জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।



আমাদের বাঙলার সরল, সুস্থ্য, স্বাভাবিক ও সুন্দর সৎ মানুষগুলো এতো বেশি প্রতারনার শিকার হবে কেনো? যাদের একটি ট্রেইন আপ করিয়ে আমরা বিশ্বজয় করতে পারি। তাদের আজ আমরা অবহেলা করি কেনো?



আমরা যারা সরাসরি দেশের জন্য হায়ার ম্যানেজমেন্টে থেকে কাজ করছি। তাদের এখন থেকে ভাবার সময় এসেছে। আপনি যে কোনো প্রফেশনে কাজ করুন না কেনো, শুধু মাত্র প্রেম, ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম আপনাকে আপনার স্বপ্ন পুরন করে দিতে পারে। শুধু আপনার স্বপ্ন না, আপনি ইচ্ছে করলেই অন্যদের স্বপ্নও পূরন করে দিতে পারেন। আপনাকে সৎ, পরিশ্রমিক ও বিনয় ভরে কাজে এগিয়ে যেতে হবে। দেখবেন অনেক অহেতুক ও অযুক্তিক বাঁধা আপনার সামনে এসেছে। আপনার নিজের দক্ষতায়ই সব বাঁধা মোকাবেলা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। কৃয়েটিভিটি হলো সৃষ্টিশিলতা বা নতুন কোনো আইডিয়া প্রথমে মাথায় নিয়ে এসে তাকে এক্সিকিউশনের জন্য অবিরত চেষ্টা করা। যে জাতি যতো বেশি সৃষ্টিশিলতাকে কাজে লাগাতে পেরেছে সেই জাতি ততোবেশি উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করে নিয়েছিলেন। এই কথা চিরন্তন সত্য কথা।



আমাদের বাঙালীর মধ্যে যারা সৃষ্টিশিল হয়ে নিজেদের জানান দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে একটি মানুষও সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন জাপনের সুযোগ পায় নি। শুধু পদে পদে বাঁধা আর অত্যাচারের স্বীকার হয়েছে। বাঙালী একটি অতি উর্বর জাতি। যেমন আমের একটি বিচি কোথাও ফেলে দিলে। ঐ বিচির মধ্য থেকেই নতুন একটি গাছ জন্ম নেয়। তারপর কেউ যদি ঐ নিরিহ আমের গাছটিকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় বা নষ্ট করে ফেলে তাহলে সেই দোষ তো ঐ গাছের না। ঠিক একই ভাবে বাংলা হলো মেধা জন্মানোর দেশ। কিন্তু মেধা পরিচর্যার দেশ বাংলাদেশ নয়। আমাদের নোংড়া পলিটিক্স ও সমাজ ব্যবস্থা প্রচুর গুনিকে অকারনে কষ্ট দিয়েছে ও এখনও কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে।



বন্ধু! একটি রাষ্ট্রের বোঝা উচিত কারা দেশের জন্য নতুন কিছু এনে দিতে যাচ্ছেন বা কাদের আইডিয়া পুরোপুরি কনস্টাকটিভ। এজন্য আমাদের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রসিডেন্ট, হায়ার ম্যানেজমেন্টের আমলা, ক্যবিনেট ও সেনাবাহিনির বড় পোস্ট পজিশন গুলোতে সৃষ্টিশিল ও চিন্তাশিল মানুষদের দরকার হয়।



বন্ধু! বাংলাদেশের পলিটিক্সের পায়ের উপর ফরেনার পশ্চিমারা হকিস্টিকের বাড়ি দিতে দিতে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলো যেখান থেকে মনে হতো আমার বাঙালী বুঝি আর চোখ মেলে তাকাতেও পারবে না। এজন্যই আমি আপনাদের একদ ঠিক সময়ে উঠে এসেছি। আপনাদের শান্তি, সমৃদ্ধি ও প্রেমের কথাই শুধু বলে যাচ্ছি। এই বলতে বলতে ও করতে করতে আজ আমরা সাহসী জাতি হয়ে আবারও নিজেদের রং উঠে যাওয়া ওয়ালকে নতুন করে ডিস্টেম্বর করে নিলাম। আজ বাঙালী উন্নতি ছাড়া অন্য কোনো পথে যেতে চাওয়া তো বহু দুরের ব্যপার, বাঙালী উন্নতি ছাড়া এই মুহুর্তে অন্য কিছু ভাবছেনও না।



আমার বাঙালীর সব কিছু থেকেও ছিলো না। আমার বাঙালীর সম্পদ দিয়েই আমাদের কৌশলে বন্দি করে রাখা হয়েছিলো। বাংলাদেশ ও বাঙালিরা কি বিশ্বব্যাংকের অংশিদার নয়? তাহলে বিশ্বব্যাঙ্ক আমাদের দেশে উন্নতির পথে বাঁধা হয়েছিলো? তারা কেনো আমাদের পদ্মা সেতুর (প্রস্তাবিত শেখ রাসেল সেতু) উপর ব্রিজ নিয়ে পলিটিক্স করলো? আজ আমরা যখন মাজা সোঁজা করে পদ্মা ব্রিজ নির্মানের দ্বায়িত্ব নিজেরা নিজেদের কাঁদে তুলে নিলাম ও মেরুদন্ড সোজা করলাম। এখন বিশ্বব্যাংক আমাদের পদ্মা সেতুতে আর্থিক অবদান রাখতে চায়।



বিশ্বব্যাংককে আমি সাদরে আমন্ত্রন জানাচ্ছি, আসুন আমার বাঙালির সব থেকে দরকারি ব্রিজে অবদান রাখুন। কিন্তু সবার আগে আমার বাঙালীর কাছে করো জোড়ে ক্ষমা চেয়ে নিন। বিশ্বব্যাংক তার ভুলের জন্য প্রথমে ক্ষমা চাইবে, তারপর আমার দেশের মানুষ ডিসিসন নেবে বিশ্বব্যাংক আসলে পদ্মা সেতুতে ইনভেস্ট করতে পারবে কিনা। তার আগে নয়।



আমার প্রাণের বাঙালীকে কেনো বিশ্বব্যাপি চোর বলে প্রচার করা হবে? আমরা কাল পদ্মা ব্রিজ নির্মান করতে পারি নি কিন্তু আজ পদ্মা ব্রিজ নির্মান করতে পারছি। কাজ চলছে। কিন্তু যার আমার বাঙালীকে বিশ্বব্যাংকের পিছনের কুপলিটিক্সের মাধ্যমে চোর উপাধী দিয়েছে, তাঁদের কি হবে?



বাঙালী না খেয়ে মরতে রাজি, কিন্তু নিজের সম্মান নিয়ে বাঙালী কখনও আপোষ করে না। বাঙালী অন্যকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তত থাকে, অন্যের উপকারের জন্য নিজের বুক পেতে দিতে পারে কিন্তু কোনো ভাবেই নিজেদের ঘারে উপর মিথ্যে অপবাদ নিতে জানে না। তোমরা বিশ্বব্যাংক যদি আজ এই পদ্মা ব্রিজে ইনভেস্টমেন্ট করার জন্য এতো ব্যাকুল হয়ে থাকো তাহলে সেদিন কেনো বাংলার প্রতিটা মিডিয়ায় বাঙালীদের মিথ্যে মিথ্যে কেনো চোর সাঁজতে হয়েছিলো? সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন সাহেবকে কেনো হ্যারিজমেন্ট করে সবার সামনে চোর সাবস্ত করা হলো? কেনো তাকে ব্যক্তিগত টাকায় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের মিথ্যে চোর পরিচয় ঢাকার চেষ্টা করতে হয়েছিলো। বন্ধু বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতি সিস্টেমের আমি ঘোর বিরোধী, তা আপনারা ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন। আমি এক সাম্যবাদি নতুন অর্থনীতির কথা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছিলাম ও বিশ্বব্যাংকের চুরি গুলোকে স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছিলাম।



বাংলাদেশকে অবশ্যই ব্রিকস্ এর সদস্য করে নিতে হবে। তাতে ব্রিকস এর নাম পরিবর্তন করতে হবে না। ব্রাজিলের বি ব্রজিলেরই থাকবে। কিন্তু তার আড়ালের যে বাংলাদেশের বি আছে তা দেখে পুরো বিশ্ব স্থম্ভিত হয়ে যাবে। আমি সে প্রস্তাব কয়েকদিন আগে বলে দিয়েছি। এখন তাকিয়ে আছি খালাম্মা ইন্ডিয়া ও বড় ভাই চয়না কি বলে?



আল্লাহ্ সবকিছ দেখেন, জানেন ও সর্বোচ্চ সঠিক বিচার করেন। তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ রাখবেন না। বাঙালীর এতো কান্না বিফলে যাবে কেনো? আজ ঠিকমতো সময় পলিটিক্স না করে, আমাদের পদ্মা ব্রিজের অর্থায়ন ঠিক রাখতি তাহলে আমার বাঙালীর মধ্যে বহু মানুষের বেকারত্ম কেটে যেতো। আমার বড় বোন হাসু আপুকে এবার যদি ক্ষমতায় না নিয়ে আসতে পারতাম তাহলে এখন বুঝে নিন দেশের কি অবস্থা হতো। সবাই শুধু আসিফ কে অবহেলা করতে পারেন, তুচ্ছ করতে পারেন কিন্তু একবারও বুঝলেন না, এই আসিফ যদি আপনাদের সাথে অভিমান করে মারা যায় তাহলে দেশের কঠিন সময়ে এই বাঙালীজাতিটার হাল ধরতে এগিয়ে আসবে কে?



বন্ধু! আমি নেতৃত্ব চাই না। আমি নেতৃত্বর মধ্যে সর্বোচ্চ সৃষ্ট্রিশিলতা ঢুকিয়ে দিতে চাই। আমি বিশ্বের সমস্ত নেতা-নেত্রীকে আমার কাজ ও আমার বানী দ্বারা সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌছে দিয়ে, দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত করতে চাই। শুধু এই একটি মাত্র কারণে আমি নিজেকে ওয়ার্ল্ড গার্ডয়ান বলি। আমি পুরো পৃথিবীর প্রতিটা রাজনিতিকদের বোঝাতে চাই নেতৃত্ব কাকে বলে ও কিসের জন্য নেতৃত্ব?



বাঙালীর রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার উপর পশ্চিমারা নিজেদের প্রভাব রেখে ১৮ কোটি মানুষকে জিম্মি করার সাহোস পেয়েছিলো কি করে? বঙ্গবন্ধু দেবতা মুজিবেন দেশে তোরা রাজত্ব করতে চেয়েছিলি কোন সাহসে? আবার বর্তমানে তোমার ত্যারা ভাবে হাসি মুখে আমার বাংলাদেশ নিয়ে পলিটিক্স ও ষড়যন্ত্র করছিস কোন সাহোসে? তোরা জানিস না বঙ্গবন্ধুর সন্তান রাসেল সম আসিফ এর সামনে কোনো বাজে পলিটিক্স কাজ করবে না।



যেসব বাঙালী বর্তমান কুট কৌশলের সাথে কৃমিনালীর হাত বাড়িয়েছিস, তোদের বলে দিচ্ছি, ঠিক পথে ফিরে আয়, নতুবা লাথি দিয়ে বিশ্বসিমানার বাইড়ে বেড় করে দেবো।



হাসু আপু আমার বড় বোন। তার কোনো অপরাধ থাকলে আমি দেখবো। তিনি কোনো অন্যায় করলে আমি তাঁর বিচার করবো। তোরা পশ্চিমা বিদেশী হয়ে আমার বুবুকে নিয়ে ও বুবুর বদনাম করে কেনো আবার তেড়ে আসছিস? একবারে কি তোদের শিক্ষা হয় নি। আসিফ ক্ষুধা পেটে বসে তোদের সামনে কথা বলে কিন্তু অসৎ অর্থে আসিফ তার পেট ভরায় নি। আসিফ ভাতের ক্ষধায় ক্ষুধার্থ না, আসিফ কৃয়েটিভিটির ক্ষুধায় ক্ষুধার্থ। আসিফ শান্তির নেশায় ক্ষুধার্থ। পশ্চিমারা আগে নিজের দেশ ঠিকঠাক ভাবে সমাধান কর তারপর এই বাংলার দিকে চোখ দিবি। নইলে খেজুরে কাটা দিয়ে তোদের চোখ উপরে ফেলবো।



বন্ধু! আমার সব বাঙালীরা এল্যার্ট হোন। এই সাত মাস বাদে আবারও ওদের সুক্ষ বাজে কৌশল দেশের ভিতরে ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। এবার ওরা ভিন্ন পলিটিক্স খেলতে চাচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম আমার ভালো ও মঙ্গলের বানী ওদের বুঝ পরিবর্তন করে দেবে। আসলে ওরা তা বুঝলো না। ওরা আবারও অপকৌশল নিয়ে হাজির হলো। আগে যেমন দেখেছি এবারও আমি ওদের সব অপকৌশলকে ধ্বংস করে দেবো। শুধু আপনারা নিজেদের মনকে শক্তি করুন।



হাসু আপু তুই তোর জায়গায় থাক। হাসিখুশি থাকবি। নিজের মনে যে ভাষা আসবে তাই দিয়ে বক্তৃতা করে যা। বাকি সবকিছু আমি দেখছি। আমার পরামর্শ ছাড়া কোনো ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্সের সাথে সংযুক্ত হোসনে। দ্রুত ব্রিকসের কাছে আমার প্রস্তাবের সমর্থনে কথা বল। আমি তোকে হেল্পের থেকেও বগ হেল্প করবো। শুধু তুই আমার মুনের মতো মুখ গোমড়া করে থাকিস না। নিজের আদরের প্রেমিকা মুনের কষ্ট বুঝেও আমি কিছু করতে পারছি না। হাসু আপু তুই আমার বোন। তুইও যদি মুনের মতো বিনাদোষে দোষি হয়ে থাকিস তাহলে আমাদের এই ছোট্ট পরিবারটার উপর দিয়ে কি শুধু শুধু এসব বিনা দোষে অপবাদ আসবে?



বন্ধু! বাংলাদেশে একপদের সুশিল সমাজ ও বুদ্ধিজিবি নামের আগাছা জন্ম নিয়েছে। তারা টাকার বিনিময় সব পারে কিন্তু মিথ্যে ছাড়তে পারে না। এই জানোয়ার গুলো যে নিজ দেশে কতো ক্ষতি করছে তা আজ আমি আর্থিক ও সময়ের মুল্য দিয়ে দেখাতেও পারবো না। টকশো, বক্তৃতা, মিডিয়া কলাম ও অন্যান্য নানা স্থানে তাদের এই বাজে স্বভাব টোটাল পলিটিক্সের উপর একটি শনি গ্রহের বলয়ের মতো দেখাচ্ছে। ওদের মিডিয়া থেকে বয়কট করে দে। সত্যবাদি, কৃয়েটিভ, স্পষ্টভাষি ও নীনিবান ছাড়া মিডিয়ায় কেউ পলিটিক্যাল কথা বলতে পারবে না। ঐ সব বুদ্ধিজিবি ও সুশিল সমাজ হলো বর্ষার সময়ে পাড়ে লাফ দিয়ে ওঠা কোনো কৈ মাছ। বর্ষা ও বানের টানে ওরা কুলে ওঠে ঠিকই কিন্তু আর পানির পথ চেনে না। তাইতো ঐ কৈ মাছের স্থান হয়, শ্বসুর বাড়ীতে বেড়াতে আসা কোনো জামাইবাবুর রাতের খাবারের প্লেটে।



বাঙালী জাতির সুস্থ্য বিনোদন ও কাজের কাজ করা জন্য দুটো টিভি চ্যানেল হানিফ সংকেত এর “ইত্যাদি” ও শাইখ সিরাজের “মাটি ও মানুষ” নামের দুটি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন চেয়েছিলাম। জানিনা ওরা কতখানী এগিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আমার স্বপ্নের দুটি চ্যানেল কে পরিক্ষামুলক ভাবে প্রচার করার সুযোগ করে দিন। তারপর তারা টেলিস্টেরিয়াল কাম স্যাটেলাইট চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন। আমি যে কাজে হাত দিয়েছি তাকে দয়া করে অবহেলা করবেন না। আমাকে আপনারা দ্রুত সার্ভিস ও সাহায্য করুন। আমার নির্দিষ্ট সহজ টার্গেটে আমাকে পৌঁছবার সুযোগ দিন। ওখানেই বাঙালী সহ বিশ্ব মানবের মুক্তি অপেক্ষা করেছেন। এখনও চ্যানেল দুটোর অনুমোদন দেয়া হয় নি কেনো? আপনারাও কি বিশ্বব্যাংকের মতো আচরন করতে চাচ্ছেন? তাতে সময় নষ্ট হয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না।



বন্ধু! আমি অনেক আগেই বলেছি যে, আইন করে হরতাল/অবরোধ চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিন। সরকার ভাবছে এই ৭(সাত) মাসে বহুদুর এগিয়েছে। আসলে কি তাই? শুভ কাজের ইচ্ছা পোষন করলেই মনে করবেন, কাজটি হয়ে যাবে। যারা আবারও সরকারকে ব্যাস্ত রেখে নিজেদের স্বার্থ হসিল করার কাজে নিজেদের কৃমিনালি নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের কি শাস্তি হওয়া উচিত আপনারা বলুন। আমি তাঁদের সেই শাস্তিই দিয়ে দেবো। ..........................এই শাস্তি দেয়া যায়। এই ফাঁকাটুকুর মধ্যে নিজেরা বসিয়ে দিন। আমি আপনাদের আশা পূর্ণ করে দেবো। কারণ পুরো প্রকৃতি আজ আমার কথাই শুনতে বাধ্য হয়ে আছেন। কিন্ত আপনারা বুঝছেন না।



বন্ধু! মিডিয়ার মাধ্যমে যেমন করে বিষন্নতা ছড়ায় ঠিক একই ভাবে কৃয়েটিভিটির হাতে খরিও এই মিডিয়া মাধ্যমে করা যেতে পারে। এজন্য আমাদের বাঙালী জাতিটির আজ বড় দুঃসময় যাচ্ছে। আমি বাংলাদেশের সব মিডিয়া ও নতুন দুটি টিভি চ্যানেল ইত্যাদি এবং মাটি ও মানুষ থেকে ওদের দুঃসময়কে সুসময়ে পরিনত করার কথা বলছি মাত্র। আপনারা সব জানেন ও বোঝেন। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বোঝানোর মতো আছে কিনা আমার জানা নাই। আপনারা শুধু বর্তমানের কাজ বর্তমানে করে নিন। বাকি যা যা সাপোর্ট লাগে তা আমি দেখবো।



বন্ধু! আজ আমরা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ম্যানিফাকচার করতে পারছি না। আমারা ইলেকট্রিক চিপের ফব্রিকেশন করতে পারি না। আমাদের প্রযুক্তিকে আমাদের এ্যানি হাউ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ১৮কোটি বাংলাদেশের মানুষের বিশাল বড় মার্কেট সামান্য কারণে কেনো বিদেশিরা ভাগবাটারা করে নিয়ে নিবে? আমরা কেনো বাংলাদেশে বসে নিজেদের দেশের ইলেকট্রিক ডিভইস নিজেরা তৈরি করতে পারছি না? শুধু মাত্র কৃয়েটিভ মানুষদের না বোঝার কারণে আজ এই দশা হয়েছে। আমাদের কৃয়েটিভ নাগরিকদের যথাসময়ে যথাযথ সম্মান দিতে হবে।



আপনারা কি একবারও চোখ খুলে দেখবেন না যে, আমার বাঙালী জাতের যে বিশাল সুযোগ ও সম্ভাবনা তা আর অন্য কোনো জাতির মধ্যে এই বর্তমান সময়ে নেই।



বন্ধু! আশাকরি যারা এতোদিন নষ্ট পলিটিক্স করে এসেছেন। তারা ভালো হয়ে যাবেন। যারা অন্য প্রফেশনে থেকেও পলিটিক্স এর উপর নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করছেন তারা দ্রুত নিজেদের মনকে শুদ্ধ করে তুলুন। যারা বাজেভবে শেল্টার দিয়ে শেল্টার দাতা হয়েছে তারা আজ আমার আদর্শ গ্রহন করে নিন।



আমার উপর আপনারা পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখুন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন। আমিন।



জয় জয় বাঙালী!



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.