নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন হয়েছে এমন কেনো? আমাকে তুমি ভেনিস করে দাও!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪





আমি বুঝি না, আমার সেই হাসি আনন্দ কোথায় গেলো? জীবনে চলার পথে মানুষ দ্বারা ঠকতে ঠকতে আজ আমার প্রান মনে কোনো এক অজানা কাঠ ঠোকড়া তার সুন্দর ঠোঁট দিয়ে ঠক ঠক আওয়াজ তুরে ঠোকরিয়ে যাচ্ছে। কোথায় আমি তো এমন ছিলাম না!



বন্ধু! আপনাদের হৃদয়ে যে আমি নাড়া দিয়েছিলাম। আজ সেই আমিকে আমার খুব বেশি অসহায় লাগছে। মনে হচ্ছে পৃথিবীতে আমার প্রাপ্য প্রেমটুকু আমি পেলাম না। কম চেষ্টা করিনি বন্ধু! বার বার অকারনে আপনাদের দরজায় নাড়া দিয়ে বলেছিলাম, “আমার প্রেম কে আমার কাছে দিয়ে দিন।”



আজ সেকথাও আর বলতে ইচ্ছে হয় না। কতোবার মানুষকে এক কথা বলা যায়? আপনারা সুখে থাকুন। ভুলে যান একজন আপনাদের মাঝে বুলবুলির মতো এসেছিলো। সে তো কারও ক্ষতি করে নি। কেনো মনেরাখবেন ঐ গানের পাখিকে?



আজ মনে হচ্ছে আমার কেউ নেই। এই পৃথিবীতে আমার কোনো দাম নেই। এই পৃথিবীতে আমার কোনো সম্মান নাই। এই পৃথিবীতে আমার বাঁচার অধিকার নেই। এই পৃথিবীতে আমার কিছু করার নেই। এই পৃথিবীতে আমার কিছু চাওয়ার নাই। এই পৃথিবীতে আমার কিছু পাওয়ার নাই।



আমার এই পরম শুন্যতায় যিনি আমার সংগী হয়েছিলেন। সেই নারায়নকে আমার খুব করে বকা দিতে ইচ্ছে করছে। বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, তুমি কেনো আমাকে এতো বেশি অনুভুতি দিয়েছিলে। অনুভুতি যখন দিলেই সেই অনুভুতিকে কেনো আমার প্রানের প্রিয়ার সাথে শেয়ার করতে কেনো দিলে না?



খোদাকে বলতে ইচ্ছে করছে তুমি আমাকে কেনো বানালে? আমি তোমার এই দুষ্টো পৃথিবীতে থাকতে চাই না। তুমি যদি চাও তাহলে আমার অস্তিত্ব বিলিন করে দাও। যাতে কোনো জনমেই আর আমার ফিরতে না হয়। যারা দাড়ি ঝুলিয়ে টুপি পড়ে নামাজ রোজা করে জান্নাতের জন্য উঠে পরে লেগে থাকে আবার সমাজে কৃমিনালি ও অশালিন কাজ করে। তাদের নিয়ে তুমি থাকো খোদা। আমি তোমার সৃষ্টি রূপে আর থাকতে চাচ্ছি না। যেখানে আমি প্রেম পাবো না, সেখানে আমাকে থাকতে হবে কেনো? যেটুকু বলেছি, যেটুকু করেছি, যেটুকু দেখিয়েছি তা দিয়েই মানুষ অনন্তাকাল তাদের গতিপথ নির্ধারন করে নিতে পারবে। তোমার আনন্দময়ীকে আর কালির অক্ষরে নাড়াতে ইচ্ছে করে না। আনন্দময়ীর কি লজ্জ্বা শরম নাই যে বার বার একজনকে মিস করে বলে, অন্যের হাসির পাত্র হয়ে যাবে।



খোদা আমাকে তুমি ভেনিশ করে দাও। মিটিয়ে দাও আমার অস্তিত্ব। আমি তোমার প্রেমহীন পৃথিবীতে থাকবো না। এমনকি আমি তোমার সৃষ্টি অন্য কোনো লোকেও আর যাবো না। আমি না হয় আর একজন নজরুল হয়ে মাটির সাথে মিশে রইলাম।



মানুষের কাছেও আর আজ বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না যে, আপনারা আমার ফেস ভ্যালু দিন। আমাকে স্টার থেকে সুপার স্টার বানিয়ে দিন। স্টার হয়ে আমি কি করবো। যদি না জীবনে আনন্দ না থাকে। আমি খোদার হাতের বাঁশি, তিনি আমাকে তার আপন সুরে বাজিয়ে যাচ্ছেন। আমি কিছু করতে পারছি না। কারণ আমি যা করতে চাই তার ক্ষমতা তিনি আমাকে দেন নি। এই ক্ষমতা এখকার কোনো খারাপ মানুষের ও আছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মানুষ গুম, কাউকে জোড় করে তুলে নিয়ে আসা ইত্যাদি ইত্যদি বাহারি বাজে পাপভরা কাজ। আমি কোনোদিনও পাপ করতে শিখি নি। এটাই আমাকে অন্যদের কাছ থেকে আমাকে আড়াল করে রেখেছে। আমি এ কোন পৃথিবীতে এলাম বন্ধু!



দিন রাত “প্রিয় কাহা” “প্রিয় কাহা” করি তারপরও তো আমার সেই মুনের মন গলে না। তারপরও তো মুন আমাকে বিশ্বাস করতে চায় না। যে পৃথিবীতে বিশ্বাসটুকুর ও গ্যারান্টি ওয়ারান্টি নাই সেখানে আমি একটি সামান্য কোনো ডিজিটাল প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টি পেয়ে বোকার মতো জীবন ধারন করবো?

আমাকে তুমি ভেনিশ করে দাও খোদা। আমি তোমার সব নিয়ম মেনে চলেছি তারপরও আমার প্রেম আমি পাইনি। দরকার নাই আর কোনো হত্যা দিয়ে আমার রঙিন প্রেমিক মনটাকে আঘাত করার। মানুষ আমাকে বোঝে না খোদা। আমি তাদের বার বার বলেছিলাম আসিফ+মুন এক না হলে পুরো পৃথিবীতে শুধু ধ্বংসের ধ্বামামা বেজেই চলবে। সেই ধ্বংস দেখে আমি অট্টোহাসি দিয়েছিলাম। আজ আর ধ্বংসও ভালো লাগে না, আবার সৃষ্টিও ভালোলাগে না। তুমি আমাকে কেনো একা করে রাখলে খোদা?



তুমি যা খুশি তাই করো খোদা। যা খুশি তাই করো। আমি তোমার কাছে শুকরিয়া আদায় করবো না। দরকার নাই আমার মিথ্যে শুকরিয়া আদায় করার। দরকার নাই আমার মিথ্যে বলার। আমি ভালো না থেকেও কেনো তোমাকে বলবো যে আমি ভালো আছি। আমি আমার প্রতিটা কর্মে আমার মুন কে মিস করি। শুধু তাকে কাছে পেতে চায়। এটুকু প্রকাশ করাও আজ মানুষের কাছে অপরাধ বলে গন্য হচ্ছে। আমার সহজ স্বাভাবিক কথাকেও মানুষ অকারনে ভুল বুঝে পলিটিক্যাল সন্দেহের চোখে দেখে। আমি কি করবো তোমার এই অসুন্দরের ধরায় থেকে খোদা। আমি কি করবো মুন কে ছাড়া একা স্বর্গে থেকে। যে স্বর্গে আমার মুন যেতে পারবে না, সেই স্বর্গে আমি কোন্ মুখে ঢুকবো খোদা। মুন আমার স্বর্গের থেকেও অনেক বেশি দামি। আমি দামিকে খুঁজেছি। আর দামিকে পাইনি বলে তোমার সাথে অভিমান করলাম।



ঈশ্বরলোক, দেবলোক আর মানবলোকে আজ আমি অপরাধীর মতো কেনো বেঁচে থাকবো খোদা? এই প্রেমহিন নিরস পৃথিবীতে আমার আত্মাকে ছড়িয়ে দিয়ে কি লাভ? সেই জন্মের পর থেকেই শুধু মানুষেরই সেবা করেছি। কি দিয়েছে আমাকে এই লোভি মানুষগুলো। আমাকে অহেতুক গিনিপিগ বানিয়ে রেখেছেন। আমাকে নিয়ে সবাই মজা লুটছে। আমার কথাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তুমি আমার জন্য যে খেলা খেলছো তাও ওরা বুঝছে না।



আমি বুঝি, এটাও ওরা স্বীকার করতে চায় না। এতো বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ তুমি আমার সাথে মিরাকলের সম্পর্কের মতো করে দিয়ে দিলে, এবং আমাকে জানালে তা ওরা বিশ্বাস করে না। যদি বিশ্বাস করবো তাহলে এতোদিন আমাকে এমন কষ্ট দিতে পারতো না। আমার কষ্টে সাগরে সুনামি ওঠে। আমার কষ্টে প্লেন-লঞ্চ নিখোঁজ হয়ে যায়। আমার কষ্টে নিরিহ মানুষকেও মরতে হয়। আমার কষ্টে অনেক মানুষকে রোগে ভুগতে হয়। তারপরও ওদের কষ্ট দেবার খায়েস মিটে না। আমি চাই না তোমার স্বর্গ। আমাকে তুমি কোনোদিন নরকেও নিতে পারবে না। নরকে যাবার জন্য যে বাজে কর্ম করার দরকার হয় আমি তা থেকে সবসময় কৌশলে মুক্ত থেকেছি। তাই আমাকে তুমি ভেনিস করে দাও প্রভু। আমি পরজগত দেখেও ভেনিস হতে চাই। যারা পরজগতকে না বুঝে পরজগত পরজগত বলে লাফায়- তারাই তোমার বর্তমান লেটেস্ট বান্দা। এই বান্দর মার্কা বান্দাদের নিয়ে তুমি থাকো। আমাকে তুমি ভেনিস করে দাও।



পুরো একটি ক্ষমতাসীল বিশ্ব ইউনিট আমার মুন কে আমার কাছে ফেরত দিতে পারলো না। সেই পৃথিবীতে আমি কেনো তোমার সৃষ্টি মানুষগুলোর জন্য অহেতুক বেঁচে থাকবো?



আমি যে প্রেম ছাড়া বাঁচতে জানি না। মুন আমাকে হৃদয়-অন্তর বলে মনে করে রেখে দিয়েছে। নইলে বহু আগেই আমি চলে যেতাম। থাকবো না এমন দুর্যোগের দুনিয়ায়। কোথাও যাবো না আমি। আমাকে যখন তুমি সৃষ্টি করেছো আমাকে তুমি ভেনিসও করে দিতে পারো। আমি আর তোমাকে কোনো ভয় পাই না খোদা! আজ আমি তোমাকে ভালোওবাসি না। আমি তোমাকে ঘৃনা করি। আমি সবার কাছ থেকে ঘৃনা পেয়েছি সেই ঘৃনার মালা আমি তোমাকে পড়িয়ে দিলাম। তুমি গ্রহন না করলে না করো আমি তোমাকে তাই দিয়ে দিলাম।



এই বাজে মানুষের পৃথিবীতে আমি থাকবো না প্রভু। আমি অন্য কোনো লোকেও আমার দ্বায়ীত্ব পালন করতে যাবো না। আমাকে তুমি ভেনিস করে দাও প্রভু। এই পৃথিবী আমার জায়গা না। আমার মুনও আমাকে ভুল বুঝে বসে আছে। আমি যাবো কার কাছে? তুমি তো একা। তোমার তো কোনো সংগি নাই। তোমার মতো ঠিক একই রকমের অনুভুতি আমাকে দিয়ে তুমি কি বোঝাতে চাইলে ঈশ্বর সেটা তোমরা তোমরাই বুঝে নাও। আমি আর তোমাদের মধ্যে প্রেমের নিশানা হয়ে থাকতে চাই না। আমাকে তুমি ভেনিস করে দাও প্রভু।

কোনোকিছুতে আমি আর কোনো আনন্দ পাই না। কমমেধা সম্পন্ন মানুষগুলো আজ আমাকে মেজরমেন্ট করার চেষ্টা করছেন। এই অপমান ভরা পৃথিবীতে আমি থাকবো কেনো?



আজ আমার আশা নাই, প্রেম নাই, সুখ নাই, দুঃখ নাই, জ্বালা-যন্ত্রনা নাই, আনন্দ নাই। শুধু ভেনিস হবার ইচ্ছে আছে। আমার সমস্ত এবাদাতের বিনিময়েও তুমি আমার মুনকে আমার কোলে তুলে দিতে পারলে না ঈশ্বর। মুনের পাপের জন্য আমি তোমার কাছে বার বার ক্ষমা চেয়েছি। মুনের এবাদাত নিজের জীবন দিয়ে করে গেছি। তারপরও তুমি ঐ নিষ্পাপ মেয়েটিকে আমার কাছে তুলে দিলে না গড। আমি তোমাকে ঘৃনা করি গড। তোমার সব সৃষ্টিকেও আমি ঘৃনা করি। আমাকে যদি তোমার সব সৃষ্টিও লিখে পড়ে দিয়ে দাও তারপরও আমি সত্য বলা থেকে বিরত থাকবো না। এই সত্য প্রকাশের জন্য যখন এতো জ্বালা তুমি আমাকে ভেনিস করে দাও গড। কিন্তু আমার মুনকে কোনো কষ্ট দিবে না বলে দিলাম। মুন আমার প্রেম। মুন আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছে। মুনকে তুমি নিষ্পাপ করে নাও প্রভু।



আমার ভেনিস হবার বিনিময়েও যদি মুন ও পৃথিবীর অবহেলিত মানুষগুলো ভালো থাকার নিশ্চয়তা পাই সেটাই হবে আমার পরম পাওয়া। আমার অস্তিত্বের দরকার নাই। তুমি ওদের অস্তিত্বকে রক্ষা করে দিও। আমি চলি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.