নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞাপন আইডিয়া

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

বিজ্ঞাপন আইডিয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কখনও বিশ্বমানের হতে পারে নি। একটি বিজ্ঞাপন আইডিয়াই একটি কোম্পানীর ব্যবসাকে প্রসারের জন্য যথেষ্ট। আমি একটি জিনিস বুঝি না আমাদের বিজ্ঞাপনের আইডিয়া এও পুর কেনো?



বিজ্ঞাপন দেখে বিজ্ঞাপনের আইডিয়া নকল করা যায় না। ১০-২০-৩০ সেকেন্ডের মধ্যে একটি প্রডাক্টকে মানুষের মাথার মধ্যে গেঁথে দেওয়া মোটেও সহজ ব্যপার না।



বাংলাদেশ সহ তৃতিয় বিশ্বে কিছু বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় তা সরাসরি মানবতা বিরোধী ও ধোঁকা বলে গন্য হয়। যেমুন ধরুন হরলিক্স এর একটি এ্যাডে কিছু বাচ্চা আলাদা আলাদা দুটি ভাগ হয়ে গেছে। একদল খেলো হরলিক্স আর অন্যদল সাধারন কিছু (বিজ্ঞাপনের ভাষ্য মতে)। দেখা গেলো হরলিক্স যারা খেয়েছে তাঁরা অনেক বেশি তরতাজা হয়ে গেছে। এগুলো একটি রিপোর্ট মাত্র। এটা কখনও কোনো চিরন্তন সত্য না। তাই এই টাইপের এ্যাড গুলো ফাস্ট ওয়ার্ল্ডের মিডিয়ায় প্রচার করা হয় না। আমাদের উপর এই ফালতু জড়িপ মার্কা এ্যাড চাপিয়ে দেয়া হয়। আর এ ব্যাপারে মিডিয়াও কোনো ডকুমেন্টস বা যাচাই বাচাই বা প্রচার বন্ধ করতে চায় না। তাতে কার ক্ষতি বলুন? এই দেশের কোটি কোটি মানুষের ক্ষতি। আবার পেপসুডেন্ট টুথ পাউডার, ফেয়ার এ্যান্ড লাভলি যুগ যুগ ধরে মিথ্যে প্রচার করে, আমাদের এহেন ক্ষতি করে চলেছে।



এরকম সব এ্যাড বাংলাদেশের মিডিয়া তো বটেই সেই সাথে ওয়ার্ল্ড মিডিয়ায় একযোগে বন্ধ করে দিন।



বিজ্ঞাপনের স্কৃপটিং এর ক্ষেত্রে কোনো একটি মজাদার কাহিনি তৈরি করুন। যার ভাষা হবে যথেষ্ট পরিমান স্ট্রং। প্রোডাক্টের ডিজাইন নিয়মিত পাল্টাতে থাকুন। যেমন ধরুন গায়ে দেয়া সাবানের যে ডিজাইন আছে তা ঘুরে ফিরে প্রায় একই রকম।



স্টার (পাঁচটি কোন দিয়ে একটি তারা) আকারের কি কোনো গায়ে দেয়া সাবান হতে পারে না? সেই সাবানের সাথে এমন একটি বডি ব্রাস উপহার হিসেবে দিন। ব্রাসটিতে হাতল থাকবে। যেন সাবান দিয়ে গোছল করার সময় ব্রাসের হাতল ধরেই পিঠ, ঘার, নিতম্ব পরিষ্কার রাখা যায়। এই ধরনের কিছু কিছু নতুন প্রোডাক্টিভ আইডিয়া নিজেরা বেড় করার চেষ্টা করুন। অন্য কোম্পানি কি করল তা দেখে নকল বা সেমি নকল করলে কোম্পানীর বিজনেস প্রমোশন ঘটানো সম্ভব না। প্রডাক্ট কোয়ালিটির সাথে কখনও আপোষ করবেন না।



বিজ্ঞাপনে এমন সব ডায়ালোগ ও জিঙ্গেল বসাবেন। তা যেনো সব বয়সী ও সব শ্রেনীর মানুষকে আকর্ষন করতে পারে।



আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন আইডিয়া দাতারা বা বিজ্ঞাপন নির্মাতারা খুব কম সময়ে অনেক বড় বড় কাজ করতে চায়। আর্টিস্ট কোরাম ও নিজেদের মধ্যে বিভক্তি করতে করতে দিন পাড় করেন, তাহলে ভালো আইডিয়া কার কাছ থেকে আসবে?



আফজাল, অমিতাভ রেজা, ফারুকি সহ আরো যারা বিজ্ঞাপন নির্মান পেশায় নিয়োজিত আছেন তারা আসলে নিজ নামের সাথে মোটেও যোগ্য না। নিজের চিন্তা চেতনাকে বিজ্ঞাপনে প্রকাশ করার আগে পাবলিক ডিমান্ড বুঝে নিবেন।



কয়েকটি ব্যাপার খেয়াল রাখবেনঃ

১। প্রোডাক্টটি মানুষের জন্য কতখানী জরুরী?

২। এটা কি নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য নাকি ভোগ্য পন্য?

৩। কোন স্টেজের লোক প্রডাক্টটি বেশি কিনবে? তাদের পারিবারিক অবস্থান কেমন?

৪। এমন কি আছে যা আগে কখনও কোথাও দেখানো হয় নি। এমন আইডিয়া মাথায় নিয়ে আসতে হবে।

৫। এই প্রোডাক্টির পাশাপাশি কোনো সহযোগী প্রডাক্ট আছে নাকি। যেমন টায়ার, মবিল ইত্যাদি গাড়ির মূল প্রডাক্টের অশং হয়েও আলাদা প্রোডাক্ট। আবার প্লাস্টিক ট্যাংকি , পানির টেঙ্কি হলেও তা কনসট্রাকশনের সাথে সংপৃক্ত। অফার দেবার সময় এই সব ব্যপার গুলো বেশি প্রধান্য দিবেন।

৬। মোবাইল অপারেটর কোম্পানী গুলোর এ্যাডের ক্ষেত্রে নিজ দেশের পর্যটন প্লেস ও মানুষের উপকার হয় এমন এ্যাড দিতে থাকবেন।



আমাদের বিজনেস পলিসিতে প্রফেশনালিজমের খুব বেশি অভাব। বাংলাদেশের অষুধ শিল্প কে বহু দুরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। অষুধ আকর্ষনীয় করতে ম্যাডিসিন আর্কিটেক্ট ডিজাইনিং খুব বেশি জরুরী বিষয়। অষুধের প্যাক থেকে শুরু করে প্রতেকটা অষুধের বাহ্যিক সৌন্দয্য সুন্দর করে তুলুন। আমরা অনেক দেশের থেক অষুধ শিল্পে বহু পিছনে আছি। আপনাদের নিত্য নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনীয় অষুধ সমূহ ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এ্যাড দিয়ে দিবেন।



কোনো সেনসিটিভ ও নতুন প্রডাক্টের মার্কেটিং এর জন্য মিনিমাম ৫০-১০০টি আইডিয়া গ্র করুন তারপর বোদ্ধাদের মাধ্যমে ভোটিং সিস্টেম করুন। তারপর তা অনস্কৃনে নিয়ে আসুন।



এ্যাড আইডিয়ার সময় ভাববেন, আমরা বাংলাদেশি প্রডাক্ট কে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই। আপনাদের চিন্তা হতে হবে বিশাল বড়। আপনাদের কাজ হতে হবে একান্ত স্বকিয়।



যারা বড় বড় নির্মাতা আছেন বা গ্রুপ কোম্পানি আছেন বা যে কোনো টিভি চ্যানেল আমার কাছ থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। আমি আপনাদের সেবা করার জন্য সদাপ্রস্তুত।



মুন যদি এ্যাড করতে চায় – সেটা ওর ব্যক্তিগত ব্যপার। তবে আমার সম্মানের বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। প্রয়োজনে আমি আইডিয়া দিয়ে দেবো। তবুও আমার প্রেমিকা বধুকে মিডিয়ায় প্রশ্ন বিদ্ধ করতে পারি না। আপনাদের সহযোগীতা কামনা করছি।



আপনাদের ভালোর জন্যই দু’একটি বকা-টকা দেই। আপনারা আমার সাথে রাগ করবেন না। আমি চাই সমস্ত কৃয়েটিভ মানুষগুলো যেনো তাদের সবটুকু উজাড় করে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আপনাদের মঙ্গল কামনা করছি।



ধন্যবাদান্তে

আসিফ

+৮৮ ০১৭১৭০৪৪৯১৯

https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আমি আইডয়া তো বটেই। সেই সাথে টোটাল এ্যাড টিমকে সাহায্য করতে পারি। আপনারা আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। আমার ঠিকানা আগের পোস্টগুলোর মধ্যে পেয়ে যাবেন।

আমাদের দ্রুত আগাতে হবে। আগামি দু'বছরের মধ্য আমরা আমাদের বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমির প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান নিতে চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.